শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩

ক্যাঙ্গারুর দেশে কয়েকটা দিন

মেজর নাসির উদ্দিন আহমেদ (অব.) পিএইচডি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ক্যাঙ্গারুর দেশে কয়েকটা দিন

ঘুরে এলাম ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ক্যানবেরা থেকে। দেশটির আয়তন প্রায় ৭৭ লাখ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় ৬৫ গুণ বেশি। অন্যদিকে ২০২৩ সালের জরিপ মতে, সেখানে বসবাস করে প্রায় ২ কোটি ৬৮ লাখের কিছু বেশি মানুষ, যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬ ভাগের ১ ভাগ। অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে জানার পর থেকে ভাবতাম এত বড় দেশে এত অল্প মানুষ কী করে থাকে? আরেকটা আগ্রহ ছিল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু ক্যাঙ্গারু সম্পর্কে জানার। বড় আজব এক প্রাণী এ ক্যাঙ্গারু। চতুষ্পদ জন্তু হয়েও পেছনের দুই পায়ে ভর করে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। বড় একটি পুরুষ ক্যাঙ্গারু এক লাফে ১০ ফুট উচ্চতায় সর্বোচ্চ ৩০ ফুট অতিক্রম করতে পারে। আবার একটি মা ক্যাঙ্গারু প্রাকৃতিকভাবে পেটের বাইরে সংযুক্ত ঝোলায় নিজের বাচ্চাকে একদিকে শত্রু নজর থেকে লুকিয়ে রাখে আবার বাচ্চা বহন করে লাফিয়ে লাফিয়ে স্থান পরিবর্তন করে। ক্যাঙ্গারুর এমন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ ও ‘ক্যাঙ্গারু ট্রায়াল’ নামক বিতর্কিত বিচার ব্যবস্থার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছি ইতিহাস, রাজনীতি ও সমরবিদ্যা পড়তে গিয়ে, যে গল্প জুড়ব লেখার শেষ ভাগে।

বিশ্বে বসবাসের জন্য সর্বোত্তম ১০টি শহরের মধ্যে দুটি অস্ট্রেলিয়ায়। এর মধ্যে ৩ নম্বরে রয়েছে মেলবোর্ন আর ৪ নম্বরে সিডনি। পক্ষান্তরে পৃথিবীর বসবাস অযোগ্য ১০টি নিকৃষ্ট শহরের মধ্যে আমাদের প্রাণের শহর ঢাকা রয়েছে ৭ নম্বরে। অথচ ১৭ শতকে ঢাকার অদূরে সোনারগাঁয়ের মানুষ যখন মসলিন শাড়িসহ শৌখিন পোশাকের বিলাসিতা করত, তখন সিডনি ছিল বসবাসের অযোগ্য। সিডনি জাদুঘরে সংরক্ষিত সেই সময়কার আঁকা ছবিতে আদিম পোশাকে সেখানকার আদিবাসীদের দেখা যায়। ১৭ শতকের শেষ ভাগে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে সেই আমলের নৌযানে করে অপরাধীদের অস্ট্রেলিয়ায় আনা হতো। এরপর বাধ্যতামূলক শ্রমের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসকরা তাদের অস্ট্রেলিয়ার অবকাঠামো নির্মাণে নিয়োগ করত। কারণ তখন অস্ট্রেলিয়া ছিল ব্রিটিশদের অন্যতম কলোনি। আমাদের যখন গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ আর গোয়াল ভরা গরু ছিল সিডনিতে তখন ছিল দুর্ভিক্ষ। কালের বিবর্তনে একটি সভ্য মানবিক, সবুজ ও সমৃদ্ধ শহররূপে পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সিডনি। প্রতি বছর শুধু ৩১ ডিসেম্বরেই সারা পৃথিবীর প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ পর্যটক সিডনিতে উপস্থিত হন জগৎখ্যাত অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজের আলোকসজ্জা ও আতশবাজি উৎসব দেখার জন্য।

সিডনির আজকের এ ঈর্ষণীয় অবস্থানের মূলেই রয়েছে সুশাসন তথা গুড গভর্ন্যান্স। সেখানকার যে কোনো সরকারি সংস্থার একটিই ব্রত ‘গুড গভর্ন্যান্স ইজ দ্য হার্ট অব এভরিথিং উই ডু’ অর্থাৎ আমরা যা কিছুই করি, তার ভিত্তি বা প্রাণ হলো সুশাসন। গোটা সিডনি শহরের রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, পার্ক বা সাগরপাড়ে রাত-বিরাতে ঘুরে বেড়াতে কোনো ভয় লাগে না কারও। সরকারিভাবে পাইপের মাধ্যমে সরবরাহকৃত পানির টেপ খুলে নিশ্চিন্তে পান করা যায়। আমাদের অজু-গোসলের পানিতে জীবাণু আছে কি না আমরা ভাবি না, তারা ভাবে। শহর থেকে দূরে বেশ কিছু নির্দিষ্ট স্থান এমনভাবে ঘেরাও করা যেখানে কোনো মানুষ বা পশু ঢুকতে পারে না। কোনো মানুষ ঢুকলে বাংলাদেশি টাকায় ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানাল স্থানীয় ট্যুরিস্ট গাইড। কারণ ক্যাচমেন্ট এরিয়া নামে পরিচিত এসব এলাকার বৃষ্টির পানি জমা হয় নির্দিষ্ট একটি জলাশয়ে। পরবর্তীতে পরিশোধিত হয়ে সেই পানি পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে। ঘরের চালের বৃষ্টির পানি আবার জমা হয় নির্দিষ্ট পানির ট্যাংকে, যা বাগানে ব্যবহৃত হয়। ঘরের চালের সোলার প্যানেলের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরকার কিনে নেয়।

এখানকার খাবার খুবই স্বাস্থ্যসম্মত হলেও অনেক ক্ষেত্রেই হিমায়িত। বৈচিত্র্যের জন্য হিমায়িত ফার্মের মুরগির বদলে জ্যান্ত মুরগি জবাই করে খেতে চাইলে ভাগ্নে বলল- এটা মামার বাড়ি না। সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রায় ১০০ মাইল গাড়ি চালিয়ে নির্দিষ্ট খামারে গেলে মিলতে পারে টাটকা বা জ্যান্ত মুরগি। শহর এলাকায় জবাই করা পশুপাখি বা মুরগির রক্ত, পালক ও অন্যান্য পরিত্যাজ্য অংশ থেকে জীবাণু ছড়ায় বলে যে কোনো পশু বা পাখি জবাইয়ের অনুমোদন নেই সিডনির কোনো আবাসিক এলাকায় বা হাটে বাজারে। সুনির্দিষ্ট স্থান, খামারে বা প্রসেস প্ল্যান্টে এগুলো জবাই করা হয় এবং জীবাণুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেক বাড়ির সামনে আছে তিন রঙের ঢাকনাবিশিষ্ট তিনটি পৃথক বড় বড় ডাস্টবিন। সবুজ ঢাকনার নিচে সবজি, পাতা বা বাগানের আবর্জনা, হলুদের নিচে কাগজ, প্লাস্টিক, টিন, লোহা বা কাচের মতো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য দ্রব্য আর লালের নিচে সাধারণ বর্জ্য ফেলার নিয়ম। আর নিয়ম ভাঙলে বিরাট জরিমানা। বড় বড় শপিং মলসহ কোনো কোনো স্থানে আবার রয়েছে নীল ঢাকনাবিশিষ্ট ডাস্টবিন, যেখানে কাগজ বা কার্ড বোর্ড, কার্টন, প্যাকিং ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি ফেলতে হয়। বছরের নির্দিষ্ট দিনে বাড়ির সামনে রাখতে হয় অপ্রয়োজনীয় সবকিছু, যেমন আসবাবপত্র, সুটকেস, ম্যাট্রেস, বৈদ্যুতিক গৃহসামগ্রী ইত্যাদি যা সরকারি গাড়ি এসে তুলে নেয়।

সুশাসনের আরেক নজির দেখলাম রেলস্টেশনে। সিডনিতে মাছ ধরার জালের মতো ছড়িয়ে আছে ২৪ ঘণ্টা ধরে ছুটে চলা বহু রেলরুটের সুবিশাল নেটওয়ার্ক। বাসায় বসে প্রযুক্তির কল্যাণে দেখা যায় কোথায় যেতে কোন সময়ে কোন প্ল্যাটফরমে কোন ট্রেন আসবে। সেই ট্রেনে চড়লে কখন গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, মিনিট গুনে তা হুবহু বলা যায়। ট্রেন বা বাসে চড়তে নগদ অর্থে কেনা টিকিটের বদলে কিনতে হয় এক ধরনের কার্ড। চেক পয়েন্টে টাচ করলেই স্টেশনে প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট খুলে যায়। আর দূরত্ব বিবেচনায় কার্ড থেকে টাকার অঙ্ক কমে যায়। কোনো কোনো স্টেশনে গেট নেই, তবুও সবাই দেয়ালে ঝোলানো টাচ মেশিনে কার্ড টাচ করে ভ্রমণের খরচ পরিশোধ করে। গোটা তিন সপ্তাহের বাস, ফেরি ও ট্রেন ভ্রমণে মাত্র এক দিন একজন চেকারের সাক্ষাৎ পেয়েছি। বয়োজ্যেষ্ঠরাও এখানে কাজ করেন। এ চেকারও ছিলেন বয়সে প্রবীণ। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তিনি একে একে সবার কার্ড মোবাইল ফোনসদৃশ যন্ত্রে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করলেন ট্রেনে ওঠার আগে সবাই কার্ড টাচ করেছেন কি না। তবে দেখার মতো ছিল তার বিনয়। যাত্রাপথে এ ঝামেলা বা বিরক্তি (তার ভাষায়) সৃষ্টির জন্য তিনি লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী বলে বারবার বলছিলেন। এক দিন একটি নির্দিষ্ট রুটে যান্ত্রিক কারণে ট্রেন না চলার আগে ঘোষণা এলো। তবে সেই রুটের প্রতিটি স্টেশনের বাইরে ছিল বিশাল সাইজের সারি সারি আধুনিক বাস। নির্দিষ্ট স্থানে তাঁবু বা শামিয়ানা খাটিয়ে যাত্রীদের অপেক্ষা করানো এবং দুই মিনিট পরপর ছেড়ে যাওয়া বাসে গন্তব্য বুঝে যাত্রীদের তুলে দেওয়ার জন্য নিয়োজিত ছিল রেল কর্তৃপক্ষের কর্মী বাহিনী ও স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরা। যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বারবার ক্ষমা চাচ্ছিলেন তারা। জানিয়ে দিলেন এ বাস ভ্রমণের জন্য কোনো অর্থ লাগবে না। যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার বিপরীতে এ সামান্য সেবা (বিনামূল্যে ভ্রমণ) গ্রহণের জন্য তাদের ঐকান্তিক নিবেদন ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি রেলস্টেশনের বাইরে রয়েছে সাইকেল এবং গাড়ি পার্কিং করার বিশাল এলাকা। রেলস্টেশনগুলোর কাছেই গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক ভবন, বিভিন্ন অফিস আদালত এবং বাণিজ্যিক এলাকা। আর রেলস্টেশন থেকে কিছুটা দূরে একান্ত আবাসিক এলাকা, যেখানে সুনসান নীরবতায় দিনের কাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়েন ক্লান্ত সিডনিবাসী। কর্মদিবসে সন্ধ্যার পরই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন অধিকাংশ মানুষ। সকালে ঘুম থেকে ওঠে গাড়ি বা সাইকেল নিয়ে রেলস্টেশন পর্যন্ত এসে সারা দিনের জন্য গাড়ি বা সাইকেলটি রেখে ট্রেনে চেপে চলে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। আবার ট্রেনে ফেরত এসে গাড়ি বা সাইকেল নিয়ে ফিরে যান নিজ নিজ সুখের নিবাসে। তাসমান সমুদ্র মোহনার অপর প্রান্তের আবাসিক এলাকা কিংবা পারামটা নদীর অপর পাড়ের মানুষ নদী কিনারের পার্কিং এলাকায় গাড়ি বা সাইকেল রেখে ফেরি পার হলে ঘাটেই ট্রেন বা বাস পেয়ে যায়। বাংলাদেশের বেশ কজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সম্মানের সঙ্গে এসব ফেরি পরিচালনা করেন দেখে অহংকারে বুক ভরে যায়।

সিডনির এমন ব্যবস্থাপনার বিপরীতে বাংলাদেশে নেমেই দেখলাম একটি সরকারি মন্ত্রণালয় মহিলাদের জন্য সুনির্দিষ্ট চাকরির লিখিত পরীক্ষা নিতে সারা দেশের আগ্রহী প্রার্থীদের ঢাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেকেছিল ১৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ, শুক্রবার, বেলা ১১টায়। অথচ এ মন্ত্রণালয়ের কোনো না কোনো স্থাপনা আছে প্রত্যেক জেলা শহরে। তবুও সারা দেশের চাকরিপ্রার্থী নারীদের কেন এভাবে ঢাকায় ডাকতে হলো- এ প্রশ্নের উত্তর মেলা কঠিন। মফস্বলের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী রাতভর ভ্রমণ করে সকালে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেন। আরেকজন কোলের শিশুকে নিয়ে রাতের ভ্রমণ শেষে আসেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। ঢাকার দূরবর্তী এক শহরতলি থেকে সাতসকালে বাস না পেয়ে উচ্চমূল্যে সিএনজি ভাড়া করে আসেন আরেক চাকরিপ্রার্থী নারী। সিএনজি ভাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে না থাকায় সেই নারীর বাবা সেই সকালে প্রতিবেশীকে ঘুম থেকে তুলে টাকা ধার করেন। এমন বহু নারীর সমাবেশের পর পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৩০ মিনিট আগে জানানো হয়- অনিবার্য কারণে পরীক্ষা হবে না। চাকরি-প্রার্থীদের কাছে এসএমএস আসে প্রায় একই সময়ে। টেলিভিশনের খবরে এসব নারীর কথা শুনে চোখ ভিজেছে অনেকের। নারীবান্ধব ও নারীর ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এমনটা নিতান্তই বেমানান। হয়তো তদন্ত হবে, প্রতিবেদন হবে, কিন্তু বিচার হবে কি?

বিচার নিয়ে সম্প্রতি যা ঘটছে তা-ও দুঃখজনক। কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে একটি বিচারকাজ এগিয়ে নেওয়ার কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। হাই কোর্টের একটি বেঞ্চে প্রদত্ত সাবেক এ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের শাস্তি দেওয়া হয়। এরপর নানা নাটকীয়তার পর হাই কোর্টের একটি চেম্বার আদালত সেই রায় স্থগিত করেন। এ নিয়ে একটি দৈনিক শিরোনাম করে ‘সকালে কারাদণ্ড দুপুরে জামিন বিকালে রায় স্থগিত’। কিছুদিন আগে কক্সবাজারের এক বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশ ঘষামাজা করে আসামিদের জামিন দেন। হাই কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বিচার থেকে আপাতত রক্ষা পান এ বিচারক। আরেক ঘটনায় একই দিনে হাই কোর্টের একই বেঞ্চ ১৪৯৮ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ২০২২ সালের এপ্রিলে।

শুরু করেছিলাম অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙ্গারুর কথা দিয়ে। শেষ করতে চাই ক্যাঙ্গারু কোর্ট বা ক্যাঙ্গারু ট্রায়াল নামক অদ্ভুত বিচারব্যবস্থার গল্পজুড়ে। ১৭ ও ১৮ শতকে ব্রিটিশদের অন্যতম উপনিবেশ অস্ট্রেলিয়ার অবকাঠামো নির্মাণ ও খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হতো। তবে বিরূপ পরিবেশের কারণে এমন কাজের জন্য কেউ স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসত না। তখন ব্রিটিশরা বিচারের নামে যাকে-তাকে ধরে শাস্তিস্বরূপ ব্রিটেন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়ে দিত এবং শ্রম দিতে বাধ্য করত। এহেন অমানবিকতার প্রেক্ষাপটে তখন এমন কথা চালু হয় যে, এ ধরনের বিচারের সম্মুখীন হওয়া মানে ক্যাঙ্গারুর মতো লম্বা লাফ এবং সেই লাফে ব্রিটেন ছেড়ে ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পদার্পণ। তখন থেকে এমন বিচারব্যবস্থাকে ক্যাঙ্গারু ট্রায়াল বলা হয় মর্মে কেতাবে লেখা আছে। কেতাবে আরও লেখা আছে ক্যাঙ্গারুর যেমন পেটের সঙ্গে লাগানো ঝোলায় নিজের বাচ্চা লুকিয়ে রাখে, তেমনি এ ধরনের সব বিচারের কার্যক্রম লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রাখা হতো। ফলে এ ধরনের বিচারিক আদালতের নাম হয় ক্যাঙ্গারু কোর্ট। বাংলাদেশ সেনা ও বিমান বাহিনীর বহু প্রাক্তন সদস্যের পরিবারে প্রতি বছর নভেম্বরে কান্নার রোল ওঠে। ’৭৫-পরবর্তী সময়ে তথাকথিত বিপ্লবের অভিযোগে বহু মুক্তিযোদ্ধা এবং সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে দ্রুততম সময়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। অনেকেই গুম হয়েছিলেন সে সময়। ক্যাঙ্গারু কোর্টে তাদের ক্যাঙ্গারু ট্রায়াল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ এসব পরিবারের। বাংলাদেশে গুম কিংবা বিচারের নামে প্রহসন চিরতরে বন্ধ হোক- এটাই প্রত্যাশা। এমনটা অবশ্যই সম্ভব। আমেরিকার কাংটকিতে আজ থেকে ১৬৭ বছর আগে (১৩ নভেম্বর ১৮৫৬) জন্মেছিলেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের সাড়া জাগানো বিচারক লুইস ব্র্যান্ডিস। লুইস প্রথম জীবনে আইনজীবী হিসেবে কোনো অর্থ নিতেন না বলে তার নাম হয় জনতার আইনজীবী বা পিপলস ল’ইয়ার। হালের আলোচিত ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ে সেই ১৮৯০ সালে লেখালেখি করে তিনি জগৎখ্যাত হয়ে ওঠেন। তার অসংখ্য চিরন্তন বাণীর একটি হলো- পৃথিবীতে অনুকরণীয় যত ভালো কাজ হয়েছে, সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব কাজকে অসম্ভব ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্ভব-অসম্ভবের দোলাচলে প্রায় নিমজ্জিত আমাদের রাজনীতিতে বিচারপতি লুইস ব্র্যান্ডিসের এ বাণী কি আশা জাগানিয়া?

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

Email:  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
সর্বশেষ খবর
৯ জেলায় নতুন ডিসি, ৮ ডিসি প্রত্যাহার
৯ জেলায় নতুন ডিসি, ৮ ডিসি প্রত্যাহার

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

জনগণই আওয়ামী লীগকে লকডাউন করেছে : সেলিমুজ্জামান
জনগণই আওয়ামী লীগকে লকডাউন করেছে : সেলিমুজ্জামান

১৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নোংরা পরিবেশে ড্রিংক তৈরির অভিযোগে কারখানা সিলগালা
নোংরা পরিবেশে ড্রিংক তৈরির অভিযোগে কারখানা সিলগালা

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজাপুরে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
রাজাপুরে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল

৪৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

কলাপাড়ায় স্কুলভিত্তিক আবহাওয়া ক্লাবের উদ্বোধন
কলাপাড়ায় স্কুলভিত্তিক আবহাওয়া ক্লাবের উদ্বোধন

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জকসু নির্বাচন ঘিরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিক্ষোভ
জকসু নির্বাচন ঘিরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিক্ষোভ

৫৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামজার জোড়া গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ
হামজার জোড়া গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে একটি দল : তৃপ্তি
গণভোটের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে একটি দল : তৃপ্তি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা আটক
রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা আটক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু
সিলেটকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বৃদ্ধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বৃদ্ধি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাটোরে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল রিড বাংলাদেশ
নাটোরে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল রিড বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আশাশুনিকে ইকোনমিক জোন গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কাজী আলাউদ্দিন
আশাশুনিকে ইকোনমিক জোন গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কাজী আলাউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শ্রীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে উপলক্ষ্যে বিএনপি’র র‌্যালি
শ্রীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে উপলক্ষ্যে বিএনপি’র র‌্যালি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম স্থগিত
জকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পিরোজপুরে আ.লীগের নৈরাজ্য ঠেকাতে জামায়াতের বিক্ষোভ
পিরোজপুরে আ.লীগের নৈরাজ্য ঠেকাতে জামায়াতের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পালাননি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন :  ডা. জাহিদ হোসেন
মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পালাননি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন :  ডা. জাহিদ হোসেন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতক উদ্ধার
টঙ্গীতে ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতক উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেছালো আইভীর ৫ মামলার গ্রেপ্তার শুনানি
পেছালো আইভীর ৫ মামলার গ্রেপ্তার শুনানি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকর্মী নিহত
টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকর্মী নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০২৭ পর্যন্ত আইওএসএ সনদ পেলো এয়ার এ্যাস্ট্রা
২০২৭ পর্যন্ত আইওএসএ সনদ পেলো এয়ার এ্যাস্ট্রা

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সাঈদ খোকন ও তার বোনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অনুমোদন
সাঈদ খোকন ও তার বোনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অনুমোদন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান
বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম
ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা
শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প
নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা
পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?
রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক
আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট
জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়

অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে
অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে

পেছনের পৃষ্ঠা

একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না
একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক
ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

দেশগ্রাম

সংঘাতের পথে রাজনীতি
সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ
শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি
বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি

মাঠে ময়দানে

ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক
ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক

নগর জীবন

রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে
রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে

পেছনের পৃষ্ঠা

আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ
ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক
পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক

নগর জীবন

এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের
এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা

সম্পাদকীয়

প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল
প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল

প্রথম পৃষ্ঠা

কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত
কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত

দেশগ্রাম

এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি
এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি

মাঠে ময়দানে

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

সম্পাদকীয়