শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

অতুলনীয় সৈয়দ আবুল হোসেন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অতুলনীয় সৈয়দ আবুল হোসেন

বহুবার বলার চেষ্টা করেছি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন যতক্ষণ নিয়ন্ত্রণে ততক্ষণই তা মহাশক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকিতে আমেরিকার ফেলা আণবিক বোমার চাইতে শক্তিশালী। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তার কোনো মূল্যই থাকে না। গত ২৮ অক্টোবর তেমনটাই হয়েছে। টিভির পর্দায় বেশ কয়েকবার র‌্যাবের পোশাক পরে কোনো গাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে একজনকে কান্নাকাটি করতে দেখলাম। এটা কে  বিশ্বাস করবে, র‌্যাবের লোক অথবা র‌্যাবের পোশাক পরে পুলিশের রিকুইজিশন করা গাড়িতে আগুন দেবে? সরকারি লোকেরাও এমন কাজ করলে তো র‌্যাবের পোশাক পরার কথা না। আন্দোলনের নামে মুসলিমবিদ্বেষী ইসরায়েলের মতো পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ-এ কেমন কথা? কোনো সভ্য সমাজে এ তো কল্পনাও করা যায় না। এই প্রথম দেশের প্রধান বিচারপতির বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এ তো এক জঘন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। আবার হরতাল-অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধ কিন্তু এখনো তারা প্রত্যাহার করতে পারেনি। তারপর আবার হরতাল-অবরোধ কেমন হবে? বুমেরাং হবে না তো? সরকার দেশের মালিক না, তারা দেশের সেবক। সরকারকে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের কারণে দেশের মানুষ দিশাহারা, পরিবার-পরিজন নিয়ে একেবারে জেরবার। তাই ব্যাপারগুলো গভীরভাবে ধৈর্য নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। কারও বাড়াবাড়িতে দেশের যাতে ক্ষতি না হয়, মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

মানুষ ভাবে এক আর দয়াময় আল্লাহ করেন আরেক। চরম যন্ত্রণায় পুরো সপ্তাহজুড়ে ভাবছিলাম, ফিলিস্তিনির হাজার হাজার নিরপরাধ নর-নারীকে হত্যা এবং সেই হত্যায় ইসরায়েলি দস্যুদের সর্বোতভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার পরও কি বাংলাদেশের মুসলমানরা বিশেষ করে বিএনপির মুসলমানরা আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের প্রতি চাতকপাখির মতো তাকিয়ে থাকবে? নাকি তাদের হুঁশ হবে, আমেরিকা কারও বন্ধু না, বিশেষ করে আমাদের মতো দেশের কারও, কোনো দলের বা কোনো গোষ্ঠীর তো নয়ই। বরং মুসলিম জাহানের চরম শত্রু। সেদিন ভৈরবে এক মালবাহী ট্রেন যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনে আঘাত হেনেছে। এতে সেই সময় ১৭টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। পরে ক’জন মারা গেছে জানি না। বলতে বড় ইচ্ছে করছিল, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কি পদত্যাগ করবেন? মনে হয় না। এসব নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই। অথচ অর্ধশতাব্দী বা তারও কিছু আগে ভারতের এক রেল দুর্ঘটনায় রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। যা আজো সারা দুনিয়ার বিবেকবান মানুষের কাছে নজির হয়ে আছে। জানি মন্ত্রী বলবেন, ‘আমি কি রেল চালাই যে রেল দুর্ঘটনার জন্য আমাকে পদত্যাগ করতে হবে?’ যথার্থ সত্য কথা। ভারতের রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীও রেল চালাতেন না। তার সমর্থকরা বলেছিলেন, ‘আপনি তো রেল চালান নাই। তাই দুর্ঘটনার জন্য আপনি কেন পদত্যাগ করবেন?’ উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমি রেল চালাই না সত্য। কিন্তু যারা রেল চালায় তাদের তো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমি চালাই। তাই আমার ব্যর্থতাই রেলের দুর্ঘটনার কারণ।’ আমাদের নেতা পঞ্চগড়ের সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম সুজন হয়তো সেভাবে ভাববেন না। তাই পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই আসে না।

সুজনকে নিয়ে আর এগোতে পারলাম না। সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল। একেবারেই অভাবনীয় ব্যাপার। হঠাৎই একসময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আমার খুবই প্রিয় আপনজন পরম হিতৈষী সৈয়দ আবুল হোসেন চলে গেলেন। বয়সে আমার থেকে ৭-৮ বছরের ছোট। স্বাস্থ্যগতও ভালো ছিল। এই সেদিন তার অফিসে গিয়েছিলাম। সেটাই যে শেষ দেখা হবে একবারের জন্যও ভাবিনি। অন্য দিনের মতো সেদিনও স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন। পাশের হলরুম থেকে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন। কত কথা হয়েছিল। এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কি নির্বাচন করবেন? বলেছিলেন, ‘নেত্রী চাইলে নির্বাচন করব।’ বলেছিলেন, ‘আপনি বিশ^াস করবেন কি না নেত্রী চাইলে আমি আমার জীবনটাও দিতে পারি।’ আমি তার কথা বিশ^াস করতাম। সেদিনও করেছিলাম। ’৯০-এ ভারত থেকে ফেরার পর ’৯১ সালের ১৫ আগস্ট ছিলাম কারাগারে। ’৯২ সালের ১৫ আগস্ট বনানী কবরস্থানে পিতার স্বজনদের কবর জিয়ারতের পর ফেরার পথে আবুল হোসেনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। গাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন কোনো মোবাইল ছিল না। একজন ছোটখাটো সুশ্রী মানুষ পেছন থেকে হাত ধরে বলেছিলেন, ‘আমার নাম আবুল হোসেন। আমি এনায়েতপুরে বিয়ে করেছি। আপনার কথা কত শুনেছি। শ^শুরবাড়ি গেলে রাত-দিন আপনার কথা আলোচনা হয়।’ আবুল হোসেন তার গাড়িতে করে আমাকে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাতের পর শেষ দিন পর্যন্ত আমি তাকে একই রকম দেখেছি। এই সেদিন লিখেছিলাম, প্রাণ গোপাল দত্তের কথা। তার মধ্যে উজান-ভাটা, সময়-অসময়ের বিবেচনা ছিল না। সৈয়দ আবুল হোসেনও না। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করায় কতজন পালিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনকে সে রকম দেখিনি। আমি তেমন বাইরের খাবার খাই না। আল্লাহ আমাকে বাড়িঘরের খাবারেই সন্তুষ্ট রেখেছেন। এমনকি কোনো রিকশাওয়ালার ঘরে খাবার খেলে যে আনন্দ পাই ফাইভস্টার হোটেলের খাবারে কোনো দিন সেই আনন্দ পাইনি। তাই ওদিকে আমার কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু আবুল হোসেন বেশ কয়েকবার শেরাটন থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন আমার সঙ্গে খেতে। সত্যিই এক অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি। সেদিন আমায় কথা দিয়েছিলেন, তিনি অবশ্য অবশ্যই নির্বাচন করবেন। জিজ্ঞেস করেছিলাম, তার আসনে কে। আমার ধারণা ছিল বাহাউদ্দিন নাছিম। কিন্তু শুনলাম, না। সাবেক দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। একসময় কথা উঠেছিল, আমার নির্বাচনে দু-একটা গাড়ির দরকার হতে পারে। নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমার কোম্পানি মনে করবেন আপনার। দু-একটা কেন, যে ক’টা দরকার শুধু বলবেন পাঠিয়ে দেব। আপনার নির্বাচনে যত টাকা লাগে আমি দেব। দলের জন্যও যদি প্রয়োজন হয় সেটাও দেব। কিন্তু আপনি আপনার বোনকে দেখবেন।’ এও বলেছিলেন, ‘আপনার মতো তো আমরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মিশতে পারিনি। আমরা আপনার বোনের সঙ্গে মিশেছি, তাঁর ভালোবাসা পেয়েছি। আপনি বঙ্গবন্ধুকে যেমনি করে ভালোবাসেন, তাঁর জন্য সব বিলিয়ে দিতে পারেন, তেমনি আমিও আপনার বোনের জন্য অকাতরে সব করতে পারি।’ হ্যাঁ, এটা ঠিক লম্বাচওড়া মানুষ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুসারে একটু অন্য রকম। কিন্তু তাই বলে কিছুই বুঝি না, বুঝতাম না, এমন নয়। তার কথাবার্তা আমাকে মুগ্ধ করত। কোথাও কোনো কৃত্রিমতা খুঁজে পেতাম না। এক সাবলীল সরলতার ছবি ফুটে উঠত। আজ সেই মানুষটি নেই, ভাবতেও যেন কেমন লাগে। এটা খুবই সত্য, মানুষ মরণশীল। সব প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু তবু কিছুটা বোঝা যায়। এ তো একেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হঠাৎই খবরটি শুনে স্থির থাকতে পারিনি। যেহেতু টাঙ্গাইলে ছিলাম সহকর্মী ছিল অনেক। কিন্তু স্ত্রী, ছেলেমেয়ে আপনজন কেউ ছিল না। বড় অস্থির লাগছিল, বড় খারাপ লাগছিল। কেমন লাগছিল ঠিক বোঝাতে পারব না। সৈয়দ আবুল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে। খুব একটা ভালো লাগছে না। লিখতে গিয়েও দেহ-মন-মস্তিষ্ক কিছুই সাহায্য করছে না। কেমন যেন এক শূন্যতা কাজ করছে। সে শূন্যতা শুধু অনুভব করা যায় কাউকে বলা যায় না, বোঝানো যায় না। এক নিদারুণ শূন্যতায় কেমন যেন সবকিছু অসাড় হয়ে আছে। কখন কাটবে সেই অসারতার ঘোর ঠিক বুঝতে পারছি না। সত্য কথা বলতে কি বেঁচে থাকতে হৃদয়ে তার জায়গা কতটা বোঝা যায়নি। চলে গেলে বা হারিয়ে গেলে বোঝা বা উপলব্ধি করা যায় কতটা জায়গাজুড়ে সে বা তিনি ছিলেন। বুকে শোক নিয়ে ভেবেচিন্তে কোনো কিছুই ভালোভাবে লেখা যায় না। সৈয়দ আবুল হোসেনের ব্যাপারটাও তার ব্যতিক্রম হলো না। আবেগ ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু তবু দুঃখ-বেদনা-আনন্দের একটি প্রভাব আছে। তাকে অস্বীকার করার কোনো পথ নেই।

আগেই বলেছি, আমরা যা ভাবি অনেক সময়ই তা হয় না। সবই মহান স্রষ্টার হাতে। এই আবুল হোসেনের ব্যাপারটাও প্রায় তেমনি। তিনি বিয়ে করেছিলেন এনায়েতপুরের বিখ্যাত পীর পরিবারে। এনায়েতপুরের পীরেরা অন্যদের মতো গোঁড়ামিতে ভরা ছিলেন না। তারা শিক্ষা-দীক্ষায় বিশেষ করে লোক শিক্ষার পক্ষে সব সময় কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রায় পীরবাড়িই পাকিস্তানের দালালি করেছে। কেউ কেউ তো রাজাকার আলবদর সেজে সে যে কী জঘন্য কাজ করেছে তার কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু এনায়েতপুরের পীরসাহেবরা কখনো তেমন ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে যখন পাকিস্তানি হানাদাররা যমুনায় লঞ্চ নিয়ে এনায়েতপুরে নামতে যায় তখন সাধারণ মানুষ হানাদারদের বাধা দিয়েছিলেন। দুই-তিন দিন নামতেও পারেনি। সেই সময় পীরবাড়ির লোকজন সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের বেশ কয়েকটি টু-টু বোর এবং একনলা, দোনলা বন্দুক নিয়ে প্রতিরোধে শামিল হয়েছিলেন। পুরো যুদ্ধের সময়ও তারা খুব একটা হানাদারদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা উঠাবসা করেননি। দু-একজন পাকিস্তানি সামরিক অফিসার মাজার শরিফে গিয়ে প্রথম প্রথম কিছু ধমকা-ধমকি করলেও বরং হানাদাররাই তাদের ফণা নামিয়ে নিয়েছে। সেই পীরবাড়িতে সৈয়দ আবুল হোসেন বিয়ে করেছিলেন। সৈয়দ আবুল হোসেনের স্ত্রী খাজা নার্গিসকে দেখিনি। তার ছেলে নেই, দুই মেয়ে-সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন। তাদেরও দেখিনি। তার বাবা, মরহুম সৈয়দ আতাহার আলী, মাতা-মরহুম সৈয়দা সুফিয়া আলী, তিন ভাই ও তিন বোন-মরহুম সৈয়দ আবুল কাশেম, সৈয়দ আবুল হোসেন, ডা. সৈয়দ আবুল হাসান, সৈয়দা শামছুন্নাহার, সৈয়দা জাহানারা, সৈয়দা মনোয়ারা। স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকায় অনেককেই আমরা টাঙ্গাইলের চমচম খাইয়ে থাকি। সৈয়দ আবুল হোসেনের বাড়িতেও দুই-চারবার পাঠিয়েছি। কিন্তু তার বাড়িতে অনেক সময়ই তেমন কেউ থাকে না। অফিস ভর্তি গমগম করা মানুষজন। কিন্তু বাড়িঘর শ্মশানের মতো। আমি অনেক বড় বড় ধনী রাজনীতিবিদ বিখ্যাত লোকজনদের বাড়িঘর চিনি। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনের ঢাকার বাড়ি চিনি না। তার সঙ্গে মাদারীপুর ডাসার বেতগ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর একসঙ্গে যাওয়া হলো না। আরও কিছু সময় বেঁচে থাকলে হয়তো যাব। কিন্তু সেটা আবুল হোসেনের সঙ্গে যাওয়া হবে না। তার পরিবারের মধ্যে শুধু এক শ্যালক খাজা গোলাম মেহেদীকে দেখেছি। কয়েকবার দেখা কথা হয়েছে যখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন। সে অনেক দিনের কথা। এখন সে যোগাযোগও হারিয়ে গেছে। এমন একজন নিরহংকার মানুষ ভাবা যায় না। কত স্কুল-কলেজ করেছেন যেটা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়। যতবার তার সঙ্গে দেখা হতো একটা-দুইটা বইসহ কিছু টাকা অবশ্যই দিতেন। সেটা একেবারে হেলাফেলা নয়, অনেকের ধারণার বাইরে। আমি কিছু লিখলেই সেসব নিয়ে চমৎকার চিঠি পাঠাতেন। সেদিনও এক চমৎকার চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তার অনেক কর্মকান্ডের সুন্দর প্রমাণসহ বর্ণনা ছিল।

সেদিন ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল শুভ উদ্বোধন করলেন। সত্যিই ব্যাপারটা খুবই বিস্ময়কর। এমন বিস্ময়কর টানেল এখনো আমাদের আশপাশের কোনো দেশে নেই। এটা অবশ্যই বোনের দৃঢ় রাজনীতির সফলতা। এ জন্য তিনি দেশবাসীর অভিনন্দন পেতেই পারেন। কদিন আগে লিখেছিলাম, পদ্মা সেতু এবং রেলের মতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সূচনায় আবুল হোসেনের ভূমিকা ছিল। তাই বোন তাকে শুভ উদ্বোধনে সঙ্গে নিতে পারতেন। পদ্মা সেতুতে তাকে পাশে নিয়ে উদ্বোধন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদারতাই বেড়েছে, মোটেই কমেনি। রেলের ক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারত। যে কাজ করে, যে ভূমিকা রাখে তাদের যথাযথ স্বীকৃতি দিলে, গুরুত্ব দিলে পরবর্তী প্রজন্ম উৎসাহিত হয়। কেন যেন ধীরে ধীরে আমাদের সেই জিনিসটা অনেক কমে গেছে।

আমরা যখন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করে গামছা প্রতীক নেই তখন অনেকেই চোখ উল্টে ছিল। যারা বাবর রোডে এসে ২-৪-১০ লাখের প্যাকেট রেখে যেত এমনভাবে দু পা চেপে ধরত যেন তারা কত অপরাধ করেছে। সেসব থেকে যেন তাদের দায়মুক্তির দরকার। কিন্তু গামছা কাঁধে নিলে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আগেই বলেছি, বেশকিছু লোক তেমন করেনি। তারা আগেও যা ছিলেন পরেও তা। তার মধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেন অন্যতম প্রধান। একবার আমরা প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী নিয়ে বাংলাবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ নারী শিক্ষার পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখওয়াতের পূতপবিত্র ভূমি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গিয়েছিলাম। সে যে কী ঝড়-তুফানে পড়েছিলাম বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত প্রতিষ্ঠানের পাশে স্কুল মাঠে সে বলার মতো নয়। সেবার এনায়েতপুর পীরবাড়ি খেয়েছিলাম। আমাকে সৈয়দ আবুল হোসেনের শ^শুর পীর খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার সামনে বসিয়ে নিজে হাতে খাইয়ে ছিলেন। আমার বাবাকে অমনটা করতে দেখেছি। বাবা ভীষণ মেজাজি মানুষ ছিলেন। কিন্তু রাস্তার ফকির মিশকিনকেও বাড়ি এনে যখন খাওয়াতেন পাটি বিছিয়ে তিনিও তাদের সামনে বসতেন, নিজের হাতে খাবার তুলে দিতেন। ঠিক তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা আমাকে নিজে হাতে কতবার খাইয়েছেন তার হিসাব-নিকাশ নেই। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী খাইয়েছেন। জয়প্রকাশ নারায়ণ, জ্যোতি বসু, জ্যোতি বসুর স্ত্রী কমলা বসু, ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, তার স্ত্রী গীতা মুখার্জি এরকম নানাজনের নানা সমাদর পেয়েছি। কিন্তু এনায়েতপুরের পীর গদিনসীন জনাব খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার পরিবেশন এবং আন্তরিকতা ছিল অসাধারণ ভোলার মতো নয়। তিনি খাওয়াতে গিয়ে একসময় বলেছিলেন, ‘বাবা, কোনো পীরের মাজারে অন্যের হাতে দোয়া করাবেন না। নিজেই করবেন। যা চাওয়ার নিজেই চাইবেন। তাতে অনেক ভালো হবে।’ সত্যিই সে থেকে আমি আমার চাওয়া নিজেই চাই। কোনো ইমাম মওলানার চাওয়ার সঙ্গে গলা মিলাই না। তাদের মধ্যেও কোনো জোয়ার-ভাটা দেখিনি। সরকার খুশি না রুষ্ট হবে সে ভাবনাও ছিল না। আবুল হোসেনের মতো এমন এক অসাধারণ বিরল চরিত্রের মানুষ যাকে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে পদ হারাতে হয়েছিল। তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পুরো সময় পার করতে পারেননি। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবেও না। সৎ মেধাবী মানুষের শত্রুর অভাব হয় না। আর বিত্তশালী হলে তো কথাই নেই। তবে তিনি কখনো কোনো দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে আমার মনে হয়নি। তিনি একমাত্র নেতা, মন্ত্রী, যিনি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে কানাডার আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে ছিলেন। দেশবাসীর সঙ্গে আমারও কামনা ছিল, যে দুর্নাম অপমান নিয়ে পদ ছেড়েছিলেন কোর্টে নিরপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তার মন্ত্রিত্ব ফিরে পাবেন। কিন্তু তা পাননি। বিষয়টা অপূর্ণই থেকে গেল। সে যাক, মানুষের প্রতি মানুষের কত সুগভীর ভালোবাসা থাকতে পারে সেটা সৈয়দ আবুল হোসেনের মধ্যে দেখেছি। সর্বশেষ সাক্ষাতে আবুল হোসেন কতবার যে আমার ভাতিজা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ছেলে আবুল হাসান চৌধুরীর কথা বলছিলেন তা কল্পনাও করা যায় না। তার আকুতি ছিল অসাধারণ। বারবার বলছিলেন, ‘ভাই, এই মানুষটার প্রতি, আমার বন্ধুটার প্রতি খেয়াল রাখবেন।’ আমিও হাসানকে প্রচন্ড ভালোবাসি। আবুল হাসান চৌধুরীর মতো নিষ্ঠাবান প্রত্যয়ী সৎ মানুষ আজকের দিনে খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। কিন্তু যা হওয়ার তাই হয়েছে। মৃত্যু তো অবধারিত সত্য। মৃত্যুর আহ্বান কারও ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা নেই। সৈয়দ আবুল হোসেনেরও ছিল না। তাই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। মাদারীপুর ডাসা উপজেলার মানুষ ভীষণ ব্যথিত মর্মাহত। পত্রিকায় তাদের আকুলতা দেখে আমি ভীষণ অভিভূত হয়েছি। কলিজা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। আবুল হোসেনের কবর হওয়ার কথা ছিল জন্মভূমি ডাসাতে। সেভাবেই কবরের জায়গা চিহ্নিত করে চমৎকার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে। এ জন্য এলাকাবাসীর মনে ভীষণ কষ্ট। এটা খুবই স্বাভাবিক। যেখানে জন্ম সেখানেই মাটি নিতে পারলে সেটাই সর্বোত্তম। যেমনটা আমার চাওয়া। গ্রামের বাড়ি মসজিদের পাশে জামতলে যেখানে আমার নাড়ি পোঁতা হয়েছিল তার পাশেই পারিবারিক গোরস্থানে আমার বাবা-মা ঘুমিয়ে আছেন। সেখানে মায়ের পায়ের নিচে আমাকে কবর দিতে অনুরোধ করেছি। বাবার পা রেখেছি বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর জন্য। তিনি যদি সেখানে মাটি নেন নেবেন। কিন্তু আল্লাহর কাছে আমার কামনা, তিনি যেন মায়ের পায়ের নিচে আমার কবর নেওয়ার তৌফিক দান করেন। পরম করুণাময় আল্লাহ যেন সৈয়দ আবুল হোসেনকে বেহেশতবাসী করেন, তার পরিবার-পরিজনকে এই শোক সইবার শক্তি দান করেন। আমিন।

                 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
স্বাস্থ্যব্যয়
স্বাস্থ্যব্যয়
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক
ইসলামের দৃষ্টিতে জীবনের নিরাপত্তা
ইসলামের দৃষ্টিতে জীবনের নিরাপত্তা
আল্লাহ মানুষকে মর্যাদাশীল করেছেন
আল্লাহ মানুষকে মর্যাদাশীল করেছেন
সামাজিক ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে মাদক
সামাজিক ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে মাদক
পানি নিয়ে যুদ্ধ যুগে যুগে
পানি নিয়ে যুদ্ধ যুগে যুগে
জাকাত : গুরুত্ব ও মাসায়েল
জাকাত : গুরুত্ব ও মাসায়েল
মশার নগরী ঢাকা
মশার নগরী ঢাকা
বাশারের পতন
বাশারের পতন
অটোরিকশা : নিষিদ্ধ নাকি নিয়ন্ত্রণ
অটোরিকশা : নিষিদ্ধ নাকি নিয়ন্ত্রণ
সময়ের পরিবর্তন ও হারিয়ে যাওয়া পেশা
সময়ের পরিবর্তন ও হারিয়ে যাওয়া পেশা
বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের রাজনীতি
বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
গাইবান্ধায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
গাইবান্ধায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

‘দেশের এক ইঞ্চি দখলের চেষ্টা করলে হাত ভেঙে দিতে দ্বিধাবোধ করবো না’
‘দেশের এক ইঞ্চি দখলের চেষ্টা করলে হাত ভেঙে দিতে দ্বিধাবোধ করবো না’

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিববাড়িয়া নদীর দখল-দূষণ বন্ধে সভা
শিববাড়িয়া নদীর দখল-দূষণ বন্ধে সভা

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্বার্থান্ধতার কারণে দেশের রাজনীতি আজ লক্ষ্যচ্যুত : সেলিম উদ্দিন
স্বার্থান্ধতার কারণে দেশের রাজনীতি আজ লক্ষ্যচ্যুত : সেলিম উদ্দিন

৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

বগুড়ায় কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
বগুড়ায় কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘পুষ্পা ২’ শো শেষে সিনেমা হল থেকে মরদেহ উদ্ধার
‘পুষ্পা ২’ শো শেষে সিনেমা হল থেকে মরদেহ উদ্ধার

১৭ মিনিট আগে | শোবিজ

‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দেশের সবাই ঐক্যবদ্ধ’
‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দেশের সবাই ঐক্যবদ্ধ’

২৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

পিরোজপুরে আরেক মামলায় তারেক রহমানকে অব্যাহতি
পিরোজপুরে আরেক মামলায় তারেক রহমানকে অব্যাহতি

২৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় পিআইডির সেমিনার অনুষ্ঠিত
নেত্রকোনায় পিআইডির সেমিনার অনুষ্ঠিত

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জয়পুরহাটে কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
জয়পুরহাটে কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় তথ্য ও প্রযুক্তি মেলা
কলাপাড়ায় তথ্য ও প্রযুক্তি মেলা

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গান বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ
গান বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

শমী কায়সারের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের
শমী কায়সারের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে: উপদেষ্টা আসিফ
অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে: উপদেষ্টা আসিফ

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

অবসরে গেলেন বিচারপতি জিয়াউল করিম
অবসরে গেলেন বিচারপতি জিয়াউল করিম

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

কুলাউড়ায় প্রকল্পের টাকা ছাত্রলীগ নেতার পেটে, ফেরত দিতে চিঠি
কুলাউড়ায় প্রকল্পের টাকা ছাত্রলীগ নেতার পেটে, ফেরত দিতে চিঠি

৫৮ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

মোরেলগঞ্জে কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
মোরেলগঞ্জে কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টে খালাস চাইলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টে খালাস চাইলেন লুৎফুজ্জামান বাবর

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

লংমার্চের যাত্রা পথে ভৈরবে বিএনপির ৩ সংগঠনের পথসভা
লংমার্চের যাত্রা পথে ভৈরবে বিএনপির ৩ সংগঠনের পথসভা

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গ্রেফতার

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐতিহ্যবাহী সাম্পানে আইসিসির চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
ঐতিহ্যবাহী সাম্পানে আইসিসির চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর
সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস পালিত
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস পালিত

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

শীতকালেও সানস্ক্রিন : কতবার এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন?
শীতকালেও সানস্ক্রিন : কতবার এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন?

১ ঘন্টা আগে | জীবন ধারা

ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করা সহজ নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করা সহজ নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন নিয়ে মুখ খুললেন খামেনি
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন নিয়ে মুখ খুললেন খামেনি

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে মহাসড়কে প্রাণ গেল যুবকের
সিলেটে মহাসড়কে প্রাণ গেল যুবকের

১ ঘন্টা আগে | চায়ের দেশ

নিজের তৈরী অণুজীব সার ব্যবহারে সফল কৃষক আজহারুল
নিজের তৈরী অণুজীব সার ব্যবহারে সফল কৃষক আজহারুল

১ ঘন্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

হত্যা মামলার আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
হত্যা মামলার আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসা দিতে সতর্ক করল সরকার
১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসা দিতে সতর্ক করল সরকার

২২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

নেচার সাময়িকীর সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস
নেচার সাময়িকীর সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

১৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ইতিহাসে সর্বনিম্ন রুপির দাম, ভারতের রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কা
ইতিহাসে সর্বনিম্ন রুপির দাম, ভারতের রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কা

২৩ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন পেশায় জায়েদ খান
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন পেশায় জায়েদ খান

১৪ ঘন্টা আগে | শোবিজ

আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েলের ৩১০ হামলা
আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েলের ৩১০ হামলা

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কে এই মোহাম্মদ আল-বশির
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কে এই মোহাম্মদ আল-বশির

৭ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসাদকে দামেস্ক থেকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয় জানাল রাশিয়া
আসাদকে দামেস্ক থেকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয় জানাল রাশিয়া

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল
আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

৪ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে গ্রাহক
ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে গ্রাহক

৫ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

প্রবাসীদের সুখবর দিলেন ড. আসিফ নজরুল
প্রবাসীদের সুখবর দিলেন ড. আসিফ নজরুল

২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ভারত ফেরত না দিলেও শেখ হাসিনার বিচার চলবে: টবি ক্যাডম্যান
ভারত ফেরত না দিলেও শেখ হাসিনার বিচার চলবে: টবি ক্যাডম্যান

৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন
দুদকের নতুন চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েলের ভয়
যে কারণে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েলের ভয়

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র স্পষ্ট: সরকার পতনের পর ১৬৫৭ কোটিপতি হাওয়া
দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র স্পষ্ট: সরকার পতনের পর ১৬৫৭ কোটিপতি হাওয়া

৫ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

ডিএমপির চার কর্মকর্তা বরখাস্ত
ডিএমপির চার কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৯ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

পশ্চিমবঙ্গের ভ্লগারকে বাংলাদেশি বলে প্রচার করল ভারতীয় মিডিয়া!
পশ্চিমবঙ্গের ভ্লগারকে বাংলাদেশি বলে প্রচার করল ভারতীয় মিডিয়া!

২২ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ আবু সাঈদের বাবা, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়
অসুস্থ আবু সাঈদের বাবা, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় কুর্দি ও তুর্কি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় কুর্দি ও তুর্কি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি

৬ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আখাউড়ায় লং মার্চকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি
আখাউড়ায় লং মার্চকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি

১৭ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

বাশার আল-আসাদের কুখ্যাত কারাগারে থেকে মুক্ত হয়ে বন্দীরা দিলেন নির্মমতার বর্ণনা
বাশার আল-আসাদের কুখ্যাত কারাগারে থেকে মুক্ত হয়ে বন্দীরা দিলেন নির্মমতার বর্ণনা

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা অবরোধ
শ্রমিক নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা অবরোধ

১৮ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

জুলাইয়ের বিপ্লবী কন্যাদের কথা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা
জুলাইয়ের বিপ্লবী কন্যাদের কথা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হয়েছেন পুলিশের গুলিতে আহতরা
সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হয়েছেন পুলিশের গুলিতে আহতরা

২৩ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

দেশে অবস্থান করা অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি
দেশে অবস্থান করা অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি

৬ ঘন্টা আগে | জাতীয়

মুসলমানদের শাম অঞ্চল বিজয়ের ইতিহাস
মুসলমানদের শাম অঞ্চল বিজয়ের ইতিহাস

৭ ঘন্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করল  যুক্তরাষ্ট্র
বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করল যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাকিবের খেলা যে জাতীয় লিগ নিষিদ্ধ করল আইসিসি
সাকিবের খেলা যে জাতীয় লিগ নিষিদ্ধ করল আইসিসি

১১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরুষ নির্যাতন মামলা, আদালতের সমন জারি
স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরুষ নির্যাতন মামলা, আদালতের সমন জারি

২২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

পরিকল্পনা কমিশন সদস্য সোলেমান খানকে বাধ্যতামূলক অবসর
পরিকল্পনা কমিশন সদস্য সোলেমান খানকে বাধ্যতামূলক অবসর

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় রাহাত ফাতেহ আলী খানের কনসার্টের টিকিট মূল্য যত
ঢাকায় রাহাত ফাতেহ আলী খানের কনসার্টের টিকিট মূল্য যত

১১ ঘন্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
মামলামুক্ত হতে আর কত অপেক্ষা
মামলামুক্ত হতে আর কত অপেক্ষা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর প্রতারণায় ভোক্তারা
ভয়ংকর প্রতারণায় ভোক্তারা

প্রথম পৃষ্ঠা

শিশু পর্নোগ্রাফিতে আন্তর্জাতিক চক্র
শিশু পর্নোগ্রাফিতে আন্তর্জাতিক চক্র

পেছনের পৃষ্ঠা

মাহাথিরের হুঁশিয়ারি
মাহাথিরের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ হচ্ছে ‘বিশেষ আট’ দপ্তর
বন্ধ হচ্ছে ‘বিশেষ আট’ দপ্তর

নগর জীবন

আস্থাহীনতা কাটানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ
আস্থাহীনতা কাটানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা
আতঙ্কে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রহস্য এখনো কাটল না
রহস্য এখনো কাটল না

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাসের নায়িকা
জুলাই বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাসের নায়িকা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে
শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাম্প্রদায়িক নয়, ৯ জনের মৃত্যুর কারণ রাজনৈতিক
সাম্প্রদায়িক নয়, ৯ জনের মৃত্যুর কারণ রাজনৈতিক

প্রথম পৃষ্ঠা

নারী পাচারে দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার
নারী পাচারে দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো ছবি নেই : সংকটে সিনেপ্লেক্স
ভালো ছবি নেই : সংকটে সিনেপ্লেক্স

শোবিজ

স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন স্ত্রীও
স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন স্ত্রীও

পেছনের পৃষ্ঠা

মংডু এখন আরাকান আর্মির
মংডু এখন আরাকান আর্মির

প্রথম পৃষ্ঠা

থোকায় থোকায় কমলা
থোকায় থোকায় কমলা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসায় বিশেষ সতর্কতা
১৪ দেশের নাগরিকদের ভিসায় বিশেষ সতর্কতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগরতলা অভিমুখে আজ লংমার্চ
আগরতলা অভিমুখে আজ লংমার্চ

প্রথম পৃষ্ঠা

গান করি, ঘুরে বেড়াই ভালোই তো লাগছে
গান করি, ঘুরে বেড়াই ভালোই তো লাগছে

শোবিজ

জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত
জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো যাবে না
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

৭৯ জেলে-নাবিক ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় বাহিনী
৭৯ জেলে-নাবিক ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব
হাসিনা ও রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা পূরণে এখনো লড়াই করাটা দুঃখজনক
মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা পূরণে এখনো লড়াই করাটা দুঃখজনক

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনমুখী পদযাত্রা
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনমুখী পদযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

দুদক চেয়ারম্যান মোমেন
দুদক চেয়ারম্যান মোমেন

প্রথম পৃষ্ঠা

পানি নিয়ে যুদ্ধ যুগে যুগে
পানি নিয়ে যুদ্ধ যুগে যুগে

সম্পাদকীয়

বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তা সুপারিশ পদোন্নতির
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তা সুপারিশ পদোন্নতির

পেছনের পৃষ্ঠা

র‌্যাব বিলুপ্তি চায় বিএনপি
র‌্যাব বিলুপ্তি চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা