শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ আপডেট:

আমি কি এখন আর লিখি না

ইমদাদুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
আমি কি এখন আর লিখি না

গত দুই তিন বছর ধরে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি কি এখন আর লেখালেখি করি না? এখন কি আর আমার বই বেরোয় না? তাতে আমি বুঝতে পারি, এখন অনেকেই আগের মতো আর লেখক বা তাঁদের বইপত্রের খোঁজখবর রাখেন না। আবার অনেকেই বলেন, আগে আপনার বই পড়তাম। এখন আর সেভাবে পড়া হয় না। সময় পাই না। নতুন প্রজন্মের অনেকেই বলেন, আমার মা আপনার বই খুব পছন্দ করতেন। মায়ের মুখে আপনার বইয়ের অনেক কথা শুনেছি। একটি মেয়ে একদিন বলল, তার বাবার কাছে আমার প্রায় সব বই-ই আছে। কিন্তু সে নিজে বই তেমন পড়ে না। আবার কেউ কেউ বলে আপনার বই পড়ে আমরা বড় হয়েছি। আমাদের সময়ে হুমায়ূন আহমেদ আর আপনার বই-ই ছিল বিশেষ পছন্দের। সব কিছু মিলিয়ে আমি বুঝতে পারি বই থেকে মানুষ অনেকটা দূরে সরে গেছে। আগের মতো বই পড়ার ঝোঁকটা তাদের আর নেই। সেখানে তারা আসক্ত হয়েছে ফেসবুকে, ইউটিউব ইত্যাদিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু কিছুর চর্চা হয়। বইপত্রের চর্চা তেমন হয় বলে মনে হয় না। বছর ধরে লেখকরা কী লিখছেন, তার চর্চা হয় না।

আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে সারা বছর ধরে নানা রকমের বই প্রকাশিত হতো। সারা বছরই বই বিক্রি হতো। এখন প্রকাশনা জগৎ হয়ে গেছে একুশে বইমেলা কেন্দ্রিক। সারা বছর লেখকরা যা লেখেন, বইমেলায় সেগুলো প্রকাশিত হয়। দুই-একটি প্রকাশনা সংস্থা ছাড়া অন্য কোনো প্রকাশনী সারা বছর বলতে গেলে বই প্রকাশই করে না। কারণটা আমি ভেবে দেখেছি। মেলা ছাড়া অন্য সময়ে বই তেমন বিক্রি হয় না। যা বিক্রি হওয়ার হয় মেলায়। মেলার ওই একটি মাস। ফলে প্রকাশকরা সারা বছর ধরে বইয়ের পেছনে টাকাটা লগ্নি করে রাখতে চান না। ফেব্র“য়ারির বইমেলার মাস দুয়েক আগ থেকে হুড়োহুড়ি করে বই ছাপতে থাকেন। যাতে মেলার বিক্রি থেকেই তাঁদের ইনভেস্ট করা টাকাটা উঠে আসে। তবে সব প্রকাশকের ক্ষেত্রে এ কথাটা ঠিক না। বেশ কিছু প্রকাশনা সংস্থা আছে যারা সারা বছর ধরেই বই প্রকাশ করে যাচ্ছে। যেমন, ‘ইউপিএল’, ‘মাওলা ব্রাদার্স’, ‘প্রথমা’, ‘সময়’, ‘অন্যপ্রকাশ’, ‘অনন্যা’, ‘বাতিঘর’, ‘অবসর’, ‘ঐতিহ্য’ এরকম কিছু প্রকাশনা সংস্থা। ‘প্রথমা প্রকাশন’ ‘প্রথম আলো’র সঙ্গে যুক্ত। সারা বছর ধরেই ‘প্রথম আলো’তে বইগুলোর বিজ্ঞাপনও করে নিয়মিত। ফলে তাদের বইয়ের বেশ ভালো রকমের একটা চাহিদা তৈরি হয়। বেঙ্গল পাবলিকেশন্সও ভালো ভালো বই প্রকাশ করে। তারাও তাদের বইগুলোর বিজ্ঞাপন করে ‘বেঙ্গল গ্র“প’-এর সাহিত্য পত্রিকা ‘কালি ও কলম’-এ।  বইয়ের বিজ্ঞাপন খুব জরুরি। কখন কোথা থেকে কী বই বেরোচ্ছে, পাঠক ক্রেতাকে সেই সংবাদ জানান দরকার। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশনা সংস্থাগুলোর কথা বলা যায়। তাঁরা সারা বছর ধরেই বই প্রকাশ করছে। সারা বছর ধরেই বইয়ের বিজ্ঞাপন করছে। ‘আনন্দ পাবলিশার্স’-এর জন্মলগ্ন থেকে ‘দেশ’ পত্রিকা একটি পাতাই বরাদ্দ করে রেখেছে ‘আনন্দ পাবলিশার্স’-এর বইয়ের বিজ্ঞাপনের জন্য। ‘মিত্র ও ঘোষ’, ‘দে’জ’, ‘প্রতিভাস’ এরকম বেশ কিছু প্রকাশন সংস্থা ‘দেশ’ পত্রিকার প্রতি সংখ্যাতেই বইয়ের বিজ্ঞাপন করে। ফলে পাঠক জেনে যান ইদানীং কোন লেখকের কোন বই বাজারে এলো। এই জানাটা বড় জরুরি। আমাদের দেশে এ অবস্থাটা তৈরি হয়নি। গত চার-পাঁচ বছর ধরে কোনো কোনো নতুন লেখকের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করি তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি করেন। সে সব লেখা বইমেলার সময় বই আকারে প্রকাশ করেন। তাঁদের কারও কারও অনেক অনুসারী। কোনো কোনো লেখকের বইয়ের বিক্রিও ভালো। এ-ও একদিকে ভালো লক্ষণ যে, এই লেখকরা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে তাঁদের বইগুলো পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। লেখার ভালোমন্দ বিচার হয় পরে। পাঠক বইটি পড়ে দেখবেন সেই লেখা ভালো কি মন্দ। কিন্তু পড়তে তো হবে! না পড়ে তো কোনো মন্তব্য করা যাবে না! নিশ্চয় এঁদের মধ্যে অনেক ভালো লেখক আছেন বা তৈরি হচ্ছেন। আবার মানহীন লেখাও নিশ্চয় অনেক আছে।

কয়েক বছর ধরেই শুনছি এক মাসের বইমেলায় চার-পাঁচ হাজার বই প্রকাশিত হয়। এত বই কারা লিখছেন? নিশ্চয় নতুন নতুন লেখক। আর এখন বই প্রকাশ করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। কোনো কোনো প্রকাশকের কথা শুনি তাঁরা নাকি লেখকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁর বইটি প্রকাশ করেন। নিজের লাভের অংশটা আগেই রেখে দেন। আবার এমন অনেক প্রকাশকও আছেন যাঁরা খুঁজে খুঁজে প্রতিশ্র“তিশীল নতুন লেখকদের বই ছাপছেন। ইদানীং কিছু নারীও প্রকাশনা ব্যবসায় এসেছেন। নারী লেখকের সংখ্যাও বেড়েছে। এটা শুভ লক্ষণ।

আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন অবস্থাটা এরকম ছিল না। তখন অনেক সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল, মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ছিল, সিনেমা পত্রিকা ছিল আর ছিল দৈনিক পত্রিকাগুলোর বেশ শক্তিশালী এক একটি সাহিত্য পাতা। নতুন লেখকরা তাঁদের গল্প কবিতা সেসব পত্রিকাতে পাঠাতেন। জাঁদরেল সম্পাদক ছিলেন একেকজন। যেমন, ‘দৈনিক বাংলা’য় ছিলেন কবি আহসান হাবীব, ‘ইত্তেফাকে’ রোকনুজ্জামান খান, ‘সংবাদে’ আবুল হাসনাত। এই সম্পাদকরা কারও মুখ চেয়ে লেখা ছাপতেন না। লেখা ছাপা হতো লেখার যোগ্যতায়। সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে ছিল ‘সচিত্র সন্ধানী’, ‘বিচিত্রা’, ‘রোববার’। ‘সচিত্র সন্ধানী’র সম্পাদক হিসেবে আমি পেয়েছি কবি বেলাল চৌধুরীকে। ‘বিচিত্রা’র সম্পাদক ছিলেন শাহাদত চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে শাহরিয়ার কবিরের মতো মেধাবী লেখক ও আরও অনেকে। ‘রোববার’ পত্রিকাতে ছিলেন কবি রফিক আজাদ। তিনি একাধারে বাংলা একাডেমির ‘উত্তরাধিকার’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হতো কিশোরদের পত্রিকা ‘ধানশালিকের দেশ’। সম্পাদক সেলিনা হোসেন। এঁদের হাত দিয়ে মানহীন লেখা কখনোই প্রকাশিত হতো না। সাপ্তাহিক সিনেমা পত্রিকা ছিল তিনটি। ‘অবজারভার গ্র“প’-এর ‘চিত্রালী’, ‘ইত্তেফাক’-এর ‘পূর্বাণী’, ‘বাংলার বাণী গ্র“প’-এর ‘সিনেমা’। এই পত্রিকাগুলোতেও নিয়মিত গল্প ছাপা হতো। আমি ‘চিত্রালী’র সম্পাদক হিসেবে পেয়েছি আহমদ জামান চৌধুরীকে। ‘পূর্বাণী’র সম্পাদক ছিলেন বিখ্যাত সাংবাদিক এবং পরে যুগান্তর ও সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। আর ‘সিনেমা’ পত্রিকাটির সাহিত্য পাতা দেখতেন আমার অগ্রজপ্রতিম বন্ধু আলমগীর রহমান। তিনি নিজেও এক সময় গল্প লিখতেন। পরে ‘বিচিত্রা’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তারপর ‘অবসর ও প্রতীক’ নামে প্রকাশনা সংস্থা করলেন। কামাল বিন মাহতাব ‘ছোটগল্প’ নামে অসাধারণ একটি পত্রিকা করতেন। শওকত আলী, হাসান আজিজুল হক থেকে শুরু করে অনেকেই এই পত্রিকাতে গল্প লিখতেন। আলমগীর রহমানের দুর্দান্ত একটি গল্প ছাপা হয়েছিল এই পত্রিকায়। গল্পটির নাম ‘প্রান্তরে অশ্বারোহী’। জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, মাহমুদুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, কায়েস আহমেদ এরকম অনেক লেখকই ‘ছোটগল্প’ পত্রিকায় দুর্দান্ত সব গল্প লিখেছিলেন।

কয়েকটি মাসিক সিনেমা পত্রিকাও বেরোত তখন। কলকাতার ‘উল্টোরথ’, ‘প্রসাদ’, ‘জলসা’র আঙ্গিকে। যেমন- ‘ঝিনুক’ ও ‘জোনাকী’। এই পত্রিকাগুলোতেও গল্প উপন্যাস ছাপা হতো। কিন্তু সেসব লেখা মানহীন নয় কোনোটাই।

আমি বলছি স্বাধীনতা-পরবর্র্তীকালের কথা। সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’ শুরু করল ‘ঈদসংখ্যার’ প্রচলন। সে পথে এগোল অন্যান্য সাপ্তাহিক। একটা সময়ে দৈনিক পত্রিকাগুলোও ঈদসংখ্যা প্রকাশ শুরু করল। দেশের বাছাই করা লেখকদের সঙ্গে ধীরে ধীরে উঠে আসতে লাগলেন প্রতিভাবান তরুণ লেখকরা। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ছাপা শুরু হলো ঈদসংখ্যা ‘বিচিত্রা’য়। তারপর অন্যান্য পত্রিকায়। আমার দ্বিতীয় উপন্যাস ছিল ‘ও রাধা ও কৃষ্ণ’। ছাপা হলো ঈদসংখ্যা ‘সিনেমা’ পত্রিকাতে। আমাদের বেশির ভাগ উপন্যাসই ছাপা হতো তখন বিভিন্ন ঈদসংখ্যায়। তার জন্য একটা পরীক্ষাও ছিল। লেখা ভালো হতে হবে। বই প্রকাশ করতে গেলে পা-ুলিপি জমা দিতে হতো। মানসম্পন্ন লেখা না হলে বই বেরোত না। আমি লেখা শুরু করলাম ’৭৩ সালে। একটানা চার বছর লেখার পর ’৭৭ সালে প্রথম বই প্রকাশিত হলো।

নব্বই দশকের গোড়ার দিকে বাজারে এসেছিল পাক্ষিক ‘অন্যদিন’। এই পত্রিকার সাধারণ সংখ্যাগুলো তো চমৎকার বটেই, ঈদসংখ্যাটি হয়ে উঠল অতুলনীয়। দেশের সেরা লেখকদের বাছাই করা ১০টি উপন্যাস ছাপা হতো ‘অন্যদিন’ ঈদসংখ্যায়। শুরুর দিকে দুই বাংলার দুই জনপ্রিয় লেখক শিরোনামে অন্যদিন একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। একজন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আরেকজন এই অধম। তারপর তো হুমায়ূন আহমেদ এসে জনপ্রিয়তার নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক শরৎচন্দ্র। হুমায়ূন ভাই তাঁকেও ছাড়িয়ে গেলেন।

অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তারপরে এলেন প্রকাশনা জগতে। শুরু হলো ‘অন্যপ্রকাশ’। রাতারাতি এই প্রকাশনা সংস্থা অনেক বড় জায়গায় পৌঁছে গেল।

গত পঁয়ত্রিশ চল্লিশ বছরে বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা অনেক বড় জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। যেমন- ‘আগামী’, ‘অনুপম’, ‘মাওলা ব্রাদার্স’ তো ছিলই, ‘অনন্যা’, ‘সময়’, ‘বিদ্যাপ্রকাশ’, ‘কাকলী’, ‘পার্ল’, ‘ঐতিহ্য’ এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বাংলাদেশের প্রথম সারির প্রকাশনা সংস্থা। এক সময় ‘নওরোজ কিতাবিস্তান’, ‘স্টুডেন্ট ওয়েজ’ এরকম বেশ কিছু প্রকাশনা সংস্থা এখন কিছুটা যেন ম্লান হয়ে গেছে। মফিদুল হকের ‘সাহিত্য প্রকাশ’ও বেশ নামকরা প্রতিষ্ঠান। লেখক জীবনের শুরু থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানের মেধাবী মানুষগুলোর মাঝখান দিয়ে আমি বেড়ে উঠেছি। ‘অনন্যা’ তাঁর প্রকাশনীর যাত্রা শুরু করেছিল আমার বই দিয়ে। ‘সময়’, ‘কাকলী’, ‘অন্যপ্রকাশ’ তারাও। আজ চারদিকে কত কত প্রকাশনা সংস্থা। একেক বইমেলায় ছয় সাত শ স্টল হয়। এর বাইরেও হয়তো থেকে যায় অনেক প্রকাশনা সংস্থা। তার মানে সব মিলিয়ে আমাদের প্রকাশনা জগৎ এখন বিশাল।

এই লেখা শুরু করেছিলাম নিজের লেখালেখির কথা বলার জন্য। আমার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। তার মানে লেখক জীবনের পঞ্চাশটি বছর পার করে ফেলেছি। এই পঞ্চাশ বছরে জীবনধারণের জন্য কত কী করার চেষ্টা করেছি। কোথাও সেভাবে দাঁড়াতে পারিনি। পেশা হিসেবে একটা ধরেছি, একটা ছেড়েছি। কোথাও আলোর মুখ দেখিনি। সর্বত্র ব্যর্থতা। অতিশয় দুঃখ-দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠা। কত অনাহারি দিনরাত্রীর স্মৃতি রয়ে গেছে মনে। কত অপমান-অবহেলা। বারবারই সেই অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। বদলে ফেলতে চেয়েছি দুঃখ-দারিদ্র্যের জীবন। জার্মানিতে চলে গিয়েছিলাম সচ্ছল জীবনের আশায়। ফিরে এসেছি গভীর ব্যর্থতা নিয়ে। তারপর স্ত্রীসমেত বড় ভাইয়ের সংসার থেকে বিতাড়িত। দশটি টাকাও নেই পকেটে। একটি টিনের ঘরে বসে গরমে ঘামে সিদ্ধ হতে হতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম লিখেই জীবন ধারণের চেষ্টা করব। আর কোনো কাজ তো শিখিনি। এসব ’৮৪ সালের শেষদিককার কথা। কিন্তু লিখে ক’টাকা রোজগার করা যায়? পত্রিকাতে গল্প ছাপা হলে দু-তিন মাস পর পনেরো-বিশ টাকা বিল পাওয়া যায়। অনেক পত্রিকা বিল দেয়ও না। ঈদ সংখ্যায় উপন্যাস ছাপা হলে তিনশো টাকা পাওয়া যায়। তা-ও বড় পত্রিকাগুলোর মুখ চেয়ে বসে থাকতে হয়। তারা লেখা ছাপবে কি না, এই আশায়? এই পরিস্থিতিতে লিখে জীবনধারণ? এ তো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত! আমি সেই সিদ্ধান্তটাই নিলাম। এ ক্ষেত্রে আমার আদর্শ ছিলেন সমরেশ বসু। সমরেশ বসু অফিস করার মতো সারা দিন লিখতেন। সন্ধ্যাবেলা আড্ডা দিতে বেরোতেন। এই করে সংসারে সচ্ছলতা আনতে বেশ কিছু বছর সময় লেগেছিল তাঁর। আমার ক্ষেত্রেও তাই হলো। একজন প্রকাশক বললেন, মাসে একটা করে পাঁচ ফর্মার প্রেমের উপন্যাস লিখে দিন, পাঁচ হাজার করে টাকা দেব। তখন পাঁচ হাজার টাকা আমার জন্য অনেক। শুরু করলাম লেখা। ভোর ৬টায় উঠে লিখতে বসি। ১১টা পর্যন্ত লিখে বাংলাবাজারে আড্ডা দিতে যাই। দুপুরে বাসায় ফিরে খেয়েদেয়ে বিকেল সন্ধ্যায় যাই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। এই লেখার ফাঁকে পত্রিকায় গল্প লিখছি, ঈদ সংখ্যায় উপন্যাস লিখছি। শুধুই লেখা, শুধুই লেখা। এক ফাঁকে বিটিভির জন্য নাটকও লিখতে শুরু করলাম। নাটকের জনপ্রিয়তা বই বিক্রির ক্ষেত্রে কাজে লাগল। দিন বদলাতে শুরু করল। পাঁচ হাজার হয়ে গেল দশ হাজার। পনেরো, বিশ। তার মানে বই বিক্রি হচ্ছে। দু’তিন বছরের মধ্যে দেখি আমার চারপাশে অনেক প্রকাশক। বই ছাপা হচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে। তারপরও সময় মতো টাকা পাই না। অ্যাডভান্স নিতে শুরু করলাম। এক সময় পত্রপত্রিকায় লেখার জন্যও অ্যাডভান্স নিই। নব্বই সালের দিকে পায়ের তলার মাটি শক্ত হলো। গেন্ডারিয়ায় এক প্রকাশকের চারতলার ফ্ল্যাট ভাড়া নিলাম। পাশের ফ্ল্যাটে থাকেন ‘কাকলী’ প্রকাশনীর সেলিম ভাই। ওইটুকু ফ্ল্যাটে তাঁর হয় না। তিনি চলে গেলেন অন্য বাড়িতে। লেখালেখি করার জন্য সেই ফ্ল্যাটটা আমি ভাড়া নিলাম। ফ্ল্যাট ভর্তি বই, বসার ব্যবস্থা আর লেখার টেবিল। তবে ’৮৬ সাল থেকে আমার সেই দুঃখ-দারিদ্র্যের দিনে একজন মানুষ গভীর ভালোবাসায় আমার হাত ধরেছিলেন। মাসের পর মাস টাকা দিয়ে আমাকে চালিয়ে রেখেছেন। মেয়ের দুধ কিনে দিয়েছেন, জামা-কাপড় কিনে দিয়েছেন। আর দিয়েছেন অপরিসীম ভরসা। ভালো লেখার চেষ্টা কর। তুমি পারবে। আমি চেষ্টা করে গেছি। ’৯৩ সালের যেদিন বাংলা একাডেমি প্রাইজ পেলাম, তিনি সেখানে ছিলেন। গভীর আবেগে মাঠে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন।

সমরেশ বসু লেখার জন্য কলকাতায় আলাদা একটা ফ্ল্যাট কিনে নিয়েছিলেন। অনেক সময় লেখার জন্য হোটেলে গিয়েও থাকতেন। আমিও এক সময় তাই করেছি। ফেব্র“য়ারির বইমেলার দু-তিন মাস আগে থেকে অথবা ঈদ সংখ্যার লেখার জন্য শান্তিনগরের ‘হোয়াইট হাউজ’ হোটেলে গিয়ে থাকতাম। সেখানে বসেই লিখেছিলাম ‘ভালোবাসার সুখ দুঃখ’। শুরু থেকে প্রচুর প্রেমের গল্প উপন্যাস লিখেছি, শিশু-কিশোরদের লেখা লিখেছি। বিভিন্ন বয়সী পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। সহজ সরল পরিচ্ছন্ন গদ্য লেখার চেষ্টা করেছি। অনেক কিছু থেকে জীবনে সরে গেছি, শুধু লেখার জায়গাটি থেকে সরিনি। জার্মানিতে ছিল শ্রমিকের জীবন। সেই কঠোর কঠিন অবস্থার মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস লিখেছিলাম ‘কালোঘোড়া’। ‘গাহে অচিন পাখি’ নামে গল্প লিখেছিলাম। প্রথম উপন্যাস ‘যাবজ্জীবন’। দ্বিতীয় উপন্যাস ‘ও রাধা ও কৃষ্ণ’। প্রথম বই ‘ভালোবাসার গল্প’। দ্বিতীয় বই ‘নিরন্নের কাল’। নাম থেকেই বোঝা যায় শুরু থেকেই দুরকমের লেখা লিখার চেষ্টা করেছি আমি। একদিকে বাজার চলতি প্রেম ভালোবাসার গল্প উপন্যাস, অন্যদিকে গ্রামজীবন নিয়ে আরেক রকমের লেখা। একহাতে লিখেছি ‘এত যে তোমায় ভালোবেসেছি’ বা ‘কেউ কথা রাখেনি’, আরেক হাতে লিখেছি ‘পরাধীনতা’, ‘ভূমিপুত্র’, ‘কালাকাল’, ‘নদী উপাখ্যান’, ‘টোপ’ ইত্যাদি।

সমরেশ বসু একবার ঢাকায় এলেন। বেলাল চৌধুরী আমাকে নিয়ে গেলেন তাঁর কাছে। ধানমন্ডিতে এক বাসায় উঠেছিলেন। অনেক ক্ষণ আড্ডা হলো প্রিয় লেখকের সঙ্গে। এক সময় তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “একই সঙ্গে আপনি দুরকমের লেখা কেমন করে লেখেন? একদিকে লিখছেন, ‘গঙ্গা’, ‘বিবর’, ‘কোথায় পাবো তারে’ অন্যদিকে লিখছেন, ‘বিকেলে ভোরের ফুল’ বা ‘ছুটির ফাঁদে’, কেন?” তিনি খুব সুন্দর একটি জবাব দিয়েছিলেন, “শোনো, ওই যে কথায় বলে না, কোনো কোনো লেখক দু’হাতে লেখেন! আমি দু’হাতে লিখি। ডানহাতে লিখি ‘গঙ্গা’ বা ‘বিবর’, বাঁহাতে লিখি ওইসব ‘বিকেলে ভোরের ফুল’। ডানহাতের লেখা পয়সা দেয় না, দেয় ওই বাঁহাতের লেখাগুলো। লিখে খেতে হলে ওসব লিখতে হবেই। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই করেছেন।”

সমরেশ বসুর কথাটি আমার লেখক জীবনের ক্ষেত্রে অনেকটাই সত্য। লিখে খেতে হলে প্রচুর আবর্জনা লিখতে হয়। তবে একজন প্রকৃত লেখক শেষপর্যন্ত শুধু টাকার জন্যই লিখতে পারেন না। শুরু থেকেই বাজার চলতি লেখার ফাঁকে ফাঁকে আমি কিছু অন্য রকম লেখারও চেষ্টা করেছি। দীর্ঘ আঠারো বছর ধরে লিখেছি তিন পর্বের উপন্যাস ‘নূরজাহান’। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছি ‘সাড়ে তিন হাত ভূমি’। আত্মজৈবনিক উপন্যাস লিখেছি চার পর্বের, ‘কেমন আছ, সবুজপাতা’, ‘জিন্দাবাহার’, ‘মায়ানগর’, ‘একাত্তর ও একজন মা’। দেশভাগ নিয়ে লিখেছি ‘পর’। গত বছর লিখেছি আত্মজীবনীর প্রথম অংশ ‘যে জীবন আমার ছিল’। এখন আর পয়সার কথা ভেবে আমি লিখি না। তবে লিখি নিয়মিত। পেছনে ফেলে আসা দিনের মতো এখনো সকালবেলা উঠে লিখতে বসি। বাংলাদেশ ও কলকাতা মিলে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা ছাপা হয়। দুজায়গা থেকেই বছরে চার-পাঁচটা বই প্রকাশিত হয়। ঈদসংখ্যা ও পুজো সংখ্যাতে লিখি। গত পুজোয় কলকাতার বিখ্যাত ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকায় উপন্যাস লিখেছিলাম। কলকাতা বইমেলা উপলক্ষে ‘আনন্দ পাবলিশার্স’ থেকে বইটি বেরিয়েছে। নাম ‘বুলু ও অচিন দ্বীপ’। কিশোর উপন্যাস। ফেব্র“য়ারি বইমেলায় ‘অনন্যা’ প্রকাশনী থেকে এবার বেরিয়েছে দুটো নতুন বই। ‘অন্ধকার নামতে পারেনি’ ও ‘চোর এসে গল্প করেছিল’। ‘বেঙ্গল পাবলিকেশন্স’ থেকে বেরিয়েছে শিশুদের জন্য লেখা ‘বাবান ও ঘুঘু পাখির সংসার’। ‘অন্যপ্রকাশ’ থেকে বেরোচ্ছে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে লেখা ‘কেমন ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ’।

লেখালেখির মায়ায় গত পঞ্চাশ বছর ধরে আমি আবদ্ধ হয়ে আছি। মৃত্যু ছাড়া এই মায়া কখনো কেটে যাবে না।

লেখক : কথাসাহিত্যিক ও প্রধান সম্পাদক, কালের কণ্ঠ

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা