শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

অতুলনীয় সৈয়দ আবুল হোসেন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
অতুলনীয় সৈয়দ আবুল হোসেন

বহুবার বলার চেষ্টা করেছি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন যতক্ষণ নিয়ন্ত্রণে ততক্ষণই তা মহাশক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকিতে আমেরিকার ফেলা আণবিক বোমার চাইতে শক্তিশালী। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তার কোনো মূল্যই থাকে না। গত ২৮ অক্টোবর তেমনটাই হয়েছে। টিভির পর্দায় বেশ কয়েকবার র‌্যাবের পোশাক পরে কোনো গাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে একজনকে কান্নাকাটি করতে দেখলাম। এটা কে  বিশ্বাস করবে, র‌্যাবের লোক অথবা র‌্যাবের পোশাক পরে পুলিশের রিকুইজিশন করা গাড়িতে আগুন দেবে? সরকারি লোকেরাও এমন কাজ করলে তো র‌্যাবের পোশাক পরার কথা না। আন্দোলনের নামে মুসলিমবিদ্বেষী ইসরায়েলের মতো পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ-এ কেমন কথা? কোনো সভ্য সমাজে এ তো কল্পনাও করা যায় না। এই প্রথম দেশের প্রধান বিচারপতির বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এ তো এক জঘন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। আবার হরতাল-অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধ কিন্তু এখনো তারা প্রত্যাহার করতে পারেনি। তারপর আবার হরতাল-অবরোধ কেমন হবে? বুমেরাং হবে না তো? সরকার দেশের মালিক না, তারা দেশের সেবক। সরকারকে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের কারণে দেশের মানুষ দিশাহারা, পরিবার-পরিজন নিয়ে একেবারে জেরবার। তাই ব্যাপারগুলো গভীরভাবে ধৈর্য নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। কারও বাড়াবাড়িতে দেশের যাতে ক্ষতি না হয়, মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

মানুষ ভাবে এক আর দয়াময় আল্লাহ করেন আরেক। চরম যন্ত্রণায় পুরো সপ্তাহজুড়ে ভাবছিলাম, ফিলিস্তিনির হাজার হাজার নিরপরাধ নর-নারীকে হত্যা এবং সেই হত্যায় ইসরায়েলি দস্যুদের সর্বোতভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার পরও কি বাংলাদেশের মুসলমানরা বিশেষ করে বিএনপির মুসলমানরা আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের প্রতি চাতকপাখির মতো তাকিয়ে থাকবে? নাকি তাদের হুঁশ হবে, আমেরিকা কারও বন্ধু না, বিশেষ করে আমাদের মতো দেশের কারও, কোনো দলের বা কোনো গোষ্ঠীর তো নয়ই। বরং মুসলিম জাহানের চরম শত্রু। সেদিন ভৈরবে এক মালবাহী ট্রেন যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনে আঘাত হেনেছে। এতে সেই সময় ১৭টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। পরে ক’জন মারা গেছে জানি না। বলতে বড় ইচ্ছে করছিল, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কি পদত্যাগ করবেন? মনে হয় না। এসব নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই। অথচ অর্ধশতাব্দী বা তারও কিছু আগে ভারতের এক রেল দুর্ঘটনায় রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। যা আজো সারা দুনিয়ার বিবেকবান মানুষের কাছে নজির হয়ে আছে। জানি মন্ত্রী বলবেন, ‘আমি কি রেল চালাই যে রেল দুর্ঘটনার জন্য আমাকে পদত্যাগ করতে হবে?’ যথার্থ সত্য কথা। ভারতের রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীও রেল চালাতেন না। তার সমর্থকরা বলেছিলেন, ‘আপনি তো রেল চালান নাই। তাই দুর্ঘটনার জন্য আপনি কেন পদত্যাগ করবেন?’ উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমি রেল চালাই না সত্য। কিন্তু যারা রেল চালায় তাদের তো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমি চালাই। তাই আমার ব্যর্থতাই রেলের দুর্ঘটনার কারণ।’ আমাদের নেতা পঞ্চগড়ের সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম সুজন হয়তো সেভাবে ভাববেন না। তাই পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই আসে না।

সুজনকে নিয়ে আর এগোতে পারলাম না। সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল। একেবারেই অভাবনীয় ব্যাপার। হঠাৎই একসময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আমার খুবই প্রিয় আপনজন পরম হিতৈষী সৈয়দ আবুল হোসেন চলে গেলেন। বয়সে আমার থেকে ৭-৮ বছরের ছোট। স্বাস্থ্যগতও ভালো ছিল। এই সেদিন তার অফিসে গিয়েছিলাম। সেটাই যে শেষ দেখা হবে একবারের জন্যও ভাবিনি। অন্য দিনের মতো সেদিনও স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন। পাশের হলরুম থেকে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন। কত কথা হয়েছিল। এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কি নির্বাচন করবেন? বলেছিলেন, ‘নেত্রী চাইলে নির্বাচন করব।’ বলেছিলেন, ‘আপনি বিশ^াস করবেন কি না নেত্রী চাইলে আমি আমার জীবনটাও দিতে পারি।’ আমি তার কথা বিশ^াস করতাম। সেদিনও করেছিলাম। ’৯০-এ ভারত থেকে ফেরার পর ’৯১ সালের ১৫ আগস্ট ছিলাম কারাগারে। ’৯২ সালের ১৫ আগস্ট বনানী কবরস্থানে পিতার স্বজনদের কবর জিয়ারতের পর ফেরার পথে আবুল হোসেনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। গাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন কোনো মোবাইল ছিল না। একজন ছোটখাটো সুশ্রী মানুষ পেছন থেকে হাত ধরে বলেছিলেন, ‘আমার নাম আবুল হোসেন। আমি এনায়েতপুরে বিয়ে করেছি। আপনার কথা কত শুনেছি। শ^শুরবাড়ি গেলে রাত-দিন আপনার কথা আলোচনা হয়।’ আবুল হোসেন তার গাড়িতে করে আমাকে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাতের পর শেষ দিন পর্যন্ত আমি তাকে একই রকম দেখেছি। এই সেদিন লিখেছিলাম, প্রাণ গোপাল দত্তের কথা। তার মধ্যে উজান-ভাটা, সময়-অসময়ের বিবেচনা ছিল না। সৈয়দ আবুল হোসেনও না। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করায় কতজন পালিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনকে সে রকম দেখিনি। আমি তেমন বাইরের খাবার খাই না। আল্লাহ আমাকে বাড়িঘরের খাবারেই সন্তুষ্ট রেখেছেন। এমনকি কোনো রিকশাওয়ালার ঘরে খাবার খেলে যে আনন্দ পাই ফাইভস্টার হোটেলের খাবারে কোনো দিন সেই আনন্দ পাইনি। তাই ওদিকে আমার কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু আবুল হোসেন বেশ কয়েকবার শেরাটন থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন আমার সঙ্গে খেতে। সত্যিই এক অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি। সেদিন আমায় কথা দিয়েছিলেন, তিনি অবশ্য অবশ্যই নির্বাচন করবেন। জিজ্ঞেস করেছিলাম, তার আসনে কে। আমার ধারণা ছিল বাহাউদ্দিন নাছিম। কিন্তু শুনলাম, না। সাবেক দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। একসময় কথা উঠেছিল, আমার নির্বাচনে দু-একটা গাড়ির দরকার হতে পারে। নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমার কোম্পানি মনে করবেন আপনার। দু-একটা কেন, যে ক’টা দরকার শুধু বলবেন পাঠিয়ে দেব। আপনার নির্বাচনে যত টাকা লাগে আমি দেব। দলের জন্যও যদি প্রয়োজন হয় সেটাও দেব। কিন্তু আপনি আপনার বোনকে দেখবেন।’ এও বলেছিলেন, ‘আপনার মতো তো আমরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মিশতে পারিনি। আমরা আপনার বোনের সঙ্গে মিশেছি, তাঁর ভালোবাসা পেয়েছি। আপনি বঙ্গবন্ধুকে যেমনি করে ভালোবাসেন, তাঁর জন্য সব বিলিয়ে দিতে পারেন, তেমনি আমিও আপনার বোনের জন্য অকাতরে সব করতে পারি।’ হ্যাঁ, এটা ঠিক লম্বাচওড়া মানুষ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুসারে একটু অন্য রকম। কিন্তু তাই বলে কিছুই বুঝি না, বুঝতাম না, এমন নয়। তার কথাবার্তা আমাকে মুগ্ধ করত। কোথাও কোনো কৃত্রিমতা খুঁজে পেতাম না। এক সাবলীল সরলতার ছবি ফুটে উঠত। আজ সেই মানুষটি নেই, ভাবতেও যেন কেমন লাগে। এটা খুবই সত্য, মানুষ মরণশীল। সব প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু তবু কিছুটা বোঝা যায়। এ তো একেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হঠাৎই খবরটি শুনে স্থির থাকতে পারিনি। যেহেতু টাঙ্গাইলে ছিলাম সহকর্মী ছিল অনেক। কিন্তু স্ত্রী, ছেলেমেয়ে আপনজন কেউ ছিল না। বড় অস্থির লাগছিল, বড় খারাপ লাগছিল। কেমন লাগছিল ঠিক বোঝাতে পারব না। সৈয়দ আবুল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে। খুব একটা ভালো লাগছে না। লিখতে গিয়েও দেহ-মন-মস্তিষ্ক কিছুই সাহায্য করছে না। কেমন যেন এক শূন্যতা কাজ করছে। সে শূন্যতা শুধু অনুভব করা যায় কাউকে বলা যায় না, বোঝানো যায় না। এক নিদারুণ শূন্যতায় কেমন যেন সবকিছু অসাড় হয়ে আছে। কখন কাটবে সেই অসারতার ঘোর ঠিক বুঝতে পারছি না। সত্য কথা বলতে কি বেঁচে থাকতে হৃদয়ে তার জায়গা কতটা বোঝা যায়নি। চলে গেলে বা হারিয়ে গেলে বোঝা বা উপলব্ধি করা যায় কতটা জায়গাজুড়ে সে বা তিনি ছিলেন। বুকে শোক নিয়ে ভেবেচিন্তে কোনো কিছুই ভালোভাবে লেখা যায় না। সৈয়দ আবুল হোসেনের ব্যাপারটাও তার ব্যতিক্রম হলো না। আবেগ ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু তবু দুঃখ-বেদনা-আনন্দের একটি প্রভাব আছে। তাকে অস্বীকার করার কোনো পথ নেই।

আগেই বলেছি, আমরা যা ভাবি অনেক সময়ই তা হয় না। সবই মহান স্রষ্টার হাতে। এই আবুল হোসেনের ব্যাপারটাও প্রায় তেমনি। তিনি বিয়ে করেছিলেন এনায়েতপুরের বিখ্যাত পীর পরিবারে। এনায়েতপুরের পীরেরা অন্যদের মতো গোঁড়ামিতে ভরা ছিলেন না। তারা শিক্ষা-দীক্ষায় বিশেষ করে লোক শিক্ষার পক্ষে সব সময় কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রায় পীরবাড়িই পাকিস্তানের দালালি করেছে। কেউ কেউ তো রাজাকার আলবদর সেজে সে যে কী জঘন্য কাজ করেছে তার কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু এনায়েতপুরের পীরসাহেবরা কখনো তেমন ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে যখন পাকিস্তানি হানাদাররা যমুনায় লঞ্চ নিয়ে এনায়েতপুরে নামতে যায় তখন সাধারণ মানুষ হানাদারদের বাধা দিয়েছিলেন। দুই-তিন দিন নামতেও পারেনি। সেই সময় পীরবাড়ির লোকজন সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের বেশ কয়েকটি টু-টু বোর এবং একনলা, দোনলা বন্দুক নিয়ে প্রতিরোধে শামিল হয়েছিলেন। পুরো যুদ্ধের সময়ও তারা খুব একটা হানাদারদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা উঠাবসা করেননি। দু-একজন পাকিস্তানি সামরিক অফিসার মাজার শরিফে গিয়ে প্রথম প্রথম কিছু ধমকা-ধমকি করলেও বরং হানাদাররাই তাদের ফণা নামিয়ে নিয়েছে। সেই পীরবাড়িতে সৈয়দ আবুল হোসেন বিয়ে করেছিলেন। সৈয়দ আবুল হোসেনের স্ত্রী খাজা নার্গিসকে দেখিনি। তার ছেলে নেই, দুই মেয়ে-সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন। তাদেরও দেখিনি। তার বাবা, মরহুম সৈয়দ আতাহার আলী, মাতা-মরহুম সৈয়দা সুফিয়া আলী, তিন ভাই ও তিন বোন-মরহুম সৈয়দ আবুল কাশেম, সৈয়দ আবুল হোসেন, ডা. সৈয়দ আবুল হাসান, সৈয়দা শামছুন্নাহার, সৈয়দা জাহানারা, সৈয়দা মনোয়ারা। স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকায় অনেককেই আমরা টাঙ্গাইলের চমচম খাইয়ে থাকি। সৈয়দ আবুল হোসেনের বাড়িতেও দুই-চারবার পাঠিয়েছি। কিন্তু তার বাড়িতে অনেক সময়ই তেমন কেউ থাকে না। অফিস ভর্তি গমগম করা মানুষজন। কিন্তু বাড়িঘর শ্মশানের মতো। আমি অনেক বড় বড় ধনী রাজনীতিবিদ বিখ্যাত লোকজনদের বাড়িঘর চিনি। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনের ঢাকার বাড়ি চিনি না। তার সঙ্গে মাদারীপুর ডাসার বেতগ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর একসঙ্গে যাওয়া হলো না। আরও কিছু সময় বেঁচে থাকলে হয়তো যাব। কিন্তু সেটা আবুল হোসেনের সঙ্গে যাওয়া হবে না। তার পরিবারের মধ্যে শুধু এক শ্যালক খাজা গোলাম মেহেদীকে দেখেছি। কয়েকবার দেখা কথা হয়েছে যখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন। সে অনেক দিনের কথা। এখন সে যোগাযোগও হারিয়ে গেছে। এমন একজন নিরহংকার মানুষ ভাবা যায় না। কত স্কুল-কলেজ করেছেন যেটা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়। যতবার তার সঙ্গে দেখা হতো একটা-দুইটা বইসহ কিছু টাকা অবশ্যই দিতেন। সেটা একেবারে হেলাফেলা নয়, অনেকের ধারণার বাইরে। আমি কিছু লিখলেই সেসব নিয়ে চমৎকার চিঠি পাঠাতেন। সেদিনও এক চমৎকার চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তার অনেক কর্মকান্ডের সুন্দর প্রমাণসহ বর্ণনা ছিল।

সেদিন ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল শুভ উদ্বোধন করলেন। সত্যিই ব্যাপারটা খুবই বিস্ময়কর। এমন বিস্ময়কর টানেল এখনো আমাদের আশপাশের কোনো দেশে নেই। এটা অবশ্যই বোনের দৃঢ় রাজনীতির সফলতা। এ জন্য তিনি দেশবাসীর অভিনন্দন পেতেই পারেন। কদিন আগে লিখেছিলাম, পদ্মা সেতু এবং রেলের মতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সূচনায় আবুল হোসেনের ভূমিকা ছিল। তাই বোন তাকে শুভ উদ্বোধনে সঙ্গে নিতে পারতেন। পদ্মা সেতুতে তাকে পাশে নিয়ে উদ্বোধন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদারতাই বেড়েছে, মোটেই কমেনি। রেলের ক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারত। যে কাজ করে, যে ভূমিকা রাখে তাদের যথাযথ স্বীকৃতি দিলে, গুরুত্ব দিলে পরবর্তী প্রজন্ম উৎসাহিত হয়। কেন যেন ধীরে ধীরে আমাদের সেই জিনিসটা অনেক কমে গেছে।

আমরা যখন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করে গামছা প্রতীক নেই তখন অনেকেই চোখ উল্টে ছিল। যারা বাবর রোডে এসে ২-৪-১০ লাখের প্যাকেট রেখে যেত এমনভাবে দু পা চেপে ধরত যেন তারা কত অপরাধ করেছে। সেসব থেকে যেন তাদের দায়মুক্তির দরকার। কিন্তু গামছা কাঁধে নিলে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আগেই বলেছি, বেশকিছু লোক তেমন করেনি। তারা আগেও যা ছিলেন পরেও তা। তার মধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেন অন্যতম প্রধান। একবার আমরা প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী নিয়ে বাংলাবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ নারী শিক্ষার পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখওয়াতের পূতপবিত্র ভূমি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গিয়েছিলাম। সে যে কী ঝড়-তুফানে পড়েছিলাম বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত প্রতিষ্ঠানের পাশে স্কুল মাঠে সে বলার মতো নয়। সেবার এনায়েতপুর পীরবাড়ি খেয়েছিলাম। আমাকে সৈয়দ আবুল হোসেনের শ^শুর পীর খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার সামনে বসিয়ে নিজে হাতে খাইয়ে ছিলেন। আমার বাবাকে অমনটা করতে দেখেছি। বাবা ভীষণ মেজাজি মানুষ ছিলেন। কিন্তু রাস্তার ফকির মিশকিনকেও বাড়ি এনে যখন খাওয়াতেন পাটি বিছিয়ে তিনিও তাদের সামনে বসতেন, নিজের হাতে খাবার তুলে দিতেন। ঠিক তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা আমাকে নিজে হাতে কতবার খাইয়েছেন তার হিসাব-নিকাশ নেই। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী খাইয়েছেন। জয়প্রকাশ নারায়ণ, জ্যোতি বসু, জ্যোতি বসুর স্ত্রী কমলা বসু, ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, তার স্ত্রী গীতা মুখার্জি এরকম নানাজনের নানা সমাদর পেয়েছি। কিন্তু এনায়েতপুরের পীর গদিনসীন জনাব খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার পরিবেশন এবং আন্তরিকতা ছিল অসাধারণ ভোলার মতো নয়। তিনি খাওয়াতে গিয়ে একসময় বলেছিলেন, ‘বাবা, কোনো পীরের মাজারে অন্যের হাতে দোয়া করাবেন না। নিজেই করবেন। যা চাওয়ার নিজেই চাইবেন। তাতে অনেক ভালো হবে।’ সত্যিই সে থেকে আমি আমার চাওয়া নিজেই চাই। কোনো ইমাম মওলানার চাওয়ার সঙ্গে গলা মিলাই না। তাদের মধ্যেও কোনো জোয়ার-ভাটা দেখিনি। সরকার খুশি না রুষ্ট হবে সে ভাবনাও ছিল না। আবুল হোসেনের মতো এমন এক অসাধারণ বিরল চরিত্রের মানুষ যাকে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে পদ হারাতে হয়েছিল। তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পুরো সময় পার করতে পারেননি। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবেও না। সৎ মেধাবী মানুষের শত্রুর অভাব হয় না। আর বিত্তশালী হলে তো কথাই নেই। তবে তিনি কখনো কোনো দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে আমার মনে হয়নি। তিনি একমাত্র নেতা, মন্ত্রী, যিনি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে কানাডার আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে ছিলেন। দেশবাসীর সঙ্গে আমারও কামনা ছিল, যে দুর্নাম অপমান নিয়ে পদ ছেড়েছিলেন কোর্টে নিরপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তার মন্ত্রিত্ব ফিরে পাবেন। কিন্তু তা পাননি। বিষয়টা অপূর্ণই থেকে গেল। সে যাক, মানুষের প্রতি মানুষের কত সুগভীর ভালোবাসা থাকতে পারে সেটা সৈয়দ আবুল হোসেনের মধ্যে দেখেছি। সর্বশেষ সাক্ষাতে আবুল হোসেন কতবার যে আমার ভাতিজা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ছেলে আবুল হাসান চৌধুরীর কথা বলছিলেন তা কল্পনাও করা যায় না। তার আকুতি ছিল অসাধারণ। বারবার বলছিলেন, ‘ভাই, এই মানুষটার প্রতি, আমার বন্ধুটার প্রতি খেয়াল রাখবেন।’ আমিও হাসানকে প্রচন্ড ভালোবাসি। আবুল হাসান চৌধুরীর মতো নিষ্ঠাবান প্রত্যয়ী সৎ মানুষ আজকের দিনে খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। কিন্তু যা হওয়ার তাই হয়েছে। মৃত্যু তো অবধারিত সত্য। মৃত্যুর আহ্বান কারও ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা নেই। সৈয়দ আবুল হোসেনেরও ছিল না। তাই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। মাদারীপুর ডাসা উপজেলার মানুষ ভীষণ ব্যথিত মর্মাহত। পত্রিকায় তাদের আকুলতা দেখে আমি ভীষণ অভিভূত হয়েছি। কলিজা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। আবুল হোসেনের কবর হওয়ার কথা ছিল জন্মভূমি ডাসাতে। সেভাবেই কবরের জায়গা চিহ্নিত করে চমৎকার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে। এ জন্য এলাকাবাসীর মনে ভীষণ কষ্ট। এটা খুবই স্বাভাবিক। যেখানে জন্ম সেখানেই মাটি নিতে পারলে সেটাই সর্বোত্তম। যেমনটা আমার চাওয়া। গ্রামের বাড়ি মসজিদের পাশে জামতলে যেখানে আমার নাড়ি পোঁতা হয়েছিল তার পাশেই পারিবারিক গোরস্থানে আমার বাবা-মা ঘুমিয়ে আছেন। সেখানে মায়ের পায়ের নিচে আমাকে কবর দিতে অনুরোধ করেছি। বাবার পা রেখেছি বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর জন্য। তিনি যদি সেখানে মাটি নেন নেবেন। কিন্তু আল্লাহর কাছে আমার কামনা, তিনি যেন মায়ের পায়ের নিচে আমার কবর নেওয়ার তৌফিক দান করেন। পরম করুণাময় আল্লাহ যেন সৈয়দ আবুল হোসেনকে বেহেশতবাসী করেন, তার পরিবার-পরিজনকে এই শোক সইবার শক্তি দান করেন। আমিন।

                 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

চীনের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে বৈঠকে বসছে জাপান
চীনের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে বৈঠকে বসছে জাপান

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানিকগঞ্জে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু
মানিকগঞ্জে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাল ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছে সৌদি যুবরাজ
কাল ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছে সৌদি যুবরাজ

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

অস্কার গ্রহণ করলেন টম ক্রুজ
অস্কার গ্রহণ করলেন টম ক্রুজ

৩৮ মিনিট আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজস্থানের কোচ হিসেবে ফিরলেন কিংবদন্তি সাঙ্গাকারা
রাজস্থানের কোচ হিসেবে ফিরলেন কিংবদন্তি সাঙ্গাকারা

৫০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

৬ জুলাই যোদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে সরকার
৬ জুলাই যোদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে সরকার

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় জামায়াত নেতার পিকআপে আগুন
কুমিল্লায় জামায়াত নেতার পিকআপে আগুন

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জবি ছাত্রদল-ছাত্র অধিকারের সমন্বিত 'ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান' প্যানেল ঘোষণা
জবি ছাত্রদল-ছাত্র অধিকারের সমন্বিত 'ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান' প্যানেল ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুগঞ্জে দেড় কোটি টাকার প্রসাধনী জব্দ, গ্রেফতার ১
আশুগঞ্জে দেড় কোটি টাকার প্রসাধনী জব্দ, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

১৯ নভেম্বর বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে ইসির সংলাপ
১৯ নভেম্বর বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে ইসির সংলাপ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৭
রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৭

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত
গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় নিজ ঘরে মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে হত্যা
কলাপাড়ায় নিজ ঘরে মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘পরিবেশ রক্ষায় পাট কেন্দ্রিক শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ও উদ্ভাবন জরুরি’
‘পরিবেশ রক্ষায় পাট কেন্দ্রিক শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ও উদ্ভাবন জরুরি’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নানা আয়োজনে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নানা আয়োজনে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঝিনাইদহে প্রবাসী হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে প্রবাসী হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখন থেকে অনলাইনেই পাওয়া যাবে ফায়ার সেফটি প্ল্যানের অনাপত্তি সনদপত্র
এখন থেকে অনলাইনেই পাওয়া যাবে ফায়ার সেফটি প্ল্যানের অনাপত্তি সনদপত্র

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘সৎ সাহস থাকলে হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হতেন’
‘সৎ সাহস থাকলে হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হতেন’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা
এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে ফের পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ
বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে ফের পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানে অর্কেস্ট্রা সংগীতে নির্দেশনা দিয়ে ইতিহাস করলেন ফারিউসেফি
ইরানে অর্কেস্ট্রা সংগীতে নির্দেশনা দিয়ে ইতিহাস করলেন ফারিউসেফি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়
ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!
শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

২০২৬ সালে ব্যাংকের ছুটির তালিকা প্রকাশ
২০২৬ সালে ব্যাংকের ছুটির তালিকা প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে