শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

৫২ বছরের বাংলাদেশ- বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
৫২ বছরের বাংলাদেশ- বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

পৃথিবীতে এখন রাষ্ট্রের সংখ্যা প্রায় ২০০। তার মধ্যেও ১৯৩টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য। প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের জন্ম ও স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস আছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস বহু দিক থেকে অনন্য এবং অসাধারণ। কারণ, মাত্র ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে দেশ শত্রুমুক্ত হয়ে স্বাধীন হওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। শুধু তাই নয়, এমন ঘটনাও নেই যেখানে প্রায় ৯৩ হাজার পেশাদার সেনাসদস্য বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করেছে। আরও বিরল ঘটনা যে, ওই রকম একটা আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা লাখো জনতার সামনে খোলা আকাশের নিচে ঘটেছে। এরকম বিরল গৌরবের ইতিহাস যে কোনো জাতির জন্য অমূল্য শ্রেষ্ঠ জাতীয় সম্পদ। প্রাকৃতিক এবং অন্যান্য সম্পদ যতই থাকুক, ঐতিহাসিক জাতীয় অর্জনের যে সম্পদ তার সঠিক ব্যবহার ব্যতিরেকে কোনো রাষ্ট্রের পক্ষেই কখনো সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়নি, এর অনেক চাক্ষুষ উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে আছে। বাংলাদেশের জাতীয় শ্রেষ্ঠ অর্জন ও ইতিহাসের মহান স্থপতি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পরপর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রীয় দর্শন ও মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে তিনি নতুন দেশ গড়ার যাত্রা শুরু করেন। এটাও নজিরবিহীন এক ঘটনা যে, ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও মাত্র ৯ মাসের মাথায় বিশ্বনন্দিত একটি সংবিধান তিনি প্রণয়ন করতে সক্ষম হন। রাষ্ট্র দর্শন এবং তার লক্ষ্য ও ভিশন তৈরিতে বঙ্গবন্ধুর সময় লাগেনি। কারণ, এর সবকিছুই এসেছে নিজের হৃদয় থেকে যার উৎসমূলে ছিল সাড়ে ৭ কোটি মানুষের হৃদয়। সুতরাং সাড়ে ৭ কোটি মানুষের হৃদয়ের কথাই প্রতিফলিত হয় বাহাত্তরের সংবিধানে। একজন মানুষের ভালো-মন্দ, উন্নতি-সমৃদ্ধি যেমন তার নিজের মনমানসিকতা, অর্থাৎ নিজস্ব মানসতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল, তেমনি সামষ্টিকভাবে রাষ্ট্রীয় মানসতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে একটা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি, যার ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে দেশের বৃহত্তর মানুষ। অর্থাৎ গড়পড়তায় বৃহত্তর মানুষের মনমানসিকতা যখন রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়- রাষ্ট্রের সব সেক্টর ও অঙ্গনে তার প্রতিফলন ঘটে। তাই বৃহত্তর মানুষের মনমানসিকতাই রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ যদি ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী, যুক্তিহীন একগুঁয়ে এবং নৈতিকতাহীন ও আদর্শহীন হয় তাহলে রাষ্ট্রের পরিস্থিতি একরকম হবে, আর মানুষ যদি উদার গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতাপূর্ণ মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হয় তাহলে সেটা অন্যরকম হবে। একটা জাতীয় মনমানসিকতা তৈরিতে নতুন যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য কম করে হলেও ২৫-৩০ বছর নিরবচ্ছিন্ন সময় লাগে। প্রতিবেশী ভারতে আজ আমরা যে টেকসই গণতান্ত্রিক ভিত্তি এবং রাষ্ট্রের মৌলিক আদর্শে ঐকমত্য দেখি তার কারণ, ১৯৪৭ সাল থেকে নতুন দেশটি স্বাধীনতার মৌলিক দর্শনের ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে ৩০ বছর চলেছে, যার নিরবচ্ছিন্ন নেতৃত্বে ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। সুতরাং বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের ওপর যদি একটানা কমপক্ষে ২৫-৩০ বছর বাংলাদেশ পরিচালিত হতো তাহলে আমাদের আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হতো না। রাষ্ট্রকে কখনো কলঙ্কিত সামরিক স্বৈরশাসনের কবলে পড়তে হতো না। সামরিক শাসকের ঔরসজাত রাজনীতির জোয়াল বাংলাদেশকে আজও গ্রাস করে রাখতে পারত না। হত্যাকান্ডের রাজনীতি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেত না। ধর্মীয় রাজনীতি এবং তার থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সশস্ত্র জঙ্গিবাদের উত্থান বাংলাদেশে কখনো হতো না। ২০০৩ সালের ২৩ নভেম্বর দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় শিরোনাম হতো না যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাঁচতে হলে দেশত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কেউ কখনো বলতে পারত না পরবর্তী আফগানিস্তান হবে বাংলাদেশ। সামরিক শাসকের ঔরসজাত রাজনীতি আর দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না বলেই রাজনীতিতে আজও অনাকাক্সিক্ষত সংকট বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধু দেশ পরিচালনার সুযোগ পান মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই স্বল্প সময়ে তিনি যেসব কঠিন বাধা ও সংকট উতরিয়ে বাংলাদেশকে যেখানে এনেছিলেন সেটিও ছিল এক অসাধ্য সাধনের কাজ। বঙ্গবন্ধুর উদার গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে আত্মঘাতী ও দেশঘাতী এক রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব ঘটে। তাদের ধ্বংসাত্মক ও নৈরাজ্যপূর্ণ রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় জড়ো হয় এ দেশীয় একাত্তরের সব পরাজিত পক্ষ। তার সঙ্গে যুক্ত হয় উগ্র চীনপন্থিদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম লন্ডনে বসে পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলন শুরু করে। নৈরাজ্যের কোনো সীমা থাকে না। শুধু ১৯৭৩ সালে ৭০টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি লুট হয়। ১৯৭২ সালের নভেম্বরে এক দিনে নারায়ণগঞ্জের ২৭টি পাটের গুদামে আগুন দেওয়া হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয়জন সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু এত বড় হিমালয়সম বাধা বঙ্গবন্ধুকে থামাতে পারেনি। এর ভিতরেই রাষ্ট্রের সব সেক্টরের জন্য একেকটি শক্তিশালী ভিত তৈরি করে ফেলেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, মানুষের মানসকাঠামোকে বাংলাদেশের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য বহুল প্রশংসিত কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি এবং তা চালু করে দেন। বাংলাদেশ বিমান চালুসহ সব যোগাযোগ সেক্টরকে চালু করেন। প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা শুধু নয়, তাদের পুনর্বাসনের সব ব্যবস্থা করা হয়। কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প, ভূমি সংস্কার ও প্রতিরক্ষা নীতিসহ সব রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়ন করেন। জাতীয় সমুদ্র নীতিমালা প্রণয়ন করেন, যার সূত্রেই ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলেন এবং বাংলাদেশ প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রের ওপর সার্বভৌম অধিকার ফিরে পায়। প্রতিরক্ষা নীতি অনুসারে সশস্ত্র বাহিনীকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার কাজে হাত দেন। সেনাবাহিনীর মর্যাদার প্রতীক বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। বৈদেশিক সম্পর্কে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, নীতির ঘোষণা দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ১২১টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক প্রায় সব সংস্থার সদস্য হয়ে যায় বাংলাদেশ। ধ্বংসস্তূপ থেকে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধুর আমলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গিয়ে দাঁড়ায় শতকরা ৭.৫ ভাগ হারে, যা ওই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। পর্বতসম বাধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু সবকিছু ভালোভাবে গুছিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সব শেষ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু নিহত হন।

দেশ সামরিক শাসনের কবলে পড়ে। সামরিক স্বৈরশাসকের আবির্ভাব ঘটে। মানুষ ভয়ার্ত চোখে আইয়ুব খানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়, যা থেকে মুক্ত হওয়া ছিল স্বাধীনতার প্রধান এক লক্ষ্য। ১৫ আগস্টের আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার বন্ধ করার ব্যবস্থা শুধু নয়, খুনিদের রাষ্ট্রীয় পদে চাকরি ও পদোন্নতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে হত্যাকান্ডের রাজনীতি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধান, রাষ্ট্র দর্শন, রাজনৈতিক মূল্যবোধ, সবকিছুকে সামরিক আদেশ দ্বারা বাতিল করে দেওয়া হয়। সর্বজন প্রশংসিত এবং বাংলাদেশের উপযুক্ত মানসকাঠামো তৈরির বাইবেল খ্যাত কুদরত-ই-খুদা কমিশনের শিক্ষানীতিকেও বাতিল করে দেওয়া হয়। একাত্তরে পরাজিত ও পরিত্যক্ত সবকিছুকে রাষ্ট্রের সব অঙ্গনে ফিরিয়ে আনা হয়। বাংলাদেশ নামে আরেকটি পাকিস্তান বানানোর সব ব্যবস্থা নেন দুই সামরিক শাসক। অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রের অগ্রযাত্রা মুখ থুবড়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর সময় যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৭.৫ হারে সেখানে ১৫ বছরের সামরিক শাসনে তা নেমে আসে শতকরা ৫ ভাগেরও নিচে। রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সমাজের সর্বত্র ধর্মীয় উগ্রবাদের বিস্তার ঘটে। ভূতের মতো রাষ্ট্র চলতে থাকে পেছনের দিকে। এরকম এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আবার উজ্জীবিত হয়। একসময়ে এসে সামরিক শাসক ও শাসনের পতন ঘটে। কিন্তু ১৫ বছর একটানা ওই পাকিস্তানি পরিত্যক্ত পথে রাষ্ট্র চলায় ইতোমধ্যে মহাসর্বনাশ হয়ে যায়, কয়েকটি নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ এবং তার থেকে উৎপত্তি রাষ্ট্র দর্শন সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। এই সর্বনাশের কালোছায়া এখনো বাংলাদেশকে তাড়া করে ফিরছে। এটাই আজকের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় সংকট। এই সংকটকে উপেক্ষা করে রাজনীতি বলেন, আর নির্বাচন বলেন, কোনো সংকট থেকেই রেহাই পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর মেয়েও অকুতোভয়। ২১ বার হত্যার চেষ্টাও তাঁকে থামাতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে এবং প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যেমন মাত্র ৯ মাসের মধ্যে অভূতপূর্ব দর্শনসংবলিত একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে পেরেছিলেন, তেমনি ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এবং প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা মাত্র দেড় বছরের মাথায় ২১ বছরের ভ্রাতৃঘাতী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভূতপূর্ব এক শান্তিচুক্তি করতে সক্ষম হন। আরেকবার প্রমাণ হয় দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি রাজনৈতিক নেতৃত্বের খাদহীন ভালোবাসা থাকলে কোনো সমস্যাই আর সমস্যা হয়ে থাকে না। বঙ্গবন্ধু যেমন ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেছিলেন, তেমনি শেখ হাসিনাও ২১ বছরের পুঞ্জীভূত রাষ্ট্রীয় জঞ্জালের ওপর দাঁড়িয়ে নবযাত্রা শুরু করেন। মানুষের মধ্যে আবার আশার সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বুঝতে না পারায় আওয়ামী লীগ ভূমিধস পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকা একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াত সরকারের শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, জিয়া-এরশাদ কর্তৃক বাংলাদেশকে পাকিস্তানিকরণের অসমাপ্ত মিশন এবার তারা সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশকে শুধু একটি ধর্ম অবলম্বনকারী মানুষের রাষ্ট্র করার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয় সুপরিকল্পিত আক্রমণ, যার সূত্রেই দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় তখন শিরোনাম হয়- বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাঁচতে হলে দেশত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ধর্মীয় উগ্রবাদী জঙ্গি সন্ত্রাসের সীমাহীন উত্থানে রাষ্ট্র নীরব ভূমিকা পালন করে। শঙ্কিত হয় আঞ্চলিক ও বিশ্বসম্প্রদায়। ২০০২ সালের ২ এপ্রিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে শিরোনাম হয় ‘পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশেও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে ইসলামিস্ট জঙ্গি।’ ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক পত্রিকায় বার্টন লিটনার লেখেন, ‘বাংলাদেশ হতে সাবধান, সেখানে এখন জঙ্গিগোষ্ঠীর আস্তানা’। আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসে তখনকার জামায়াত-বিএনপি সরকার পাকিস্তানের প্রক্সি হয়ে কাজ করতে থাকে, যা মানুষের সামনে চলে আসে ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালান ধরা পড়ার পর। আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনৈতিক পক্ষ যেন আর কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটানো হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড আক্রমণ। দেশের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়। সেই পথ ধরেই বিরাজনীতিকরণের প্রকল্প ২০০৭-০৮ মেয়াদের তথাকথিত নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগমন ঘটে। কিন্তু মানুষের ধাক্কায় তারাও টিকতে পারেনি। ২০০১-০৬ মেয়াদে জামায়াত-বিএনপির সীমাহীন ব্যর্থতার পরিণতিতে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পায়। ভূমিধস বিজয় পায় আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দেশের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা। এবার তিনি আরও ধীরস্থির, অভিজ্ঞ, পরিপক্ব ও পোড় খাওয়া এক নেত্রী। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রসহ অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর সুদৃঢ় ছাপ গত ১৫ বছরে পড়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে রোল মডেলের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ শাসনের ঐতিহাসিক সূত্রে সাত দশক ধরে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে জিইয়ে থাকা প্রায় সব সমস্যার সমাধান করেছেন, যার প্রত্যেকটি দেশের অগ্রায়ণের জন্য মাইলফলক অর্জন। আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস পুরোপুরি নির্মল করতে সক্ষম হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা কতখানি তা সম্প্রতি ব্রিকস ও জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেখা গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মানবসভ্যতাকে রক্ষা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার ভূমিকা এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি। ইতিহাস পথ দেখায়, ইতিহাস কথা বলে। তাই আজকের লেখায় গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের চলমান ধারায় একটা ছোট সারসংক্ষেপ চিত্র তুলে ধরলাম। বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে শিখেছে। সুতরাং বাংলাদেশ আর পেছনে নয়, সামনে যাবে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি ও লাভজনক সম্পর্ক চায় ভারত : প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি ও লাভজনক সম্পর্ক চায় ভারত : প্রণয় ভার্মা

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ
লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস
কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু

৩৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম
সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম

৩৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বোয়ালমারীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
বোয়ালমারীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৩৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লালমনিরহাটে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধির শঙ্কা
লালমনিরহাটে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধির শঙ্কা

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুনামগঞ্জ সীমান্তে ১২ ভারতীয় গরু আটক
সুনামগঞ্জ সীমান্তে ১২ ভারতীয় গরু আটক

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন
কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

৫৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে চার পরিবর্তন
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে চার পরিবর্তন

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ
এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ১৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা
নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ১৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্ম সপ্তাহে কলাপাড়ায় মানববন্ধন
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্ম সপ্তাহে কলাপাড়ায় মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় সম্ভাবনা সার্ক ট্রেড ফেয়ার
আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় সম্ভাবনা সার্ক ট্রেড ফেয়ার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া উন্নয়ন অসম্পূর্ণ : পার্বত্য উপদেষ্টা
নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া উন্নয়ন অসম্পূর্ণ : পার্বত্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ: হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ: হাইকমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে : বিচারপতি শাহীন
বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে : বিচারপতি শাহীন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঘুমের মধ্যে মারা গেলেন অস্কারজয়ী অভিনেতা
ঘুমের মধ্যে মারা গেলেন অস্কারজয়ী অভিনেতা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন
গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে আহতদের পুনর্বাসন, জুলাই যোদ্ধাকে দোকান উপহার
সিদ্ধিরগঞ্জে আহতদের পুনর্বাসন, জুলাই যোদ্ধাকে দোকান উপহার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আগামী জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ক্ষমতা কারো নেই: ডা. জাহিদ
আগামী জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ক্ষমতা কারো নেই: ডা. জাহিদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার এনবিআরের ৫৫৫ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি
এবার এনবিআরের ৫৫৫ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সূচি প্রকাশ
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সূচি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না
চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব
এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত
বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে
দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থনীতিতে নারীর অদৃশ্য ঘাম
অর্থনীতিতে নারীর অদৃশ্য ঘাম

পেছনের পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখেছে এবি ব্যাংক
গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখেছে এবি ব্যাংক

শিল্প বাণিজ্য

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম