শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

অগ্নিঝরা মার্চের অন্তরালের কিছু কথা

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
অগ্নিঝরা মার্চের অন্তরালের কিছু কথা

২০২৫-এর মার্চ মাস এমনভাবে অতিবাহিত হচ্ছে, যেন বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ মাস বলে কিছু ছিল না এবং এখনো নেই। ১৯৭০ সালের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার দুরভিসন্ধির পরিণতি ছিল ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত মার্চ, যা ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সত্ত্বেও ১ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কর্তৃক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা। তার এ ঘোষণা তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে দেয়, যার প্রথম শিকারে পরিণত হয় বিহারিদের মালিকানাধীন দোকানপাটসহ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে এবং প্রশাসনসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী লীগের হাতে চলে যায়। ৩ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রনেতারা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়। ছাত্রনেতাদের এ উদ্যোগের মুখ্য কারণ ছিল, তারা ধারণা করেছিলেন, শেখ মুজিব যদি ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন, তাহলে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে যে বিপ্লবী গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তা স্তিমিত হয়ে যেতে পারে।

শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণার দিকে না গিয়ে অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। ৩ মার্চ যেহেতু জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ৭ মার্চ শেখ মুজিব রেসকোর্স ময়দানের ভাষণে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার ও ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। তিনি ভাষণ শেষ করেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। পরে ১৯৭২ সালে দেশে ফেরার পর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের সমাবেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা না দেওয়ার কারণ সম্পর্কে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি বিশেষ করে ওই দিনে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে চাইনি। আমি তখন তাদের এ কথা বলতে দেওয়ার সুযোগ দিতে চাইনি যে, মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে এবং আমাদের জন্য পাল্টা আঘাত হানা ছাড়া বিকল্প নেই। আমি চেয়েছিলাম, তারাই আমাদের ওপর প্রথম আঘাত করুক।

মার্কিন দূতাবাসের কমিউনিকেশনেও এর সমর্থন পাওয়া যায় : মুজিব বেশ কজন বিদেশি সাংবাদিকের কাছে অব দ্য রেকর্ড স্বীকার করেছেন যে, তিনি রবিবার (৭ মার্চ) স্বাধীনতার সমপর্যায়ের কিছু ঘোষণা করবেন। তবে তিনি এ কথা বলেন যে, পূর্ব ও পশ্চিম অংশের উচিত তাদের নিজ নিজ সংবিধান রচনা করা এবং এরপর উভয় অংশের মধ্যে যোগসূত্র রক্ষার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পাকিস্তান এয়ারফোর্সের অন্তত একটি সি-১৩০ বিমানকে ঢাকায় আসতে দেখা যায় এবং নিয়মিত খবর আসছিল যে, পাকিস্তানের কমার্শিয়াল এয়ারলাইনসে সৈন্যদের ঢাকায় আনা হচ্ছে এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে জাহাজযোগেও সৈন্য আনা হচ্ছে। জানা গেছে, সামরিক বাহিনীর কিছু ব্যক্তির পক্ষ থেকে চাপ ছিল পূর্ব পাকিস্তানি নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রদেশের অবশিষ্ট অংশে ভীতিসঞ্চার করা।

২০২৫-এর মার্চ মাস এমনভাবে অতিবাহিত হচ্ছে, যেন বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ সারা দেশে যেভাবে বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছিল তা দমনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল মার্চের আগেই। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শক্তিপ্রয়োগের নির্দেশ দিলেও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান জনগণের ওপর গুলিবর্ষণ করার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। তাঁকে গভর্নর পদ থেকে অপসারণ করে লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খানকে গভর্নর নিয়োগ করা হয়। তিনিও নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের বিরোধী ছিলেন। তাকে গভর্নর হিসেবে নিয়োগ করার আগেও তিনি ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান প্রদেশগুলোর গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসকদের বৈঠক আহ্বান করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করা এবং পূর্ব পাকিস্তানে বিশৃঙ্খলা দমনে শক্তিপ্রয়োগের নির্দেশ দিলে গভর্নর আহসান ও সামরিক আইন প্রশাসক ইয়াকুব খান বৈঠক শেষে পৃথক আলোচনায় শক্তিপ্রয়োগের বিপর্যয়কর পরিণতির কথা বিবেচনা করে শক্তিপ্রয়োগে তাদের আপত্তির কথা প্রেসিডেন্টকে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।

ইয়াকুব খান তার চিঠিতে পূর্ব পাকিস্তানে দ্রুত অবনতিশীল ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানিয়ে শক্তিপ্রয়োগের পরিবর্তে রাজনৈতিক সমাধানের জরুরি আবশ্যকতার কথা জানান। তিনি যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত অথবা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিদ্যমান ক্ষোভ প্রকাশ্য বিদ্রোহে রূপ নেবে এবং শেষ পর্যায়ে পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এ চিঠি পাওয়ার পর ইয়াহিয়া খান পুনরায় গভর্নর আহসান ও ইয়াকুব খানকে তলব করেন। তিনি তাদের বলেন, আমি আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারি, যদি আপনারা মি. ভুট্টোকে সম্মত করাতে পারেন। ভুট্টোই জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গভর্নর আহসান এবং সাহেবজাদা ইয়াকুব খান করাচি যান। ভুট্টো তাদের পরামর্শে কোনো গুরুত্ব প্রদান না করে বলেন যে, তারা বাঙালিদের পক্ষ থেকে যে সহিংস প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা করছেন তার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বুর্জোয়াদের একটি দল এবং জনগণের দল নয়। এ দল গেরিলা যুদ্ধে লড়তে পারবে না। কোনো সহিংস প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে না। তারা রাওয়ালপিন্ডিতে ফিরে ইয়াহিয়া খানকে ভুট্টোর সঙ্গে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু অবহিত করার পর প্রেসিডেন্ট তাদের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে পর দিন শেখ মুজিবকে জাতীয় পরিষদ স্থগিত রাখার কথা জানাতে বলেন। ১ মার্চ এ ঘোষণা জাতীয়ভাবে করা হবে।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার নির্দেশমতো ১৯৭১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গভর্নর এস এম আহসান শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করতে যান এবং জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানালে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ পরিস্থিতিতেও শেখ মুজিব সরকারকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক ছিলেন। তিনি তার ক্রুদ্ধ সহকর্মীদের রুম থেকে বের করে দিয়ে গভর্নর আহসানের সঙ্গে একান্তে আলোচনা করেন। তিনি গভর্নরকে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে ইতোমধ্যে বিরাজমান বিস্ফোরণোন্মুখ পরিস্থিতির মধ্যে এ সিদ্ধান্তের পরিণতি হবে ভয়াবহ। আগামীকাল প্রকাশ্য ঘোষণার আগে আপনি যদি নতুন একটি তারিখ দিতে পারেন, তাহলে আমি জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হব।

গভর্নর আহসান আপ্রাণ চেষ্টা করেও ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আর কথা বলতে পারেননি। কোনোভাবে তিনি জেনারেল হামিদকে টেলিফোনে পেয়ে তাকে অনুরোধ জানান জাতীয় পরিষদ অধিবেশনের নতুন একটি তারিখ নির্ধারণের জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে কথা বলতে। জেনারেল হামিদও গভর্নর আহসানের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেননি। শেষ পর্যন্ত গভর্নর আহসান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে একটি সিগন্যাল পাঠিয়ে অনুনয় করেন রাতের মধ্যে নতুন তারিখ ঘোষণা করতে, কারণ আগামীকাল অনেক বিলম্ব হয়ে যাবে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কোনো সাড়া আসেনি।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে যেন আগুন লেগে যায়। এ ঘোষণার প্রতিবাদে ছাত্র-শিক্ষক, আইনজীবী-বিচারক, সরকারি কর্মচারী, শ্রমিক-দোকানিসহ সমাজের সব শ্রেণির মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। জনতা ঢাকার মতিঝিলে হোটেল পূর্বাণীর উদ্দেশে যেতে থাকে, যেখানে শেখ মুজিব তাঁর দলের জাতীয় পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে মুকিম তার পাকিস্তানস ক্রাইসিস ইন লিডারশিপ গ্রন্থে যথার্থই বলেছেন : এটা স্পষ্ট ছিল যে, জনগণ এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ চরম হতাশায় এমন মেজাজে ছিলেন- জনগণ জেগে উঠেছিল, তারা বক্তৃতা শোনার অবস্থায় ছিল না, তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে ছিল।

পূর্ব পাকিস্তান যখন বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফুঁসছিল, গভর্নর আহসান, সামরিক আইন প্রশাসক লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খান এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী তখনো ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রেরিত সিগন্যালের উত্তর পাওয়ার জন্য গভর্নর হাউসে অপেক্ষা করছিলেন। রাত ১০টায় গভর্নর হাউসে টেলিফোন বেজে উঠলে গভর্নর আহসান ফোন ধরেন। ফোন করেছিলেন রাওয়ালপিন্ডি জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স থেকে লে. জেনারেল পীরজাদা। তিনি লে. জেনারেল ইয়াকুবকে চাইলে গভর্নর আহসান তাকে ফোন দেন। কয়েক মিনিট কথা বলার পর ইয়াকুব খান ফোন রেখে বলেন, এখন আমি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। এমন অপমানজনকভাবে পদচ্যুত করায় রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান অত্যন্ত মর্মাহত ও বিব্রত হন। ইয়াহিয়া খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আহসান, তার নিশ্চিত মনে হয়েছে যে, ইয়াহিয়া খান তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সাহেবজাদা ইয়াকুব খানও দ্বিধাগ্রস্ত, তিনি কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। তিনি তার ক্যান্টনমেন্টের আবাসে চলে যান।

পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে আহসান প্রদেশের পরিস্থিতি সরেজমিনে যাচাই করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে বারবার অনুরোধ জানালেও তিনি আসেননি। গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করে সাহেবজাদা ইয়াকুব খানও প্রেসিডেন্টকে পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতি দেখতে আসার আমন্ত্রণ জানানোর ভুল করেন। ১৯৭১ সালের ৪ মার্চ ইয়াকুব খান রাওয়ালপিন্ডিতে লে. জেনারেল পীরজাদাকে ফোন করে বলেন, প্রেসিডেন্টের সফর কর্মসূচি যদি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আমার পক্ষে পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। ঢাকা ও রাওয়ালপিন্ডির মধ্যে ফোনে আরও বেশ কয়েক দফা কথাবার্তা হয়। ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবের মধ্যেও ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়। সেদিনই গভর্নর ইয়াকুবকে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৫ মার্চ ঢাকায় আসতে সম্মত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত সবার মধ্যে স্বস্তির ভাব পরিলক্ষিত হয়। রাত ১০টায় ইয়াকুবের কাছে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ফোন করে জানান, তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন এবং ঢাকায় আসছেন না। ইয়াকুব তাকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও ইয়াহিয়া খান তার সিদ্ধান্তে অটল। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা শেষ করে তিনি লে. জেনারেল পীরজাদাকে ফোন করে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার আলোচনার কথা জানিয়ে বলেন, মেহেরবানি করে আমার পদত্যাগের কথা প্রেসিডেন্টকে জানাবেন। আমি কাল পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেব। গভর্নর হিসেবে লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খান মাত্র চার দিন দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ৬ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেন, ২৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে। তিনি লে. জেনারেল ইয়াকুব খানের পরিবর্তে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে লে. জেনারেল টিক্কা খানকে নিয়োগ করেন। ৭ মার্চ টিক্কা খান ঢাকায় পৌঁছে বিমানবন্দরেই ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজার উদ্দেশে তির্যক মন্তব্য করেন : খাদিম, তোমার ডিভিশন এখানে বসে বসে কী করছে? সবকিছু কেমন তালগোল পাকিয়ে ফেলেছো! খাদিম তার বই অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রিতে লিখেছেন, তার অজ্ঞতাপূর্ণ ও অমার্জিত মন্তব্যে আমি নিজেকে ক্রুদ্ধ অনুভব করি এবং পাল্টা বলি, এখন আপনি এখানে, শিগগিরই আপনি স্বয়ং দেখতে পাবেন। পরদিন পূর্ব পাকিস্তান হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী টিক্কা খানকে প্রদেশের গভর্নর হিসেবে শপথ গ্রহণ করাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি ইতোমধ্যে জেনেছেন, গভর্নর হাউসের কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করেছে, অতএব তাকে ক্যান্টনমেন্টেই থাকতে হয়। পূর্ব পাকিস্তান এবং প্রদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে টিক্কা খানের সুস্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্যদের বিমানযোগে পূর্ব পাকিস্তানে আনা অব্যাহত ছিল।

ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান হিসেবে টিক্কা খান শুরুতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নির্দেশ অনুযায়ী সৈন্যদের ক্যান্টনমেন্টগুলোতে রাখতে এবং উসকানিমূলক মনে হতে পারে এমন কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। সেজন্য স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান, রেডিও পাকিস্তান এবং ঢাকা টেলিভিশন স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে প্রহরার কাজে নিয়োজিত থাকা ছাড়া ঢাকার অন্যান্য স্থান থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরিয়ে আনা হয়।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছিল, যুক্তরাষ্ট্র তার পক্ষে থেকে পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। কিন্তু ইয়াহিয়া খানের সে আশা পূর্ণ হয়নি। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের সিনিয়র রিভিউ গ্রুপের বৈঠকে সেক্রেটারি অব স্টেট হেনরি কিসিঞ্জার বলেন,  আমরা যে এগিয়ে যাইনি, তার আরেকটি কারণ ছিল যে, পশ্চিম পাকিস্তান অত্যন্ত সন্দিগ্ধ ছিল যে, আমরা একটি পৃথক পূর্ব পাকিস্তান রাষ্ট্রকে সমর্থন করছি। আমরা যদি ইয়াহিয়াকে বল প্রয়োগ করতে নিষেধ করি, তাহলে সেই সন্দেহে আরও ইন্ধন দেওয়া হবে।

ভুট্টোর চাপে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করায় পূর্ব পাকিস্তানে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তার শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পাওয়ার আশার অবসান এভাবেই ঘটে। পূর্ব পাকিস্তান আর আওয়ামী লীগের ছয় দফা দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। সারা দেশ পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল। সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার ও সৈনিকদের যারা পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন সেনানিবাসে ছিলেন, তাদের মধ্যেও বিদ্রোহের চেতনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল সময়ের ব্যাপার। সে সময়ও আর দূরে ছিল না।

 

    লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, অনুবাদক, নিউইয়র্ক

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

৫৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন
জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’
‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা
জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা