শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

৫২ বছরের বাংলাদেশ- বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
৫২ বছরের বাংলাদেশ- বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

পৃথিবীতে এখন রাষ্ট্রের সংখ্যা প্রায় ২০০। তার মধ্যেও ১৯৩টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য। প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের জন্ম ও স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস আছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস বহু দিক থেকে অনন্য এবং অসাধারণ। কারণ, মাত্র ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে দেশ শত্রুমুক্ত হয়ে স্বাধীন হওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। শুধু তাই নয়, এমন ঘটনাও নেই যেখানে প্রায় ৯৩ হাজার পেশাদার সেনাসদস্য বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করেছে। আরও বিরল ঘটনা যে, ওই রকম একটা আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা লাখো জনতার সামনে খোলা আকাশের নিচে ঘটেছে। এরকম বিরল গৌরবের ইতিহাস যে কোনো জাতির জন্য অমূল্য শ্রেষ্ঠ জাতীয় সম্পদ। প্রাকৃতিক এবং অন্যান্য সম্পদ যতই থাকুক, ঐতিহাসিক জাতীয় অর্জনের যে সম্পদ তার সঠিক ব্যবহার ব্যতিরেকে কোনো রাষ্ট্রের পক্ষেই কখনো সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়নি, এর অনেক চাক্ষুষ উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে আছে। বাংলাদেশের জাতীয় শ্রেষ্ঠ অর্জন ও ইতিহাসের মহান স্থপতি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পরপর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রীয় দর্শন ও মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে তিনি নতুন দেশ গড়ার যাত্রা শুরু করেন। এটাও নজিরবিহীন এক ঘটনা যে, ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও মাত্র ৯ মাসের মাথায় বিশ্বনন্দিত একটি সংবিধান তিনি প্রণয়ন করতে সক্ষম হন। রাষ্ট্র দর্শন এবং তার লক্ষ্য ও ভিশন তৈরিতে বঙ্গবন্ধুর সময় লাগেনি। কারণ, এর সবকিছুই এসেছে নিজের হৃদয় থেকে যার উৎসমূলে ছিল সাড়ে ৭ কোটি মানুষের হৃদয়। সুতরাং সাড়ে ৭ কোটি মানুষের হৃদয়ের কথাই প্রতিফলিত হয় বাহাত্তরের সংবিধানে। একজন মানুষের ভালো-মন্দ, উন্নতি-সমৃদ্ধি যেমন তার নিজের মনমানসিকতা, অর্থাৎ নিজস্ব মানসতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল, তেমনি সামষ্টিকভাবে রাষ্ট্রীয় মানসতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে একটা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি, যার ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে দেশের বৃহত্তর মানুষ। অর্থাৎ গড়পড়তায় বৃহত্তর মানুষের মনমানসিকতা যখন রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়- রাষ্ট্রের সব সেক্টর ও অঙ্গনে তার প্রতিফলন ঘটে। তাই বৃহত্তর মানুষের মনমানসিকতাই রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ যদি ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী, যুক্তিহীন একগুঁয়ে এবং নৈতিকতাহীন ও আদর্শহীন হয় তাহলে রাষ্ট্রের পরিস্থিতি একরকম হবে, আর মানুষ যদি উদার গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতাপূর্ণ মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হয় তাহলে সেটা অন্যরকম হবে। একটা জাতীয় মনমানসিকতা তৈরিতে নতুন যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য কম করে হলেও ২৫-৩০ বছর নিরবচ্ছিন্ন সময় লাগে। প্রতিবেশী ভারতে আজ আমরা যে টেকসই গণতান্ত্রিক ভিত্তি এবং রাষ্ট্রের মৌলিক আদর্শে ঐকমত্য দেখি তার কারণ, ১৯৪৭ সাল থেকে নতুন দেশটি স্বাধীনতার মৌলিক দর্শনের ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে ৩০ বছর চলেছে, যার নিরবচ্ছিন্ন নেতৃত্বে ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। সুতরাং বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের ওপর যদি একটানা কমপক্ষে ২৫-৩০ বছর বাংলাদেশ পরিচালিত হতো তাহলে আমাদের আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হতো না। রাষ্ট্রকে কখনো কলঙ্কিত সামরিক স্বৈরশাসনের কবলে পড়তে হতো না। সামরিক শাসকের ঔরসজাত রাজনীতির জোয়াল বাংলাদেশকে আজও গ্রাস করে রাখতে পারত না। হত্যাকান্ডের রাজনীতি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেত না। ধর্মীয় রাজনীতি এবং তার থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সশস্ত্র জঙ্গিবাদের উত্থান বাংলাদেশে কখনো হতো না। ২০০৩ সালের ২৩ নভেম্বর দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় শিরোনাম হতো না যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাঁচতে হলে দেশত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কেউ কখনো বলতে পারত না পরবর্তী আফগানিস্তান হবে বাংলাদেশ। সামরিক শাসকের ঔরসজাত রাজনীতি আর দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না বলেই রাজনীতিতে আজও অনাকাক্সিক্ষত সংকট বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধু দেশ পরিচালনার সুযোগ পান মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই স্বল্প সময়ে তিনি যেসব কঠিন বাধা ও সংকট উতরিয়ে বাংলাদেশকে যেখানে এনেছিলেন সেটিও ছিল এক অসাধ্য সাধনের কাজ। বঙ্গবন্ধুর উদার গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে আত্মঘাতী ও দেশঘাতী এক রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব ঘটে। তাদের ধ্বংসাত্মক ও নৈরাজ্যপূর্ণ রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় জড়ো হয় এ দেশীয় একাত্তরের সব পরাজিত পক্ষ। তার সঙ্গে যুক্ত হয় উগ্র চীনপন্থিদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম লন্ডনে বসে পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলন শুরু করে। নৈরাজ্যের কোনো সীমা থাকে না। শুধু ১৯৭৩ সালে ৭০টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি লুট হয়। ১৯৭২ সালের নভেম্বরে এক দিনে নারায়ণগঞ্জের ২৭টি পাটের গুদামে আগুন দেওয়া হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয়জন সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু এত বড় হিমালয়সম বাধা বঙ্গবন্ধুকে থামাতে পারেনি। এর ভিতরেই রাষ্ট্রের সব সেক্টরের জন্য একেকটি শক্তিশালী ভিত তৈরি করে ফেলেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, মানুষের মানসকাঠামোকে বাংলাদেশের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য বহুল প্রশংসিত কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি এবং তা চালু করে দেন। বাংলাদেশ বিমান চালুসহ সব যোগাযোগ সেক্টরকে চালু করেন। প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা শুধু নয়, তাদের পুনর্বাসনের সব ব্যবস্থা করা হয়। কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প, ভূমি সংস্কার ও প্রতিরক্ষা নীতিসহ সব রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়ন করেন। জাতীয় সমুদ্র নীতিমালা প্রণয়ন করেন, যার সূত্রেই ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলেন এবং বাংলাদেশ প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রের ওপর সার্বভৌম অধিকার ফিরে পায়। প্রতিরক্ষা নীতি অনুসারে সশস্ত্র বাহিনীকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার কাজে হাত দেন। সেনাবাহিনীর মর্যাদার প্রতীক বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। বৈদেশিক সম্পর্কে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, নীতির ঘোষণা দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ১২১টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক প্রায় সব সংস্থার সদস্য হয়ে যায় বাংলাদেশ। ধ্বংসস্তূপ থেকে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধুর আমলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গিয়ে দাঁড়ায় শতকরা ৭.৫ ভাগ হারে, যা ওই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। পর্বতসম বাধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু সবকিছু ভালোভাবে গুছিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সব শেষ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু নিহত হন।

দেশ সামরিক শাসনের কবলে পড়ে। সামরিক স্বৈরশাসকের আবির্ভাব ঘটে। মানুষ ভয়ার্ত চোখে আইয়ুব খানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়, যা থেকে মুক্ত হওয়া ছিল স্বাধীনতার প্রধান এক লক্ষ্য। ১৫ আগস্টের আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার বন্ধ করার ব্যবস্থা শুধু নয়, খুনিদের রাষ্ট্রীয় পদে চাকরি ও পদোন্নতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে হত্যাকান্ডের রাজনীতি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধান, রাষ্ট্র দর্শন, রাজনৈতিক মূল্যবোধ, সবকিছুকে সামরিক আদেশ দ্বারা বাতিল করে দেওয়া হয়। সর্বজন প্রশংসিত এবং বাংলাদেশের উপযুক্ত মানসকাঠামো তৈরির বাইবেল খ্যাত কুদরত-ই-খুদা কমিশনের শিক্ষানীতিকেও বাতিল করে দেওয়া হয়। একাত্তরে পরাজিত ও পরিত্যক্ত সবকিছুকে রাষ্ট্রের সব অঙ্গনে ফিরিয়ে আনা হয়। বাংলাদেশ নামে আরেকটি পাকিস্তান বানানোর সব ব্যবস্থা নেন দুই সামরিক শাসক। অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রের অগ্রযাত্রা মুখ থুবড়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর সময় যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৭.৫ হারে সেখানে ১৫ বছরের সামরিক শাসনে তা নেমে আসে শতকরা ৫ ভাগেরও নিচে। রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সমাজের সর্বত্র ধর্মীয় উগ্রবাদের বিস্তার ঘটে। ভূতের মতো রাষ্ট্র চলতে থাকে পেছনের দিকে। এরকম এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আবার উজ্জীবিত হয়। একসময়ে এসে সামরিক শাসক ও শাসনের পতন ঘটে। কিন্তু ১৫ বছর একটানা ওই পাকিস্তানি পরিত্যক্ত পথে রাষ্ট্র চলায় ইতোমধ্যে মহাসর্বনাশ হয়ে যায়, কয়েকটি নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ এবং তার থেকে উৎপত্তি রাষ্ট্র দর্শন সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। এই সর্বনাশের কালোছায়া এখনো বাংলাদেশকে তাড়া করে ফিরছে। এটাই আজকের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় সংকট। এই সংকটকে উপেক্ষা করে রাজনীতি বলেন, আর নির্বাচন বলেন, কোনো সংকট থেকেই রেহাই পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর মেয়েও অকুতোভয়। ২১ বার হত্যার চেষ্টাও তাঁকে থামাতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে এবং প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যেমন মাত্র ৯ মাসের মধ্যে অভূতপূর্ব দর্শনসংবলিত একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে পেরেছিলেন, তেমনি ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এবং প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা মাত্র দেড় বছরের মাথায় ২১ বছরের ভ্রাতৃঘাতী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভূতপূর্ব এক শান্তিচুক্তি করতে সক্ষম হন। আরেকবার প্রমাণ হয় দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি রাজনৈতিক নেতৃত্বের খাদহীন ভালোবাসা থাকলে কোনো সমস্যাই আর সমস্যা হয়ে থাকে না। বঙ্গবন্ধু যেমন ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেছিলেন, তেমনি শেখ হাসিনাও ২১ বছরের পুঞ্জীভূত রাষ্ট্রীয় জঞ্জালের ওপর দাঁড়িয়ে নবযাত্রা শুরু করেন। মানুষের মধ্যে আবার আশার সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বুঝতে না পারায় আওয়ামী লীগ ভূমিধস পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকা একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াত সরকারের শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, জিয়া-এরশাদ কর্তৃক বাংলাদেশকে পাকিস্তানিকরণের অসমাপ্ত মিশন এবার তারা সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশকে শুধু একটি ধর্ম অবলম্বনকারী মানুষের রাষ্ট্র করার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয় সুপরিকল্পিত আক্রমণ, যার সূত্রেই দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় তখন শিরোনাম হয়- বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাঁচতে হলে দেশত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ধর্মীয় উগ্রবাদী জঙ্গি সন্ত্রাসের সীমাহীন উত্থানে রাষ্ট্র নীরব ভূমিকা পালন করে। শঙ্কিত হয় আঞ্চলিক ও বিশ্বসম্প্রদায়। ২০০২ সালের ২ এপ্রিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে শিরোনাম হয় ‘পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশেও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে ইসলামিস্ট জঙ্গি।’ ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক পত্রিকায় বার্টন লিটনার লেখেন, ‘বাংলাদেশ হতে সাবধান, সেখানে এখন জঙ্গিগোষ্ঠীর আস্তানা’। আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসে তখনকার জামায়াত-বিএনপি সরকার পাকিস্তানের প্রক্সি হয়ে কাজ করতে থাকে, যা মানুষের সামনে চলে আসে ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালান ধরা পড়ার পর। আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনৈতিক পক্ষ যেন আর কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটানো হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড আক্রমণ। দেশের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়। সেই পথ ধরেই বিরাজনীতিকরণের প্রকল্প ২০০৭-০৮ মেয়াদের তথাকথিত নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগমন ঘটে। কিন্তু মানুষের ধাক্কায় তারাও টিকতে পারেনি। ২০০১-০৬ মেয়াদে জামায়াত-বিএনপির সীমাহীন ব্যর্থতার পরিণতিতে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পায়। ভূমিধস বিজয় পায় আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দেশের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা। এবার তিনি আরও ধীরস্থির, অভিজ্ঞ, পরিপক্ব ও পোড় খাওয়া এক নেত্রী। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রসহ অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর সুদৃঢ় ছাপ গত ১৫ বছরে পড়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে রোল মডেলের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ শাসনের ঐতিহাসিক সূত্রে সাত দশক ধরে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে জিইয়ে থাকা প্রায় সব সমস্যার সমাধান করেছেন, যার প্রত্যেকটি দেশের অগ্রায়ণের জন্য মাইলফলক অর্জন। আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস পুরোপুরি নির্মল করতে সক্ষম হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা কতখানি তা সম্প্রতি ব্রিকস ও জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেখা গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মানবসভ্যতাকে রক্ষা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার ভূমিকা এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি। ইতিহাস পথ দেখায়, ইতিহাস কথা বলে। তাই আজকের লেখায় গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের চলমান ধারায় একটা ছোট সারসংক্ষেপ চিত্র তুলে ধরলাম। বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে শিখেছে। সুতরাং বাংলাদেশ আর পেছনে নয়, সামনে যাবে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু

এই মাত্র | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে কৃষক সমাবেশ
ঝিনাইদহে কৃষক সমাবেশ

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫
ভাঙ্গায় পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিএনপির জনসমাবেশ

৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজ ২৬ নভেম্বর, দেখা যাবে ১০০ টাকায়
ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজ ২৬ নভেম্বর, দেখা যাবে ১০০ টাকায়

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

৫ গোলের বড় জয় দিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু বাংলাদেশের
৫ গোলের বড় জয় দিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু বাংলাদেশের

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভারতীয় পিয়াজ ভর্তি ট্রাকসহ গ্রেফতার ৩
সিলেটে ভারতীয় পিয়াজ ভর্তি ট্রাকসহ গ্রেফতার ৩

১৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

হুমকির ঘটনায় ওপেনএআইয়ের সানফ্রান্সিসকো অফিসে নিরাপত্তা জোরদার
হুমকির ঘটনায় ওপেনএআইয়ের সানফ্রান্সিসকো অফিসে নিরাপত্তা জোরদার

১৯ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ
বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দৌলতপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের আর্থিক সহযোগিতা
দৌলতপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের আর্থিক সহযোগিতা

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

মুন্সীগঞ্জে সড়ক মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ
মুন্সীগঞ্জে সড়ক মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ

৪২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

‘ধানের শীষ বিজয়ী হলে নতুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান’
‘ধানের শীষ বিজয়ী হলে নতুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান’

৪৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নিখোঁজের তিন দিন পর ধানক্ষেতে মিলল কৃষকের মরদেহ
নিখোঁজের তিন দিন পর ধানক্ষেতে মিলল কৃষকের মরদেহ

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেফতার ১
বগুড়ায় মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেফতার ১

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষকে কেউ হারাতে পারবে না: চট্টগ্রামে ইসরাফিল
ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষকে কেউ হারাতে পারবে না: চট্টগ্রামে ইসরাফিল

৫৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বোয়ালমারীতে যুবকের লাশ উদ্ধার
বোয়ালমারীতে যুবকের লাশ উদ্ধার

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কপ-৩০ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা
কপ-৩০ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি-বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি-বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ শুরু

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে চালু হচ্ছে ‘ই-ফ্যামেলি কোর্ট’
বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে চালু হচ্ছে ‘ই-ফ্যামেলি কোর্ট’

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোষের বার্ধক্য থামাতে ন্যানোফ্লাওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন
কোষের বার্ধক্য থামাতে ন্যানোফ্লাওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

দৌলতপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ
দৌলতপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানালেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং
বাংলাদেশে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানালেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে : মাজেদ বাবু
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে : মাজেদ বাবু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা