শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ

গণতন্ত্র বাংলাদেশের জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই পাকিস্তান আমল থেকে গণতন্ত্রের কথা শুনতে শুনতে তাদের কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। তারা পাকিস্তান আমলে ষাট দশকে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ‘মৌলিক গণতন্ত্র’ দেখেছে। বাংলাদেশ আমলে সত্তর দশকে শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় গণতন্ত্র ‘বাকশাল’ দেখেছে। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নিজস্ব ধরনের ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ গণতন্ত্র আছে, যার ভিত্তি গণঐক্য, অর্থনৈতিক মুক্তি, স্বনির্ভরতা অর্জন ও অগ্রগতি। কিন্তু এই ভূখন্ডে বিগত দশকগুলোতে যখনই কোনো ব্যক্তি বা দলের হাতে ক্ষমতা গেছে, তাদের প্রত্যেকের হাত থেকে গণতন্ত্র পিছলে স্বৈরতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে। তারা এক একজন ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছেন এবং তাদের ফ্যাসিবাদকেও গণতন্ত্র বলে দাবি করতে লাজলজ্জার ধার ধারেননি।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদঅখন্ড পাকিস্তান এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করার ক্ষেত্রে সামরিক একনায়করা রাজনীতিবিদদের তুলনায় সব সময় ভাগ্যবান বলে প্রমাণিত হয়েছেন। আইয়ুব খানের ক্ষেত্রেও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। রাজনীতিবিদদের কামড়াকামড়ির সুযোগ নিয়ে তিনি খুব সহজে নিজের ক্ষমতা সংহত করেন এবং ১৯৫৬ সালের সংবিধান বাতিল করে তার ব্যতিক্রমী ক্ষমতায় গঠন করা একটি কমিশনের তৈরি ১৯৬২ সালের সংবিধানে ‘মৌলিক গণতন্ত্র’-এর ব্যবস্থা করেন। আইয়ুবের গণতন্ত্রে জনগণ গণতন্ত্রী ছিল না, তাদের ভোট দেওয়ার এখতিয়ার ছিল কেবল ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের। সংবিধান অনুযায়ী সীমিতসংখ্যক ‘মৌলিক গণতন্ত্রী’, যারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারত, তারাই ছিল গণতন্ত্রী। এই সংবিধান ছিল মূলত অবৈধভাবে দখল করা তার ক্ষমতাকে বৈধতা দান ও নাক ডুবিয়ে ক্ষমতার সুবিধা ভোগ করার জন্য। তার গণতন্ত্রে জনগণ তাদের নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকার জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ প্রার্থীদের এবং প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত প্রার্থীদের ও সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভোট দিতে পারত না। আইয়ুব খানের শাসনের পুরো এক দশক ছিল ‘ওয়ান ম্যান শো।’

আইয়ুব ও ইয়াহিয়া খানের শাসন এবং শোষণের বঞ্চনা ও তিক্ততার অভিজ্ঞতার সবচেয়ে বড় শিকার ছিলেন শেখ মুজিব। তিনি পূর্ব পাকিস্তানকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে পর্যায়ক্রমে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে আনেন এবং স্বাধীনতা লাভের পর তিনি বেসামরিক ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতাকে তার একক কর্তৃত্বে নেওয়ার জন্য যা যা করেছিলেন, দেশে দেশে সামরিক শাসকরাও ক্ষমতা গ্রহণ করার পর শেখ মুজিবতুল্য একচ্ছত্র শাসকে পরিণত হওয়ার আগে হয়তো হাজারবার ভেবেছেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্নেই শেখ মুজিবের ‘ওয়ান ম্যান শো’র প্রবণতা দেশকে অনিবার্যভাবেই পেছনের দিকে টানতে শুরু করেছিল। তিনি দুঃশাসনের যে বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৫৩ বছর পর্যন্ত দেশের জনগণকে সেই বিষবৃক্ষের ফল গিলতে বাধ্য করা হয়েছে। শেখ মুজিব সব সময় পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। তিনি ক্ষমতায় আসীন হয়ে ভোল পাল্টে একদলীয় প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যে ব্যবস্থায় তিনিই সর্বেসর্বা। এটাই ছিল তার ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’! তার ‘প্রথম বিপ্লব’ কী ছিল? কিছুই না। কারণ তার ‘প্রথম বিপ্লব’-এর কথা কেউ কখনো শোনেনি। হঠাৎ এক লাফে দ্বিতীয় বিপ্লব এলো কোথা থেকে?

শেখ মুজিব যা সম্পন্ন করতে পারেননি, তা করতে উদ্যোগী হন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি অতি কৌশলে ক্ষমতা হাতিয়ে নিয়ে তার পিতার আরাধ্য কাজগুলো সম্পন্ন করতে থাকেন- নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ওপর প্রতিষ্ঠা করেন তার একক কর্তৃত্ব। তার ‘আইনের শাসন’ ছিল সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা। নির্বাচন কমিশন আর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ছিল না। আল্লাহর বাণী ‘কুন ফা ইয়া কুন’ অর্থাৎ ‘হও, আর হয়ে গেল’-এর মতো নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার ইশারায় তার পক্ষে ফলাফল ঘোষণা করত। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪-এর নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার নেই, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য দলের প্রার্থী নেই, কিন্তু শেখ হাসিনার ‘অমর দল’ আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় ‘হয়ে গেছে’। তার ‘কুন, ফা ইয়া কুন’ কত শক্তিশালী ছিল! তার আচরিত গণতন্ত্রের ‘মানসকন্যা’ ছিলেন তিনি। তার তথাকথিত গণতন্ত্রের ইতিহাসে তার পিতারও স্থান ছিল না। তার পিতার গণতান্ত্রিক ওস্তাদ ছিলেন ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। গণতন্ত্রের এই ‘মানসপুত্র’ ও ‘মানসকন্যা’র মাঝখানে শেখ মুজিবুর রহমান উধাও বা উহ্য। অথচ তিনি বৈঠকী আলোচনা, জনসমাবেশ, সংসদীয় দলের সভা, সংসদ, সংবাদ সম্মেলন, আন্তর্জাতিক ফোরামে সর্বত্র ‘স্বাধীনতা দিয়েছেন আমার বাবা’ ছাড়া কথাই বলতেন না। দুর্ভাগ্য সেসব দেশের পুত্র-কন্যাদের, যাদের পিতারা তাদের দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে ‘জাতির পিতা’র স্বীকৃতি লাভ করা সত্ত্বেও পুত্র-কন্যাদের মুখে তাদের পিতাদের এহেন গুণকীর্তন করেননি।

শেখ হাসিনা পিতাশ্রয়ী ক্ষমতার অধিকারী হয়ে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিশ্বরী হয়ে কার্যত দিশাহারা হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তার মতো গণতন্ত্র চর্চা শুরু করেছিলেন, যে গণতন্ত্রে জনগণ অনুপস্থিত, কদলি বৃক্ষতুল্য জনপ্রতিনিধি, তার কথাই আইন। তিনি যা বলবেন, যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, সেটাই ‘গণতান্ত্রিক’। তার দাবি অনুযায়ী তাকে যা খুশি করার জন্য জনগণই ‘বিপুলভাবে ম্যান্ডেট’ দিয়েছে। গণতন্ত্রের এই ‘মানসকন্যা’র ধরনের গণতন্ত্র চর্চার স্বরূপ দেখে গণতন্ত্রের আদিপিতা প্রাচীন এথেনীয় রাষ্ট্রনায়ক ও আইন প্রণেতা ‘ক্লেইসথিনিস’ (খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ ৫৭০-৫০৮ সাল) হয়তো কবরে শুয়ে বুক চাপড়িয়েছেন। তিনি তো তার নগররাষ্ট্রের জন্য এমন একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে সরকারে নাগরিকদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল।

শেখ হাসিনার দানবীয় শাসনে পরিকল্পিত উপায়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানকে তার হাতের খেলনায় পরিণত করা হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও অধিকার লঙ্ঘন করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল তার দলীয় কর্মীদের দ্বারা সাজানো আইনপ্রয়োগকারী সব সংস্থা। ফলে আইনপ্রয়োগকারী সরকারি সংস্থাগুলো কার্যত তার দলের সম্প্রসারিত অস্ত্রধারী বাহিনীতে। তারা রাষ্ট্রের আইন ও বিধিবিধান কার্যকর করার পরিবর্তে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে প্রতিপক্ষ দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার, প্রতিপক্ষের বাড়িঘর, ব্যবসা দখল ও লুণ্ঠন করার কাজে নিয়োজিত হয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী বা অঙ্গসংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছে।

এভাবে পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো ধরনের গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র কোনোটাই দীর্ঘজীবী হতে পারেনি। বাংলাদেশেও যে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের রাতের অবসান ঘটবে, নিপীড়িত জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ যে ঘটবেই তা শেখ হাসিনা কেন উপলব্ধি করতে পারেননি সেটাই বিস্ময়ের ব্যাপার! পৃথিবীর কোথায় কোনো স্বৈরাচারীর শাসন চিরস্থায়ী হয়েছে? শেখ হাসিনা ও তার অনুচররা ‘মুজিববাদ’-এর বিলয় দেখেছেন, শেখ মুজিবের স্বপ্নের দ্বিতীয় বিপ্লব ‘বাকশাল’-এর পরিণতি দেখেছেন, তবু কেন হাসিনাকে সমগ্র সংসদ দখল করতে হবে? সব নির্বাহী ক্ষমতা তাকেই আঁকড়ে রাখতে হবে এবং কেনই বা নির্বাচন এড়াতে হবে? এসব করে শেষ পর্যন্ত তিনি কী হাসিল করলেন? তিনি তার পিতার মতো বিতর্কিত হয়েছেন। ক্ষোভের আগুনে পিতার মতো তার জীবনহানির ঘটনা না ঘটলেও যা ঘটেছে তা জীবিত থেকেও মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করার চেয়ে কম নয়। কোনো উচ্চাভিলাষী সেনাদল তাকে উৎখাত করেনি, যে জনগণের ‘বিপুল ম্যান্ডেট’-এর অহংকারে তিনি প্রতিপক্ষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন, সেই জনগণেরই বিপুল অংশ রাজপথে অবতীর্ণ হয়ে ‘ম্যান্ডেট’ দিয়েছে ‘শেখ হাসিনার শাসন আর নয়!’ তাই হয়েছে! ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন বিপ্লবে জীবন বাঁচাতে তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ‘কুন, ফা ইয়া কুন’ জনগণের পক্ষে কাজ করেছে। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদকে সাফল্যের সঙ্গে নির্মূল করা এবং তার লজ্জাজনক পতন থেকে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কী শিক্ষা গ্রহণ করার মতো কিছু লাভ করেছে? গত আগস্ট মাসে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার গত প্রায় ৯ মাসে বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটাতে সক্ষম না হওয়ায় এবং বর্তমানে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকারকে যথাযথ সহযোগিতা করার মতো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করার পরিবর্তে বরং সরকারকে বিব্রত করতে সচেষ্ট থাকায় সুযোগের সন্ধানে থাকা আওয়ামী লীগ যে নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে পারে, এ আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ এ সম্পর্কে বলছেন যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের চেয়েও অধিক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা আবশ্যক মাঠে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর। সরকার আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে, বিএনপি তা মানতে নারাজ। কদিন আগে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। আলোচনা শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা আলোচনায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি।

বিএনপি বাংলাদেশে সরকার পরিচালনা করেছে ১৫ বছর। নিঃসন্দেহে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল এবং সরকার পরিচালনায় অভিজ্ঞ। কিন্তু বিপুল জনসমর্থন ও জনশক্তি থাকা সত্ত্বেও দলটি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। গুম, খুন, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিত্যসঙ্গীতে পরিণত হয়েছিল। এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার ছিল জামায়াতে ইসলামী। তাদের প্রথম সারির প্রায় সব নেতাকে মিথ্যা অভিযোগে হত্যা করেছে শেখ হাসিনার সরকার। একটি দলকে নিশ্চিহ্ন করতে আর কোনো কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক ময়দানে যেমন সরব ছিল, বিএনপি তেমন সক্রিয় ছিল না। যদি থাকত, তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার এত অত্যাচার-নিপীড়ন চালিয়েও সদম্ভে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারত না। ছাত্ররা যদি মরণপণ নিয়ে মাঠ দখল না করত, অকাতরে জীবন না দিত, হাজারে হাজারে পঙ্গুত্ববরণের ঝুঁকি গ্রহণ না করত, তাহলে আওয়ামী দুঃশাসন নিঃসন্দেহে দীর্ঘতর হতো। ছাত্ররা এ ঝুঁকি নিতে পারলে রাজনৈতিক আদর্শে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দল বিএনপি কেন সে ঝুঁকি নিতে পারেনি, সে মূল্যায়ন তাদেরই করা প্রয়োজন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এক পরীক্ষার সময়। তারা কার্যত সর্বশেষ নির্বাচন করেছে ২০০৮ সালে। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচনই ছিল জনসম্পৃক্ততা ও রাজনৈতিক দলশূন্যভাবে। অতএব জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন করে শিখতে হবে নির্বাচন কী, এক ব্যক্তি এক ভোটের অর্থ কী, এমনকি কীভাবে ভোট প্রদান করে যোগ্য প্রতিনিধিকে নির্বাচন করতে হয়। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে প্রকৃত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে হবে। ধরেই নেওয়া যায় এখনো প্রশাসনের সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মকর্তা, বিশেষ করে যারা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন, অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসারগণ, তারা আওয়ামী লীগ আমলেই নিয়োগপ্রাপ্ত। তাদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ জেলাসমূহের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী, তারাই হবেন রিটার্নিং অফিসার। অতএব নির্বাচন কমিশনকে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অধিক সতর্ক ভূমিকা পালন করতে হবে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনে। বিএনপি যদি সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, অর্থাৎ পতিত সরকারের জঞ্জাল পরিষ্কার করার আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করতে চেষ্টা করে, তাহলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা তিরোহিত হতে থাকবে। বিএনপি কী কারণে এই বাস্তবতা অনুধাবন করতে অস্বীকার করছে, তা জনগণকে বিস্মিত করছে। বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা ও আচরণে অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের মনে ইতোমধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে যে বিএনপি কী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে? এ সন্দেহ যদি অমূলক না হয়, তাহলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও দেশে কখনো সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র আসেনি। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের দলে গণতন্ত্র চর্চা না করায় প্রতিটি বড় দলের শীর্ষ পদে কার্যত নেতৃত্বের ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ কায়েম হয়েছে। অতএব তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গিয়ে সরকারপ্রধানের ক্ষেত্রে একই ধরনের ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ করতে চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক প্রবণতা। আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপিও তাই করতে চেষ্টা করেছিল। আওয়ামী লীগ সব সময় ধূর্ততার রাজনীতি করেও ধূর্ততাই যথার্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে; কিন্তু বিএনপির ধূর্ততা অবলম্বনের চেষ্টা সূচনাতেই ভেস্তে গেছে। এখন যেহেতু একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় আসছে, অতএব সংক্ষিপ্ত পথে চটজলদি ক্ষমতায় যাওয়ার অভিলাষ থেকে বিএনপিকে সরে আসতে হবে। কারণ কাক্সিক্ষত প্রস্তুতিমূলক বিলম্ব মেনে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচনি ফলাফল বিএনপির অনুকূলে আসার সম্ভাবনাই অধিক।

♦ লেখক : নিউইয়র্কপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
চাল নিয়ে চালবাজি
চাল নিয়ে চালবাজি
শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য
শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য
অর্থনীতিতে বিসংবাদ
অর্থনীতিতে বিসংবাদ
শিক্ষা অর্জনের প্রেরণা জোগায় কোরআন
শিক্ষা অর্জনের প্রেরণা জোগায় কোরআন
চাই ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ
চাই ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
ছয় সম্রাজ্ঞী যায় ওই সাগরে
ছয় সম্রাজ্ঞী যায় ওই সাগরে
আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়ার গুরুত্ব অনন্য
আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়ার গুরুত্ব অনন্য
পাক-ভারত উত্তেজনা
পাক-ভারত উত্তেজনা
সর্বশেষ খবর
‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’
‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

৫০ বছরের মধ্যে কঠিন সময়ে মার্কিন শেয়ারবাজার
৫০ বছরের মধ্যে কঠিন সময়ে মার্কিন শেয়ারবাজার

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

নাটোরে পিকআপের চাপায় বৃদ্ধ নিহত
নাটোরে পিকআপের চাপায় বৃদ্ধ নিহত

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরগুনায় স্বাস্থ্য জনবল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বরগুনায় স্বাস্থ্য জনবল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন
টুঙ্গিপাড়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নখের সাজে নকশা
নখের সাজে নকশা

৩৫ মিনিট আগে | জীবন ধারা

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভ্যাঙ্কুভারে বাঙালির মিলনমেলা, সংগীতে মাতোয়ারা প্রবাসীরা
ভ্যাঙ্কুভারে বাঙালির মিলনমেলা, সংগীতে মাতোয়ারা প্রবাসীরা

৪১ মিনিট আগে | পরবাস

যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ
যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

৫০ মিনিট আগে | বাণিজ্য

মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ বাবার
মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ বাবার

৫৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিসিবি নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিলেন ফারুক আহমেদ
বিসিবি নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিলেন ফারুক আহমেদ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২০২৪-এর বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
২০২৪-এর বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদানি চুক্তিতে ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক
আদানি চুক্তিতে ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি প্রকাশ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেরপুর সীমান্তে লোকালয়ে হাতি, বাড়ছে মানুষ ও বন্যপ্রাণির দ্বন্দ্ব
শেরপুর সীমান্তে লোকালয়ে হাতি, বাড়ছে মানুষ ও বন্যপ্রাণির দ্বন্দ্ব

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে ঝিনাইদহে লিফলেট বিতরণ
বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে ঝিনাইদহে লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে রেললাইনের পাশে পড়েছিল শ্রমিকের মরদেহ
রাজশাহীতে রেললাইনের পাশে পড়েছিল শ্রমিকের মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাজিদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ৪ চীনা নাগরিক গ্রেফতার
হাজিদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ৪ চীনা নাগরিক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের ৫০০ টাকায় বিটিসিএলের ১৫ এমবিপিএস ইন্টারনেটে
শিক্ষার্থীদের ৫০০ টাকায় বিটিসিএলের ১৫ এমবিপিএস ইন্টারনেটে

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হলোকাস্ট বোর্ড থেকে কমলা হ্যারিসের স্বামীকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
হলোকাস্ট বোর্ড থেকে কমলা হ্যারিসের স্বামীকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চারশো পেরিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে টাইগাররা
চারশো পেরিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে টাইগাররা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল
অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন

২৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক
পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’
‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের
খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব
‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিয়া বীজ নিয়ে মার্কিন চিকিৎসকের সতর্কতা
চিয়া বীজ নিয়ে মার্কিন চিকিৎসকের সতর্কতা

১৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত
মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ