মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

২২তম রাষ্ট্রপতি

মর্যাদাবান পদটি বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকুক

দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পর দেশ পেল একজন নতুন রাষ্ট্রপতি। গতকাল বঙ্গভবনের দরবার হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে শপথ নিয়েছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতি মেয়াদ শেষে উত্তরসূরির কাছে দায়িত্ব অর্পণের নজির রাখলেন। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সামরিক-বেসামরিক আমলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। একজন সাহসী এবং দৃঢ়প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম পাবনায় ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন প্রত্যক্ষভাবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন তিনি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জড়িত হন আইন পেশায়। ১৯৮২ সালে বিসিএস বিচার ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কমিশনার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদে মনোনীত হন। ছাত্রনেতা, সাংবাদিকতা, আইনজীবী, বিচারক, দুদক কমিশনারের বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মো. সাহাবুদ্দিন যখন যে দায়িত্ব পালন করেছেন, তা নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। দুদকের কমিশনার হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কথিত পদ্মা সেতু সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তদন্তে অভিযোগটি মিথ্যা ও অন্তঃসারশূন্য বলে প্রমাণিত হয়। কানাডার কোর্টেও সমর্থিত হয় প্রতিবেদনটি। বাংলাদেশের মর্যাদা রক্ষায় যা অনন্য ভূমিকা পালন করে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন রেকর্ড সময় রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত থাকা মো. আবদুল হামিদের কাছ থেকে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদার পদকে পূর্বসূরির মতো তিনি বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার সাফল্য দেখাবেন- এ শুভকামনা আমাদের।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর