শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

অতুলনীয় সৈয়দ আবুল হোসেন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
অতুলনীয় সৈয়দ আবুল হোসেন

বহুবার বলার চেষ্টা করেছি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন যতক্ষণ নিয়ন্ত্রণে ততক্ষণই তা মহাশক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকিতে আমেরিকার ফেলা আণবিক বোমার চাইতে শক্তিশালী। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তার কোনো মূল্যই থাকে না। গত ২৮ অক্টোবর তেমনটাই হয়েছে। টিভির পর্দায় বেশ কয়েকবার র‌্যাবের পোশাক পরে কোনো গাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে একজনকে কান্নাকাটি করতে দেখলাম। এটা কে  বিশ্বাস করবে, র‌্যাবের লোক অথবা র‌্যাবের পোশাক পরে পুলিশের রিকুইজিশন করা গাড়িতে আগুন দেবে? সরকারি লোকেরাও এমন কাজ করলে তো র‌্যাবের পোশাক পরার কথা না। আন্দোলনের নামে মুসলিমবিদ্বেষী ইসরায়েলের মতো পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ-এ কেমন কথা? কোনো সভ্য সমাজে এ তো কল্পনাও করা যায় না। এই প্রথম দেশের প্রধান বিচারপতির বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এ তো এক জঘন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। আবার হরতাল-অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধ কিন্তু এখনো তারা প্রত্যাহার করতে পারেনি। তারপর আবার হরতাল-অবরোধ কেমন হবে? বুমেরাং হবে না তো? সরকার দেশের মালিক না, তারা দেশের সেবক। সরকারকে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের কারণে দেশের মানুষ দিশাহারা, পরিবার-পরিজন নিয়ে একেবারে জেরবার। তাই ব্যাপারগুলো গভীরভাবে ধৈর্য নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। কারও বাড়াবাড়িতে দেশের যাতে ক্ষতি না হয়, মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

মানুষ ভাবে এক আর দয়াময় আল্লাহ করেন আরেক। চরম যন্ত্রণায় পুরো সপ্তাহজুড়ে ভাবছিলাম, ফিলিস্তিনির হাজার হাজার নিরপরাধ নর-নারীকে হত্যা এবং সেই হত্যায় ইসরায়েলি দস্যুদের সর্বোতভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার পরও কি বাংলাদেশের মুসলমানরা বিশেষ করে বিএনপির মুসলমানরা আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের প্রতি চাতকপাখির মতো তাকিয়ে থাকবে? নাকি তাদের হুঁশ হবে, আমেরিকা কারও বন্ধু না, বিশেষ করে আমাদের মতো দেশের কারও, কোনো দলের বা কোনো গোষ্ঠীর তো নয়ই। বরং মুসলিম জাহানের চরম শত্রু। সেদিন ভৈরবে এক মালবাহী ট্রেন যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনে আঘাত হেনেছে। এতে সেই সময় ১৭টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। পরে ক’জন মারা গেছে জানি না। বলতে বড় ইচ্ছে করছিল, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কি পদত্যাগ করবেন? মনে হয় না। এসব নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই। অথচ অর্ধশতাব্দী বা তারও কিছু আগে ভারতের এক রেল দুর্ঘটনায় রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। যা আজো সারা দুনিয়ার বিবেকবান মানুষের কাছে নজির হয়ে আছে। জানি মন্ত্রী বলবেন, ‘আমি কি রেল চালাই যে রেল দুর্ঘটনার জন্য আমাকে পদত্যাগ করতে হবে?’ যথার্থ সত্য কথা। ভারতের রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীও রেল চালাতেন না। তার সমর্থকরা বলেছিলেন, ‘আপনি তো রেল চালান নাই। তাই দুর্ঘটনার জন্য আপনি কেন পদত্যাগ করবেন?’ উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমি রেল চালাই না সত্য। কিন্তু যারা রেল চালায় তাদের তো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমি চালাই। তাই আমার ব্যর্থতাই রেলের দুর্ঘটনার কারণ।’ আমাদের নেতা পঞ্চগড়ের সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম সুজন হয়তো সেভাবে ভাববেন না। তাই পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই আসে না।

সুজনকে নিয়ে আর এগোতে পারলাম না। সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল। একেবারেই অভাবনীয় ব্যাপার। হঠাৎই একসময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আমার খুবই প্রিয় আপনজন পরম হিতৈষী সৈয়দ আবুল হোসেন চলে গেলেন। বয়সে আমার থেকে ৭-৮ বছরের ছোট। স্বাস্থ্যগতও ভালো ছিল। এই সেদিন তার অফিসে গিয়েছিলাম। সেটাই যে শেষ দেখা হবে একবারের জন্যও ভাবিনি। অন্য দিনের মতো সেদিনও স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন। পাশের হলরুম থেকে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন। কত কথা হয়েছিল। এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কি নির্বাচন করবেন? বলেছিলেন, ‘নেত্রী চাইলে নির্বাচন করব।’ বলেছিলেন, ‘আপনি বিশ^াস করবেন কি না নেত্রী চাইলে আমি আমার জীবনটাও দিতে পারি।’ আমি তার কথা বিশ^াস করতাম। সেদিনও করেছিলাম। ’৯০-এ ভারত থেকে ফেরার পর ’৯১ সালের ১৫ আগস্ট ছিলাম কারাগারে। ’৯২ সালের ১৫ আগস্ট বনানী কবরস্থানে পিতার স্বজনদের কবর জিয়ারতের পর ফেরার পথে আবুল হোসেনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। গাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন কোনো মোবাইল ছিল না। একজন ছোটখাটো সুশ্রী মানুষ পেছন থেকে হাত ধরে বলেছিলেন, ‘আমার নাম আবুল হোসেন। আমি এনায়েতপুরে বিয়ে করেছি। আপনার কথা কত শুনেছি। শ^শুরবাড়ি গেলে রাত-দিন আপনার কথা আলোচনা হয়।’ আবুল হোসেন তার গাড়িতে করে আমাকে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাতের পর শেষ দিন পর্যন্ত আমি তাকে একই রকম দেখেছি। এই সেদিন লিখেছিলাম, প্রাণ গোপাল দত্তের কথা। তার মধ্যে উজান-ভাটা, সময়-অসময়ের বিবেচনা ছিল না। সৈয়দ আবুল হোসেনও না। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করায় কতজন পালিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনকে সে রকম দেখিনি। আমি তেমন বাইরের খাবার খাই না। আল্লাহ আমাকে বাড়িঘরের খাবারেই সন্তুষ্ট রেখেছেন। এমনকি কোনো রিকশাওয়ালার ঘরে খাবার খেলে যে আনন্দ পাই ফাইভস্টার হোটেলের খাবারে কোনো দিন সেই আনন্দ পাইনি। তাই ওদিকে আমার কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু আবুল হোসেন বেশ কয়েকবার শেরাটন থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন আমার সঙ্গে খেতে। সত্যিই এক অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি। সেদিন আমায় কথা দিয়েছিলেন, তিনি অবশ্য অবশ্যই নির্বাচন করবেন। জিজ্ঞেস করেছিলাম, তার আসনে কে। আমার ধারণা ছিল বাহাউদ্দিন নাছিম। কিন্তু শুনলাম, না। সাবেক দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। একসময় কথা উঠেছিল, আমার নির্বাচনে দু-একটা গাড়ির দরকার হতে পারে। নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমার কোম্পানি মনে করবেন আপনার। দু-একটা কেন, যে ক’টা দরকার শুধু বলবেন পাঠিয়ে দেব। আপনার নির্বাচনে যত টাকা লাগে আমি দেব। দলের জন্যও যদি প্রয়োজন হয় সেটাও দেব। কিন্তু আপনি আপনার বোনকে দেখবেন।’ এও বলেছিলেন, ‘আপনার মতো তো আমরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মিশতে পারিনি। আমরা আপনার বোনের সঙ্গে মিশেছি, তাঁর ভালোবাসা পেয়েছি। আপনি বঙ্গবন্ধুকে যেমনি করে ভালোবাসেন, তাঁর জন্য সব বিলিয়ে দিতে পারেন, তেমনি আমিও আপনার বোনের জন্য অকাতরে সব করতে পারি।’ হ্যাঁ, এটা ঠিক লম্বাচওড়া মানুষ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুসারে একটু অন্য রকম। কিন্তু তাই বলে কিছুই বুঝি না, বুঝতাম না, এমন নয়। তার কথাবার্তা আমাকে মুগ্ধ করত। কোথাও কোনো কৃত্রিমতা খুঁজে পেতাম না। এক সাবলীল সরলতার ছবি ফুটে উঠত। আজ সেই মানুষটি নেই, ভাবতেও যেন কেমন লাগে। এটা খুবই সত্য, মানুষ মরণশীল। সব প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু তবু কিছুটা বোঝা যায়। এ তো একেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হঠাৎই খবরটি শুনে স্থির থাকতে পারিনি। যেহেতু টাঙ্গাইলে ছিলাম সহকর্মী ছিল অনেক। কিন্তু স্ত্রী, ছেলেমেয়ে আপনজন কেউ ছিল না। বড় অস্থির লাগছিল, বড় খারাপ লাগছিল। কেমন লাগছিল ঠিক বোঝাতে পারব না। সৈয়দ আবুল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে। খুব একটা ভালো লাগছে না। লিখতে গিয়েও দেহ-মন-মস্তিষ্ক কিছুই সাহায্য করছে না। কেমন যেন এক শূন্যতা কাজ করছে। সে শূন্যতা শুধু অনুভব করা যায় কাউকে বলা যায় না, বোঝানো যায় না। এক নিদারুণ শূন্যতায় কেমন যেন সবকিছু অসাড় হয়ে আছে। কখন কাটবে সেই অসারতার ঘোর ঠিক বুঝতে পারছি না। সত্য কথা বলতে কি বেঁচে থাকতে হৃদয়ে তার জায়গা কতটা বোঝা যায়নি। চলে গেলে বা হারিয়ে গেলে বোঝা বা উপলব্ধি করা যায় কতটা জায়গাজুড়ে সে বা তিনি ছিলেন। বুকে শোক নিয়ে ভেবেচিন্তে কোনো কিছুই ভালোভাবে লেখা যায় না। সৈয়দ আবুল হোসেনের ব্যাপারটাও তার ব্যতিক্রম হলো না। আবেগ ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু তবু দুঃখ-বেদনা-আনন্দের একটি প্রভাব আছে। তাকে অস্বীকার করার কোনো পথ নেই।

আগেই বলেছি, আমরা যা ভাবি অনেক সময়ই তা হয় না। সবই মহান স্রষ্টার হাতে। এই আবুল হোসেনের ব্যাপারটাও প্রায় তেমনি। তিনি বিয়ে করেছিলেন এনায়েতপুরের বিখ্যাত পীর পরিবারে। এনায়েতপুরের পীরেরা অন্যদের মতো গোঁড়ামিতে ভরা ছিলেন না। তারা শিক্ষা-দীক্ষায় বিশেষ করে লোক শিক্ষার পক্ষে সব সময় কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রায় পীরবাড়িই পাকিস্তানের দালালি করেছে। কেউ কেউ তো রাজাকার আলবদর সেজে সে যে কী জঘন্য কাজ করেছে তার কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু এনায়েতপুরের পীরসাহেবরা কখনো তেমন ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে যখন পাকিস্তানি হানাদাররা যমুনায় লঞ্চ নিয়ে এনায়েতপুরে নামতে যায় তখন সাধারণ মানুষ হানাদারদের বাধা দিয়েছিলেন। দুই-তিন দিন নামতেও পারেনি। সেই সময় পীরবাড়ির লোকজন সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের বেশ কয়েকটি টু-টু বোর এবং একনলা, দোনলা বন্দুক নিয়ে প্রতিরোধে শামিল হয়েছিলেন। পুরো যুদ্ধের সময়ও তারা খুব একটা হানাদারদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা উঠাবসা করেননি। দু-একজন পাকিস্তানি সামরিক অফিসার মাজার শরিফে গিয়ে প্রথম প্রথম কিছু ধমকা-ধমকি করলেও বরং হানাদাররাই তাদের ফণা নামিয়ে নিয়েছে। সেই পীরবাড়িতে সৈয়দ আবুল হোসেন বিয়ে করেছিলেন। সৈয়দ আবুল হোসেনের স্ত্রী খাজা নার্গিসকে দেখিনি। তার ছেলে নেই, দুই মেয়ে-সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন। তাদেরও দেখিনি। তার বাবা, মরহুম সৈয়দ আতাহার আলী, মাতা-মরহুম সৈয়দা সুফিয়া আলী, তিন ভাই ও তিন বোন-মরহুম সৈয়দ আবুল কাশেম, সৈয়দ আবুল হোসেন, ডা. সৈয়দ আবুল হাসান, সৈয়দা শামছুন্নাহার, সৈয়দা জাহানারা, সৈয়দা মনোয়ারা। স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকায় অনেককেই আমরা টাঙ্গাইলের চমচম খাইয়ে থাকি। সৈয়দ আবুল হোসেনের বাড়িতেও দুই-চারবার পাঠিয়েছি। কিন্তু তার বাড়িতে অনেক সময়ই তেমন কেউ থাকে না। অফিস ভর্তি গমগম করা মানুষজন। কিন্তু বাড়িঘর শ্মশানের মতো। আমি অনেক বড় বড় ধনী রাজনীতিবিদ বিখ্যাত লোকজনদের বাড়িঘর চিনি। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনের ঢাকার বাড়ি চিনি না। তার সঙ্গে মাদারীপুর ডাসার বেতগ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর একসঙ্গে যাওয়া হলো না। আরও কিছু সময় বেঁচে থাকলে হয়তো যাব। কিন্তু সেটা আবুল হোসেনের সঙ্গে যাওয়া হবে না। তার পরিবারের মধ্যে শুধু এক শ্যালক খাজা গোলাম মেহেদীকে দেখেছি। কয়েকবার দেখা কথা হয়েছে যখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন। সে অনেক দিনের কথা। এখন সে যোগাযোগও হারিয়ে গেছে। এমন একজন নিরহংকার মানুষ ভাবা যায় না। কত স্কুল-কলেজ করেছেন যেটা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়। যতবার তার সঙ্গে দেখা হতো একটা-দুইটা বইসহ কিছু টাকা অবশ্যই দিতেন। সেটা একেবারে হেলাফেলা নয়, অনেকের ধারণার বাইরে। আমি কিছু লিখলেই সেসব নিয়ে চমৎকার চিঠি পাঠাতেন। সেদিনও এক চমৎকার চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তার অনেক কর্মকান্ডের সুন্দর প্রমাণসহ বর্ণনা ছিল।

সেদিন ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল শুভ উদ্বোধন করলেন। সত্যিই ব্যাপারটা খুবই বিস্ময়কর। এমন বিস্ময়কর টানেল এখনো আমাদের আশপাশের কোনো দেশে নেই। এটা অবশ্যই বোনের দৃঢ় রাজনীতির সফলতা। এ জন্য তিনি দেশবাসীর অভিনন্দন পেতেই পারেন। কদিন আগে লিখেছিলাম, পদ্মা সেতু এবং রেলের মতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সূচনায় আবুল হোসেনের ভূমিকা ছিল। তাই বোন তাকে শুভ উদ্বোধনে সঙ্গে নিতে পারতেন। পদ্মা সেতুতে তাকে পাশে নিয়ে উদ্বোধন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদারতাই বেড়েছে, মোটেই কমেনি। রেলের ক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারত। যে কাজ করে, যে ভূমিকা রাখে তাদের যথাযথ স্বীকৃতি দিলে, গুরুত্ব দিলে পরবর্তী প্রজন্ম উৎসাহিত হয়। কেন যেন ধীরে ধীরে আমাদের সেই জিনিসটা অনেক কমে গেছে।

আমরা যখন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করে গামছা প্রতীক নেই তখন অনেকেই চোখ উল্টে ছিল। যারা বাবর রোডে এসে ২-৪-১০ লাখের প্যাকেট রেখে যেত এমনভাবে দু পা চেপে ধরত যেন তারা কত অপরাধ করেছে। সেসব থেকে যেন তাদের দায়মুক্তির দরকার। কিন্তু গামছা কাঁধে নিলে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আগেই বলেছি, বেশকিছু লোক তেমন করেনি। তারা আগেও যা ছিলেন পরেও তা। তার মধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেন অন্যতম প্রধান। একবার আমরা প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী নিয়ে বাংলাবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ নারী শিক্ষার পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখওয়াতের পূতপবিত্র ভূমি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গিয়েছিলাম। সে যে কী ঝড়-তুফানে পড়েছিলাম বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত প্রতিষ্ঠানের পাশে স্কুল মাঠে সে বলার মতো নয়। সেবার এনায়েতপুর পীরবাড়ি খেয়েছিলাম। আমাকে সৈয়দ আবুল হোসেনের শ^শুর পীর খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার সামনে বসিয়ে নিজে হাতে খাইয়ে ছিলেন। আমার বাবাকে অমনটা করতে দেখেছি। বাবা ভীষণ মেজাজি মানুষ ছিলেন। কিন্তু রাস্তার ফকির মিশকিনকেও বাড়ি এনে যখন খাওয়াতেন পাটি বিছিয়ে তিনিও তাদের সামনে বসতেন, নিজের হাতে খাবার তুলে দিতেন। ঠিক তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা আমাকে নিজে হাতে কতবার খাইয়েছেন তার হিসাব-নিকাশ নেই। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী খাইয়েছেন। জয়প্রকাশ নারায়ণ, জ্যোতি বসু, জ্যোতি বসুর স্ত্রী কমলা বসু, ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, তার স্ত্রী গীতা মুখার্জি এরকম নানাজনের নানা সমাদর পেয়েছি। কিন্তু এনায়েতপুরের পীর গদিনসীন জনাব খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার পরিবেশন এবং আন্তরিকতা ছিল অসাধারণ ভোলার মতো নয়। তিনি খাওয়াতে গিয়ে একসময় বলেছিলেন, ‘বাবা, কোনো পীরের মাজারে অন্যের হাতে দোয়া করাবেন না। নিজেই করবেন। যা চাওয়ার নিজেই চাইবেন। তাতে অনেক ভালো হবে।’ সত্যিই সে থেকে আমি আমার চাওয়া নিজেই চাই। কোনো ইমাম মওলানার চাওয়ার সঙ্গে গলা মিলাই না। তাদের মধ্যেও কোনো জোয়ার-ভাটা দেখিনি। সরকার খুশি না রুষ্ট হবে সে ভাবনাও ছিল না। আবুল হোসেনের মতো এমন এক অসাধারণ বিরল চরিত্রের মানুষ যাকে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে পদ হারাতে হয়েছিল। তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পুরো সময় পার করতে পারেননি। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবেও না। সৎ মেধাবী মানুষের শত্রুর অভাব হয় না। আর বিত্তশালী হলে তো কথাই নেই। তবে তিনি কখনো কোনো দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে আমার মনে হয়নি। তিনি একমাত্র নেতা, মন্ত্রী, যিনি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে কানাডার আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে ছিলেন। দেশবাসীর সঙ্গে আমারও কামনা ছিল, যে দুর্নাম অপমান নিয়ে পদ ছেড়েছিলেন কোর্টে নিরপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তার মন্ত্রিত্ব ফিরে পাবেন। কিন্তু তা পাননি। বিষয়টা অপূর্ণই থেকে গেল। সে যাক, মানুষের প্রতি মানুষের কত সুগভীর ভালোবাসা থাকতে পারে সেটা সৈয়দ আবুল হোসেনের মধ্যে দেখেছি। সর্বশেষ সাক্ষাতে আবুল হোসেন কতবার যে আমার ভাতিজা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ছেলে আবুল হাসান চৌধুরীর কথা বলছিলেন তা কল্পনাও করা যায় না। তার আকুতি ছিল অসাধারণ। বারবার বলছিলেন, ‘ভাই, এই মানুষটার প্রতি, আমার বন্ধুটার প্রতি খেয়াল রাখবেন।’ আমিও হাসানকে প্রচন্ড ভালোবাসি। আবুল হাসান চৌধুরীর মতো নিষ্ঠাবান প্রত্যয়ী সৎ মানুষ আজকের দিনে খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। কিন্তু যা হওয়ার তাই হয়েছে। মৃত্যু তো অবধারিত সত্য। মৃত্যুর আহ্বান কারও ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা নেই। সৈয়দ আবুল হোসেনেরও ছিল না। তাই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। মাদারীপুর ডাসা উপজেলার মানুষ ভীষণ ব্যথিত মর্মাহত। পত্রিকায় তাদের আকুলতা দেখে আমি ভীষণ অভিভূত হয়েছি। কলিজা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। আবুল হোসেনের কবর হওয়ার কথা ছিল জন্মভূমি ডাসাতে। সেভাবেই কবরের জায়গা চিহ্নিত করে চমৎকার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে। এ জন্য এলাকাবাসীর মনে ভীষণ কষ্ট। এটা খুবই স্বাভাবিক। যেখানে জন্ম সেখানেই মাটি নিতে পারলে সেটাই সর্বোত্তম। যেমনটা আমার চাওয়া। গ্রামের বাড়ি মসজিদের পাশে জামতলে যেখানে আমার নাড়ি পোঁতা হয়েছিল তার পাশেই পারিবারিক গোরস্থানে আমার বাবা-মা ঘুমিয়ে আছেন। সেখানে মায়ের পায়ের নিচে আমাকে কবর দিতে অনুরোধ করেছি। বাবার পা রেখেছি বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর জন্য। তিনি যদি সেখানে মাটি নেন নেবেন। কিন্তু আল্লাহর কাছে আমার কামনা, তিনি যেন মায়ের পায়ের নিচে আমার কবর নেওয়ার তৌফিক দান করেন। পরম করুণাময় আল্লাহ যেন সৈয়দ আবুল হোসেনকে বেহেশতবাসী করেন, তার পরিবার-পরিজনকে এই শোক সইবার শক্তি দান করেন। আমিন।

                 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
হজের সূচনা যেভাবে হলো
হজের সূচনা যেভাবে হলো
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
সাইবার সুরক্ষা
সাইবার সুরক্ষা
ওএসডি কালচার
ওএসডি কালচার
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা  প্রয়োজন
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল

১১ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে
যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ
চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ

৪০ মিনিট আগে | জীবন ধারা

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫
পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান
কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার
গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহামেডানের দরকার ৪৩
মোহামেডানের দরকার ৪৩

মাঠে ময়দানে