শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৪ আপডেট:

কাদেরিয়া বাহিনী জাদুঘর

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
কাদেরিয়া বাহিনী জাদুঘর

মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে ভালো-মন্দ মিলিয়ে এক দারুণ গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসে জন্ম নিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপিতা, এই মাসেই আমরা অর্জন করেছি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তৎসময়ের ডাকসুর ভিপি আ স ম আবদুর রব। এশিয়া মহাদেশে মাত্র দুজন মানুষ দুজন নেতা তার দেশের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছেন। একজন ভারতবর্ষের নাড়ির স্পন্দন বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আমরণ যোদ্ধা বীর বিপ্লবী মহাভারতের অহংকার বাঙালির গৌরব নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক পর্যায়ে আন্দামান নিকোবর জাপানিরা ব্রিটিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলে আন্দামানে নেতাজি সুভাষ ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এটা বলতেই হবে তখন আন্দামান নিকোবর ব্রিটিশের হাত থেকে মুক্ত ছিল, কোনো ভয়ভীতি ছিল না। অন্যদিকে ছাত্রসমাজের অহংকার আ স ম আবদুর রব যখন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তখন পর্যন্ত আমরা ছিলাম পাকিস্তানের কামানের মুখে। এক গুলিতেই উড়িয়ে দিতে পারত। সেই অবস্থাতেও ইস্পাত কঠিন মনোবল নিয়ে আ স ম আবদুর রব ২ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। আমি বহুবার বহু জায়গায় বলার চেষ্টা করেছি ইতিহাস ইতিহাসই। তা নিয়ে বেশি টানাহেঁচড়া করলে প্রকৃত ইতিহাসের কোনো ক্ষতি হয় না। যারা টানাহেঁচড়া করেন বরং তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। আ স ম আবদুর রব এখনো বেঁচে আছেন। তার মত- পথ যাই হোক ’৭১-এর ২ মার্চ তার পতাকা উত্তোলন এটা জাতীয়ভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকার করে নেওয়া উচিত। ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের চার নেতার একজন শাজাহান সিরাজ। সেখানে বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপিতা এবং রাষ্ট্রপতি এমন কোনো বিষয় ছিল না যা উল্লেখ করা হয়নি এবং সমগ্র জাতি যেটাকে সমর্থন করেছিল। ৩ মার্চ ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহূত সমাবেশে ইশতেহার পাঠকে জাতীয়ভাবে যদি স্বীকার করে নেওয়া হতো তাহলে স্বাধীনতার ঘোষক-ঘোষিকা নিয়ে কোনো কথা আসত না। কেন যেন স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকে আড়াল করা হচ্ছে। যাতে চলার পথে বাঁকে বাঁকে অসংগতি অসন্তোষ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এর পরেই আসে ৭ মার্চ। ৭ মার্চে জাতির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ পৃথিবীর অল্প কয়টি ভাষণের মধ্যে অন্যতম। ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বিরুদ্ধবাদীরা নানাভাবে নানা কথা বলতে পারে। আমরা যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যুদ্ধে আমাদের হাতে নানা ধরনের অস্ত্র ছিল। যদিও শুরুতে কিছুই ছিল না। ভাঙা থ্রি নট থ্রি রাইফেল আর বাঁশের লাঠির মধ্যে খুব একটা পার্থক্য ছিল না। কিন্তু তবু পুলিশের থ্রি নট থ্রি রাইফেলই আমাদের কাছে পাকিস্তানি হানাদারদের কামানের চেয়ে শক্তিশালী ছিল। আস্তে আস্তে পাকিস্তান হানাদারদের যেমন আধুনিক মারণাস্ত্র ছিল আমাদেরও ছিল। কারণ একসময় এমন মনে হতো পাকিস্তানের হাতের অস্ত্রই আমাদের অস্ত্র। একসময় না একসময় আমরা তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে আনতে পারবই। তাই তাদের অস্ত্রই আমাদের অস্ত্র। আরেকটা ব্যাপার আগস্টের ১০-১১ তারিখ কালিহাতী ভূঞাপুরের মাটিকাটায় নানা ধরনের বিপুল অস্ত্র বোঝাই পাকিস্তানি দুটি জাহাজ প্রচন্ড যুদ্ধের মধ্যে আমাদের দখলে আসে। আমরা সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র সংগ্রহ করি। যা পরবর্তী যুদ্ধের সময় অস্ত্র গোলাবারুদের জন্য আমাদের আর কারও মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়নি। এসবই আল্লাহর ইচ্ছে। কত অতি সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। আজ ভাবলে অনেক কিছুই স্বপ্নের মতো মনে হয়। কথাটা বলছিলাম এই জন্য যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের হাতে নানা ধরনের অস্ত্র থাকলেও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল আরেক মহাঅস্ত্র। কামান বন্দুকের থেকে কম ছিল না। একে তো দেহমনে সিংহের তেজ অনুভব করতাম, দ্বিতীয়ত যখন যার দরকার হতো বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে তার কিছু না কিছু পাওয়া যেত। যেমন- রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো, এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। বাঙালি-ননবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। আমাদের যাতে কোনো বদনাম না হয়। এমন কোনো কিছু ছিল না যা ৭ মার্চের ভাষণে ছিল না। ঘুটঘুটে অন্ধকারে দীপশিখা ছিল ৭ মার্চ।

১৭ মার্চ পিতার জন্মদিন। টুঙ্গিপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের ঘর আলো করে বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন। এরপর ২৫ মার্চ পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্যতম দিন। আজ অনেকে উপলব্ধি করতে পারবে না পাকিস্তানিরা কতটা নির্মম নিষ্ঠুর আচরণ করেছিল বাঙালির ওপর। ইয়াহিয়া বলেই দিয়েছিল, বঙ্গাল মল্লুককা আদমি নেহি, মিট্টি চাহিয়ে। সত্যিই তারা বাংলার লোকজনকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল। একটা মানুষ যে কত অপ্রয়োজন মূল্যহীন তা দেখা গেছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সেই সময়ের কর্মকান্ডে। তাদের বন্দুকের সামনে নারী-পুরুষ-শিশু কারও কোনো ভেদাভেদ ছিল না। মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে কত শিশুকে শূন্যে ছুড়ে বেয়নটে গেঁথে হত্যা করেছে তার কোনো হিসাব নেই। শত মানুষকে ব্রাশফায়ারে মুহূর্তের মধ্যে ভবলীলা সাঙ্গ করে দিয়েছে। যতভাবেই বলি সেই নিদারুণ বিভীষিকাময় অবস্থা বলে বা লিখে কাউকে বোঝানো যাবে না। কারণ এটা সিনেমায় দেখা হত্যাযজ্ঞ আর পাকিস্তানি হানাদারদের হত্যাযজ্ঞ এক নয়। সিনেমায় তৈরি মেকি প্রদর্শনীর চেয়েও ভয়াবহ বিভীষিকাময় ছিল পাকিস্তানিদের ২৫ মার্চের সে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। এক রাতেই তারা সারা দেশে ৩-৪ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল। সেই ২৫ মার্চ গভীর রাতে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। তাই বাংলার স্বাধীনতা ছেলেখেলা নয়। পৃথিবীর বহু দেশ অনেক বছর স্বাধীনতা জন্য যুদ্ধ করেছে। ভিয়েতনাম তো দুই যুগেরও বেশি। লাওস, কম্বোডিয়া কেউ কম যুদ্ধ করেনি, লড়াই করেনি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সত্যিই খুব ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু রক্ত ঝরেছে অনেক। যে কারণে অনেকে উপলব্ধি করতে পারেনি স্বাধীনতার কত দাম কত মূল্য। অল্প সময়ে কোনো কিছু পেলে অনেকেই তার প্রকৃত মূল্য বুঝে না, বুঝতে চায় না। মুক্তিযুদ্ধ যদি ১০-১৫-২০ বছর হতো, সবার গায়ে কম-বেশি বাতাস লাগত সবাই বুঝতে পারত। তবু স্বাধীনতা যে কি অমূল্য সম্পদ তা আজ ঘরে ঘরে বোঝার কথা।

৩০ মার্চ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসেছিলেন টাঙ্গাইলে। অনেক বছর ধরে একটা ইচ্ছে ছিল বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে যেভাবে আমরা অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিলাম সেটাকে স্মরণীয় করে রাখতে একটা কাদেরিয়া বাহিনী জাদুঘর করা যায় কি না। জীবনের অনেকটা সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে কাটিয়ে দিয়েছি। আরও এক লম্বা জীবন বলতে গেলে প্রায় অকাজেই চলে গেল। গত বছর প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনাকে কাদেরিয়া বাহিনী জাদুঘর করার মানসে একটা চিঠি দিয়েছিলাম। তিনি খুবই তাড়াতাড়ি সম্মতি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর মন্ত্রীর ইচ্ছে বা আন্তরিকতায় কখনো কোনো খাদ দেখিনি। কিন্তু তবু কেন যেন প্রকল্পটির কাজ তেমন গতি পায়নি। তাই জায়গাটি পরিদর্শনে সংশ্লিষ্ট অনেককে নিয়ে মন্ত্রী টাঙ্গাইলে এসেছিলেন। বহুদিন পর আমার বড় ভালো লেগেছে। কাদেরিয়া বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৮ জন। একজন বীরউত্তম, ৩ জন বীরবিক্রম ও ১৪ জন বীরপ্রতীক। অনেকেই চলে গেছে। মনে হয় ৭ বা ৮ জন এখনো আমরা জীবিত। এর মধ্যে আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, আবদুল হাকিম বীরপ্রতীক, আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক, ফজলুল হক বীরপ্রতীক উপস্থিত ছিল। আবুল গফুর বীরপ্রতীক, খোরশেদ আলম, আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী কোনো কারণে আসতে পারেনি। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের আট সংসদ সদস্যকেই অনুরোধ করেছিলাম, আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলাম। বিশেষ করে মনা এবং হাজী মকবুলের ছেলে আহসানুল ইসলাম টিটুকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে পেয়েছিলাম। আমার সখীপুর-বাসাইলের সংসদ সদস্য ভাগিনা জয়কেও বঙ্গভবনে বলেছিলাম। তাছাড়া ফোনেও কথা হয়েছিল। শুনলাম ওর নাকি বাচ্চার স্কুলে ভর্তির প্রোগ্রাম ছিল তাই আসতে পারেনি। প্রিয় যোদ্ধা ড. আবদুর রাজ্জাককেও বলেছিলাম। ড. আবদুর রাজ্জাকের সেদিনের কথাবার্তা আমার বড় ভালো লেগেছে। কিন্তু অনুষ্ঠানে আসতে পারেনি।

অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাপাকে টেলিফোনে বলেছিলাম। ভেবেছিলাম আসবে। কিন্তু আসা হয়নি। প্রবীণ নেতা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুককে ব্যক্তিগতভাবে তার বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত করেছিলাম। সত্যিই তিনি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। তার ছেলে মির্জাপুরের এমপি শুভর সঙ্গে কথা হয়েছিল। টাঙ্গাইল সদরের এমপি আলহাজ আবুল হোসেনের ছেলে সানোয়ারকে ব্যক্তিগতভাবে ওদের বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত করেছিলাম। সানোয়ার, শুভ এবং গোপালপুর-ভূঞাপুরের এমপি ছোট মনি খুবই আগ্রহ নিয়ে এসেছিল। কালিহাতীর সংসদ সদস্য বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী, তাকে সপ্তাহখানিক আগেই বলে রেখেছিলাম। তিনি যথাসময়ে এসেছিলেন এবং সবার মত নিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করার প্রস্তাব করেছিলাম। তিনি সানন্দে রাজি হয়েছিলেন। ঘাটাইলের সংসদ সদস্য রানার সঙ্গে কথা হয়েছিল। ভেবেছিলাম আসবে। হয়তো কোনো কারণে আসতে পারেনি। কিন্তু রানার বাবা ঘাটাইলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য আতোয়ার রহমান খান এসেছিলেন। এসেছিলেন আমার সখীপুর-বাসাইলের প্রাক্তন এমপি, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমার প্রিয় অত্যন্ত স্নেহের জোয়াহেরুল ইসলাম। এককথায় বলতে গেলে অনুষ্ঠানটি অসাধারণ হয়েছে। বহুদিন পর মুক্তিযোদ্ধাদের একত্র দেখে আমার অন্তরাত্মা ভরে গেছে। মজার ব্যাপার হলো, কাদেরিয়া বাহিনীর একমাত্র কমান্ডার যাকে পাকিস্তানিরা হনুমান কোম্পানি বলে ডাকত। হানাদারদের ভীতি সেই হুমায়ুন বাঙ্গালকে আমি চিনতে পারিনি। যে ছিল আমার ছায়ার মতো। ছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সব সময় সেই হুমায়ুন যার চেহারা এত বদলে গেছে। এ অনুষ্ঠানে তাকে আবার নতুন করে নতুন রূপে চিনলাম। মন্ত্রী পা থেকে মাথা পর্যন্ত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় ১৯ মার্চ গাজীপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি এবং ২ নম্বর বেঙ্গল রেজিমেন্টের ডিজার্ভ করার বিরুদ্ধে হাজার হাজার লোক নিয়ে ঢাকার ব্রিগেড কমান্ডার জাহানজেব আরবারকে ঘেরাও করেছিলেন তার অন্যতম নেতা ছিলেন বর্তমান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আগাগোড়া রাজনৈতিক মানুষের চাল-চলন, চিন্তা-চেতনা থাকে একরকম। তাই রাজনৈতিক লোকের সঙ্গে চলাফেরা অরাজনৈতিক লোকের সঙ্গে চলাফেরা কখনো একরকম হয় না। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে অস্ত্র প্রদানের ক্ষণটিকে স্মরণীয় করে রাখতে কাদেরিয়া বাহিনী জাদুঘর তৈরিতে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়ায় সবাই খুশি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা যদি জাদুঘর এবং কমপ্লেক্সটির সদয় হয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তাই তিনি শুধু জায়গাটি পরিদর্শন করে গেছেন। পরে সিদ্ধান্ত হবে।

আরেকটি বিষয় এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ’৬৯-এর মার্চে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এসে এক বছরের জন্য প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ’৭০-এর ১ জানুয়ারি থেকে প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু হয়। ১১ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগ প্রথম জনসভা করে। বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইল এসেছিলেন ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায়। টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভা হয়েছিল। সেদিনও বঙ্গবন্ধু ওয়াপদা ডাকবাংলোয় অবস্থান করেছিলেন। ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল স্বাধীন হয়। আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ায় ১২ ডিসেম্বর আমি ওয়াপদা ডাকবাংলোয় উঠেছিলাম। ১৩ ডিসেম্বর জেনারেল নাগরা, ব্রিগেডিয়ার সানসিং বাবাজি, ব্রিগেডিয়ার ক্লেরকে নিয়ে ঢাকা দখলের পরিকল্পনা করা হয় এই ওয়াপদা ডাকবাংলোয়। স্বাধীনতার পর ২৪ জানুয়ারি যেদিন কাদেরিয়া বাহিনী বঙ্গবন্ধুর হাতে সমস্ত অস্ত্র তুলে দেয় সেদিনও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ডাকবাংলোতে দোতলার পশ্চিম পাশের ঘরে উঠেছিলেন। ঢাকা থেকে ভাঙা রাস্তায় ধুলোমাটিতে একাকার নেতা গোসল করে পরিপাটি হয়েছিলেন এখানে। দোতলা থেকে নেমে সার্কিট হাউসে যাওয়ার পথে পরম বন্ধু সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে ফোমিন তার দেশের স্বীকৃতি নিয়ে ছুটে এসেছিলেন। এখান থেকে তাকে আমরা সার্কিট হাউসে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং বঙ্গবন্ধুর পাশে বসিয়ে খাবার খাইয়ে ছিলাম। এর কিছুদিন পর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে আবহাওয়া খারাপ থাকায় হেলিকপ্টার না চলায় বঙ্গবন্ধু, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকার পথ ধরেছিলেন। আমরা ঘাটাইল পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে নেতাকে টাঙ্গাইল নিয়ে এসেছিলাম এবং টাঙ্গাইলে থাকার অনুরোধ করায় তারা থেকে গিয়েছিলেন। তিনজনই প্রথম ওয়াপদা ডাকবাংলোয় উঠেছিলেন। সৌভাগ্যের কথা এই ওয়াপদা ডাকবাংলোতেই আমেরিকার রাষ্ট্রদূতও তার দেশের স্বীকৃতির কথা জানিয়েছিলেন। রাতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন তখনকার ভাঙা সার্কিট হাউসে, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং এম মনসুর আলী ছিলেন ওয়াপদা ডাকবাংলোয়।

আমাদের বাড়ি পুড়ে ছারখার করে দেওয়ায় ১২ ডিসেম্বর ’৭১ থেকে ১২ আগস্ট ’৭৫ পর্যন্ত আমি এই ডাকবাংলোর দোতলায় পশ্চিম ঘরের বাসিন্দা ছিলাম। তখন জেলা গভর্নর পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। আমাকে করা হয়েছিল টাঙ্গাইলের জেলা গভর্নর। ১২ আগস্ট সকালে এই ডাকবাংলো থেকেই ঢাকায় গিয়ে বঙ্গভবনে জেলা গভর্নরদের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলাম। মন্ত্রীকে তাই অনুরোধ করেছিলাম ভবনটি দেখে যেতে। পৃথিবীর বৃহৎ দুটি শক্তি বাংলাদেশকে যে ঘরে যে বাড়িতে স্বীকৃতি দিয়েছে, যে ঘরে বঙ্গবন্ধুর পায়ের ধুলো পড়েছে সেই ঘর সে বাড়ি হেলাফেলায় নষ্ট না করে সংরক্ষণ করা যায় কি না সেজন্য ভবনটি দেখতে মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি এই শেষ বয়সে আমার অনুরোধ রক্ষা করায় আমি যারপরনাই আনন্দিত। দেখা যাক এমন একটি ঐতিহাসিক ভবন হেলাফেলায় নষ্ট হবে নাকি জাতির ঐতিহ্য হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে তা ভবিষ্যৎই নির্ধারণ করবে।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

৫২ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’
‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই মার্কিন নাগরিক ২ দিনের রিমান্ডে
সেই মার্কিন নাগরিক ২ দিনের রিমান্ডে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা
জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা