শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

অতুলনীয় সৈয়দ আবুল হোসেন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
অতুলনীয় সৈয়দ আবুল হোসেন

বহুবার বলার চেষ্টা করেছি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন যতক্ষণ নিয়ন্ত্রণে ততক্ষণই তা মহাশক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকিতে আমেরিকার ফেলা আণবিক বোমার চাইতে শক্তিশালী। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তার কোনো মূল্যই থাকে না। গত ২৮ অক্টোবর তেমনটাই হয়েছে। টিভির পর্দায় বেশ কয়েকবার র‌্যাবের পোশাক পরে কোনো গাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে একজনকে কান্নাকাটি করতে দেখলাম। এটা কে  বিশ্বাস করবে, র‌্যাবের লোক অথবা র‌্যাবের পোশাক পরে পুলিশের রিকুইজিশন করা গাড়িতে আগুন দেবে? সরকারি লোকেরাও এমন কাজ করলে তো র‌্যাবের পোশাক পরার কথা না। আন্দোলনের নামে মুসলিমবিদ্বেষী ইসরায়েলের মতো পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ-এ কেমন কথা? কোনো সভ্য সমাজে এ তো কল্পনাও করা যায় না। এই প্রথম দেশের প্রধান বিচারপতির বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এ তো এক জঘন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। আবার হরতাল-অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধ কিন্তু এখনো তারা প্রত্যাহার করতে পারেনি। তারপর আবার হরতাল-অবরোধ কেমন হবে? বুমেরাং হবে না তো? সরকার দেশের মালিক না, তারা দেশের সেবক। সরকারকে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের কারণে দেশের মানুষ দিশাহারা, পরিবার-পরিজন নিয়ে একেবারে জেরবার। তাই ব্যাপারগুলো গভীরভাবে ধৈর্য নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। কারও বাড়াবাড়িতে দেশের যাতে ক্ষতি না হয়, মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

মানুষ ভাবে এক আর দয়াময় আল্লাহ করেন আরেক। চরম যন্ত্রণায় পুরো সপ্তাহজুড়ে ভাবছিলাম, ফিলিস্তিনির হাজার হাজার নিরপরাধ নর-নারীকে হত্যা এবং সেই হত্যায় ইসরায়েলি দস্যুদের সর্বোতভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার পরও কি বাংলাদেশের মুসলমানরা বিশেষ করে বিএনপির মুসলমানরা আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের প্রতি চাতকপাখির মতো তাকিয়ে থাকবে? নাকি তাদের হুঁশ হবে, আমেরিকা কারও বন্ধু না, বিশেষ করে আমাদের মতো দেশের কারও, কোনো দলের বা কোনো গোষ্ঠীর তো নয়ই। বরং মুসলিম জাহানের চরম শত্রু। সেদিন ভৈরবে এক মালবাহী ট্রেন যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনে আঘাত হেনেছে। এতে সেই সময় ১৭টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। পরে ক’জন মারা গেছে জানি না। বলতে বড় ইচ্ছে করছিল, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কি পদত্যাগ করবেন? মনে হয় না। এসব নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই। অথচ অর্ধশতাব্দী বা তারও কিছু আগে ভারতের এক রেল দুর্ঘটনায় রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। যা আজো সারা দুনিয়ার বিবেকবান মানুষের কাছে নজির হয়ে আছে। জানি মন্ত্রী বলবেন, ‘আমি কি রেল চালাই যে রেল দুর্ঘটনার জন্য আমাকে পদত্যাগ করতে হবে?’ যথার্থ সত্য কথা। ভারতের রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীও রেল চালাতেন না। তার সমর্থকরা বলেছিলেন, ‘আপনি তো রেল চালান নাই। তাই দুর্ঘটনার জন্য আপনি কেন পদত্যাগ করবেন?’ উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমি রেল চালাই না সত্য। কিন্তু যারা রেল চালায় তাদের তো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমি চালাই। তাই আমার ব্যর্থতাই রেলের দুর্ঘটনার কারণ।’ আমাদের নেতা পঞ্চগড়ের সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম সুজন হয়তো সেভাবে ভাববেন না। তাই পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই আসে না।

সুজনকে নিয়ে আর এগোতে পারলাম না। সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল। একেবারেই অভাবনীয় ব্যাপার। হঠাৎই একসময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আমার খুবই প্রিয় আপনজন পরম হিতৈষী সৈয়দ আবুল হোসেন চলে গেলেন। বয়সে আমার থেকে ৭-৮ বছরের ছোট। স্বাস্থ্যগতও ভালো ছিল। এই সেদিন তার অফিসে গিয়েছিলাম। সেটাই যে শেষ দেখা হবে একবারের জন্যও ভাবিনি। অন্য দিনের মতো সেদিনও স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন। পাশের হলরুম থেকে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন। কত কথা হয়েছিল। এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কি নির্বাচন করবেন? বলেছিলেন, ‘নেত্রী চাইলে নির্বাচন করব।’ বলেছিলেন, ‘আপনি বিশ^াস করবেন কি না নেত্রী চাইলে আমি আমার জীবনটাও দিতে পারি।’ আমি তার কথা বিশ^াস করতাম। সেদিনও করেছিলাম। ’৯০-এ ভারত থেকে ফেরার পর ’৯১ সালের ১৫ আগস্ট ছিলাম কারাগারে। ’৯২ সালের ১৫ আগস্ট বনানী কবরস্থানে পিতার স্বজনদের কবর জিয়ারতের পর ফেরার পথে আবুল হোসেনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। গাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন কোনো মোবাইল ছিল না। একজন ছোটখাটো সুশ্রী মানুষ পেছন থেকে হাত ধরে বলেছিলেন, ‘আমার নাম আবুল হোসেন। আমি এনায়েতপুরে বিয়ে করেছি। আপনার কথা কত শুনেছি। শ^শুরবাড়ি গেলে রাত-দিন আপনার কথা আলোচনা হয়।’ আবুল হোসেন তার গাড়িতে করে আমাকে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাতের পর শেষ দিন পর্যন্ত আমি তাকে একই রকম দেখেছি। এই সেদিন লিখেছিলাম, প্রাণ গোপাল দত্তের কথা। তার মধ্যে উজান-ভাটা, সময়-অসময়ের বিবেচনা ছিল না। সৈয়দ আবুল হোসেনও না। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করায় কতজন পালিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনকে সে রকম দেখিনি। আমি তেমন বাইরের খাবার খাই না। আল্লাহ আমাকে বাড়িঘরের খাবারেই সন্তুষ্ট রেখেছেন। এমনকি কোনো রিকশাওয়ালার ঘরে খাবার খেলে যে আনন্দ পাই ফাইভস্টার হোটেলের খাবারে কোনো দিন সেই আনন্দ পাইনি। তাই ওদিকে আমার কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু আবুল হোসেন বেশ কয়েকবার শেরাটন থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন আমার সঙ্গে খেতে। সত্যিই এক অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি। সেদিন আমায় কথা দিয়েছিলেন, তিনি অবশ্য অবশ্যই নির্বাচন করবেন। জিজ্ঞেস করেছিলাম, তার আসনে কে। আমার ধারণা ছিল বাহাউদ্দিন নাছিম। কিন্তু শুনলাম, না। সাবেক দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। একসময় কথা উঠেছিল, আমার নির্বাচনে দু-একটা গাড়ির দরকার হতে পারে। নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমার কোম্পানি মনে করবেন আপনার। দু-একটা কেন, যে ক’টা দরকার শুধু বলবেন পাঠিয়ে দেব। আপনার নির্বাচনে যত টাকা লাগে আমি দেব। দলের জন্যও যদি প্রয়োজন হয় সেটাও দেব। কিন্তু আপনি আপনার বোনকে দেখবেন।’ এও বলেছিলেন, ‘আপনার মতো তো আমরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মিশতে পারিনি। আমরা আপনার বোনের সঙ্গে মিশেছি, তাঁর ভালোবাসা পেয়েছি। আপনি বঙ্গবন্ধুকে যেমনি করে ভালোবাসেন, তাঁর জন্য সব বিলিয়ে দিতে পারেন, তেমনি আমিও আপনার বোনের জন্য অকাতরে সব করতে পারি।’ হ্যাঁ, এটা ঠিক লম্বাচওড়া মানুষ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুসারে একটু অন্য রকম। কিন্তু তাই বলে কিছুই বুঝি না, বুঝতাম না, এমন নয়। তার কথাবার্তা আমাকে মুগ্ধ করত। কোথাও কোনো কৃত্রিমতা খুঁজে পেতাম না। এক সাবলীল সরলতার ছবি ফুটে উঠত। আজ সেই মানুষটি নেই, ভাবতেও যেন কেমন লাগে। এটা খুবই সত্য, মানুষ মরণশীল। সব প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু তবু কিছুটা বোঝা যায়। এ তো একেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হঠাৎই খবরটি শুনে স্থির থাকতে পারিনি। যেহেতু টাঙ্গাইলে ছিলাম সহকর্মী ছিল অনেক। কিন্তু স্ত্রী, ছেলেমেয়ে আপনজন কেউ ছিল না। বড় অস্থির লাগছিল, বড় খারাপ লাগছিল। কেমন লাগছিল ঠিক বোঝাতে পারব না। সৈয়দ আবুল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে। খুব একটা ভালো লাগছে না। লিখতে গিয়েও দেহ-মন-মস্তিষ্ক কিছুই সাহায্য করছে না। কেমন যেন এক শূন্যতা কাজ করছে। সে শূন্যতা শুধু অনুভব করা যায় কাউকে বলা যায় না, বোঝানো যায় না। এক নিদারুণ শূন্যতায় কেমন যেন সবকিছু অসাড় হয়ে আছে। কখন কাটবে সেই অসারতার ঘোর ঠিক বুঝতে পারছি না। সত্য কথা বলতে কি বেঁচে থাকতে হৃদয়ে তার জায়গা কতটা বোঝা যায়নি। চলে গেলে বা হারিয়ে গেলে বোঝা বা উপলব্ধি করা যায় কতটা জায়গাজুড়ে সে বা তিনি ছিলেন। বুকে শোক নিয়ে ভেবেচিন্তে কোনো কিছুই ভালোভাবে লেখা যায় না। সৈয়দ আবুল হোসেনের ব্যাপারটাও তার ব্যতিক্রম হলো না। আবেগ ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু তবু দুঃখ-বেদনা-আনন্দের একটি প্রভাব আছে। তাকে অস্বীকার করার কোনো পথ নেই।

আগেই বলেছি, আমরা যা ভাবি অনেক সময়ই তা হয় না। সবই মহান স্রষ্টার হাতে। এই আবুল হোসেনের ব্যাপারটাও প্রায় তেমনি। তিনি বিয়ে করেছিলেন এনায়েতপুরের বিখ্যাত পীর পরিবারে। এনায়েতপুরের পীরেরা অন্যদের মতো গোঁড়ামিতে ভরা ছিলেন না। তারা শিক্ষা-দীক্ষায় বিশেষ করে লোক শিক্ষার পক্ষে সব সময় কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রায় পীরবাড়িই পাকিস্তানের দালালি করেছে। কেউ কেউ তো রাজাকার আলবদর সেজে সে যে কী জঘন্য কাজ করেছে তার কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু এনায়েতপুরের পীরসাহেবরা কখনো তেমন ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে যখন পাকিস্তানি হানাদাররা যমুনায় লঞ্চ নিয়ে এনায়েতপুরে নামতে যায় তখন সাধারণ মানুষ হানাদারদের বাধা দিয়েছিলেন। দুই-তিন দিন নামতেও পারেনি। সেই সময় পীরবাড়ির লোকজন সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের বেশ কয়েকটি টু-টু বোর এবং একনলা, দোনলা বন্দুক নিয়ে প্রতিরোধে শামিল হয়েছিলেন। পুরো যুদ্ধের সময়ও তারা খুব একটা হানাদারদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা উঠাবসা করেননি। দু-একজন পাকিস্তানি সামরিক অফিসার মাজার শরিফে গিয়ে প্রথম প্রথম কিছু ধমকা-ধমকি করলেও বরং হানাদাররাই তাদের ফণা নামিয়ে নিয়েছে। সেই পীরবাড়িতে সৈয়দ আবুল হোসেন বিয়ে করেছিলেন। সৈয়দ আবুল হোসেনের স্ত্রী খাজা নার্গিসকে দেখিনি। তার ছেলে নেই, দুই মেয়ে-সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন। তাদেরও দেখিনি। তার বাবা, মরহুম সৈয়দ আতাহার আলী, মাতা-মরহুম সৈয়দা সুফিয়া আলী, তিন ভাই ও তিন বোন-মরহুম সৈয়দ আবুল কাশেম, সৈয়দ আবুল হোসেন, ডা. সৈয়দ আবুল হাসান, সৈয়দা শামছুন্নাহার, সৈয়দা জাহানারা, সৈয়দা মনোয়ারা। স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকায় অনেককেই আমরা টাঙ্গাইলের চমচম খাইয়ে থাকি। সৈয়দ আবুল হোসেনের বাড়িতেও দুই-চারবার পাঠিয়েছি। কিন্তু তার বাড়িতে অনেক সময়ই তেমন কেউ থাকে না। অফিস ভর্তি গমগম করা মানুষজন। কিন্তু বাড়িঘর শ্মশানের মতো। আমি অনেক বড় বড় ধনী রাজনীতিবিদ বিখ্যাত লোকজনদের বাড়িঘর চিনি। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনের ঢাকার বাড়ি চিনি না। তার সঙ্গে মাদারীপুর ডাসার বেতগ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর একসঙ্গে যাওয়া হলো না। আরও কিছু সময় বেঁচে থাকলে হয়তো যাব। কিন্তু সেটা আবুল হোসেনের সঙ্গে যাওয়া হবে না। তার পরিবারের মধ্যে শুধু এক শ্যালক খাজা গোলাম মেহেদীকে দেখেছি। কয়েকবার দেখা কথা হয়েছে যখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন। সে অনেক দিনের কথা। এখন সে যোগাযোগও হারিয়ে গেছে। এমন একজন নিরহংকার মানুষ ভাবা যায় না। কত স্কুল-কলেজ করেছেন যেটা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়। যতবার তার সঙ্গে দেখা হতো একটা-দুইটা বইসহ কিছু টাকা অবশ্যই দিতেন। সেটা একেবারে হেলাফেলা নয়, অনেকের ধারণার বাইরে। আমি কিছু লিখলেই সেসব নিয়ে চমৎকার চিঠি পাঠাতেন। সেদিনও এক চমৎকার চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তার অনেক কর্মকান্ডের সুন্দর প্রমাণসহ বর্ণনা ছিল।

সেদিন ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল শুভ উদ্বোধন করলেন। সত্যিই ব্যাপারটা খুবই বিস্ময়কর। এমন বিস্ময়কর টানেল এখনো আমাদের আশপাশের কোনো দেশে নেই। এটা অবশ্যই বোনের দৃঢ় রাজনীতির সফলতা। এ জন্য তিনি দেশবাসীর অভিনন্দন পেতেই পারেন। কদিন আগে লিখেছিলাম, পদ্মা সেতু এবং রেলের মতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সূচনায় আবুল হোসেনের ভূমিকা ছিল। তাই বোন তাকে শুভ উদ্বোধনে সঙ্গে নিতে পারতেন। পদ্মা সেতুতে তাকে পাশে নিয়ে উদ্বোধন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদারতাই বেড়েছে, মোটেই কমেনি। রেলের ক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারত। যে কাজ করে, যে ভূমিকা রাখে তাদের যথাযথ স্বীকৃতি দিলে, গুরুত্ব দিলে পরবর্তী প্রজন্ম উৎসাহিত হয়। কেন যেন ধীরে ধীরে আমাদের সেই জিনিসটা অনেক কমে গেছে।

আমরা যখন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করে গামছা প্রতীক নেই তখন অনেকেই চোখ উল্টে ছিল। যারা বাবর রোডে এসে ২-৪-১০ লাখের প্যাকেট রেখে যেত এমনভাবে দু পা চেপে ধরত যেন তারা কত অপরাধ করেছে। সেসব থেকে যেন তাদের দায়মুক্তির দরকার। কিন্তু গামছা কাঁধে নিলে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আগেই বলেছি, বেশকিছু লোক তেমন করেনি। তারা আগেও যা ছিলেন পরেও তা। তার মধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেন অন্যতম প্রধান। একবার আমরা প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী নিয়ে বাংলাবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ নারী শিক্ষার পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখওয়াতের পূতপবিত্র ভূমি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গিয়েছিলাম। সে যে কী ঝড়-তুফানে পড়েছিলাম বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত প্রতিষ্ঠানের পাশে স্কুল মাঠে সে বলার মতো নয়। সেবার এনায়েতপুর পীরবাড়ি খেয়েছিলাম। আমাকে সৈয়দ আবুল হোসেনের শ^শুর পীর খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার সামনে বসিয়ে নিজে হাতে খাইয়ে ছিলেন। আমার বাবাকে অমনটা করতে দেখেছি। বাবা ভীষণ মেজাজি মানুষ ছিলেন। কিন্তু রাস্তার ফকির মিশকিনকেও বাড়ি এনে যখন খাওয়াতেন পাটি বিছিয়ে তিনিও তাদের সামনে বসতেন, নিজের হাতে খাবার তুলে দিতেন। ঠিক তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা আমাকে নিজে হাতে কতবার খাইয়েছেন তার হিসাব-নিকাশ নেই। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী খাইয়েছেন। জয়প্রকাশ নারায়ণ, জ্যোতি বসু, জ্যোতি বসুর স্ত্রী কমলা বসু, ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, তার স্ত্রী গীতা মুখার্জি এরকম নানাজনের নানা সমাদর পেয়েছি। কিন্তু এনায়েতপুরের পীর গদিনসীন জনাব খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার পরিবেশন এবং আন্তরিকতা ছিল অসাধারণ ভোলার মতো নয়। তিনি খাওয়াতে গিয়ে একসময় বলেছিলেন, ‘বাবা, কোনো পীরের মাজারে অন্যের হাতে দোয়া করাবেন না। নিজেই করবেন। যা চাওয়ার নিজেই চাইবেন। তাতে অনেক ভালো হবে।’ সত্যিই সে থেকে আমি আমার চাওয়া নিজেই চাই। কোনো ইমাম মওলানার চাওয়ার সঙ্গে গলা মিলাই না। তাদের মধ্যেও কোনো জোয়ার-ভাটা দেখিনি। সরকার খুশি না রুষ্ট হবে সে ভাবনাও ছিল না। আবুল হোসেনের মতো এমন এক অসাধারণ বিরল চরিত্রের মানুষ যাকে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে পদ হারাতে হয়েছিল। তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পুরো সময় পার করতে পারেননি। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবেও না। সৎ মেধাবী মানুষের শত্রুর অভাব হয় না। আর বিত্তশালী হলে তো কথাই নেই। তবে তিনি কখনো কোনো দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে আমার মনে হয়নি। তিনি একমাত্র নেতা, মন্ত্রী, যিনি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে কানাডার আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে ছিলেন। দেশবাসীর সঙ্গে আমারও কামনা ছিল, যে দুর্নাম অপমান নিয়ে পদ ছেড়েছিলেন কোর্টে নিরপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তার মন্ত্রিত্ব ফিরে পাবেন। কিন্তু তা পাননি। বিষয়টা অপূর্ণই থেকে গেল। সে যাক, মানুষের প্রতি মানুষের কত সুগভীর ভালোবাসা থাকতে পারে সেটা সৈয়দ আবুল হোসেনের মধ্যে দেখেছি। সর্বশেষ সাক্ষাতে আবুল হোসেন কতবার যে আমার ভাতিজা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ছেলে আবুল হাসান চৌধুরীর কথা বলছিলেন তা কল্পনাও করা যায় না। তার আকুতি ছিল অসাধারণ। বারবার বলছিলেন, ‘ভাই, এই মানুষটার প্রতি, আমার বন্ধুটার প্রতি খেয়াল রাখবেন।’ আমিও হাসানকে প্রচন্ড ভালোবাসি। আবুল হাসান চৌধুরীর মতো নিষ্ঠাবান প্রত্যয়ী সৎ মানুষ আজকের দিনে খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। কিন্তু যা হওয়ার তাই হয়েছে। মৃত্যু তো অবধারিত সত্য। মৃত্যুর আহ্বান কারও ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা নেই। সৈয়দ আবুল হোসেনেরও ছিল না। তাই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। মাদারীপুর ডাসা উপজেলার মানুষ ভীষণ ব্যথিত মর্মাহত। পত্রিকায় তাদের আকুলতা দেখে আমি ভীষণ অভিভূত হয়েছি। কলিজা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। আবুল হোসেনের কবর হওয়ার কথা ছিল জন্মভূমি ডাসাতে। সেভাবেই কবরের জায়গা চিহ্নিত করে চমৎকার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে। এ জন্য এলাকাবাসীর মনে ভীষণ কষ্ট। এটা খুবই স্বাভাবিক। যেখানে জন্ম সেখানেই মাটি নিতে পারলে সেটাই সর্বোত্তম। যেমনটা আমার চাওয়া। গ্রামের বাড়ি মসজিদের পাশে জামতলে যেখানে আমার নাড়ি পোঁতা হয়েছিল তার পাশেই পারিবারিক গোরস্থানে আমার বাবা-মা ঘুমিয়ে আছেন। সেখানে মায়ের পায়ের নিচে আমাকে কবর দিতে অনুরোধ করেছি। বাবার পা রেখেছি বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর জন্য। তিনি যদি সেখানে মাটি নেন নেবেন। কিন্তু আল্লাহর কাছে আমার কামনা, তিনি যেন মায়ের পায়ের নিচে আমার কবর নেওয়ার তৌফিক দান করেন। পরম করুণাময় আল্লাহ যেন সৈয়দ আবুল হোসেনকে বেহেশতবাসী করেন, তার পরিবার-পরিজনকে এই শোক সইবার শক্তি দান করেন। আমিন।

                 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ব্যবসায় দুর্দিন
ব্যবসায় দুর্দিন
দেশবাসী কী চায়
দেশবাসী কী চায়
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
সর্বশেষ খবর
তাড়াশে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ধাত্রী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
তাড়াশে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ধাত্রী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলা চলছেই, পশ্চিম তীরে আরও দুজন নিহত
ইসরায়েলের হামলা চলছেই, পশ্চিম তীরে আরও দুজন নিহত

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন যেন বিতর্কিত না হয় : বৃহত্তর সুন্নী জোট
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন যেন বিতর্কিত না হয় : বৃহত্তর সুন্নী জোট

৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ভাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
ভাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

যাত্রাবাড়ীতে ৪৮৩ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
যাত্রাবাড়ীতে ৪৮৩ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

ধর্ষণচেষ্টার মামলা করায় গৃহবধূকে হত্যার হুমকির অভিযোগ
ধর্ষণচেষ্টার মামলা করায় গৃহবধূকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেট থেকে নিখোঁজ ৪ শিশু রাজধানীতে উদ্ধার
সিলেট থেকে নিখোঁজ ৪ শিশু রাজধানীতে উদ্ধার

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে জামায়াতসহ ৮টি দল
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে জামায়াতসহ ৮টি দল

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নেয়া কবিরহাট উপজেলা আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
ঢাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নেয়া কবিরহাট উপজেলা আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা : ছেলের ৩ দিনের রিমান্ড
সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা : ছেলের ৩ দিনের রিমান্ড

২৬ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

জাতীয় নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন প্রবাসীরা
জাতীয় নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন প্রবাসীরা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রেম না করে সরাসরি বিয়ে করব: দুরেফিশান
প্রেম না করে সরাসরি বিয়ে করব: দুরেফিশান

২৯ মিনিট আগে | শোবিজ

৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার
৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন শুরু
অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন শুরু

৩৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ঠাকুরগাঁওয়ে মৃৎশিল্প প্রদর্শনী ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
ঠাকুরগাঁওয়ে মৃৎশিল্প প্রদর্শনী ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন প্রশাসক মাহমুদুল হাসান
ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন প্রশাসক মাহমুদুল হাসান

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

আবারও চোটে পড়লেন দিবালা
আবারও চোটে পড়লেন দিবালা

৫০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি শিক্ষিকা মোনামির ছবি বিকৃতির ঘটনায় মামলা
ঢাবি শিক্ষিকা মোনামির ছবি বিকৃতির ঘটনায় মামলা

৫০ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভারতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২৪, আহত বহু
ভারতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২৪, আহত বহু

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

৫৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিএনপি'র অনলাইন সদস্যপদ কার্যক্রমে আরব আমিরাতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ
বিএনপি'র অনলাইন সদস্যপদ কার্যক্রমে আরব আমিরাতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ

৫৮ মিনিট আগে | পরবাস

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিবিদ্ধ আরো একজনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিবিদ্ধ আরো একজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তিন বছরের ঘুমন্ত সন্তানের বুকে ছুরি চালিয়ে আত্মগোপনে বাবা
তিন বছরের ঘুমন্ত সন্তানের বুকে ছুরি চালিয়ে আত্মগোপনে বাবা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেট নগরীতে রিকশার প্রস্তাবিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ
সিলেট নগরীতে রিকশার প্রস্তাবিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

লালমাটিয়া এলাকায় তীব্র পানির সংকট
লালমাটিয়া এলাকায় তীব্র পানির সংকট

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শাপলা কলি দেওয়া হলে নেবে এনসিপি
শাপলা কলি দেওয়া হলে নেবে এনসিপি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ
আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর
দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা
আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান
আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসবেন: ধর্ম উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসবেন: ধর্ম উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার
চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার
প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার
ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাড্ডায় মিললো নারী-পুরুষের গলিত মরদেহ
বাড্ডায় মিললো নারী-পুরুষের গলিত মরদেহ

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান
শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম কমল ২৬ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম কমল ২৬ টাকা

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার
দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ২৪টি জরুরি নির্দেশনা
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ২৪টি জরুরি নির্দেশনা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

২ ঘণ্টা আগে | টক শো

দেশে ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন
দেশে ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা
বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পা পিছলে ট্রেনের নিচে ব্যক্তি, তবুও বেঁচে গেলেন
পা পিছলে ট্রেনের নিচে ব্যক্তি, তবুও বেঁচে গেলেন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জয়পুরহাটে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা
জয়পুরহাটে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে
পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৭ বছরে ছাত্রদল প্রকৃত রাজনীতি করতে পারেনি: এ্যানি
১৭ বছরে ছাত্রদল প্রকৃত রাজনীতি করতে পারেনি: এ্যানি

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কখনোই তাইওয়ানের কিছু করবে না চীন, কারণ পরিণাম জানে: ট্রাম্প
কখনোই তাইওয়ানের কিছু করবে না চীন, কারণ পরিণাম জানে: ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প
আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক
মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন
বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি

সম্পাদকীয়

অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি
অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি
৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন
রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন

নগর জীবন

সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে  সালামের দুঃখ প্রকাশ
সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে সালামের দুঃখ প্রকাশ

নগর জীবন

প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক
প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়
গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে
প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস
যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত
রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত

মাঠে ময়দানে

পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা
পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

নগর জীবন

আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর
আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর

প্রথম পৃষ্ঠা

চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে
চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ
বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ

দেশগ্রাম

গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল
গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল

দেশগ্রাম

মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা
মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে
ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির
দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের
বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের

খবর

পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর
পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা
নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

১২ কেজি এলপিজি  সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি
আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা
যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের
বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের রাস্তায় অবস্থানে যানজট-ভোগান্তি
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের রাস্তায় অবস্থানে যানজট-ভোগান্তি

পেছনের পৃষ্ঠা