শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

৫২ বছরের বাংলাদেশ- বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
৫২ বছরের বাংলাদেশ- বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

পৃথিবীতে এখন রাষ্ট্রের সংখ্যা প্রায় ২০০। তার মধ্যেও ১৯৩টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য। প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের জন্ম ও স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস আছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস বহু দিক থেকে অনন্য এবং অসাধারণ। কারণ, মাত্র ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে দেশ শত্রুমুক্ত হয়ে স্বাধীন হওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। শুধু তাই নয়, এমন ঘটনাও নেই যেখানে প্রায় ৯৩ হাজার পেশাদার সেনাসদস্য বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করেছে। আরও বিরল ঘটনা যে, ওই রকম একটা আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা লাখো জনতার সামনে খোলা আকাশের নিচে ঘটেছে। এরকম বিরল গৌরবের ইতিহাস যে কোনো জাতির জন্য অমূল্য শ্রেষ্ঠ জাতীয় সম্পদ। প্রাকৃতিক এবং অন্যান্য সম্পদ যতই থাকুক, ঐতিহাসিক জাতীয় অর্জনের যে সম্পদ তার সঠিক ব্যবহার ব্যতিরেকে কোনো রাষ্ট্রের পক্ষেই কখনো সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়নি, এর অনেক চাক্ষুষ উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে আছে। বাংলাদেশের জাতীয় শ্রেষ্ঠ অর্জন ও ইতিহাসের মহান স্থপতি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পরপর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রীয় দর্শন ও মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে তিনি নতুন দেশ গড়ার যাত্রা শুরু করেন। এটাও নজিরবিহীন এক ঘটনা যে, ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও মাত্র ৯ মাসের মাথায় বিশ্বনন্দিত একটি সংবিধান তিনি প্রণয়ন করতে সক্ষম হন। রাষ্ট্র দর্শন এবং তার লক্ষ্য ও ভিশন তৈরিতে বঙ্গবন্ধুর সময় লাগেনি। কারণ, এর সবকিছুই এসেছে নিজের হৃদয় থেকে যার উৎসমূলে ছিল সাড়ে ৭ কোটি মানুষের হৃদয়। সুতরাং সাড়ে ৭ কোটি মানুষের হৃদয়ের কথাই প্রতিফলিত হয় বাহাত্তরের সংবিধানে। একজন মানুষের ভালো-মন্দ, উন্নতি-সমৃদ্ধি যেমন তার নিজের মনমানসিকতা, অর্থাৎ নিজস্ব মানসতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল, তেমনি সামষ্টিকভাবে রাষ্ট্রীয় মানসতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে একটা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি, যার ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে দেশের বৃহত্তর মানুষ। অর্থাৎ গড়পড়তায় বৃহত্তর মানুষের মনমানসিকতা যখন রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়- রাষ্ট্রের সব সেক্টর ও অঙ্গনে তার প্রতিফলন ঘটে। তাই বৃহত্তর মানুষের মনমানসিকতাই রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ যদি ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী, যুক্তিহীন একগুঁয়ে এবং নৈতিকতাহীন ও আদর্শহীন হয় তাহলে রাষ্ট্রের পরিস্থিতি একরকম হবে, আর মানুষ যদি উদার গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতাপূর্ণ মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হয় তাহলে সেটা অন্যরকম হবে। একটা জাতীয় মনমানসিকতা তৈরিতে নতুন যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য কম করে হলেও ২৫-৩০ বছর নিরবচ্ছিন্ন সময় লাগে। প্রতিবেশী ভারতে আজ আমরা যে টেকসই গণতান্ত্রিক ভিত্তি এবং রাষ্ট্রের মৌলিক আদর্শে ঐকমত্য দেখি তার কারণ, ১৯৪৭ সাল থেকে নতুন দেশটি স্বাধীনতার মৌলিক দর্শনের ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে ৩০ বছর চলেছে, যার নিরবচ্ছিন্ন নেতৃত্বে ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। সুতরাং বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের ওপর যদি একটানা কমপক্ষে ২৫-৩০ বছর বাংলাদেশ পরিচালিত হতো তাহলে আমাদের আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হতো না। রাষ্ট্রকে কখনো কলঙ্কিত সামরিক স্বৈরশাসনের কবলে পড়তে হতো না। সামরিক শাসকের ঔরসজাত রাজনীতির জোয়াল বাংলাদেশকে আজও গ্রাস করে রাখতে পারত না। হত্যাকান্ডের রাজনীতি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেত না। ধর্মীয় রাজনীতি এবং তার থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সশস্ত্র জঙ্গিবাদের উত্থান বাংলাদেশে কখনো হতো না। ২০০৩ সালের ২৩ নভেম্বর দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় শিরোনাম হতো না যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাঁচতে হলে দেশত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কেউ কখনো বলতে পারত না পরবর্তী আফগানিস্তান হবে বাংলাদেশ। সামরিক শাসকের ঔরসজাত রাজনীতি আর দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না বলেই রাজনীতিতে আজও অনাকাক্সিক্ষত সংকট বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধু দেশ পরিচালনার সুযোগ পান মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই স্বল্প সময়ে তিনি যেসব কঠিন বাধা ও সংকট উতরিয়ে বাংলাদেশকে যেখানে এনেছিলেন সেটিও ছিল এক অসাধ্য সাধনের কাজ। বঙ্গবন্ধুর উদার গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে আত্মঘাতী ও দেশঘাতী এক রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব ঘটে। তাদের ধ্বংসাত্মক ও নৈরাজ্যপূর্ণ রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় জড়ো হয় এ দেশীয় একাত্তরের সব পরাজিত পক্ষ। তার সঙ্গে যুক্ত হয় উগ্র চীনপন্থিদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম লন্ডনে বসে পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলন শুরু করে। নৈরাজ্যের কোনো সীমা থাকে না। শুধু ১৯৭৩ সালে ৭০টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি লুট হয়। ১৯৭২ সালের নভেম্বরে এক দিনে নারায়ণগঞ্জের ২৭টি পাটের গুদামে আগুন দেওয়া হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয়জন সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু এত বড় হিমালয়সম বাধা বঙ্গবন্ধুকে থামাতে পারেনি। এর ভিতরেই রাষ্ট্রের সব সেক্টরের জন্য একেকটি শক্তিশালী ভিত তৈরি করে ফেলেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, মানুষের মানসকাঠামোকে বাংলাদেশের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য বহুল প্রশংসিত কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি এবং তা চালু করে দেন। বাংলাদেশ বিমান চালুসহ সব যোগাযোগ সেক্টরকে চালু করেন। প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা শুধু নয়, তাদের পুনর্বাসনের সব ব্যবস্থা করা হয়। কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প, ভূমি সংস্কার ও প্রতিরক্ষা নীতিসহ সব রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়ন করেন। জাতীয় সমুদ্র নীতিমালা প্রণয়ন করেন, যার সূত্রেই ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলেন এবং বাংলাদেশ প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রের ওপর সার্বভৌম অধিকার ফিরে পায়। প্রতিরক্ষা নীতি অনুসারে সশস্ত্র বাহিনীকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার কাজে হাত দেন। সেনাবাহিনীর মর্যাদার প্রতীক বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। বৈদেশিক সম্পর্কে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, নীতির ঘোষণা দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ১২১টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক প্রায় সব সংস্থার সদস্য হয়ে যায় বাংলাদেশ। ধ্বংসস্তূপ থেকে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধুর আমলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গিয়ে দাঁড়ায় শতকরা ৭.৫ ভাগ হারে, যা ওই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। পর্বতসম বাধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু সবকিছু ভালোভাবে গুছিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সব শেষ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু নিহত হন।

দেশ সামরিক শাসনের কবলে পড়ে। সামরিক স্বৈরশাসকের আবির্ভাব ঘটে। মানুষ ভয়ার্ত চোখে আইয়ুব খানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়, যা থেকে মুক্ত হওয়া ছিল স্বাধীনতার প্রধান এক লক্ষ্য। ১৫ আগস্টের আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার বন্ধ করার ব্যবস্থা শুধু নয়, খুনিদের রাষ্ট্রীয় পদে চাকরি ও পদোন্নতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে হত্যাকান্ডের রাজনীতি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধান, রাষ্ট্র দর্শন, রাজনৈতিক মূল্যবোধ, সবকিছুকে সামরিক আদেশ দ্বারা বাতিল করে দেওয়া হয়। সর্বজন প্রশংসিত এবং বাংলাদেশের উপযুক্ত মানসকাঠামো তৈরির বাইবেল খ্যাত কুদরত-ই-খুদা কমিশনের শিক্ষানীতিকেও বাতিল করে দেওয়া হয়। একাত্তরে পরাজিত ও পরিত্যক্ত সবকিছুকে রাষ্ট্রের সব অঙ্গনে ফিরিয়ে আনা হয়। বাংলাদেশ নামে আরেকটি পাকিস্তান বানানোর সব ব্যবস্থা নেন দুই সামরিক শাসক। অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রের অগ্রযাত্রা মুখ থুবড়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর সময় যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৭.৫ হারে সেখানে ১৫ বছরের সামরিক শাসনে তা নেমে আসে শতকরা ৫ ভাগেরও নিচে। রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সমাজের সর্বত্র ধর্মীয় উগ্রবাদের বিস্তার ঘটে। ভূতের মতো রাষ্ট্র চলতে থাকে পেছনের দিকে। এরকম এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আবার উজ্জীবিত হয়। একসময়ে এসে সামরিক শাসক ও শাসনের পতন ঘটে। কিন্তু ১৫ বছর একটানা ওই পাকিস্তানি পরিত্যক্ত পথে রাষ্ট্র চলায় ইতোমধ্যে মহাসর্বনাশ হয়ে যায়, কয়েকটি নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ এবং তার থেকে উৎপত্তি রাষ্ট্র দর্শন সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। এই সর্বনাশের কালোছায়া এখনো বাংলাদেশকে তাড়া করে ফিরছে। এটাই আজকের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় সংকট। এই সংকটকে উপেক্ষা করে রাজনীতি বলেন, আর নির্বাচন বলেন, কোনো সংকট থেকেই রেহাই পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর মেয়েও অকুতোভয়। ২১ বার হত্যার চেষ্টাও তাঁকে থামাতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে এবং প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যেমন মাত্র ৯ মাসের মধ্যে অভূতপূর্ব দর্শনসংবলিত একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে পেরেছিলেন, তেমনি ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এবং প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা মাত্র দেড় বছরের মাথায় ২১ বছরের ভ্রাতৃঘাতী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভূতপূর্ব এক শান্তিচুক্তি করতে সক্ষম হন। আরেকবার প্রমাণ হয় দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি রাজনৈতিক নেতৃত্বের খাদহীন ভালোবাসা থাকলে কোনো সমস্যাই আর সমস্যা হয়ে থাকে না। বঙ্গবন্ধু যেমন ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেছিলেন, তেমনি শেখ হাসিনাও ২১ বছরের পুঞ্জীভূত রাষ্ট্রীয় জঞ্জালের ওপর দাঁড়িয়ে নবযাত্রা শুরু করেন। মানুষের মধ্যে আবার আশার সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বুঝতে না পারায় আওয়ামী লীগ ভূমিধস পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকা একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াত সরকারের শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, জিয়া-এরশাদ কর্তৃক বাংলাদেশকে পাকিস্তানিকরণের অসমাপ্ত মিশন এবার তারা সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশকে শুধু একটি ধর্ম অবলম্বনকারী মানুষের রাষ্ট্র করার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয় সুপরিকল্পিত আক্রমণ, যার সূত্রেই দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় তখন শিরোনাম হয়- বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাঁচতে হলে দেশত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ধর্মীয় উগ্রবাদী জঙ্গি সন্ত্রাসের সীমাহীন উত্থানে রাষ্ট্র নীরব ভূমিকা পালন করে। শঙ্কিত হয় আঞ্চলিক ও বিশ্বসম্প্রদায়। ২০০২ সালের ২ এপ্রিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে শিরোনাম হয় ‘পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশেও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে ইসলামিস্ট জঙ্গি।’ ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক পত্রিকায় বার্টন লিটনার লেখেন, ‘বাংলাদেশ হতে সাবধান, সেখানে এখন জঙ্গিগোষ্ঠীর আস্তানা’। আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসে তখনকার জামায়াত-বিএনপি সরকার পাকিস্তানের প্রক্সি হয়ে কাজ করতে থাকে, যা মানুষের সামনে চলে আসে ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালান ধরা পড়ার পর। আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনৈতিক পক্ষ যেন আর কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটানো হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড আক্রমণ। দেশের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়। সেই পথ ধরেই বিরাজনীতিকরণের প্রকল্প ২০০৭-০৮ মেয়াদের তথাকথিত নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগমন ঘটে। কিন্তু মানুষের ধাক্কায় তারাও টিকতে পারেনি। ২০০১-০৬ মেয়াদে জামায়াত-বিএনপির সীমাহীন ব্যর্থতার পরিণতিতে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পায়। ভূমিধস বিজয় পায় আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দেশের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা। এবার তিনি আরও ধীরস্থির, অভিজ্ঞ, পরিপক্ব ও পোড় খাওয়া এক নেত্রী। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রসহ অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর সুদৃঢ় ছাপ গত ১৫ বছরে পড়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে রোল মডেলের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ শাসনের ঐতিহাসিক সূত্রে সাত দশক ধরে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে জিইয়ে থাকা প্রায় সব সমস্যার সমাধান করেছেন, যার প্রত্যেকটি দেশের অগ্রায়ণের জন্য মাইলফলক অর্জন। আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস পুরোপুরি নির্মল করতে সক্ষম হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা কতখানি তা সম্প্রতি ব্রিকস ও জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেখা গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মানবসভ্যতাকে রক্ষা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার ভূমিকা এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি। ইতিহাস পথ দেখায়, ইতিহাস কথা বলে। তাই আজকের লেখায় গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের চলমান ধারায় একটা ছোট সারসংক্ষেপ চিত্র তুলে ধরলাম। বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে শিখেছে। সুতরাং বাংলাদেশ আর পেছনে নয়, সামনে যাবে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
সর্বশেষ খবর
অ্যাশেজের আগে ইংল্যান্ড দলে ইনজুরি দুশ্চিন্তা
অ্যাশেজের আগে ইংল্যান্ড দলে ইনজুরি দুশ্চিন্তা

৫৩ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে: টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে: টুকু

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
রংপুরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে জমজমাট হেমন্তকালীন কবিতা উৎসব
রংপুরে জমজমাট হেমন্তকালীন কবিতা উৎসব

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে রেললাইনে আগুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে রেললাইনে আগুন

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে লকডাউনে সাড়া নেই, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী মিছিল
রংপুরে লকডাউনে সাড়া নেই, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী মিছিল

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধবিরতির পরেও ২৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির পরেও ২৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৩৩
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৩৩

৯ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

সুনামগঞ্জে লকডাউনের কোনো প্রভাব পড়েনি, গ্রেপ্তার ৩
সুনামগঞ্জে লকডাউনের কোনো প্রভাব পড়েনি, গ্রেপ্তার ৩

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্যারিবিয়ান দেশগুলো আক্রমণে মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে আমেরিকা: মাদুরো
ক্যারিবিয়ান দেশগুলো আক্রমণে মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে আমেরিকা: মাদুরো

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়ান আর্চারির ফাইনালে হেরে রুপা জিতল বাংলাদেশ
এশিয়ান আর্চারির ফাইনালে হেরে রুপা জিতল বাংলাদেশ

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর প্রেম, যে গল্পটাও সিনেমার মতো
ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর প্রেম, যে গল্পটাও সিনেমার মতো

১৫ মিনিট আগে | শোবিজ

সমাজ পরিবর্তনে তরুণ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে রাবিতে শুভসংঘের আলোচনা সভা
সমাজ পরিবর্তনে তরুণ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে রাবিতে শুভসংঘের আলোচনা সভা

১৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ঝিনাইদহে সড়কে প্রাণ গেল কলেজ ছাত্রের
ঝিনাইদহে সড়কে প্রাণ গেল কলেজ ছাত্রের

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

সুন্দর দেশ গড়তে দরকার ভালো সরকার: মান্না
সুন্দর দেশ গড়তে দরকার ভালো সরকার: মান্না

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লে গ্রাউন্ড স্থাপন, আনন্দমুখর শিক্ষার নতুন দিগন্ত
টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লে গ্রাউন্ড স্থাপন, আনন্দমুখর শিক্ষার নতুন দিগন্ত

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিটিভি কোনো দলের বা রাজনৈতিক শক্তির হাতিয়ার হবে না : মাহফুজ
বিটিভি কোনো দলের বা রাজনৈতিক শক্তির হাতিয়ার হবে না : মাহফুজ

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

লকডাউন প্রতিরোধে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি
লকডাউন প্রতিরোধে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কলকাতার সহকারী কোচ শেন ওয়াটসন
কলকাতার সহকারী কোচ শেন ওয়াটসন

৪৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

টাঙ্গাইলে শিক্ষকদের ছাতা উপহার দিলেন টুকু
টাঙ্গাইলে শিক্ষকদের ছাতা উপহার দিলেন টুকু

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

৫১ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরান ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা সীমিত করবে না: আইআরজিসি
ইরান ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা সীমিত করবে না: আইআরজিসি

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তর সেঞ্চুরি, ৩০১ রানের লিড নিয়ে টাইগারদের ইনিংস ঘোষণা
শান্তর সেঞ্চুরি, ৩০১ রানের লিড নিয়ে টাইগারদের ইনিংস ঘোষণা

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গারো পাহাড়ে হচ্ছে হাফ ম্যারাথন
গারো পাহাড়ে হচ্ছে হাফ ম্যারাথন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রদলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান
বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রদলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান
বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ
এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান
উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও
পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না
বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম
ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা
শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২
সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’
‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল?
বিবাহবিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল?

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন
ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প
নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক
আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়

জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট
জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংঘাতের পথে রাজনীতি
সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না
একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে
অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে

পেছনের পৃষ্ঠা

১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক
ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

দেশগ্রাম

বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি
বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি

মাঠে ময়দানে

দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ
শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে
রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে

পেছনের পৃষ্ঠা

আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক
পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক

নগর জীবন

ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক
ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক

নগর জীবন

ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ
ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা

সম্পাদকীয়

এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের
এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল
প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল

প্রথম পৃষ্ঠা

কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত
কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত

দেশগ্রাম

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

সম্পাদকীয়

এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি
এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি

মাঠে ময়দানে