শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ আপডেট:

মিয়ানমার সমস্যার শেষ কোথায়

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
মিয়ানমার সমস্যার শেষ কোথায়

তখন আমি বেশ ছোট। সেটা ১৯৫৮ সাল। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী হাউসের মধ্যেই আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তিনি মারা যান। প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ তখনকার বার্মা এখন মিয়ানমার, সেখানে সামরিক শাসন জারি করা হয়। নে উইন ছিলেন বার্মার রাষ্ট্রপতি। স্বাধীনতা তার হাত ধরেই এসেছিল। তাকে সরিয়ে দিয়ে সামরিক শাসন জারি করা হয়। সেই যে বার্মা বা মিয়ানমারে গণতন্ত্র বিদায় নেয়, তা অদ্যাবধি ফিরে আসেনি। মাঝখানে হঠাৎই অং সান সু চি নির্বাচিত হয়েছিলেন কদিনের জন্য। দুই বছর হলো তারও ক্ষমতা চলে গেছে। আবার সামরিক জান্তা। আমরা এমন একটি অবস্থানে বাস করি, যেখানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্ত। পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর প্রায় সবটাই ভারত। পূর্বে শুধু দেড় শ-দুই শ কিলোমিটার মিয়ানমার বা বার্মা, দক্ষিণে পুরোটাই  বঙ্গোপসাগর। যতকাল পৃথিবী ধ্বংস না হবে রাষ্ট্রীয় কাঠামো অবশ্যই অদলবদল হতে পারে। কিন্তু ভৌগোলিক সীমারেখা ভূখন্ড যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। একসময় আমরা সবাই ছিলাম একই ভূখন্ডের অধিবাসী। বেশকিছু সময় ২০-৩০ হাজার কিলোমিটারের রাখাইন ছিল আমাদেরই সঙ্গে। দু-একবার রাখাইন বার্মার দখলে গেছে। এখন যেমনটা আছে। পাকিস্তানের নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর উদাসীনতায় এ অঞ্চল আমাদের হাতছাড়া হয়েছে। আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গের সবটুকু নিয়ে হওয়ার কথা ছিল পূর্ব পাকিস্তান। কিন্তু পশ্চিমা নেতারা কার গোয়ালে কে ধোঁয়া দেন, এমনকি সিলেট, তার পাশে শিলচর সবই ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। কিছু নেতা রুখে না দাঁড়ালে সিলেট আমাদের থাকত না। ভোটের মাধ্যমে সিলেট আমাদের দিকে এসেছে। তাই আমাদের প্রবীণ নেতাদের এ অঞ্চল সম্পর্কে যতটা ভাবার কথা ছিল, কখনো তেমন গুরুত্ব দিয়ে ভাবেননি। এক্ষেত্রে হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর তীক্ষè দৃষ্টি ছিল অভাবনীয়। সেখানে যুবনেতা শেখ মুজিব তাঁকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন। এটা অবধারিত সত্য, আজ যে যত হাত-পা ছোড়াছুড়ি করুন, যে যত বাহাদুরি করুন, সেই সময় যুব শেখ মুজিব ৩০০-৪০০ ভলান্টিয়ার নিয়ে সিলেট কাঁপিয়ে না তুললে আমাদের হতো না। ইসলামী দল সবই ছিল সিলেট যাতে ভারতের দিকে যায় তার পক্ষে। সময় সময় মত ও পথের অদলবদল হয়। আমাদেরও অনেক ক্ষেত্রে হয়েছে। আমাদের যদি আসাম থাকত, মেঘালয় থাকত, পশ্চিমবঙ্গের পুরোটা থাকত, মিয়ানমার আরাকান আমাদের থাকত তাহলে আমাদের ভূখন্ড যেমন তিন-চার লাখ কিলোমিটার হতো তেমনি লোকসংখ্যাও হতো ৩৫-৪০ কোটি। প্রাকৃতিক সম্পদে আমরা থাকতাম ভরপুর। আশপাশে কারও কাছে হাত পাততে হতো না। বরং দুনিয়ার অনেকেই আমাদের কাছে হাত পাততেন। কিন্তু যা হয়নি, তা হয়নি। তা নিয়ে আফসোস করার কোনো কারণ দেখি না। তবে যা হয়েছে তা নিয়ে তো দক্ষতা যোগ্যতার সঙ্গে অগ্রসর হওয়া উচিত। তাও যখন বাধাগ্রস্ত হয় তখন স্বাভাবিক কারণে কিছুটা অস্বস্তিবোধ করি।

মিয়ানমারকে নিয়ে আমাদের সমস্যা দীর্ঘদিনের। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে কিছু কিছু যুদ্ধবন্দি এবং পাকিস্তানি হানাদার ঢাকা থেকে পালিয়ে প্রথমে মিয়ানমার, সেখান থেকে পাকিস্তানে যায়। ব্যাপারটা একটা ট্রানজিটের মতো ছিল। সেই কবে রোহিঙ্গা উত্তেজনায় কক্সবাজারে লাখো মুসলিম রোহিঙ্গা আশ্রয় গ্রহণ করে। যে কয় লাখ তখন এসেছিল তার কয়েক হাজার-ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতে পারেনি। তারা ক্যাম্পে ক্যাম্পে কষ্টকর অমানবিক জীবনযাপন করতে করতে আবার আমার বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেত্রী শেখ হাসিনার আমলে সাত-আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের অত ভূখন্ড নেই যে কাউকে জায়গা দিতে পারে। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে প্রধান ঘনবসতির দেশ। কোনো কোনো দেশে কিলোমিটারে ১০-২০ জন জনসংখ্যা, আমাদের কিলোমিটারে দুই-তিন হাজার। এমন মারাত্মক পরিস্থিতিতে অন্য দেশের লোকদের বা নাগরিকদের আমাদের জায়গা দেওয়া খুব একটা সহজ নয়। কিন্তু তারপরও ২০১৭ সালের দিকে যখন বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন বাংলাদেশ সব কপাট খুলে দেয়। যাতে বাংলাদেশের মানবিকতা বঙ্গবন্ধুকন্যা নেত্রী শেখ হাসিনার উদারতা সারা বিশ্বকে স্পর্শ করে, অনেকে তাকে তখন মানবতার মা বলে সম্বোধন করতে থাকে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতার সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগানো হয়নি। একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে কোনোরকম ভূমিকা নেওয়া হয়নি। সেই উত্তেজনাকর সময় বোন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা জাতীয় ঐক্যের যদি চেষ্টা নেওয়া হতো আর সেটা যদি অর্ধেকও সফল হতো তাহলে রোহিঙ্গা সমস্যা অনেক আগেই সমাধান হয়ে যেত এবং সেখান থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়, অনেক বেশি লাভবান হতাম। তখন সঙ্গে সঙ্গেই একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করা যেত। জামায়াত ছাড়া সব রাজনৈতিক দলকে এক মোহনায় আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করা যেত। তখন যে জাতীয় অনুভূতি ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বা তাঁর ডাকে সাড়া না দিয়ে অনেকের তেমন উপায় ছিল না। কারণ জাতীয়ভাবে রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের বুকভরা দয়ামায়া ভালোবাসা ছিল। দেশে যে রাজনৈতিক অবস্থা তাতে সত্যিই আওয়ামী লীগ-বিএনপির কোনো ক্ষেত্রেই কোনো কাজেই পাশাপাশি চলার খুব একটা সুযোগ নেই। এখন যেমন আজ থেকে আট-দশ বছর আগে এতটা বিভাজন ছিল না, তখন নেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে বিএনপি সরাসরি সাড়া না দিলে তারা এবং তাদের নেতৃত্ব কর্তৃত্ব অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তাই অতটা সুবিধা ছিল না যে ইচ্ছা করলেই তারা মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারতেন। দেশের জন্য দেশের কথা চিন্তা করে মানুষের আস্থা অনাস্থার কথা চিন্তা করে তাদের অনেক কিছু ভাবতে হতো। যদিও এখন তেমন জাতীয় ঐক্যের অনুকূল পরিবেশ নেই। কিন্তু তখন ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা সবাইকে ডেকে যদি যার যার দায়িত্ব দিয়ে সারা পৃথিবীতে প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারতেন তাহলে অনেকটাই আমাদের পক্ষে সুফল আসত। আমাদের যে কজন ফরেন সেক্রেটারি ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন, যারা সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়ান, রাজনৈতিক-সামাজিক-ব্যবসায়ী সবাইকে কাজে লাগাতে পারতেন। বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আ স ম আবদুর রব, আবুল হাসান কায়সার চৌধুরী। এককথায় যাকে যেখানে লাগালে কাজ হতো তাকে সেখানেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। আমাদের দেশে কত চৈনিকপন্থি আছেন। তাদের চীনের দায়িত্ব দেওয়া যেত। রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারত যেখানে যার যোগাযোগ সেখানেই তাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী সমাজবাদী নেতা কট্টর নেহরুবিরোধী রাম মনোহর লহিয়ার একনিষ্ঠ ভক্ত শিষ্য সে সময়ের দ্বিতীয় গান্ধী বলে সারা ভারতে পরিচিত সর্বোদয় নেতা শ্রী জয়প্রকাশ নারায়ণকে তাঁর ব্যক্তিগত বিশেষ দূত হিসেবে সারা পৃথিবীব্যাপী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরতে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এই সমাজবাদী নেতা বিশ্বের বারোআনা রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে মানুষকে ভারতের পক্ষে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থনের যুক্তিকতা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং যার ফলশ্রুতিতে একসময় সারা বিশ্বের প্রায় সব মুক্তিকামী মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সমর্থন দিয়েছেন, সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। পৃথিবীর প্রায় সবকটি সরকার ছিল আমাদের বিরুদ্ধে। অথচ দুনিয়ার সব মানুষ ছিল আমাদের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে।

মনে হয় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা প্রশ্নে তার চেয়েও অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন। অনেক ভালো করতে পারতেন। যাক যা হয়নি তা হয়নি। তা নিয়ে আফসোস করে খুব একটা লাভ নেই। কিন্তু সামনে যা হচ্ছে বা হবে তা তো আমাদের সফলভাবে করা উচিত। চোখ মুদিলেই প্রলয় বন্ধ হয় না। আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ। বলে চলেছি, কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়, শান্তিই আমাদের কাম্য। সত্যিই আমরা কার সঙ্গে যুদ্ধ করব? যে কোনো সশস্ত্র বাহিনী যখন তার দেশ বা সীমানা রক্ষায় সামান্যতম কাজও করে তখন তার মধ্যে একটা গৌরব, দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকারের একটা মহিমা দেহ-মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রতিটি সৈনিকের মধ্যে দেশপ্রেমের পবিত্রতা ছড়িয়ে পড়ে। মাতৃভূমি একটা মস্তবড় জিনিস। মায়ের চাইতে খুব একটা কম আদরণীয় নয়, কম সম্মানের নয়। যুদ্ধ আমরা অনেকেই চাই না। তবু মাঝেসাজে হয়। সারা পৃথিবীতে ছোটখাটো যুদ্ধ-বিবাদ লেগেই আছে। একেবারে নির্বিবাদী নিরহংকারী দেশ চলে না। অহংকারীকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। কাউকে অবাধ ছেড়ে দিলে পরিণাম ভয়াবহ হয়। সব শক্তির প্রধান নিয়ামক হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ। যে কোনো নিয়ন্ত্রিত শক্তি কল্যাণকর, কল্যাণময়ী, সমাজের জন্য শুভকর। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত কোনো কিছুই কারও জন্য ভালো নয়। মিয়ানমারে যা ঘটছে তা শুধু মিয়ানমারের জন্য কেন, সারা মানব জাহানের জন্য ক্ষতিকর। আরাকানের প্রায় ১৪-১৫ লাখ রোহিঙ্গা যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে বসবাস করবে এটা কোনোমতেই সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবা যায় না। আমাদের বিশাল ভূখন্ড থাকলেও সম্ভব ছিল না। একটা মানব গোষ্ঠীর যত রকম চাহিদা থাকে, শিক্ষা-সংস্কৃতি-অর্থ-বাসস্থান সবকিছুই তাদের প্রয়োজন। সেটা তারা পরদেশে কী করে পূরণ করবে? একটা মস্তবড় জনগোষ্ঠী স্বাভাবিকভাবে যদি কেউ বেড়ে উঠতে না পারে তাহলে আজ হোক বা কাল হোক বিশ্বের জন্য তারা এক ব্যাপক অশান্তির কারণ হতে পারে। আর স্বাভাবিক জীবন পেলে ওই আরাকানের উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে হয়তো বিশ্বজয় করা কোনো উদ্ভাবনী শক্তির জন্ম দিতে পারে বা পারত। কিন্তু দীর্ঘ সময় এ অসুস্থ পরিবেশে কোনো কিছুই ভালোর দিকে এগোচ্ছে না। যা এগোচ্ছে সবই খারাপের দিকে।

আমাদের ভূখন্ডে মিয়ানমারের ছোড়া গোলা এসে পড়ছে। রকেট শেল, মর্টার শেল এসে পড়ছে। কতটা পড়ছে সেটা বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য একটা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের মাটিতে অন্য দেশের কোনো আগ্নেয়াস্ত্র আঘাত হানতে পারে কি না সেটা একটা হোক আর কোটি কোটি হোক, সে অস্ত্র ছোট হোক আর বড় হোক? আঘাত করলে সেটা কতটা অপরাধ এবং তার জবাব কীভাবে দেওয়া উচিত। আমাদের নেতৃবৃন্দ বলে চলেছেন আমরা যুদ্ধ চাই না। তাদের সাধুবাদ জানাই। কিন্তু যুদ্ধ আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে আমরা পালিয়ে যাব, না শিনা টান করে রুখে দাঁড়াব? আমাদের সামনে যদি রুখে দাঁড়ানোর পথ না থাকে তাহলে এত রক্ত ঢেলে স্বাধীনতা কেন? আমরা গোলাম থাকলেই তো ভালো করতাম। এটা জানি, আমাদের মত, আমাদের চিন্তা-চৈতন্য, আমাদের কথাবার্তা অনেকের পছন্দ হয় না, তারা ভেবেও দেখেন না। কিন্তু যে কথা মিথ্যা নয়, যে কথার বাস্তবতা আছে, যুক্তিপূর্ণ কোনো কথা কার কণ্ঠে উচ্চারিত হলো, কে বলল সেটা বড় কথা নয়, কথাটা সত্য কি না। পরম শত্রু দেশের কল্যাণে কোনো কথা বললে তাকে অবশ্য অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।

২০১৭ সালে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় এক মাস বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। সেই সময় বলেছিলাম, এত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশ হিমশিম খাবে। বরং জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশের পাশে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য আরাকানে একটা নির্দিষ্ট এলাকা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে তাদের নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারত। এমনিতেই পৃথিবীর বহু দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। কক্সবাজারের পাশে আরাকান রাজ্যের কিছু অংশ অথবা পুরো আরাকান জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী শান্তিরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব পালন করতে পারে। বাড়ির কাছেই তারা শান্তিরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব পালন করল। এতদিন মিয়ানমার সরকারের নিপীড়নে সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে জীবন বাঁচাতে আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এবার কী হচ্ছে? সরকার বলছে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেব না। তাহলে এতকাল যারা জুলুম করেছে, জান্তা বাহিনীর হয়ে তারা যখন বিপ্লবীদের হাতে অথবা মুক্তিকামী যোদ্ধাদের হাতে মার খেয়ে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এলো তাদের কেন আশ্রয় দেওয়া হলো? এটাই আল্লাহর বিধান। একসময় যারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেশান্তরী করেছে, এখন তাদের নিজের দেশে জীবন বাঁচাবার সুযোগ নেই। কী মজার ব্যাপার! নমুনা হিসেবে যারা এসেছে, সেখানে সেনা আছে, সীমান্তরক্ষী আছে, পুলিশ আছে, জান্তা সরকারের কর্মচারী আছে, মিলিটারি জান্তার পক্ষের দালাল আছে। সরকার বলছে, এদের দেশে পাঠাবে। কার কাছে পাঠাবেন? এখন তো তাদের ঠিকানাই নেই, সরকারই নেই, কী দিয়ে পাঠাবেন? জাহাজ করে? জাহাজ ঘাট কি সরকারি নিয়ন্ত্রণে আছে?

জাহাজ পথ কি নিয়ন্ত্রণে? অনেক প্রশ্নের উত্তরও তো অনেকই দিতে হবে। যারা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, কয়েকজন তো আবার পরিবার-পরিজন নিয়েই এসেছে, তারা যেতে না চাইলে তাদের কী করে পাঠাবেন? সরকারি আনুগত্য ভঙ্গ করে তারা ভিনদেশে এসেছে। দেশে ফেরত পাঠালে তাদের জীবন নিরাপদ কি না সেটা ভেবে দেখতে হবে না? বাংলাদেশ ফেরত পাঠাতে চাইলে আর মিয়ানমার জান্তা সরকার ফেরত নিলেই শেষ কথা না। এখানে তো বিশ্বজনমত আছে, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা আছে। যারা স্বেচ্ছায় যাবেন সেটা ভিন্ন কথা। যাদের জীবনের ঝুঁকি আছে, হুমকি আছে, জীবন নিরাপদ নয় এমনটা যারা ভাববে তাদের ইচ্ছা করলেই কি ফেরত পাঠানো যাবে? কত বছর হলো আমরা স্বাধীন হয়েছি। মিয়ানমার থেকে এই সৈন্যসামন্তের বাংলাদেশে আগমন এবং তাদের আমরা ফেরত পাঠাতে চাচ্ছি ঠিক এরকমই কি ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আমাদের সামরিক লোকজন যখন ভারতে গিয়েছিল, তাদের ভারত যদি মাজায় দড়ি বেঁধে পাকিস্তান সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিত তখন কেমন হতো? ইদানীং অনেক সামরিক নেতা এবং অন্যান্য বিরোধীরা কতভাবে বলার চেষ্টা করে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে আমাদের নেতারা কিছুই করেননি। যদি কিছু না করতেন তাহলে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে জামাই আদর পেতেন না। মিয়ানমার থেকে যারা এসেছে তাদের বুকের ভিতর প্রতি মুহূর্তে কেমন তোলপাড় করছে, সম্ভব হলে একবার কান পেতে শুনুন।

 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

১১ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৩৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: জালালুদ্দীন আহমদ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: জালালুদ্দীন আহমদ

৫০ মিনিট আগে | রাজনীতি

টেকনাফে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক
টেকনাফে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ
ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি চাল জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি চাল জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি
জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা সমাপ্ত
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র
ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল
আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিভিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন পাস
বলিভিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন পাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদ্যালয়ে ঘুষকাণ্ড: অফিস সহায়ককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
বিদ্যালয়ে ঘুষকাণ্ড: অফিস সহায়ককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাকসু-চাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হবে, উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাকসু-চাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হবে, উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর
২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল মাত্র ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ
ভারতে গেল মাত্র ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
কলাপাড়ায় জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি
চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন