শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩

ক্যাঙ্গারুর দেশে কয়েকটা দিন

মেজর নাসির উদ্দিন আহমেদ (অব.) পিএইচডি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ক্যাঙ্গারুর দেশে কয়েকটা দিন

ঘুরে এলাম ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ক্যানবেরা থেকে। দেশটির আয়তন প্রায় ৭৭ লাখ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় ৬৫ গুণ বেশি। অন্যদিকে ২০২৩ সালের জরিপ মতে, সেখানে বসবাস করে প্রায় ২ কোটি ৬৮ লাখের কিছু বেশি মানুষ, যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬ ভাগের ১ ভাগ। অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে জানার পর থেকে ভাবতাম এত বড় দেশে এত অল্প মানুষ কী করে থাকে? আরেকটা আগ্রহ ছিল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু ক্যাঙ্গারু সম্পর্কে জানার। বড় আজব এক প্রাণী এ ক্যাঙ্গারু। চতুষ্পদ জন্তু হয়েও পেছনের দুই পায়ে ভর করে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। বড় একটি পুরুষ ক্যাঙ্গারু এক লাফে ১০ ফুট উচ্চতায় সর্বোচ্চ ৩০ ফুট অতিক্রম করতে পারে। আবার একটি মা ক্যাঙ্গারু প্রাকৃতিকভাবে পেটের বাইরে সংযুক্ত ঝোলায় নিজের বাচ্চাকে একদিকে শত্রু নজর থেকে লুকিয়ে রাখে আবার বাচ্চা বহন করে লাফিয়ে লাফিয়ে স্থান পরিবর্তন করে। ক্যাঙ্গারুর এমন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ ও ‘ক্যাঙ্গারু ট্রায়াল’ নামক বিতর্কিত বিচার ব্যবস্থার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছি ইতিহাস, রাজনীতি ও সমরবিদ্যা পড়তে গিয়ে, যে গল্প জুড়ব লেখার শেষ ভাগে।

বিশ্বে বসবাসের জন্য সর্বোত্তম ১০টি শহরের মধ্যে দুটি অস্ট্রেলিয়ায়। এর মধ্যে ৩ নম্বরে রয়েছে মেলবোর্ন আর ৪ নম্বরে সিডনি। পক্ষান্তরে পৃথিবীর বসবাস অযোগ্য ১০টি নিকৃষ্ট শহরের মধ্যে আমাদের প্রাণের শহর ঢাকা রয়েছে ৭ নম্বরে। অথচ ১৭ শতকে ঢাকার অদূরে সোনারগাঁয়ের মানুষ যখন মসলিন শাড়িসহ শৌখিন পোশাকের বিলাসিতা করত, তখন সিডনি ছিল বসবাসের অযোগ্য। সিডনি জাদুঘরে সংরক্ষিত সেই সময়কার আঁকা ছবিতে আদিম পোশাকে সেখানকার আদিবাসীদের দেখা যায়। ১৭ শতকের শেষ ভাগে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে সেই আমলের নৌযানে করে অপরাধীদের অস্ট্রেলিয়ায় আনা হতো। এরপর বাধ্যতামূলক শ্রমের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসকরা তাদের অস্ট্রেলিয়ার অবকাঠামো নির্মাণে নিয়োগ করত। কারণ তখন অস্ট্রেলিয়া ছিল ব্রিটিশদের অন্যতম কলোনি। আমাদের যখন গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ আর গোয়াল ভরা গরু ছিল সিডনিতে তখন ছিল দুর্ভিক্ষ। কালের বিবর্তনে একটি সভ্য মানবিক, সবুজ ও সমৃদ্ধ শহররূপে পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সিডনি। প্রতি বছর শুধু ৩১ ডিসেম্বরেই সারা পৃথিবীর প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ পর্যটক সিডনিতে উপস্থিত হন জগৎখ্যাত অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজের আলোকসজ্জা ও আতশবাজি উৎসব দেখার জন্য।

সিডনির আজকের এ ঈর্ষণীয় অবস্থানের মূলেই রয়েছে সুশাসন তথা গুড গভর্ন্যান্স। সেখানকার যে কোনো সরকারি সংস্থার একটিই ব্রত ‘গুড গভর্ন্যান্স ইজ দ্য হার্ট অব এভরিথিং উই ডু’ অর্থাৎ আমরা যা কিছুই করি, তার ভিত্তি বা প্রাণ হলো সুশাসন। গোটা সিডনি শহরের রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, পার্ক বা সাগরপাড়ে রাত-বিরাতে ঘুরে বেড়াতে কোনো ভয় লাগে না কারও। সরকারিভাবে পাইপের মাধ্যমে সরবরাহকৃত পানির টেপ খুলে নিশ্চিন্তে পান করা যায়। আমাদের অজু-গোসলের পানিতে জীবাণু আছে কি না আমরা ভাবি না, তারা ভাবে। শহর থেকে দূরে বেশ কিছু নির্দিষ্ট স্থান এমনভাবে ঘেরাও করা যেখানে কোনো মানুষ বা পশু ঢুকতে পারে না। কোনো মানুষ ঢুকলে বাংলাদেশি টাকায় ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানাল স্থানীয় ট্যুরিস্ট গাইড। কারণ ক্যাচমেন্ট এরিয়া নামে পরিচিত এসব এলাকার বৃষ্টির পানি জমা হয় নির্দিষ্ট একটি জলাশয়ে। পরবর্তীতে পরিশোধিত হয়ে সেই পানি পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে। ঘরের চালের বৃষ্টির পানি আবার জমা হয় নির্দিষ্ট পানির ট্যাংকে, যা বাগানে ব্যবহৃত হয়। ঘরের চালের সোলার প্যানেলের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরকার কিনে নেয়।

এখানকার খাবার খুবই স্বাস্থ্যসম্মত হলেও অনেক ক্ষেত্রেই হিমায়িত। বৈচিত্র্যের জন্য হিমায়িত ফার্মের মুরগির বদলে জ্যান্ত মুরগি জবাই করে খেতে চাইলে ভাগ্নে বলল- এটা মামার বাড়ি না। সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রায় ১০০ মাইল গাড়ি চালিয়ে নির্দিষ্ট খামারে গেলে মিলতে পারে টাটকা বা জ্যান্ত মুরগি। শহর এলাকায় জবাই করা পশুপাখি বা মুরগির রক্ত, পালক ও অন্যান্য পরিত্যাজ্য অংশ থেকে জীবাণু ছড়ায় বলে যে কোনো পশু বা পাখি জবাইয়ের অনুমোদন নেই সিডনির কোনো আবাসিক এলাকায় বা হাটে বাজারে। সুনির্দিষ্ট স্থান, খামারে বা প্রসেস প্ল্যান্টে এগুলো জবাই করা হয় এবং জীবাণুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেক বাড়ির সামনে আছে তিন রঙের ঢাকনাবিশিষ্ট তিনটি পৃথক বড় বড় ডাস্টবিন। সবুজ ঢাকনার নিচে সবজি, পাতা বা বাগানের আবর্জনা, হলুদের নিচে কাগজ, প্লাস্টিক, টিন, লোহা বা কাচের মতো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য দ্রব্য আর লালের নিচে সাধারণ বর্জ্য ফেলার নিয়ম। আর নিয়ম ভাঙলে বিরাট জরিমানা। বড় বড় শপিং মলসহ কোনো কোনো স্থানে আবার রয়েছে নীল ঢাকনাবিশিষ্ট ডাস্টবিন, যেখানে কাগজ বা কার্ড বোর্ড, কার্টন, প্যাকিং ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি ফেলতে হয়। বছরের নির্দিষ্ট দিনে বাড়ির সামনে রাখতে হয় অপ্রয়োজনীয় সবকিছু, যেমন আসবাবপত্র, সুটকেস, ম্যাট্রেস, বৈদ্যুতিক গৃহসামগ্রী ইত্যাদি যা সরকারি গাড়ি এসে তুলে নেয়।

সুশাসনের আরেক নজির দেখলাম রেলস্টেশনে। সিডনিতে মাছ ধরার জালের মতো ছড়িয়ে আছে ২৪ ঘণ্টা ধরে ছুটে চলা বহু রেলরুটের সুবিশাল নেটওয়ার্ক। বাসায় বসে প্রযুক্তির কল্যাণে দেখা যায় কোথায় যেতে কোন সময়ে কোন প্ল্যাটফরমে কোন ট্রেন আসবে। সেই ট্রেনে চড়লে কখন গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, মিনিট গুনে তা হুবহু বলা যায়। ট্রেন বা বাসে চড়তে নগদ অর্থে কেনা টিকিটের বদলে কিনতে হয় এক ধরনের কার্ড। চেক পয়েন্টে টাচ করলেই স্টেশনে প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট খুলে যায়। আর দূরত্ব বিবেচনায় কার্ড থেকে টাকার অঙ্ক কমে যায়। কোনো কোনো স্টেশনে গেট নেই, তবুও সবাই দেয়ালে ঝোলানো টাচ মেশিনে কার্ড টাচ করে ভ্রমণের খরচ পরিশোধ করে। গোটা তিন সপ্তাহের বাস, ফেরি ও ট্রেন ভ্রমণে মাত্র এক দিন একজন চেকারের সাক্ষাৎ পেয়েছি। বয়োজ্যেষ্ঠরাও এখানে কাজ করেন। এ চেকারও ছিলেন বয়সে প্রবীণ। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তিনি একে একে সবার কার্ড মোবাইল ফোনসদৃশ যন্ত্রে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করলেন ট্রেনে ওঠার আগে সবাই কার্ড টাচ করেছেন কি না। তবে দেখার মতো ছিল তার বিনয়। যাত্রাপথে এ ঝামেলা বা বিরক্তি (তার ভাষায়) সৃষ্টির জন্য তিনি লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী বলে বারবার বলছিলেন। এক দিন একটি নির্দিষ্ট রুটে যান্ত্রিক কারণে ট্রেন না চলার আগে ঘোষণা এলো। তবে সেই রুটের প্রতিটি স্টেশনের বাইরে ছিল বিশাল সাইজের সারি সারি আধুনিক বাস। নির্দিষ্ট স্থানে তাঁবু বা শামিয়ানা খাটিয়ে যাত্রীদের অপেক্ষা করানো এবং দুই মিনিট পরপর ছেড়ে যাওয়া বাসে গন্তব্য বুঝে যাত্রীদের তুলে দেওয়ার জন্য নিয়োজিত ছিল রেল কর্তৃপক্ষের কর্মী বাহিনী ও স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরা। যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বারবার ক্ষমা চাচ্ছিলেন তারা। জানিয়ে দিলেন এ বাস ভ্রমণের জন্য কোনো অর্থ লাগবে না। যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার বিপরীতে এ সামান্য সেবা (বিনামূল্যে ভ্রমণ) গ্রহণের জন্য তাদের ঐকান্তিক নিবেদন ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি রেলস্টেশনের বাইরে রয়েছে সাইকেল এবং গাড়ি পার্কিং করার বিশাল এলাকা। রেলস্টেশনগুলোর কাছেই গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক ভবন, বিভিন্ন অফিস আদালত এবং বাণিজ্যিক এলাকা। আর রেলস্টেশন থেকে কিছুটা দূরে একান্ত আবাসিক এলাকা, যেখানে সুনসান নীরবতায় দিনের কাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়েন ক্লান্ত সিডনিবাসী। কর্মদিবসে সন্ধ্যার পরই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন অধিকাংশ মানুষ। সকালে ঘুম থেকে ওঠে গাড়ি বা সাইকেল নিয়ে রেলস্টেশন পর্যন্ত এসে সারা দিনের জন্য গাড়ি বা সাইকেলটি রেখে ট্রেনে চেপে চলে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। আবার ট্রেনে ফেরত এসে গাড়ি বা সাইকেল নিয়ে ফিরে যান নিজ নিজ সুখের নিবাসে। তাসমান সমুদ্র মোহনার অপর প্রান্তের আবাসিক এলাকা কিংবা পারামটা নদীর অপর পাড়ের মানুষ নদী কিনারের পার্কিং এলাকায় গাড়ি বা সাইকেল রেখে ফেরি পার হলে ঘাটেই ট্রেন বা বাস পেয়ে যায়। বাংলাদেশের বেশ কজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সম্মানের সঙ্গে এসব ফেরি পরিচালনা করেন দেখে অহংকারে বুক ভরে যায়।

সিডনির এমন ব্যবস্থাপনার বিপরীতে বাংলাদেশে নেমেই দেখলাম একটি সরকারি মন্ত্রণালয় মহিলাদের জন্য সুনির্দিষ্ট চাকরির লিখিত পরীক্ষা নিতে সারা দেশের আগ্রহী প্রার্থীদের ঢাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেকেছিল ১৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ, শুক্রবার, বেলা ১১টায়। অথচ এ মন্ত্রণালয়ের কোনো না কোনো স্থাপনা আছে প্রত্যেক জেলা শহরে। তবুও সারা দেশের চাকরিপ্রার্থী নারীদের কেন এভাবে ঢাকায় ডাকতে হলো- এ প্রশ্নের উত্তর মেলা কঠিন। মফস্বলের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী রাতভর ভ্রমণ করে সকালে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেন। আরেকজন কোলের শিশুকে নিয়ে রাতের ভ্রমণ শেষে আসেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। ঢাকার দূরবর্তী এক শহরতলি থেকে সাতসকালে বাস না পেয়ে উচ্চমূল্যে সিএনজি ভাড়া করে আসেন আরেক চাকরিপ্রার্থী নারী। সিএনজি ভাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে না থাকায় সেই নারীর বাবা সেই সকালে প্রতিবেশীকে ঘুম থেকে তুলে টাকা ধার করেন। এমন বহু নারীর সমাবেশের পর পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৩০ মিনিট আগে জানানো হয়- অনিবার্য কারণে পরীক্ষা হবে না। চাকরি-প্রার্থীদের কাছে এসএমএস আসে প্রায় একই সময়ে। টেলিভিশনের খবরে এসব নারীর কথা শুনে চোখ ভিজেছে অনেকের। নারীবান্ধব ও নারীর ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এমনটা নিতান্তই বেমানান। হয়তো তদন্ত হবে, প্রতিবেদন হবে, কিন্তু বিচার হবে কি?

বিচার নিয়ে সম্প্রতি যা ঘটছে তা-ও দুঃখজনক। কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে একটি বিচারকাজ এগিয়ে নেওয়ার কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। হাই কোর্টের একটি বেঞ্চে প্রদত্ত সাবেক এ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের শাস্তি দেওয়া হয়। এরপর নানা নাটকীয়তার পর হাই কোর্টের একটি চেম্বার আদালত সেই রায় স্থগিত করেন। এ নিয়ে একটি দৈনিক শিরোনাম করে ‘সকালে কারাদণ্ড দুপুরে জামিন বিকালে রায় স্থগিত’। কিছুদিন আগে কক্সবাজারের এক বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশ ঘষামাজা করে আসামিদের জামিন দেন। হাই কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বিচার থেকে আপাতত রক্ষা পান এ বিচারক। আরেক ঘটনায় একই দিনে হাই কোর্টের একই বেঞ্চ ১৪৯৮ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ২০২২ সালের এপ্রিলে।

শুরু করেছিলাম অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙ্গারুর কথা দিয়ে। শেষ করতে চাই ক্যাঙ্গারু কোর্ট বা ক্যাঙ্গারু ট্রায়াল নামক অদ্ভুত বিচারব্যবস্থার গল্পজুড়ে। ১৭ ও ১৮ শতকে ব্রিটিশদের অন্যতম উপনিবেশ অস্ট্রেলিয়ার অবকাঠামো নির্মাণ ও খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হতো। তবে বিরূপ পরিবেশের কারণে এমন কাজের জন্য কেউ স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসত না। তখন ব্রিটিশরা বিচারের নামে যাকে-তাকে ধরে শাস্তিস্বরূপ ব্রিটেন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়ে দিত এবং শ্রম দিতে বাধ্য করত। এহেন অমানবিকতার প্রেক্ষাপটে তখন এমন কথা চালু হয় যে, এ ধরনের বিচারের সম্মুখীন হওয়া মানে ক্যাঙ্গারুর মতো লম্বা লাফ এবং সেই লাফে ব্রিটেন ছেড়ে ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পদার্পণ। তখন থেকে এমন বিচারব্যবস্থাকে ক্যাঙ্গারু ট্রায়াল বলা হয় মর্মে কেতাবে লেখা আছে। কেতাবে আরও লেখা আছে ক্যাঙ্গারুর যেমন পেটের সঙ্গে লাগানো ঝোলায় নিজের বাচ্চা লুকিয়ে রাখে, তেমনি এ ধরনের সব বিচারের কার্যক্রম লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রাখা হতো। ফলে এ ধরনের বিচারিক আদালতের নাম হয় ক্যাঙ্গারু কোর্ট। বাংলাদেশ সেনা ও বিমান বাহিনীর বহু প্রাক্তন সদস্যের পরিবারে প্রতি বছর নভেম্বরে কান্নার রোল ওঠে। ’৭৫-পরবর্তী সময়ে তথাকথিত বিপ্লবের অভিযোগে বহু মুক্তিযোদ্ধা এবং সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে দ্রুততম সময়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। অনেকেই গুম হয়েছিলেন সে সময়। ক্যাঙ্গারু কোর্টে তাদের ক্যাঙ্গারু ট্রায়াল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ এসব পরিবারের। বাংলাদেশে গুম কিংবা বিচারের নামে প্রহসন চিরতরে বন্ধ হোক- এটাই প্রত্যাশা। এমনটা অবশ্যই সম্ভব। আমেরিকার কাংটকিতে আজ থেকে ১৬৭ বছর আগে (১৩ নভেম্বর ১৮৫৬) জন্মেছিলেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের সাড়া জাগানো বিচারক লুইস ব্র্যান্ডিস। লুইস প্রথম জীবনে আইনজীবী হিসেবে কোনো অর্থ নিতেন না বলে তার নাম হয় জনতার আইনজীবী বা পিপলস ল’ইয়ার। হালের আলোচিত ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ে সেই ১৮৯০ সালে লেখালেখি করে তিনি জগৎখ্যাত হয়ে ওঠেন। তার অসংখ্য চিরন্তন বাণীর একটি হলো- পৃথিবীতে অনুকরণীয় যত ভালো কাজ হয়েছে, সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব কাজকে অসম্ভব ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্ভব-অসম্ভবের দোলাচলে প্রায় নিমজ্জিত আমাদের রাজনীতিতে বিচারপতি লুইস ব্র্যান্ডিসের এ বাণী কি আশা জাগানিয়া?

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

Email:  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
হজের সূচনা যেভাবে হলো
হজের সূচনা যেভাবে হলো
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
সর্বশেষ খবর
ভারতে ৪ টিভির সম্প্রচার বন্ধের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে : ফয়েজ আহমদ
ভারতে ৪ টিভির সম্প্রচার বন্ধের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে : ফয়েজ আহমদ

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

গাজীপুরে ফুটবল খেলার বিরোধে খুন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন
গাজীপুরে ফুটবল খেলার বিরোধে খুন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

আরেকটি ‘নাকবার’ সাক্ষী হতে পারে বিশ্ববাসী, সতর্ক করল জাতিসংঘ
আরেকটি ‘নাকবার’ সাক্ষী হতে পারে বিশ্ববাসী, সতর্ক করল জাতিসংঘ

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সিগঞ্জে বগুড়ার দই তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অভি
মুন্সিগঞ্জে বগুড়ার দই তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অভি

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একাত্মতা জানাতে শাহবাগে জনতার দল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একাত্মতা জানাতে শাহবাগে জনতার দল

১৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের ৯ নাগরিক আটক
বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের ৯ নাগরিক আটক

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’, ভারতের ২৬ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’, ভারতের ২৬ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানাবাদ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ১২ ঘণ্টা পর দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রেল চলাচল স্বাভাবিক
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ১২ ঘণ্টা পর দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রেল চলাচল স্বাভাবিক

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা ড. এম আলিমউল্যার মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা ড. এম আলিমউল্যার মৃত্যুবার্ষিকী আজ

৪৫ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

‘আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’
‘আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

আটকের পর ছাড়া পেলেন নেওয়ার্কের মেয়র রাস বারাকা
আটকের পর ছাড়া পেলেন নেওয়ার্কের মেয়র রাস বারাকা

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে’
‘প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে’

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য অস্বীকার করল ভারত
সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য অস্বীকার করল ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিবির অভিযানে সাবেক এমপিসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের গ্রেফতার ৫
ডিবির অভিযানে সাবেক এমপিসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের গ্রেফতার ৫

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আপনার ফোনের মেয়াদ শেষ কবে?
আপনার ফোনের মেয়াদ শেষ কবে?

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই স্থানে দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত, ১০ ঘণ্টা পর চলাচল স্বাভাবিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই স্থানে দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত, ১০ ঘণ্টা পর চলাচল স্বাভাবিক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪৮ দল নিয়ে নারী বিশ্বকাপ!
৪৮ দল নিয়ে নারী বিশ্বকাপ!

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় সনদ নাগরিকের সকল অধিকার সুরক্ষিত করবে : আলী রীয়াজ
জাতীয় সনদ নাগরিকের সকল অধিকার সুরক্ষিত করবে : আলী রীয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশের মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান হাসনাতের
সারাদেশের মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান হাসনাতের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনলাইন জুয়ায় সর্বস্ব হারিয়ে দুধ দিয়ে গোসল যুবকের
অনলাইন জুয়ায় সর্বস্ব হারিয়ে দুধ দিয়ে গোসল যুবকের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত : ভারতের ৩২ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত : ভারতের ৩২ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চ-গতির মিসাইল ব্যবহার করছে পাকিস্তান, বলল ভারত
উচ্চ-গতির মিসাইল ব্যবহার করছে পাকিস্তান, বলল ভারত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাপুলের স্ত্রী সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেপ্তার
পাপুলের স্ত্রী সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলছে
শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলছে

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জেডআরএফের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হলেন অধ্যাপক মোর্শেদ
জেডআরএফের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হলেন অধ্যাপক মোর্শেদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব, মা-নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি
চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব, মা-নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্লাইট সংক্রান্ত জরুরি ঘোষণা বাংলাদেশ বিমানের
ফ্লাইট সংক্রান্ত জরুরি ঘোষণা বাংলাদেশ বিমানের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ছোড়া ৬ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিজেদের রাজ্যেই পড়েছে : পাকিস্তান
ভারতের ছোড়া ৬ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিজেদের রাজ্যেই পড়েছে : পাকিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেওড়াপাড়ায় বাসা থেকে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার
শেওড়াপাড়ায় বাসা থেকে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চ-গতির মিসাইল ব্যবহার করছে পাকিস্তান, বলল ভারত
উচ্চ-গতির মিসাইল ব্যবহার করছে পাকিস্তান, বলল ভারত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাল্টা হামলা: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের
পাল্টা হামলা: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টির সম্ভাবনা কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
বৃষ্টির সম্ভাবনা কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে’
‘শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে’

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি,  উপদেষ্টা মাহফুজের ‘কয়েকটি কথা’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি, উপদেষ্টা মাহফুজের ‘কয়েকটি কথা’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজ্যগুলোকে জরুরি অবস্থার পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ ভারতের
রাজ্যগুলোকে জরুরি অবস্থার পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ ভারতের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছেন শেহবাজ শরিফ
পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছেন শেহবাজ শরিফ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের গোলায় ভারতীয় কর্মকর্তার মৃত্যু
পাকিস্তানের গোলায় ভারতীয় কর্মকর্তার মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে'
'আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে'

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অচল
সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অচল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি, বাড়তে পারে তীব্রতা
তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি, বাড়তে পারে তীব্রতা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত : ভারতের ৩২ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত : ভারতের ৩২ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরান খানের কারাগারে ড্রোন হামলা চালাতে পারে ভারত, দাবি পিটিআই’র
ইমরান খানের কারাগারে ড্রোন হামলা চালাতে পারে ভারত, দাবি পিটিআই’র

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের
পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: মঈন খান
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: মঈন খান

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৩৬ স্থানে ৪০০ ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, দাবি দিল্লির
ভারতের ৩৬ স্থানে ৪০০ ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, দাবি দিল্লির

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাতক্ষীরার সীমান্তে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক, সতর্ক বিজিবি
সাতক্ষীরার সীমান্তে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক, সতর্ক বিজিবি

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতীয় ৭২ নাগরিককে রাখা হয়েছে স্কুল ও বাড়িতে, দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার
ভারতীয় ৭২ নাগরিককে রাখা হয়েছে স্কুল ও বাড়িতে, দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের
তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের চারটি টিভির ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল ভারত
বাংলাদেশের চারটি টিভির ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভারতের পাঁচ বিমানঘাঁটিতে হামলার দাবি পাকিস্তানের
ভারতের পাঁচ বিমানঘাঁটিতে হামলার দাবি পাকিস্তানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুত সিদ্ধান্ত না আসলে সারা দেশ থেকে ঢাকা মার্চ : নাহিদ
দ্রুত সিদ্ধান্ত না আসলে সারা দেশ থেকে ঢাকা মার্চ : নাহিদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় ভারতের পাঞ্জাবে আহত ৩
পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় ভারতের পাঞ্জাবে আহত ৩

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
সবাইকে জানিয়েই দেশ ত্যাগ করেন হামিদ
সবাইকে জানিয়েই দেশ ত্যাগ করেন হামিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডনে নতুন সিগন্যাল পেলেন আরিফুল হক
লন্ডনে নতুন সিগন্যাল পেলেন আরিফুল হক

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক ঐক্যের খোঁজে বিএনপি
রাজনৈতিক ঐক্যের খোঁজে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মহিলা কারাগারে থাকবেন ভিআইপিরা
মহিলা কারাগারে থাকবেন ভিআইপিরা

পেছনের পৃষ্ঠা

আরও বড় হামলার পরিকল্পনা
আরও বড় হামলার পরিকল্পনা

প্রথম পৃষ্ঠা

শাহবাগ ব্লকেড ছাত্র-জনতার
শাহবাগ ব্লকেড ছাত্র-জনতার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমান সচিবের বাড়িতে দুই বোনের লাশ
বিমান সচিবের বাড়িতে দুই বোনের লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার
এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

১৯ ধারায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে
১৯ ধারায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

সোনারগাঁ থেকে প্রথম হাদিসের শিক্ষা প্রচারিত হয়
সোনারগাঁ থেকে প্রথম হাদিসের শিক্ষা প্রচারিত হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান
আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঙালি নায়িকারা কেন বলিউডে
বাঙালি নায়িকারা কেন বলিউডে

শোবিজ

রেললাইনে মৃত্যুফাঁদ
রেললাইনে মৃত্যুফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

দোসরদের দেশ ত্যাগের সুযোগ দিচ্ছে সরকার
দোসরদের দেশ ত্যাগের সুযোগ দিচ্ছে সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

নিত্যপণ্যে অস্বস্তি বাড়ছে
নিত্যপণ্যে অস্বস্তি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

যুদ্ধ আমাদের দেখার বিষয় নয়
যুদ্ধ আমাদের দেখার বিষয় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে হেলে পড়া ভবন
নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে হেলে পড়া ভবন

নগর জীবন

রাতভর অভিযানের পর আইভী গ্রেপ্তার
রাতভর অভিযানের পর আইভী গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের
বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের

প্রথম পৃষ্ঠা

তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

হারিয়ে যাওয়া পাখি...
হারিয়ে যাওয়া পাখি...

পরিবেশ ও জীবন

ছুটির দিনে আইসিসিবিতে ভিড়
ছুটির দিনে আইসিসিবিতে ভিড়

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমাপাগল আফজাল হোসেন
সিনেমাপাগল আফজাল হোসেন

শোবিজ

নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণের
নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণের

প্রথম পৃষ্ঠা

মালচিং পদ্ধতিতে নতুন জাতের তরমুজ চাষ
মালচিং পদ্ধতিতে নতুন জাতের তরমুজ চাষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা - আজিজুর রহমান
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা - আজিজুর রহমান

শোবিজ

নিষিদ্ধের দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে গুরুত্বের সঙ্গে
নিষিদ্ধের দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে গুরুত্বের সঙ্গে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে মোগল পরিবেশে কাওয়ালির মুগ্ধতা
আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে মোগল পরিবেশে কাওয়ালির মুগ্ধতা

নগর জীবন

ভালো নেই জাভেদ
ভালো নেই জাভেদ

শোবিজ