শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩

নির্বাচনের জন্য সংবিধান সংশোধনের কথা ভাবুন

মেজর আখতার (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
নির্বাচনের জন্য সংবিধান সংশোধনের কথা ভাবুন

বিএনপিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনার প্রয়োজনীয়তা এখন তীব্রভাবে অনুভব করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ; যার আলামত দৃশ্যমান। সম্প্রতি দলটির নেতারা কূটনীতিক কিংবা রাজনীতিকদের সঙ্গে যে কোনো আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিচ্ছেন। কিন্তু লক্ষণীয় যে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিরোধী দলের দাবির বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীনরা। তা স্পষ্ট করতে কোনো দ্বিধা করছে না। তাদের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, আরেক দফা সরকারে থাকার লক্ষ্যে দলটি এবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন করার অবস্থানে রয়েছে। তাই তারা মনে করে, সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোট হলে সেই লক্ষ্য অর্জন কিছুটা সহজ হতে পারে। কিন্তু বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জন করলে তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে সংঘাত-সহিংসতার চেষ্টা করবেই। সে পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠনে ঝুঁকি কম এবং গ্রহণযোগ্যতা বেশি। তখন আর নির্বাচন-উত্তর ঝুঁকি তেমন একটা থাকে না। কিন্তু বিরোধী দলের বয়কটের মুখে নির্বাচন সব সময়ই নিন্দিত ও অগ্রহণযোগ্য এবং তখন সংঘাত-সহিংসতা কখনই পিছ ছাড়ে না।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সরকার, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক নানা বৈঠক করছেন। সেসব আলোচনার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিদেশি কূটনীতিকরা বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে ভালো একটা নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা বলছেন। তবে তারা বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সরকারকে কোনো চাপ দিচ্ছে না। ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ বা সরকারের তো পোয়াবারো। তাই বিএনপিকে ভোটে আনার বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্যোগকে ধন্যবাদ সহকারে স্বাগত জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকার এখন আলোচনার নতুন ফাঁদ পেতে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে পরোক্ষভাবে আলোচনার দ্বার খুলে দেবে বলে অনেকে মনে করছেন। এমনকী বিএনপির কোনো কোনো দাবি-দাওয়া নিয়েও সরকার নমনীয় মনোভাব দেখাতে পারে। সম্প্রতি সংসদ উপনেতা দম্ভোক্তি করে বলেছেন, উনারা নাকি ‘ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চান না’! উনি সম্ভবত ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনের কথা বেমালুম ভুলে গেছেন অথবা লজ্জায় মনে করতে চান না! তবে তিনি আগামী নির্বাচনে বিএনপি ভোটে থাকবে (!) বলে আকুল প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা এ ধরনের যে কোনো উদ্যোগের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে মনে করছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। তারেক রহমানকে বাগে আনতে না পারলে এ ধরনের সব উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে।

শুধু সংসদ উপনেতার একার বা বিদেশি কূটনীতিকদেরই প্রত্যাশা নয়, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সদলবলে অংশগ্রহণ করুক তা পুরো জাতির প্রত্যাশা। সমগ্র জাতি মুখিয়ে আছে একটি কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের জন্য। নতুন পুরনো সব ভোটার উদগ্রীব হয়ে আছে, তাদের ভোটটি দেওয়ার জন্য। দল-মত-নির্বিশেষে সবার প্রত্যশা একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যেখানে ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের মহামূল্যবান ভোটটি তাদের পছন্দের মার্কায় অবাধে দিতে পারবে। দল-মত-নির্বিশেষে সবারই প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের। মনে হয় এ ব্যাপারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাও তাই। কিন্তু এই ইচ্ছা পূরণে চরম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সংবিধান। সংবিধানের ১২৩। ২(৩) এর (ক) উপধারায় কখনই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই। কেন নেই তার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। এর সঙ্গে মানব চরিত্রে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এটি যারা অস্বীকার করতে চায় তারা যুক্তির ধার ধারে না। তারা শক্তির জোরে কথা বলেন। তাদের বোঝাতে হলে শক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে। শক্তি দিয়ে বোঝানোও অসম্ভব নয়; কিন্তু তাতে অশান্তি বাড়ে, জনগণের বাড়তি ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। দেশ ও রাষ্ট্রের অকল্যাণ তৈরি হয়। বিদেশিরা সুযোগ নেয়। তাই আমার একান্ত মত হবে- ক্ষমতাসীনরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে কিছুটা নমনীয় হয়ে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সংবিধানের ১২৩। ২(৩) এর (ক) উপধারাটি একতরফাভাবে বিলুপ্ত করে দিতে এগিয়ে আসবে।

বিরোধী দলের সব দাবি-দাওয়া মানতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিরোধী দলের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রচলন করতে পারলে সুবিধাবাদি, ধান্দাবাজ ও ষড়যন্ত্রকারীরা সহজে হালে পানি পাবে না। সরকার যদি খোলা মন নিয়ে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে বর্তমান সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিয়ে সংসদ নির্বাচনের দিকে যায়, তাহলে মনে হয় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে জাতি রক্ষা পাবে। তখন দেশ ও জাতির স্বার্থে বিরোধী দলগুলোর উচিত হবে প্রধানমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে মেনে উভয় পক্ষের সমন্বয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিপরিষদ কীভাবে দাঁড় করানো যায় তা নিয়ে গঠনমূলক একটি আলোচনার টেবিলে বসতে আগ্রহ দেখানোর। এ ব্যাপারে তখন সরকারকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে এবং বিরোধী পক্ষকেও ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। উভয় পক্ষ গোঁ ধরে না থেকে আলোচনার টেবিলে বসে পারস্পরিক ছাড় দিয়ে উভয়ের কুল রক্ষা করার মতো একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করা। উভয় পক্ষকে বাস্তবতার আলোকে তাদের অবস্থান ও সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারলে উপকৃত হবে জনগণ। দূর হবে দুশ্চিন্তা, অশান্তি ও অমঙ্গল।

সবাই জানে ক্ষমতা যেমন চিরস্থায়ী নয়, তেমনি কারও দুর্দিনও অপরিবর্তনীয় নয়। সময় পরিবর্তনশীল। কাজেই সবকিছুই যে আজই করে ফেলতে হবে এরকম অস্থিরতা শেষ পর্যন্ত মঙ্গলময় হয় না, তা আমরা সবাই জানি। ভবিষ্যৎ সব সময় নির্ভরশীল বর্তমানের ওপর তা আমাদের কারও অজানা নয়। কাজেই আমি মনে করি, বিরোধী দলকেই ইতিবাচক মনোভাব ও বোঝাপড়া নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত হবে। সরকার ঘোড়ায় চড়ে আছে। তাকে তো নামাতে চাই; কিন্তু তার হাতে আছে চাবুক তার ওপর সে ঘোড়ায় চড়ে বসে আছে। তাকে নামাতে গেলে ঘোড়ার ধাক্কা খাওয়ার যেমন সম্ভাবনা আছে, তেমনি আবার ঘোড়াকে মারার জন্য রাখা চাবুকের আঘাতও আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার হওয়ার সুযোগ থেকেই যাচ্ছে। পথে কোনো খানাখন্দও নেই যে, রাজাকে ঘোড়াসহ সেই খানাখন্দে ফেলে দেওয়া যাবে। কাজেই রাজার সঙ্গে সন্ধি করাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে রাজাকেও ছাড় দেওয়ার মন-মানসিকতা দেখাতে হবে। ক্ষমতার দম্ভ নিয়ে গোঁ ধরে বসে থাকলে গনেশ কখনো উল্টে যেতেও যে পারে, সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়াও শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে। পৃথিবী পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনশীল আমাদের জীবন, যৌবন, ক্ষমতা, বিত্ত-বৈভব এবং সবকিছুই। পৃথিবীতে সবকিছুরই একটি নির্দিষ্ট জীবনকাল রয়েছে যার বাইরে কেউ যেতে পারে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ একদিন অবশ্যই থেমে যাবে। থেমে যেতে বাধ্য। পৃথিবীর কোনো কিছুই প্রকৃতির খেয়ালের বাইরে নয়। সবকিছু নির্ধারিত হয় একমাত্র সময় দিয়ে। সময়কে জয় করার ক্ষমতা এখন কারও হয়নি। হবে কি না এখনো কেউ তা জানি না। সময় সবকিছুকে পরিবর্তন করে দেয়। অনেকে মনে করে পৃথিবীতে জয়ের সবচেয়ে বড় এবং মোক্ষম অস্ত্র হলো- অপেক্ষা। তাই আমি মনে করি, আমাদের সবার আলোচনায় বসা উচিত। আলোচনায় বসে জাতির ভাগ্য নির্ধারণ করা হোক। জাতির নেতারা আলোচনায় বসে স্থির করা হোক জাতীয় সিদ্ধান্ত কী হবে বা আমরা কোন পথে যাব। জনগণ অশান্তি, অনিশ্চয়তা চায় না। এই আলোচনায় যেমন বিরোধী দল এগিয়ে আসবে তেমনি সরকারকেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যে, বিরোধী দলের বক্তব্যের যৌক্তিক মূল্যায়ন করা হবে। অতীতের কাসুন্দি না ঘেঁটে আগামী দিনের সম্ভাবনাকে মূল্যায়নের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হত্যা এবং প্রতিহিংসা রাজনীতিরই অংশ; যার সুবিধাভোগী আমরা অনেকেই! তবে প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধের রাজনীতি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকবে : যথা সময়ে সংসদ ভেঙে দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও প্রশাসনের সব ধরনের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ প্রভাবমুক্ত একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে যার নিশ্চয়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। প্রধানমন্ত্রীর নিশ্চয়তার বাধ্যবাধকতা সংবিধানে থাকলে বিরোধী দল শঙ্কামুক্ত থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এগিয়ে আসতে বাধ্য হতে পারে। তাই সবার আগে প্রয়োজন সংবিধান সংশোধন। সংবিধান সংশোধন একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই করতে পারেন। এখন তিনি সবার সঙ্গে আলোচনা করে তা করবেন কি না তা একমাত্র উনার ওপরই নির্ভর করে। যদি প্রধানমন্ত্রী সবাইকে নিয়ে সুখী ও শান্তিপূর্ণ দেশ গড়তে চান তাহলে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই; তা যতই তিতা হোক না কেন।

প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন, কারও সঙ্গে আলোচনা করার কোনো প্রয়োজন নেই তাহলেও সেখানে তাকে বাধা দেওয়ারও কেউ নেই। তিনি ইচ্ছা করলে যেভাবে খুশি সেভাবে নির্বাচন করাতে পারেন বা নির্বাচন না করিয়ে বর্তমান সংসদকে চিরস্থায়ী করে দিতে পারেন। তাতে উনাকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি নিয়েই নিয়েছেন। তাই তিনি বা তার সরকার বিরোধী দলগুলোকে কোনো আমলে নিচ্ছেন না। কারণ বর্তমানে সরকারবিরোধী আন্দোলনে কোনো একক নেতৃত্ব মাঠে নেই। মাঠের কোনো একজন নেতার ডাকে বা নির্দেশে কেউ মাঠে থাকছে না। পরস্পরকে দোষারোপ ও আদর্শহীন আনুগত্যের আধিপত্য চলছে। নির্দেশ বা ডাক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কোনো কার্যকরি চেইন অব কমান্ড বা নেতৃত্বের দায়বদ্ধতা নেই। সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত প্রভাব ও প্রাধান্য বিস্তারের সাময়িক অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে আন্দোলন প্রচ-ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা আন্দোলনের সফলতার সম্ভাবনার নিশ্চিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারছে না। এখন এই সুযোগে যদি সরকার সংবিধান সংশোধন করে বর্তমান সংসদের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বা অনন্তকালের জন্য বাড়িয়ে দিয়ে প্রতি বছর ২০% হারে আসন শূন্য ঘোষণা করে এই বছর থেকেই ২০% তথা ৬০টি আসনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে তাহলে বিরোধী দলগুলোর কী করার থাকবে? তখন কি সরকার বিরোধী দলগুলোকে আন্দোলনের সুযোগ করে দেবে!

সরকার বিরোধী দলগুলোর সামনে এখন দুটি পথ খুলে দিয়েছে। প্রথমটি হলো সরকারের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অনুগত বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে হালুয়া-রুটি খাওয়ার সুযোগ নেওয়া। আর দ্বিতীয়টি হলো নির্বাচনে না এসে আন্দোলনের নামে জেল-জুলুম, নির্যাতন, গুম মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াতে আর পুলিশের মিথ্যা মামলায় আদালতের বারান্দায় দিন কাটাতে। সরকার তার লক্ষ্যে ঠিক। যদি কোনো দৈব-দুর্বিপাক অন্তরায় না হয়, তাহলে সরকার তার পথেই হাঁটবে। এখন সেখানে যদি সরকার সবাইকে একসঙ্গে নির্বাচনে নামিয়ে নতুন কোনো উটকো ঝক্কি-ঝামেলার ঝুঁকি না নিয়ে বর্তমান সংসদকেই স্থায়ী করে প্রথম বছরের জন্য ২০% অর্থাৎ ৬০টি আসনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়, তাহলে সরকার এক ঢিলে অনেক পাখি মেরে ফেলতে পারবে বলে অনেকে মনে করেন। আন্দোলন বন্ধ হলো, নির্বাচনও হলো, আবার নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হলো, সংসদে সত্যিকার বিরোধী দলও এলো, বিদেশিরাও খুশি থাকল, দেশও শান্ত থাকল। যাদের রাজনীতি থেকে মাইনাস করার কথা তারাও আপনা-আপনি মাইনাস হয়ে গেল! এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে। এখন সরকার ইচ্ছা করলে নিম্নলিখিতভাবে সংবিধান সংশোধন করে নিলেই হলো : সংবিধানের বর্তমান ১২৩-এর ২ ধারার (৩) উপধারার (ক) ও (খ) বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সেখানে লেখা থাকবে বর্তমান সংসদ চিরদিনের জন্য বলবৎ থাকবে তবে শর্ত থাকবে যে, ২০২৩ সাল থেকে সংসদের মোট আসনের ২০% ভাগ আসন তথা ৬০টি আসন প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শূন্য ঘোষণা করবেন এবং ওই আসনের সংসদ সদস্যগণ সঙ্গে সঙ্গে পদচ্যুত হয়ে যাবেন। তারপর সেখানে শূন্য ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত ২০% এর ৬০টি শূন্য আসনে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের পরে নির্বাচিত ৬০ জন সংসদ সদস্য যথা নিয়মে স্থায়ী সংসদে পাঁচ বছরের জন্য আসন গ্রহণ করবেন। এতে সরকার প্রধানের আজীবন ক্ষমতায় থাকা যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতেও কোনো বাধা থাকবে না। ওই নির্বাচনের জন্য তখন সরকারকে কারও সঙ্গে অনৈতিক আঁতাত যেমন করতে হবে না, তেমনি কোনো জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নির্বাচন করার জন্য কোনো দলের কৃতদাস হতে হবে না বা নির্বাচন করলে সরকারের দালালের তকমা মাথায় নিতে হবে না। সবচেয়ে বড় ফল দেবে পুঁজিবিহীন রাজনৈতিক বাণিজ্য প্রতিরোধে। এতে অবশ্যই রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে যুগান্তকারী অবদানও রাখবে।

পরিশেষে অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলতে চাই, বর্তমান সংবিধানের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। দেশি-বিদেশি যারাই ইনিয়ে-বিনিয়ে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছেন তারা সবাই তলে তলে সরকারের পক্ষেই কথা বলছেন, জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং বিরোধী দলগুলোকে বিভ্রান্ত করে চাপে রেখে জালে আটকাতে চাচ্ছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কোনো ঝুঁকি নিজে তো নেবেই না, তার স্বার্থান্বেষী দেশি-বিদেশি মহলও নিতে দেবে না। তাই নির্বাচনের নামে নাটক করে জনগণের সামনে প্রহসন সৃষ্টির বদলে সংবিধান সংশোধন এনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়াই উত্তম হবে। তবে এ রকম মোক্ষম সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। নদী পরিষ্কার, স্রোত ও হাওয়া অনুকূল, মাঝি বাইয়া যাও। সময়েই দেখা যাবে কোন ঘাটে খেয়া ভিড়ে।

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
ইসলামে নারীর আত্মরক্ষা-ভাবনা
ইসলামে নারীর আত্মরক্ষা-ভাবনা

৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪’
১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪’

২২ মিনিট আগে | শোবিজ

লা লিগায় রেকর্ড হ্যাটট্রিকসহ সরলথের চার গোল
লা লিগায় রেকর্ড হ্যাটট্রিকসহ সরলথের চার গোল

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র : আইন উপদেষ্টা
৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র : আইন উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে হতাশাজনক ড্রয়ে পয়েন্ট হারাল সিটি
সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে হতাশাজনক ড্রয়ে পয়েন্ট হারাল সিটি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দক্ষ জনশক্তি ও উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রযুক্তি খাতের ভূমিকা অতুলনীয়: আইসিটি সচিব
দক্ষ জনশক্তি ও উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রযুক্তি খাতের ভূমিকা অতুলনীয়: আইসিটি সচিব

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বেনাপোলে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে যুবক খুন
বেনাপোলে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে যুবক খুন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫
বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, রাবিতে আনন্দ মিছিল
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, রাবিতে আনন্দ মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন : নাহিদ ইসলাম
বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন : নাহিদ ইসলাম

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

“সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ–২০২৫” এর উদ্বোধন
“সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ–২০২৫” এর উদ্বোধন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে সিলেটবাসী নিরব: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে সিলেটবাসী নিরব: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবি আদায় করেই জনতা ঘরে ফিরবে: জামায়াত আমির
দাবি আদায় করেই জনতা ঘরে ফিরবে: জামায়াত আমির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সুদানে কারাগার ও শরণার্থীশিবিরে আরএসএফ হামলা, নিহত অন্তত ৩৩
সুদানে কারাগার ও শরণার্থীশিবিরে আরএসএফ হামলা, নিহত অন্তত ৩৩

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাবিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে ‘হেপাটাইটিস বি’ ভ্যাকসিন
জাবিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে ‘হেপাটাইটিস বি’ ভ্যাকসিন

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কক্সবাজার উপকূলে ১১ ফিশিং বোট আটক
কক্সবাজার উপকূলে ১১ ফিশিং বোট আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ চাপায় পথচারীর মৃত্যু
পিকআপ চাপায় পথচারীর মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুন্দরবনে পুশইন ৭৮ জন, খাবার-ওষুধ দিয়ে সহায়তা কোস্টগার্ডের
সুন্দরবনে পুশইন ৭৮ জন, খাবার-ওষুধ দিয়ে সহায়তা কোস্টগার্ডের

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রোডম্যাপ না আসায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রোডম্যাপ না আসায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকাস্থ সোনাতলা উপজেলা কল্যাণ সমিতি কমিটি ঘোষণা
ঢাকাস্থ সোনাতলা উপজেলা কল্যাণ সমিতি কমিটি ঘোষণা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চ-গতির মিসাইল ব্যবহার করছে পাকিস্তান, বলল ভারত
উচ্চ-গতির মিসাইল ব্যবহার করছে পাকিস্তান, বলল ভারত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও শক্তিশালী ফাতাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল পাকিস্তান
আরও শক্তিশালী ফাতাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল পাকিস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ছোড়া ৬ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিজেদের রাজ্যেই পড়েছে : পাকিস্তান
ভারতের ছোড়া ৬ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিজেদের রাজ্যেই পড়েছে : পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১৯ দিন ছুটি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১৯ দিন ছুটি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত
বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাল্টা হামলা: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের
পাল্টা হামলা: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের
সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’, ভারতের ২৬ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’, ভারতের ২৬ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত : ভারতের ৩২ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত : ভারতের ৩২ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছেন শেহবাজ শরিফ
পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছেন শেহবাজ শরিফ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেকটি ‘নাকবার’ সাক্ষী হতে পারে বিশ্ববাসী, সতর্ক করল জাতিসংঘ
আরেকটি ‘নাকবার’ সাক্ষী হতে পারে বিশ্ববাসী, সতর্ক করল জাতিসংঘ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরান খানের কারাগারে ড্রোন হামলা চালাতে পারে ভারত, দাবি পিটিআই’র
ইমরান খানের কারাগারে ড্রোন হামলা চালাতে পারে ভারত, দাবি পিটিআই’র

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের গোলায় ভারতীয় কর্মকর্তার মৃত্যু
পাকিস্তানের গোলায় ভারতীয় কর্মকর্তার মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অচল
সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অচল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত
পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের
তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য অস্বীকার করল ভারত
সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য অস্বীকার করল ভারত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের
পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৩৬ স্থানে ৪০০ ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, দাবি দিল্লির
ভারতের ৩৬ স্থানে ৪০০ ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, দাবি দিল্লির

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের বিরোধিতা সত্ত্বেও পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ, উদ্বিগ্ন দিল্লি
ভারতের বিরোধিতা সত্ত্বেও পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ, উদ্বিগ্ন দিল্লি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০ শয্যার হাসপাতাল দাবি
১০০ শয্যার হাসপাতাল দাবি

দেশগ্রাম

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া উচিত
সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া উচিত

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরমাণু অস্ত্র পরিষদের জরুরি বৈঠক
পরমাণু অস্ত্র পরিষদের জরুরি বৈঠক

পূর্ব-পশ্চিম

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা
হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

হঠাৎ পুশইন নিয়ে প্রশ্ন
হঠাৎ পুশইন নিয়ে প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

পূর্ব-পশ্চিম