শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫ আপডেট: ০০:১৬, সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫

জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!

গোলাম মাওলা রনি
প্রিন্ট ভার্সন
জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!

আমার আজকের নিবন্ধটি মূলত তাদের জন্য, যারা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে একদম দুচোখে দেখতে পারেন না। জিয়ার নাম শুনলে যাদের গা-জ্বালা করে অথবা যাদের শরীর-মনে প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা এবং ঈর্ষার দাবানল দাউ দাউ করে জ্বলে তারাও আজকের নিবন্ধ থেকে কিছুটা শান্তির পরশ পেলেও পেতে পারেন। যারা চান বাংলাদেশের মাটিতে জিয়াউর রহমান নামে যে কেউ ছিল সেই ইতিহাস মুছে ফেলতে অথবা জিয়াকে মানুষের মনমননশীলতা এবং চিন্তা থেকে চিরতরে বিদায় করে দেওয়ার জন্য, যারা নিরন্তর উল্টাপাল্টা চেষ্টা-তদবির চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তারা ইচ্ছা করলে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মপদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছালেও পৌঁছাতে পারেন। জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য আপনি মহামতি আলেকজান্ডারকে অনুসরণ করতে পারেন- যিনি তাঁর জাদুকরী প্রতিভা দ্বারা হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী এবং তৎকালীন দুনিয়ার একমাত্র সুপারপাওয়ার পারস্য সাম্রাজ্যকে পরাজিত করেছিলেন। আপনি ভারতীয় পণ্ডিত চাণক্যের নীতিও অনুসরণ করতে পারেন, যিনি তাঁর নিয়োগকর্তা মহামতি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে অমরত্বদানের জন্য পূর্ববর্তী নন্দবংশের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অতিক্রম করে নতুন ইতিহাস রচনা করতে পেরেছিলেন। সাম্প্রতিক ইতিহাসের মহামতি সম্রাট আকবরকেও অনুসরণ করা যেতে পারে, যিনি ভারতের সবচেয়ে নাক উঁচু এবং অহংকারী রাজপুত জাতির ইতিহাসের ওপর মুঘল আধিপত্য কায়েম করতে পেরেছিলেন অবলীলায়। বাংলাদেশের যেসব লোক জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য কাজ করছেন, তারা মূলত উল্টো রথে চলে নিজেদের সর্বনাশ ঘটাচ্ছেন এবং জিয়াকে ক্ষতি করার পরিবর্তে উপকার করে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে ইতিহাসের একটি কাহিনি বলে মূল প্রসঙ্গে এগোতে চাই। পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ যুগান্তকারী যুদ্ধটির নাম গাওগেমেলা। পারস্য সম্রাটের চৌকশ এবং তৎকালীন দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ, দক্ষ এবং পেশাদার ৩ লাখ সৈন্যের বাহিনীকে মাত্র ৪০ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী দ্বারা মহামতি আলেকজান্ডার যেভাবে নিজের বিজয় নিশ্চিত করেছিলেন ঠিক সেভাবে আপনিও পারেন জিয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বুদ্ধিমত্তা, কৌশল এবং দক্ষতার মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করতে। গাওগেমেলা যুদ্ধক্ষেত্রে আলেকজান্ডার পারস্য বাহিনীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সফলতার কারণ এবং তাদের শক্তিমত্তার কৌশলগুলো জেনে নিয়েছিলেন। পারস্য বাহিনীর আধুনিক অস্ত্র, প্রযুক্তি, শৃঙ্খলা এবং যুদ্ধকৌশলের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর সেগুলো মোকাবিলা করার উপায় উদ্ভাবন করে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। অন্যদিকে পারস্য রাজ তৃতীয় দারাফুস আলেকজান্ডারের দুর্বলতাগুলোর খোঁজ করেছিলেন এবং তাঁর অল্প বয়স, সংখ্যালঘু সৈন্যবাহিনী এবং ইতোপূর্বে বড় কোনো যুদ্ধ জয়ের অভিজ্ঞতা না থাকাকে নিজের বিজয়ের জন্য নিয়ামক মনে করে একধরনের আত্মতৃপ্তিতে ভুগেছিলেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছিল- তামাম দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে আলেকজান্ডার বিজয়ী হয়েছিলেন।

জিয়ার স্মৃতি মুছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করার আগে আপনাকে অবশ্যই গবেষণা করে বের করতে হবে কেন জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বিরাটসংখ্যক মানুষের হৃদয়ের রাজা হিসেবে সাবেক রাষ্ট্রপতিযুগযুগান্তরে কেবল নিজের দখলদারি বাড়িয়ে চলেছেন। কেন মানুষ জিয়ার নাম পাথর, পাহাড় কিংবা প্রাসাদের গায়ে খোদাই না করে নিজেদের কলিজার ওপর লিখে যাচ্ছে অনবরত।

বাংলা ভূখণ্ডের প্রবাদতুল্য এবং কিংবদন্তির রাজনৈতিক মেধাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব যথা আবুল হাসিম, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এবং কমরেড মণি সিংহ কেন বিএনপির মতো একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারলেন না। অথবা আবুল হাসিমের খেলাফতে রব্বানী পার্টি, ভাসানীর ন্যাপ, ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টি এবং মণি সিংহের কমিউনিস্ট পার্টি কেন জিয়া প্রতিষ্ঠিত বিএনপির মতো স্থায়িত্ব পেল না! কেন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতারা বারবার বিএনপিতে যোগদান করছেন। অন্যদিকে বিএনপির কোনো শীর্ষনেতা কেন এরশাদ জমানা ছাড়া অন্য সময়ে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলেন না। এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়া বিএনপি নেতারা কেন পুনরায় তাঁদের মূল দলে ফিরে এলেন।

জিয়াবিরোধীদের অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে দেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস। কোন প্রেক্ষাপটে যুদ্ধ শুরু হলো, কীভাবে যুদ্ধ চলল, কারা যুদ্ধ করল এবং কেন করল ইত্যাদি প্রশ্নের নির্মোহ উত্তর না জানা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলা আর নিজেকে তামাশার বস্তু অথবা সার্কাসের সং বানানোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। জিয়া শুধু গণমানুষের হৃদয় নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের হৃদয়ের মণিকোঠাতেও ভালোবাসার মিসাইল স্থাপন করে গেছেন। সেই মিসাইল আজ অবধি কেন অন্য কেউ অপসারণ করতে পারল না অথবা নতুন ভালোবাসার মিসাইল অথবা মন্ত্র দ্বারা ওই সব প্রতিষ্ঠানের হৃদয়পট দখল করা হলো না?

জিয়া কি মুক্তিযোদ্ধা নাকি পাকিস্তানের তৎকালীন সরকারের খয়ের খাঁ ছিলেন তা বোঝার জন্য জিয়াবিরোধীদের আধুনিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সেনাবাহিনী, রাষ্ট্র ও রাজনীতিবিদদের পারস্পরিক সম্পর্ক, প্রভাব এবং সামগ্রিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং সুবৃহৎ সেনাবাহিনীগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। সেই বাহিনীর একজন মেজরের পক্ষে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকা সম্ভব কিনা। অথবা পৃথিবীর কোনো সেনাবাহিনীর একজন মেজরকে সেই দেশের সরকার প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করার জন্য অনুমতি দিয়ে সরকারবিরোধীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অনুমতি দেওয়ার নজির আদৌ আছে কি?

বৃহৎ একটি সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র কর্মকর্তা যদি শক্তিশালী রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে হঠাৎ বলে ওঠেন ‘আই রিভোল্ট’ তাহলে তাঁর কী পরিণতি হতে পারে? পৃথিবীর ইতিহাসে এযাবৎকালে কতজন মেজর একটি সরকার, একটি সেনাবাহিনী এবং একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বলতে পেরেছেন- আমি বিদ্রোহ করলাম! নিশ্চিত মৃত্যু, তা-ও আবার কোর্ট মার্শাল অথবা ক্রসফায়ার জানার পর একজন পাগল, নির্বোধ অথবা শিশু ছাড়া অন্য কোনো প্রকৃতি বা জাতের মানুষ এমনতরো দুঃসাহস দেখাতে পারে? সে কী ভীরু কাপুরুষ-নাকি মহাবীর! সে কী বেইমান, বিশ্বাসঘাতক নাকি মহৎ প্রাণ দেশপ্রেমিক!

ব্যক্তি জিয়ার সততা, প্রশাসনিক দক্ষতা, স্বজনপ্রিয়তার ঊর্ধ্বে ওঠে কাজ করার দুর্দমনীয় ক্ষমতা, আপন পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের রাষ্ট্রীয় কর্মের ধারেকাছে ভিড়তে না দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত রাখার যে দুরন্ত সাহস, অনমনীয় মনোভাব এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখাতেন তা কী জনগণ পছন্দ করত নাকি এসব কারণে জিয়াকে লোকজন ছি ছি রবে ঘৃণা জানাত তাও খুব ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। জিয়ার প্রশাসনিক সংস্কার, আইন প্রণয়ন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, চোরাচালান রোধ, জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড, খাল কাটা, কৃষিবিপ্লব, বিদেশনীতি, অভ্যন্তরীণ নীতি, অর্থব্যবস্থার সফলতা এবং সর্বস্তরে স্থিতিশীলতা আনয়নের প্রক্রিয়া-পদ্ধতি তৎকালীন জনগণ এবং সাম্প্রতিককালের জনমানুষ কীরূপে বিবেচনা করে, তা মূল্যায়ন ব্যতিরেকে জিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা আত্মঘাতী পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।

মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার অংশগ্রহণ, একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া এবং তাঁর অধীন সেক্টরটির কর্মকাণ্ড কী বীরত্বপূর্ণ ছিল নাকি তিনিসহ তাঁর পুরো বাহিনী, কমান্ড ও সেক্টর পাকিস্তানিদের দোসর ছিল? মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর বীরত্ব অথবা তাঁর ভাঁওতাবাজি, ছলচাতুরী, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে দলিলপত্র না থাকলে তাঁকে কোনোভাবেই মোকাবিলা সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে কালুরঘাট বেতার থেকে জিয়ার কণ্ঠে স্বাধীনতা ঘোষণা অথবা অন্য কারও পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করাটি মূল্যায়ন করার আগে আরও কতগুলো প্রশ্নের জবাব খোঁজা আবশ্যক। কেন অন্য কোনো সেক্টর কমান্ডার, সেনাপতি বা উপসেনাপতি জিয়ার আগে বা পরে জিয়ার মতো করে কোনো ঘোষণা দিলেন না। কেন অন্য কোনো বেসামরিক ব্যক্তির ঘোষণা দেশবাসীর কর্ণকুহরে ঢুকল না। কেন দিলেন না। কেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা জিয়ার আগে বা পরে অথবা মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। এমনকি প্রবাসী সরকারের কর্তাব্যক্তিরাও কেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলেন না, মুজিবনগর ঘটনার আগে!

মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা তাঁর নেতা ও পিতা বইতে অভিযোগ করেছেন যে তাঁর পিতা সর্বোচ্চ চেষ্টা-তদবির করেও টেপরেকর্ডারে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে স্বাধীনতার ব্যাপারে কোনো ঘোষণা সংগ্রহ করতে পারেননি। এ অবস্থায় শূন্য টেপরেকর্ডার নিয়ে তিনি ভারতে পাড়ি দিতে বাধ্য হন। তাজউদ্দীনকন্যার বই পাঠ করার পর অনেক পাঠক মন্তব্য করেছেন, তিনি তো জিয়ার মতো বাংলাদেশ ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে একটি ঘোষণা দিতে পারতেন! স্বাধীনতাযুদ্ধের সুদীর্ঘ ৯ মাসের মধ্যে যুদ্ধরত সেনাবাহিনী, মুক্তিবাহিনী, ভারতীয় মিত্রবাহিনী, পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসরদের ভূমিকা নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করতে না পারলে কারও পক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং ভাবধারা হৃদয়ে ধারণ করা সম্ভব নয়। আর মুক্তিযুদ্ধের ধারকবাহক ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে কোনো কথা গ্রহণীয় নয়।

রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জিয়ার সময়কালকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই তাঁর ক্ষমতার সাড়ে তিন বছর এবং ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বেকার সাড়ে তিন বছর ইতিহাসের নিরপেক্ষতার কষ্টিপাথর দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে। দুটি সময় সম্পর্কে তৎকালীন জনগণ এবং বর্তমান জনগণের ধারণা সম্পর্কে আপনাকে ওয়াকিবহাল হতে হবে। কোন সময়কালে জনগণ খুশি ছিল অথবা কোন সময়ে জনগণের মন ক্লান্তি, ক্লেদ, ক্ষোভ এবং হতাশায় পূর্ণ ছিল। জিয়ার জীবদ্দশায় কতজন মানুষ গোপনে তাঁর মৃত্যু কামনা করতেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর কতজন মানুষ উল্লাস প্রকাশ করেছেন তার সমীকরণ জিয়াবিরোধীদের অবশ্যই করতে হবে। জিয়ার মৃত্যুর পর মানুষের হৃদয়ে শোক ও আনন্দের বন্যার তুলনামূলক বিচার ছাড়া জিয়ার স্মৃতি মোছন-প্রছনে হতে দেওয়া ঠিক হবে না।

রাজনীতিবিদ জিয়ার সফলতা ও ব্যর্থতা এবং বিএনপির ভূত-ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার আগে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিহাস আপনাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রায় ৬৫ বছর পর ভারতীয় কংগ্রেস স্থিতিশীলতা ও ক্ষমতা পেয়েছিল ভারত স্বাধীন হওয়ার মাধ্যমে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০৬ সালে এবং প্রতিষ্ঠার ৪২ বছর পর ক্ষমতা এবং স্থিতিশীলতা পেয়েছিল। আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। পরে তা পরিবর্তিত হয়ে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের অংশীদার হিসেবে আওয়ামী লীগ পূর্ব বাংলায় সরকার গঠনের অংশীদার হলেও দলের মধ্যে স্থিতিশীলতা ছিল না। এমনকি মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ববর্তী এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালেও দলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সত্যিকার স্থিতিশীল দল হিসেবে নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কর্ম শুরু করতে পেরেছিল ১৯৯১ সালে এরশাদশাহির পতনের পর। এ ক্ষেত্রে জিয়া প্রতিষ্ঠিত বিএনপির প্রাথমিক স্থিতিশীলতার গোপন রহস্যটি অবশ্যই জিয়াবিরোধীদের খুঁজে বের করতে হবে।

প্রয়াত জিয়াউর রহমান সম্পর্কে উল্লেখিত বিষয়াদির পাশাপাশি তাঁর হাঁটাচলা, কথাবার্তা, ভাবভঙ্গি, প্রতিশ্রতি পালন, ধর্মকর্ম, সদাচার, জনকল্যাণ, দানখয়রাত, পোশাক-আশাক, রুচিবোধ, সময়ানুবর্তিতা, আহার-নিদ্রা ও বিশ্রামের ধরন ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর শিক্ষা, সামাজিক মর্যাদা, পারিবারিক সচ্ছলতা ও আভিজাত্য, তাঁর পিতামাতা-আত্মীয়স্বজনের সুনামগুলো না জেনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অসম্ভব। কারণ প্রকৃতির সহজ নিয়ম হলো, প্রতিটি কর্মের সমান প্রতিক্রিয়া রয়েছে। প্রকৃতির এই সূত্রমতে মন্দকর্ম প্রতিহত করতে হয় মন্দকর্ম দ্বারা। অন্যদিকে ভালো কর্মকে অতিক্রম করতে হলে কেবল অধিকতর ভালো ও সৎকর্মের সফল বাস্তবায়ন দরকার।

প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উল্লেখিত কর্ম জীবনাচরণ এবং স্মৃতিগুলো মূল্যায়ন করার পর আপনাকে অবশ্যই এসব কর্মের হালনাগাদ লভ্যাংশ এবং কিছু বোনাস যোগ করে নিজের শুভ কর্মগুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এরপর আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন কোন কাজগুলোর স্মৃতি আপনি মুছতে চান? আপনি যদি সৈনিক অথবা সেনাপতি জিয়াকে মোকাবিলা করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে সৈনিক এবং সেনাপতি হতে হবে, তা-ও আবার তাঁর সমপর্যায়ের পদপদবিধারী না হলে চলবে না। আপনি যদি মুক্তিযোদ্ধা কীর্তিগাথা এবং বীরত্বকে অতিক্রম করতে চান, তবে আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ এবং আরও একটি রণাঙ্গন ছাড়া আপনার আশা পূর্ণ হওয়া অসম্ভব। আপনি যদি জিয়ার চেয়েও অধিকতর সাহস, দৃঢ়তা এবং ব্যক্তিত্বভরা কণ্ঠ নিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে চান, তবে মহান আল্লাহকে বলতে হবে আপনার চলমান বর্তমানকে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের উত্তাল দিনগুলোতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।

প্রেসিডেন্ট জিয়া রাষ্ট্রনায়ক জিয়া অথবা সরকারপ্রধান জিয়ার স্মৃতি মোচনকারীকে অবশ্যই সমপদের অধিকারী হতে হবে। রাজনীতিবিদ জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য বিএনপির চেয়েও বড় একটি দল জিয়ার চেয়েও কম সময় নিয়ে গড়ে তোলার কৃতি আপনার থাকতে হবে। জিয়ার ভিশন-মিশন এবং উৎপাদনশীলতা অতিক্রম করার জন্য মরুর বুকে সবুজ বনায়ন করার সৌভাগ্য এবং সফলতার সমন্বয় করে আপনাকেও আরাফাতের ময়দানের মতো অন্য কোনো বরকতময় স্থানে নিমগাছের আবাদ করতে হবে। আর আপনি যদি প্রয়াত জিয়ার স্মৃতিকে মানুষের মানসপট থেকে আপনার শুভকর্ম দ্বারা মুছে ফেলার ব্যাপারে সার্থকতা অর্জনের স্বপ্ন দেখেন তাহলে আপনাকেও প্রয়াত হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গিয়ে অপেক্ষা করতে হবে, কারণ কোনো জীবিত লোক কোনো দিন মৃতলোকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারেনি। সফল মানুষের জীবনের প্রকৃত  সার্থকতা শুরু হয় মৃত্যুর পর, কারণ জীবিতকালের যেকোনো একটি ঘটনা যেমন তার সারা জীবনের সফলতাকে ম্লান করে দিতে পারে, তেমনি জীবন সায়াহ্নের একটি মাত্র কর্ম তার সারা জীবনের সব ব্যর্থতা, দুর্নাম ও বেদনার স্মৃতি মুছে দিতে সক্ষম।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

এই বিভাগের আরও খবর
ইরানে হামলা
ইরানে হামলা
ইউনূস-তারেক বৈঠক
ইউনূস-তারেক বৈঠক
মানবকল্যাণের তাগিদ দিয়েছে ইসলাম
মানবকল্যাণের তাগিদ দিয়েছে ইসলাম
মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন
মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
পুশইন বিড়ম্বনা
পুশইন বিড়ম্বনা
মব ফ্যাসিজম
মব ফ্যাসিজম
কোরবানির শিক্ষা প্রতিফলিত হোক সমাজের সর্বস্তরে
কোরবানির শিক্ষা প্রতিফলিত হোক সমাজের সর্বস্তরে
কেঁচো সারে কর্মসংস্থান
কেঁচো সারে কর্মসংস্থান
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
মাদকের বদলে নিত্যপণ্য
মাদকের বদলে নিত্যপণ্য
তীব্র তাপপ্রবাহ
তীব্র তাপপ্রবাহ
সর্বশেষ খবর
দীর্ঘ জীবন পেতে চাইলে কী খাবেন?
দীর্ঘ জীবন পেতে চাইলে কী খাবেন?

১ সেকেন্ড আগে | জীবন ধারা

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘যুক্তরাজ্যে জব্দ সম্পদ উদ্ধারে সরকার আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে’
‘যুক্তরাজ্যে জব্দ সম্পদ উদ্ধারে সরকার আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে’

১৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ: বহিষ্কার যুবদল নেতা
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ: বহিষ্কার যুবদল নেতা

১৬ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

লিভার সুস্থ রাখতে যেসব খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত
লিভার সুস্থ রাখতে যেসব খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত

২৩ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে সাত লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে সাত লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাথা ফাটলো যাত্রীর!
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাথা ফাটলো যাত্রীর!

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চলতে দেওয়া হবে না : সড়ক উপদেষ্টা
ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চলতে দেওয়া হবে না : সড়ক উপদেষ্টা

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহু বিশ্বকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছেন: মার্কিন সিনেটর
নেতানিয়াহু বিশ্বকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছেন: মার্কিন সিনেটর

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জরুরি অবতরণ
ভারতে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জরুরি অবতরণ

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার দাবি
সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার দাবি

৩৯ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ পরিবহন মালিক সমিতির কমিটি ঘোষণা
বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ পরিবহন মালিক সমিতির কমিটি ঘোষণা

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মানিকগঞ্জে ছিন্নমূল ও আশ্রয়হীন মানুষের মাঝে শুভসংঘের খাবার বিতরণ
মানিকগঞ্জে ছিন্নমূল ও আশ্রয়হীন মানুষের মাঝে শুভসংঘের খাবার বিতরণ

৪৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

হাওরাঞ্চলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলে বজ্রপাত নিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র্র হয়নি
হাওরাঞ্চলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলে বজ্রপাত নিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র্র হয়নি

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুুন্সিগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা; মোটরসাইকেলে আগুন
মুুন্সিগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা; মোটরসাইকেলে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৬,০০০ বছরের পুরনো কঙ্কাল আবিষ্কার, ডিএনএ-তে মিললো অজানা রহস্য!
৬,০০০ বছরের পুরনো কঙ্কাল আবিষ্কার, ডিএনএ-তে মিললো অজানা রহস্য!

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ, আটক ৪৮
আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ, আটক ৪৮

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে গাছের সাথে ট্রাকের ধাক্কায় আরোহী নিহত
সিরাজগঞ্জে গাছের সাথে ট্রাকের ধাক্কায় আরোহী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইতালির নতুন কোচ ‘পিটবুল’!
ইতালির নতুন কোচ ‘পিটবুল’!

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে আমরাও থেমে যাব: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে আমরাও থেমে যাব: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজের প্লাস্টিক সার্জারির সত্য ফাঁস করলেন মেগান ফক্স
নিজের প্লাস্টিক সার্জারির সত্য ফাঁস করলেন মেগান ফক্স

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সিডনিতে বাংলাদেশি স্কাউটারদের ঈদ পুনর্মিলনী ও গুণীজন সংবর্ধনা
সিডনিতে বাংলাদেশি স্কাউটারদের ঈদ পুনর্মিলনী ও গুণীজন সংবর্ধনা

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নির্বাচনের সময় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচনের সময় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডায় অভিনয় দম্পতি রহমত আলী-ওয়াহিদা মল্লিক জলি সংবর্ধিত
কানাডায় অভিনয় দম্পতি রহমত আলী-ওয়াহিদা মল্লিক জলি সংবর্ধিত

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

হঠাৎ উত্তপ্ত প্রেস ক্লাব, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের
হঠাৎ উত্তপ্ত প্রেস ক্লাব, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের
ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান
আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ
ইরানের যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় গাদ্দারদের খুঁজতে ইরানের অভিযান শুরু, ৫ ইসরায়েলি গুপ্তচর গ্রেফতার
জাতীয় গাদ্দারদের খুঁজতে ইরানের অভিযান শুরু, ৫ ইসরায়েলি গুপ্তচর গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা ইরানের, হতাহত দুই শতাধিক
ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা ইরানের, হতাহত দুই শতাধিক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ
ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহও দিচ্ছে: প্রিয়াঙ্কা
নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহও দিচ্ছে: প্রিয়াঙ্কা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের
১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি মিসাইলে ইসরায়েলের ওয়েইজম্যান বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানি মিসাইলে ইসরায়েলের ওয়েইজম্যান বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান
দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় তছনছ ইসরায়েল, হতাহত দুই শতাধিক
ইরানি হামলায় তছনছ ইসরায়েল, হতাহত দুই শতাধিক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পালিয়েছেন নেতানিয়াহু?
পালিয়েছেন নেতানিয়াহু?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান
ইসরায়েলে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতভর মিসাইল বৃষ্টিতে বিপদে ইসরায়েল
রাতভর মিসাইল বৃষ্টিতে বিপদে ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'
'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঈদের ছুটিতে সপরিবার সরকারি সফরে গিয়ে অতিরিক্ত সচিবের ‘আনন্দভ্রমণ’
ঈদের ছুটিতে সপরিবার সরকারি সফরে গিয়ে অতিরিক্ত সচিবের ‘আনন্দভ্রমণ’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় যা যা ঘটল
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় যা যা ঘটল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি ইরানের
ইসরায়েলের আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি ইরানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন স্বার্থে হামলা চালালে ইরানকে যে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন স্বার্থে হামলা চালালে ইরানকে যে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্যটক নিখোঁজ-মৃত্যুর ঘটনায় বর্ষা গ্রেফতার
পর্যটক নিখোঁজ-মৃত্যুর ঘটনায় বর্ষা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?
পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের তেল ডিপোতে আগুন
ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের তেল ডিপোতে আগুন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে
ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমান দুর্ঘটনার পর যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত
বিমান দুর্ঘটনার পর যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের
ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান
হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ হামলার ঘোষণা ইরানের
ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ হামলার ঘোষণা ইরানের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে ১,৭০৫ বন্দিকে ক্ষমা করলেন খামেনি
যে কারণে ১,৭০৫ বন্দিকে ক্ষমা করলেন খামেনি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের গ্যাস ফিল্ডে ইসরায়েলের হামলা, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি
ইরানের গ্যাস ফিল্ডে ইসরায়েলের হামলা, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত
বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত

প্রথম পৃষ্ঠা

কোয়েলকে কেন কাঁদাতেন বাবা রঞ্জিত মল্লিক
কোয়েলকে কেন কাঁদাতেন বাবা রঞ্জিত মল্লিক

শোবিজ

ক্ষোভ কাটেনি প্রশাসনে
ক্ষোভ কাটেনি প্রশাসনে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব বাবা দিবস
আজ বিশ্ব বাবা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

বেগম জিয়াই জাতির কান্ডারি
বেগম জিয়াই জাতির কান্ডারি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিতে স্বস্তি, জামায়াতে অস্বস্তি
বিএনপিতে স্বস্তি, জামায়াতে অস্বস্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৫০ লাখেরও বেশি ভিউ অর্জন করল ‘প্রিয় প্রজাপতি’
৫০ লাখেরও বেশি ভিউ অর্জন করল ‘প্রিয় প্রজাপতি’

শোবিজ

আজ পয়লা আষাঢ়
আজ পয়লা আষাঢ়

পেছনের পৃষ্ঠা

পৃথিবীতে বাবার মতো আর আছে কেবা...
পৃথিবীতে বাবার মতো আর আছে কেবা...

শোবিজ

সাতসকালে র‌্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই
সাতসকালে র‌্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবার প্রতি সুহানার ভালোবাসা
বাবার প্রতি সুহানার ভালোবাসা

শোবিজ

দুটি জোট ও ২৮টি দল নিয়ে জাতীয় সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ
দুটি জোট ও ২৮টি দল নিয়ে জাতীয় সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ

নগর জীবন

গৌতমকে কেন বাবা উত্তমের ‘না’
গৌতমকে কেন বাবা উত্তমের ‘না’

শোবিজ

দুর্লভ কালাঘাড় রাজন পাখির পিতৃত্ববোধ
দুর্লভ কালাঘাড় রাজন পাখির পিতৃত্ববোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

অনেকের মনে এখন জ্বালা
অনেকের মনে এখন জ্বালা

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

দারিদ্র্যমোচন ব্যয় কমছেই বাজেটে
দারিদ্র্যমোচন ব্যয় কমছেই বাজেটে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন
প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশিরা ইরানে কেমন আছেন
বাংলাদেশিরা ইরানে কেমন আছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

কাবরেরার পদত্যাগ চাইলেন বাফুফে সদস্য
কাবরেরার পদত্যাগ চাইলেন বাফুফে সদস্য

মাঠে ময়দানে

নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত ডেভিড বেকহ্যাম
নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত ডেভিড বেকহ্যাম

মাঠে ময়দানে

বাবা দিবসে আবুল হায়াত
বাবা দিবসে আবুল হায়াত

শোবিজ

বদলাতে পারে লিগের ফরম্যাট
বদলাতে পারে লিগের ফরম্যাট

মাঠে ময়দানে

বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান
বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান

প্রথম পৃষ্ঠা

গলে স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও সুবিধা পাবেন
গলে স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও সুবিধা পাবেন

মাঠে ময়দানে

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কোড সংশোধন হচ্ছে
মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কোড সংশোধন হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা

রকমারি

মেলার প্যান্ডেল ভাঙচুর আগুন
মেলার প্যান্ডেল ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন