শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

সুদহার বৃদ্ধি কার স্বার্থে?

মেজর আখতার (অব.)
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সুদহার বৃদ্ধি কার স্বার্থে?

এক সময় পৃথিবীতে রাজা- রাজড়াদের শাসন ছিল। সবকিছু হতো রাজার স্বার্থে। তখন রাজার কথাই ছিল আইন। সেখানে জনগণের কোনো ভূমিকা ছিল না। রাজা তখন জনগণের দ্বারা ক্ষমতায়ও আসতেন না। আবার জনগণের দ্বারা ক্ষমতা থেকে পতনও হতো না। সবকিছু রাজার শৌর্যবীর্য তথা বাহুবল ও সৈন্যসামন্তের শক্তির ওপর নির্ভর করে রাজশাসনে আসীন হতো অথবা রাজার পতন হতো। তাই রাজা তার সৈন্যসামন্ত বা রাজক্ষমতা ধরে রাখার জন্য জনগণের কাছ থেকে যে কোনোভাবে খাজনা বা করের নামে ইচ্ছামতো সম্পদ বা অর্থ আদায় করতেন। এই আদায়ের কোনো নিয়মনীতি ছিল না। রাজা যেভাবেই ইচ্ছা করতেন তার অনুগতরা সেভাবেই জনগণের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করে নিত। মুদ্রা প্রচলনের আগে রাজারা জনগণের কাছ থেকে শস্য বা কৃষিজ উৎপাদনের বড় ধরনের হিসসা প্রয়োজনে জোর করে হলেও নিয়ে যেত। এটাই ছিল জনগণের সঙ্গে রাজ-রাজড়াদের প্রচলিত আচরণ। এর প্রতিবাদ কেউ করতে গেলে তাকে বা তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হতো। রাজকোষে রাজার চাহিদামতো কর না দিলে রাজারা গ্রাম, জনপদ ধ্বংস করে দিতেন। রাজার কোষাগারে খাজনা দিতে ব্যর্থ হলে নিরীহ প্রজাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হতো। প্রজাদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত। তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিত। এমনকি রাজার যুদ্ধের জন্য নিরীহ সাধারণ প্রজাদের যুদ্ধকর দিতে হতো। সেই কর দিয়ে রাজা তার রক্ষার জন্য সৈন্যসামন্তের বড় বড় বাহিনী প্রতিপালন করতেন। খাজনা দিতে না পারলে বিনা বেতনে রাজার জন্য যুদ্ধ করে দিতে হতো। সেই যুদ্ধে নিরীহ সৈনিকরা নিহত বা আহত হলে রাজা তার কোনো দায়িত্ব নিতেন না। জনগণের উন্নয়নের জন্য রাজারা কখনো কোনো অর্থ ব্যয় করতেন না। সড়ক, রাস্তাঘাট, সেতু বা সাঁকো তৈরি করা হতো রাজার সৈনিকদের চলাচলের জন্য। তাও তৈরি করে দিতে হতো সাধারণ জনগণকে বিনা পারিশ্রমিক ও বিনা খরচে। এগুলো নির্মাণে রাজকোষ থেকে কোনো ব্যয়ভার বহন করা হতো না। এগুলোই ছিল রাজা-রাজড়াদের আমলে জনগণের ওপর শোষণ ও শাসনের চিত্র বা ইতিহাস। তবে এর ব্যতিক্রম যে ছিল না তা অবশ্য ইতিহাস অস্বীকার করে না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তথা ১৯৪০ সালের পরে পৃথিবীর শাসনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিশ্ব থেকে রাজতন্ত্র বা রাজার নামে শাসনে এসেছে পরিবর্তন। যদিও ভিন্ন রূপের রাজতন্ত্র বা ব্যক্তিপর্যায়ে কোথাও কোথাও রাজা-রাজড়ার মতো শাসন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা যে হচ্ছে না তা বলা যাবে না। তবে সারা বিশ্বে এখন জনগণের শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়ে গেছে। এখন কোথাও গণপ্রজাতন্ত্র বা জনপ্রজাতন্ত্র বা কোথাও গণতন্ত্র বা প্রজাতন্ত্র বা আবার কোথাও কোথাও সাম্যবাদ বা সমাজবাদের নামে জনগণের শাসন কায়েম হয়েছে। সব শাসনব্যবস্থায় সবাই এখন সবকিছু জনগণের নামে করে। শাসন, শোষণ, উৎপীড়ন, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, যুদ্ধবিগ্রহ এখন সবকিছু জনগণের নামে এবং জনগণের নিরাপত্তার অজুহাতে করা হয়। পৃথিবীর কোনো শাসকগোষ্ঠী এখন নিজেদের নামে করে না এবং করার সুযোগও সীমিত। তাই পৃথিবীতে এখন সবকিছু জনস্বার্থে ও জনকল্যাণেই করা হয়ে থাকে। তাই রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজের বিকাশ, দেশের উন্নয়ন, বাজেট, মুদ্রানীতি সবকিছুই হতে হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র তথা দেশ ও জনগণের স্বার্থ এবং কল্যাণের জন্য। এসব আমাদের দেশের যে বাজেট করা হয় তাও জনগণের স্বার্থে এবং কল্যাণে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে তাও যে জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণের চিন্তা মাথায় রেখেই করা হয়েছে তাতে কারও ন্যূনতম দ্বিমত নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- এই ঘোষিত মুদ্রানীতিতে জনগণের কতটুকু স্বার্থ রক্ষা হবে এবং এতে জনগণের কল্যাণ কতটুকু সাধিত হবে।

এই আলোচনা শুরু করার আগে আমরা দেখে নিতে চাই যারা বিশ্বের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে তারা কেন এবং কীভাবে তাদের মুদ্রানীতি গ্রহণ করে। আমরা সবাই জানি পৃথিবীর তাবৎ মুদ্রা ডলারের ওপর নির্ভরশীল। সেই ডলারের মালিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক কীভাবে তাদের মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। সবাই জানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ফেডারেল রিজার্ভকে কতগুলো অর্থনৈতিক লক্ষ্য অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে রাখে, যার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতি তৈরি করা হয়। যার মাধ্যমে সর্বাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্থিতিশীল মূল্য নিশ্চিতকরণ, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সহনীয় দীর্ঘমেয়াদি সুদ নির্ণয় করার জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায় সেই লক্ষ্যে ফেডারেল রিজার্ভের ক্রিয়াকলাপ এবং তা বাস্তবায়নের উপায়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতিতে কয়েকটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরটি হলো- অর্থনৈতিক লক্ষ্য অনুসরণ করার জন্য কংগ্রেসের নির্দেশনা। দ্বিতীয় স্তরটি হলো- মুদ্রানীতির লক্ষ্য সুনির্দিষ্টকরণ, যার তিনটি লক্ষ্য থাকে। যেমন সর্বাধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, স্থিতিশীল মূল্য সুনির্দিষ্টকরণ এবং দ্রব্যমূল্য স্থির রাখার জন্য সহনীয় দীর্ঘমেয়াদি সুদহার নির্ধারণ। তৃতীয় স্তরটি হলো- মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের জন্য ফেডারেল রিজার্ভের গৃহীত পদক্ষেপ।

পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির লক্ষ্য দেখতে পাই- তারা আমদানি-প্রতিস্থাপনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উন্নীত করতে চায়। সেই সঙ্গে বিনিময় হারের চাপ কমাতে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা এবং আমদানিকৃত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি রোধ করতে চায়। আমাদের মুদ্রানীতিতে সরাসরি কর্মসংস্থান, দ্রব্যমূল্য স্থির রাখার পদক্ষেপ ও সুদহার সহনীয় রাখার তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।

আমাদের মুদ্রানীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতিতে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতি প্রণীত হয় জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণকামী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী কংগ্রেসের নির্দেশ পালন করার মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের এখানে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেখতে পাই না। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত মুদ্রানীতিকে জনগণের বা জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনার কোনো সুযোগ নেই। বড়জোর সংবাদমাধ্যমে বা ঘরোয়াভাবে আলোচনা বা সমালোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতি প্রণীত হয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য। যদিও আমাদের মুদ্রানীতিতে পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের কথা বলা হচ্ছে- যেমন আমদানি বিকল্প অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উন্নীত করা। কিন্তু এর সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপের ঘোষণা নেই। একই সঙ্গে বিনিময় হারের চাপ কমানোর কথা বলা হচ্ছে। দুটি পদক্ষেপই স্ববিরোধী। আমদানি বিকল্প অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মানেই হলো ব্যাপকহারে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। আর তা করতে হলে প্রথমেই কোন কোন আমদানির বিকল্প দেশে উৎপাদন করা সম্ভব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। তারপর সেই শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য বিদেশি বিনিয়োগের উদারনীতি গ্রহণ করতে হবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের দেশীয় মুদ্রা দিয়ে মানসম্পন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে জন্য উদারভাবে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। না হলে আবহমানকাল পর্যন্ত আমদানি বিকল্প শিল্প-কারখানা কখনোই গড়ে উঠবে না। পাশাপাশি উচ্চ শুল্কে বন্ডেড ওয়্যারহাউস করার সুযোগ দিতে হবে, যাতে আমদানি না করে সরাসরি বিদেশি উৎপাদনকারী বা মজুদদাররা তাদের সুবিধাজনক পণ্যাদি আমাদের দেশে স্তূপ করে রেখে অল্প অল্প করে স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করতে পারে। তাতে একসঙ্গে বেশি করে বৈদেশিক মুদ্রার চাপ পড়বে না। এতে জাহাজ খরচ, শুল্ক খরচ, ব্যাংকিং খরচসহ অনেক খরচ কমে যাবে। এটি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমদানি বিকল্প শিল্প-কারখানা ও বন্ডেড ওয়্যারহাউস প্রতিষ্ঠা এবং দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে পারলে প্রায় ৯০% আমদানিনির্ভরতা অচিরেই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ ঘোষিত মুদ্রানীতিতে দেখা যাচ্ছে না।

এবার আসা যাক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিষয়ে। এ নিয়ে আমাদের অনেক ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। আমরা কেউ স্পষ্ট করে বলছি না আমাদের কী পরিমাণ রিজার্ভের প্রয়োজন। তবে অনেকের মতে, রিজার্ভ বেশি রাখা যুক্তিসংগত নয়। আমাদের বাকিতে আমদানি বাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে। সরকারসহ যেই আমদানি করুক না কেন, তার আমদানির মূল্য আগে থাকতেই হাতে নিয়ে তারপর আমদানি করতে হবে। এলসির ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। বিদেশি বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তি এবং চুক্তির পক্ষে বিদেশি ব্যাংকের কাছ থেকে গ্যারান্টি নিয়ে অগ্রিম ডলার পরিশোধের নিয়ম বা বিধান থাকলে বিদেশি ব্যাংকগুলো ডলার নিয়ে বসে থাকবে। তার ওপর বন্ডেড ওয়্যারহাউসের নিয়ম করে দিলে বিদেশি বিক্রেতারা তাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আগে থাকতেই পণ্য এনে ওয়্যারহাউস ভরে রাখবে। এ ক্ষেত্রে রিজার্ভ শুধু তিন মাসের খাদ্য ও অতি আবশ্যিক পণ্য আমদানির সমপরিমাণ রাখলেই যথেষ্ট হবে। যা কোনো অবস্থাতেই ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে না।

এবার দেখা যাক, সুদহার নির্ধারণের যে নীতি ঘোষণা করা হয়েছে তা কতটুকু যুক্তিসংগত এবং জনস্বার্থের পক্ষে। এ নিয়ে কোনো বিশ্লেষণ করার আগেই একবাক্যে বলে দেওয়া যায়, এই সুদহার নীতিতে জনগণের কোনো কল্যাণ নেই। সুদহার বাড়ানোর এই ভ্রান্ত নীতি সম্পূর্ণভাবে জনস্বার্থবিরোধী। এমনিতেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বা উচ্চমূল্যের জন্য জনগণের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তার ওপর উচ্চ সুদহার জনগণের ভোগান্তি আরও কয়েক ধাপ বাড়াবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিদেশি কিছু ব্যাংক ছাড়া এই সুদহার বৃদ্ধিতে জনগণের তো কোনো কল্যাণ বা লাভ হবে না, এমনকি দেশীয় ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদেরও কোনো লাভ হবে না এবং হওয়ার কোনো সুযোগও নেই। বরং তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ দেশীয় ব্যাংকগুলোকে এখন উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও উচ্চ সুদে রেপোতে টাকা ধার নিতে হবে। আবার দেশীয় ব্যাংকগুলোকে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করে তার ২০% বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রেখে দিতে হবে। সেখান থেকে কম আমানত সংগ্রহকারী ব্যাংকগুলো ঋণ নিয়ে উচ্চ সুদে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। এর ফলে এই সুদহার বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর একচেটিয়া সুবিধা হবে এবং ভোক্তার কাছ থেকে বেশি সুদে টাকা খাটাতে পারবে, ফলে বিদেশি ব্যাংকের মুনাফাও বেড়ে যাবে। এতে তাদের লাভের হার বৃদ্ধি পাবে কিন্তু এই মুদ্রানীতি জনগণ, দেশীয় ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের কোনো উপকারে আসবে না। তখন দেশীয় ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ করতে বাধ্য হবে। এর ফলে উৎপাদনে বিনিয়োগ কমে যাবে, যা দেশের জিডিপিতে আঘাত হানবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের ঋণ দেবে, যার ফলে সরাসরি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে জনগণের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাবে।

সুদহার বৃদ্ধি করার নীতি না দিয়ে সুদহার কমানোর নীতি বা বর্তমান নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত নীতি গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংকগুলোকে বাজার থেকে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে কোনো অবস্থাতেই দেওয়া যেতে পারে না। উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করার সুযোগ দিলে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে এবং দুর্নীতির টাকা ব্যাংকে প্রবেশ করে মুদ্রাস্ফীতি বাড়াবে। শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদিও মানুষের তেমন কোনো সঞ্চয় নেই, তারপরও যেটুকু আছে তা শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ না হয়ে ইসলামে নিষিদ্ধ সুদের ব্যবসায় চলে যাবে। তাই সুদহার বৃদ্ধিকেও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বলা যেতে পারে। আমরা আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী জাতি হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে এগোচ্ছি। বর্তমান সরকারও চায় আমাদের আরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হোক। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে সাহসী ও প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বাইরে একটি গতিশীল উদার, নমনীয়, ব্যবসা ও ব্যাংকবান্ধব এবং সর্বোপরি জনকল্যাণমুখী বলিষ্ঠ মুদ্রানীতি থাকতে হবে। আমাদের রেপো ও রিভার্স রেপোর প্রচলিত ধ্যান-ধারণা পরিবর্তন করে তা জনগণের স্বার্থে তথা দেশের উন্নয়ন ও মূল্যস্ফীতি সহনীয় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে সম্পূর্ণ উল্টো করে ফেলতে হবে। রিভার্স রেপো এবং রেপোর সুদহার সমান সমান রাখতে হবে, যেমন ডলারের বেলায় করা হয়েছে এবং রেপোর সুদহার কোনো অবস্থাতেই ২% শতাংশের বেশি হতে পারবে না। সরকারের সব লেনদেন এখন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ফলে ব্যাংকগুলো এমনিতেই বিনা সুদে বিশাল আমানত পেয়ে থাকে। কাজেই কোনো কারণেই ব্যাংকগুলোকে ৪ শতাংশ হারের বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করতে দেওয়া যাবে না। একইভাবে ব্যাংকগুলো ৬ শতাংশ বেশি বিনিময় হারে কোনো অর্থলগ্নি করতে পারবে না। এলসি প্রথা তুলে দিতে হবে। ব্যাংকিং চার্জ বা অন্যান্য সব ধরনের খরচ বাবদ ব্যাংক প্রতি হাজারে ১ টাকার বেশি নিতে পারবে না। ব্যাংক সরকারকে যে সেবা দেবে তার জন্যও হাজারে ১ টাকা সেবাহার আদায় করতে দিতে হবে। তবে সাত দিনের বেশি সরকার তথা জনগণের অর্থ ব্যাংকে ধরে রাখলে ব্যাংক প্রতি সাত দিনের জন্য হাজারে ০.৫০ টাকা হারে দণ্ড দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত সুদনীতি শুধু ভ্রান্ত নয়, এটিও জনস্বার্থবিরোধী নীতি এবং এর দ্বারা জনগণের কোনো কল্যাণ হবে না। এই নীতি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশ। এর মুদ্রানীতি হতে হবে বিনিয়োগবান্ধব- যাতে অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়, ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়, দ্রব্যমূল্য সহনীয় করতে হবে এবং সুদহার নমনীয় ও সহনীয় হতে হবে, যাতে উচ্চ সুদ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা না করে। বর্তমান গভর্নরের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। শুধু সময়োপযোগী রাজনৈতিক দর্শন প্রয়োগ করতে পারলেই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো আরও সহজতর হয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ : রাজউক চেয়ারম্যান
পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ : রাজউক চেয়ারম্যান

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

সংঘাত সমাধানের ভিত্তি হতে পারে মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা: পুতিন
সংঘাত সমাধানের ভিত্তি হতে পারে মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা: পুতিন

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গাইলে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেট বিভাগের কোন জেলায় বেড়েছে কত ভোটার
সিলেট বিভাগের কোন জেলায় বেড়েছে কত ভোটার

৪১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত
আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত

৪৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

সুদানে সংঘাত বন্ধের আহ্বান গুতেরেসের
সুদানে সংঘাত বন্ধের আহ্বান গুতেরেসের

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটিজেএ নির্বাচনে সভাপতি রফিক, সম্পাদক জুয়েল
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটিজেএ নির্বাচনে সভাপতি রফিক, সম্পাদক জুয়েল

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুফিবাদে কেন বিশ্বাস করেন এ আর রহমান?
সুফিবাদে কেন বিশ্বাস করেন এ আর রহমান?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস
২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একাধিক গাড়ির চাপায় ক্ষতবিক্ষত এক ব্যক্তি, মুখের ডান পাশ ছাড়া যাচ্ছে না চেনা
একাধিক গাড়ির চাপায় ক্ষতবিক্ষত এক ব্যক্তি, মুখের ডান পাশ ছাড়া যাচ্ছে না চেনা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সাহিত্য আড্ডা
পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সাহিত্য আড্ডা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউরোপের প্রতি সাত শিশু কিশোরের মধ্যে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন একজন
ইউরোপের প্রতি সাত শিশু কিশোরের মধ্যে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন একজন

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পথশয্যায় থাকা মানুষের মাঝে মশারি বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের
পথশয্যায় থাকা মানুষের মাঝে মশারি বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক : ইসি সানাউল্লাহ
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক : ইসি সানাউল্লাহ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘এরা নারীবাদী কথার অর্থই জানে না’
‘এরা নারীবাদী কথার অর্থই জানে না’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদা চায়ের কার্যকারিতা
আদা চায়ের কার্যকারিতা

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ধানের শীষ অধিকার, ন্যায়বিচার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতীক’
‘ধানের শীষ অধিকার, ন্যায়বিচার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতীক’

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে ট্যাপেন্টাডলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার
জয়পুরহাটে ট্যাপেন্টাডলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এসএ টি-টোয়েন্টিতে না খেলার কারণ জানালেন তাইজুল
এসএ টি-টোয়েন্টিতে না খেলার কারণ জানালেন তাইজুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নেত্রীর বাসায় ককটেল নিক্ষেপ, গ্রেফতার ৪
ডাকসু নেত্রীর বাসায় ককটেল নিক্ষেপ, গ্রেফতার ৪

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
দেশে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত
আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত

৪১ মিনিট আগে | নগর জীবন

যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো
পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা