শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

সুদহার বৃদ্ধি কার স্বার্থে?

মেজর আখতার (অব.)
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সুদহার বৃদ্ধি কার স্বার্থে?

এক সময় পৃথিবীতে রাজা- রাজড়াদের শাসন ছিল। সবকিছু হতো রাজার স্বার্থে। তখন রাজার কথাই ছিল আইন। সেখানে জনগণের কোনো ভূমিকা ছিল না। রাজা তখন জনগণের দ্বারা ক্ষমতায়ও আসতেন না। আবার জনগণের দ্বারা ক্ষমতা থেকে পতনও হতো না। সবকিছু রাজার শৌর্যবীর্য তথা বাহুবল ও সৈন্যসামন্তের শক্তির ওপর নির্ভর করে রাজশাসনে আসীন হতো অথবা রাজার পতন হতো। তাই রাজা তার সৈন্যসামন্ত বা রাজক্ষমতা ধরে রাখার জন্য জনগণের কাছ থেকে যে কোনোভাবে খাজনা বা করের নামে ইচ্ছামতো সম্পদ বা অর্থ আদায় করতেন। এই আদায়ের কোনো নিয়মনীতি ছিল না। রাজা যেভাবেই ইচ্ছা করতেন তার অনুগতরা সেভাবেই জনগণের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করে নিত। মুদ্রা প্রচলনের আগে রাজারা জনগণের কাছ থেকে শস্য বা কৃষিজ উৎপাদনের বড় ধরনের হিসসা প্রয়োজনে জোর করে হলেও নিয়ে যেত। এটাই ছিল জনগণের সঙ্গে রাজ-রাজড়াদের প্রচলিত আচরণ। এর প্রতিবাদ কেউ করতে গেলে তাকে বা তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হতো। রাজকোষে রাজার চাহিদামতো কর না দিলে রাজারা গ্রাম, জনপদ ধ্বংস করে দিতেন। রাজার কোষাগারে খাজনা দিতে ব্যর্থ হলে নিরীহ প্রজাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হতো। প্রজাদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত। তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিত। এমনকি রাজার যুদ্ধের জন্য নিরীহ সাধারণ প্রজাদের যুদ্ধকর দিতে হতো। সেই কর দিয়ে রাজা তার রক্ষার জন্য সৈন্যসামন্তের বড় বড় বাহিনী প্রতিপালন করতেন। খাজনা দিতে না পারলে বিনা বেতনে রাজার জন্য যুদ্ধ করে দিতে হতো। সেই যুদ্ধে নিরীহ সৈনিকরা নিহত বা আহত হলে রাজা তার কোনো দায়িত্ব নিতেন না। জনগণের উন্নয়নের জন্য রাজারা কখনো কোনো অর্থ ব্যয় করতেন না। সড়ক, রাস্তাঘাট, সেতু বা সাঁকো তৈরি করা হতো রাজার সৈনিকদের চলাচলের জন্য। তাও তৈরি করে দিতে হতো সাধারণ জনগণকে বিনা পারিশ্রমিক ও বিনা খরচে। এগুলো নির্মাণে রাজকোষ থেকে কোনো ব্যয়ভার বহন করা হতো না। এগুলোই ছিল রাজা-রাজড়াদের আমলে জনগণের ওপর শোষণ ও শাসনের চিত্র বা ইতিহাস। তবে এর ব্যতিক্রম যে ছিল না তা অবশ্য ইতিহাস অস্বীকার করে না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তথা ১৯৪০ সালের পরে পৃথিবীর শাসনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিশ্ব থেকে রাজতন্ত্র বা রাজার নামে শাসনে এসেছে পরিবর্তন। যদিও ভিন্ন রূপের রাজতন্ত্র বা ব্যক্তিপর্যায়ে কোথাও কোথাও রাজা-রাজড়ার মতো শাসন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা যে হচ্ছে না তা বলা যাবে না। তবে সারা বিশ্বে এখন জনগণের শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়ে গেছে। এখন কোথাও গণপ্রজাতন্ত্র বা জনপ্রজাতন্ত্র বা কোথাও গণতন্ত্র বা প্রজাতন্ত্র বা আবার কোথাও কোথাও সাম্যবাদ বা সমাজবাদের নামে জনগণের শাসন কায়েম হয়েছে। সব শাসনব্যবস্থায় সবাই এখন সবকিছু জনগণের নামে করে। শাসন, শোষণ, উৎপীড়ন, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, যুদ্ধবিগ্রহ এখন সবকিছু জনগণের নামে এবং জনগণের নিরাপত্তার অজুহাতে করা হয়। পৃথিবীর কোনো শাসকগোষ্ঠী এখন নিজেদের নামে করে না এবং করার সুযোগও সীমিত। তাই পৃথিবীতে এখন সবকিছু জনস্বার্থে ও জনকল্যাণেই করা হয়ে থাকে। তাই রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজের বিকাশ, দেশের উন্নয়ন, বাজেট, মুদ্রানীতি সবকিছুই হতে হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র তথা দেশ ও জনগণের স্বার্থ এবং কল্যাণের জন্য। এসব আমাদের দেশের যে বাজেট করা হয় তাও জনগণের স্বার্থে এবং কল্যাণে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে তাও যে জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণের চিন্তা মাথায় রেখেই করা হয়েছে তাতে কারও ন্যূনতম দ্বিমত নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- এই ঘোষিত মুদ্রানীতিতে জনগণের কতটুকু স্বার্থ রক্ষা হবে এবং এতে জনগণের কল্যাণ কতটুকু সাধিত হবে।

এই আলোচনা শুরু করার আগে আমরা দেখে নিতে চাই যারা বিশ্বের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে তারা কেন এবং কীভাবে তাদের মুদ্রানীতি গ্রহণ করে। আমরা সবাই জানি পৃথিবীর তাবৎ মুদ্রা ডলারের ওপর নির্ভরশীল। সেই ডলারের মালিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক কীভাবে তাদের মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। সবাই জানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ফেডারেল রিজার্ভকে কতগুলো অর্থনৈতিক লক্ষ্য অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে রাখে, যার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতি তৈরি করা হয়। যার মাধ্যমে সর্বাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্থিতিশীল মূল্য নিশ্চিতকরণ, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সহনীয় দীর্ঘমেয়াদি সুদ নির্ণয় করার জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায় সেই লক্ষ্যে ফেডারেল রিজার্ভের ক্রিয়াকলাপ এবং তা বাস্তবায়নের উপায়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতিতে কয়েকটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরটি হলো- অর্থনৈতিক লক্ষ্য অনুসরণ করার জন্য কংগ্রেসের নির্দেশনা। দ্বিতীয় স্তরটি হলো- মুদ্রানীতির লক্ষ্য সুনির্দিষ্টকরণ, যার তিনটি লক্ষ্য থাকে। যেমন সর্বাধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, স্থিতিশীল মূল্য সুনির্দিষ্টকরণ এবং দ্রব্যমূল্য স্থির রাখার জন্য সহনীয় দীর্ঘমেয়াদি সুদহার নির্ধারণ। তৃতীয় স্তরটি হলো- মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের জন্য ফেডারেল রিজার্ভের গৃহীত পদক্ষেপ।

পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির লক্ষ্য দেখতে পাই- তারা আমদানি-প্রতিস্থাপনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উন্নীত করতে চায়। সেই সঙ্গে বিনিময় হারের চাপ কমাতে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা এবং আমদানিকৃত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি রোধ করতে চায়। আমাদের মুদ্রানীতিতে সরাসরি কর্মসংস্থান, দ্রব্যমূল্য স্থির রাখার পদক্ষেপ ও সুদহার সহনীয় রাখার তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।

আমাদের মুদ্রানীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতি প্রণীত হয় জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণকামী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী কংগ্রেসের নির্দেশ পালন করার মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের এখানে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেখতে পাই না। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত মুদ্রানীতিকে জনগণের বা জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনার কোনো সুযোগ নেই। বড়জোর সংবাদমাধ্যমে বা ঘরোয়াভাবে আলোচনা বা সমালোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতি প্রণীত হয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য। যদিও আমাদের মুদ্রানীতিতে পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের কথা বলা হচ্ছে- যেমন আমদানি বিকল্প অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উন্নীত করা। কিন্তু এর সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপের ঘোষণা নেই। একই সঙ্গে বিনিময় হারের চাপ কমানোর কথা বলা হচ্ছে। দুটি পদক্ষেপই স্ববিরোধী। আমদানি বিকল্প অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মানেই হলো ব্যাপকহারে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। আর তা করতে হলে প্রথমেই কোন কোন আমদানির বিকল্প দেশে উৎপাদন করা সম্ভব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। তারপর সেই শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য বিদেশি বিনিয়োগের উদারনীতি গ্রহণ করতে হবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের দেশীয় মুদ্রা দিয়ে মানসম্পন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে জন্য উদারভাবে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। না হলে আবহমানকাল পর্যন্ত আমদানি বিকল্প শিল্প-কারখানা কখনোই গড়ে উঠবে না। পাশাপাশি উচ্চ শুল্কে বন্ডেড ওয়্যারহাউস করার সুযোগ দিতে হবে, যাতে আমদানি না করে সরাসরি বিদেশি উৎপাদনকারী বা মজুদদাররা তাদের সুবিধাজনক পণ্যাদি আমাদের দেশে স্তূপ করে রেখে অল্প অল্প করে স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করতে পারে। তাতে একসঙ্গে বেশি করে বৈদেশিক মুদ্রার চাপ পড়বে না। এতে জাহাজ খরচ, শুল্ক খরচ, ব্যাংকিং খরচসহ অনেক খরচ কমে যাবে। এটি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমদানি বিকল্প শিল্প-কারখানা ও বন্ডেড ওয়্যারহাউস প্রতিষ্ঠা এবং দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে পারলে প্রায় ৯০% আমদানিনির্ভরতা অচিরেই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ ঘোষিত মুদ্রানীতিতে দেখা যাচ্ছে না।

এবার আসা যাক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিষয়ে। এ নিয়ে আমাদের অনেক ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। আমরা কেউ স্পষ্ট করে বলছি না আমাদের কী পরিমাণ রিজার্ভের প্রয়োজন। তবে অনেকের মতে, রিজার্ভ বেশি রাখা যুক্তিসংগত নয়। আমাদের বাকিতে আমদানি বাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে। সরকারসহ যেই আমদানি করুক না কেন, তার আমদানির মূল্য আগে থাকতেই হাতে নিয়ে তারপর আমদানি করতে হবে। এলসির ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। বিদেশি বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তি এবং চুক্তির পক্ষে বিদেশি ব্যাংকের কাছ থেকে গ্যারান্টি নিয়ে অগ্রিম ডলার পরিশোধের নিয়ম বা বিধান থাকলে বিদেশি ব্যাংকগুলো ডলার নিয়ে বসে থাকবে। তার ওপর বন্ডেড ওয়্যারহাউসের নিয়ম করে দিলে বিদেশি বিক্রেতারা তাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আগে থাকতেই পণ্য এনে ওয়্যারহাউস ভরে রাখবে। এ ক্ষেত্রে রিজার্ভ শুধু তিন মাসের খাদ্য ও অতি আবশ্যিক পণ্য আমদানির সমপরিমাণ রাখলেই যথেষ্ট হবে। যা কোনো অবস্থাতেই ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে না।

এবার দেখা যাক, সুদহার নির্ধারণের যে নীতি ঘোষণা করা হয়েছে তা কতটুকু যুক্তিসংগত এবং জনস্বার্থের পক্ষে। এ নিয়ে কোনো বিশ্লেষণ করার আগেই একবাক্যে বলে দেওয়া যায়, এই সুদহার নীতিতে জনগণের কোনো কল্যাণ নেই। সুদহার বাড়ানোর এই ভ্রান্ত নীতি সম্পূর্ণভাবে জনস্বার্থবিরোধী। এমনিতেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বা উচ্চমূল্যের জন্য জনগণের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তার ওপর উচ্চ সুদহার জনগণের ভোগান্তি আরও কয়েক ধাপ বাড়াবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিদেশি কিছু ব্যাংক ছাড়া এই সুদহার বৃদ্ধিতে জনগণের তো কোনো কল্যাণ বা লাভ হবে না, এমনকি দেশীয় ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদেরও কোনো লাভ হবে না এবং হওয়ার কোনো সুযোগও নেই। বরং তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ দেশীয় ব্যাংকগুলোকে এখন উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও উচ্চ সুদে রেপোতে টাকা ধার নিতে হবে। আবার দেশীয় ব্যাংকগুলোকে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করে তার ২০% বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রেখে দিতে হবে। সেখান থেকে কম আমানত সংগ্রহকারী ব্যাংকগুলো ঋণ নিয়ে উচ্চ সুদে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। এর ফলে এই সুদহার বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর একচেটিয়া সুবিধা হবে এবং ভোক্তার কাছ থেকে বেশি সুদে টাকা খাটাতে পারবে, ফলে বিদেশি ব্যাংকের মুনাফাও বেড়ে যাবে। এতে তাদের লাভের হার বৃদ্ধি পাবে কিন্তু এই মুদ্রানীতি জনগণ, দেশীয় ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের কোনো উপকারে আসবে না। তখন দেশীয় ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ করতে বাধ্য হবে। এর ফলে উৎপাদনে বিনিয়োগ কমে যাবে, যা দেশের জিডিপিতে আঘাত হানবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের ঋণ দেবে, যার ফলে সরাসরি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে জনগণের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাবে।

সুদহার বৃদ্ধি করার নীতি না দিয়ে সুদহার কমানোর নীতি বা বর্তমান নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত নীতি গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংকগুলোকে বাজার থেকে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে কোনো অবস্থাতেই দেওয়া যেতে পারে না। উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করার সুযোগ দিলে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে এবং দুর্নীতির টাকা ব্যাংকে প্রবেশ করে মুদ্রাস্ফীতি বাড়াবে। শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদিও মানুষের তেমন কোনো সঞ্চয় নেই, তারপরও যেটুকু আছে তা শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ না হয়ে ইসলামে নিষিদ্ধ সুদের ব্যবসায় চলে যাবে। তাই সুদহার বৃদ্ধিকেও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বলা যেতে পারে। আমরা আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী জাতি হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে এগোচ্ছি। বর্তমান সরকারও চায় আমাদের আরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হোক। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে সাহসী ও প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বাইরে একটি গতিশীল উদার, নমনীয়, ব্যবসা ও ব্যাংকবান্ধব এবং সর্বোপরি জনকল্যাণমুখী বলিষ্ঠ মুদ্রানীতি থাকতে হবে। আমাদের রেপো ও রিভার্স রেপোর প্রচলিত ধ্যান-ধারণা পরিবর্তন করে তা জনগণের স্বার্থে তথা দেশের উন্নয়ন ও মূল্যস্ফীতি সহনীয় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে সম্পূর্ণ উল্টো করে ফেলতে হবে। রিভার্স রেপো এবং রেপোর সুদহার সমান সমান রাখতে হবে, যেমন ডলারের বেলায় করা হয়েছে এবং রেপোর সুদহার কোনো অবস্থাতেই ২% শতাংশের বেশি হতে পারবে না। সরকারের সব লেনদেন এখন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ফলে ব্যাংকগুলো এমনিতেই বিনা সুদে বিশাল আমানত পেয়ে থাকে। কাজেই কোনো কারণেই ব্যাংকগুলোকে ৪ শতাংশ হারের বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করতে দেওয়া যাবে না। একইভাবে ব্যাংকগুলো ৬ শতাংশ বেশি বিনিময় হারে কোনো অর্থলগ্নি করতে পারবে না। এলসি প্রথা তুলে দিতে হবে। ব্যাংকিং চার্জ বা অন্যান্য সব ধরনের খরচ বাবদ ব্যাংক প্রতি হাজারে ১ টাকার বেশি নিতে পারবে না। ব্যাংক সরকারকে যে সেবা দেবে তার জন্যও হাজারে ১ টাকা সেবাহার আদায় করতে দিতে হবে। তবে সাত দিনের বেশি সরকার তথা জনগণের অর্থ ব্যাংকে ধরে রাখলে ব্যাংক প্রতি সাত দিনের জন্য হাজারে ০.৫০ টাকা হারে দণ্ড দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত সুদনীতি শুধু ভ্রান্ত নয়, এটিও জনস্বার্থবিরোধী নীতি এবং এর দ্বারা জনগণের কোনো কল্যাণ হবে না। এই নীতি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশ। এর মুদ্রানীতি হতে হবে বিনিয়োগবান্ধব- যাতে অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়, ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়, দ্রব্যমূল্য সহনীয় করতে হবে এবং সুদহার নমনীয় ও সহনীয় হতে হবে, যাতে উচ্চ সুদ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা না করে। বর্তমান গভর্নরের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। শুধু সময়োপযোগী রাজনৈতিক দর্শন প্রয়োগ করতে পারলেই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো আরও সহজতর হয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
দিনাজপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের গণসংযোগ
দিনাজপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের গণসংযোগ

এই মাত্র | ভোটের হাওয়া

৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

৩ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক
দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা
পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা

১৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সহজ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নেদারল্যান্ডস
সহজ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নেদারল্যান্ডস

১৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির পাঁচ নেতার ঐক্য
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির পাঁচ নেতার ঐক্য

২৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

২৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

যে কারণে নিকারাগুয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
যে কারণে নিকারাগুয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় কাঁচামাল বোঝাই পিকআপে আগুন
আশুলিয়ায় কাঁচামাল বোঝাই পিকআপে আগুন

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিংড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাহিত্য আসর
সিংড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাহিত্য আসর

৪২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি
বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি

৪৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস
জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে ইয়াবার বিশাল চালান জব্দ
সিলেটে ইয়াবার বিশাল চালান জব্দ

৫১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

গেল ১০ মাসে রাজধানীতে ১৯৮ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে : ডিএমপি
গেল ১০ মাসে রাজধানীতে ১৯৮ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে : ডিএমপি

৫৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

সুদানে গণহত্যা ও সহিংসতা অব্যাহত, জাতিসংঘের উদ্বেগ
সুদানে গণহত্যা ও সহিংসতা অব্যাহত, জাতিসংঘের উদ্বেগ

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফি‌রলেন ১৭০ বাংলা‌দে‌শি
লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফি‌রলেন ১৭০ বাংলা‌দে‌শি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীতে ৬ গুদাম ভস্মীভূত
টঙ্গীতে ৬ গুদাম ভস্মীভূত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘মুখোমুখি’ আলোচনায় প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো
ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘মুখোমুখি’ আলোচনায় প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে ইসির সংলাপ বুধবার
বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে ইসির সংলাপ বুধবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর উপায়
ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর উপায়

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

'রাশিয়ার ড্রোন হামলা মোকাবিলায় সক্ষম নয় ইউরোপ'
'রাশিয়ার ড্রোন হামলা মোকাবিলায় সক্ষম নয় ইউরোপ'

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত
গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ