বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া বাড়তি শুল্কের বোঝা বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে। এরই মধ্যে ক্রেতারা তাদের ক্রয় আদেশের বিপরীতে আড়াই শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের দায় চাপিয়ে দিয়েছেন। এতে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি শুল্কের অঙ্ক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে পোশাকশিল্পের অর্ডার উদ্বেগজনক হারে কমে যাওয়ার আশঙ্কা অংশীজনদের। গত এপ্রিলের শুরুতে ট্রাম্প বাণিজ্য সমতার দোহাই দিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর এক হটকারী শুল্কের দায় চাপিয়ে দেন। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তাৎক্ষণিক এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র তিন মাসের জন্য ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বহালই থাকে। এটাও আমাদের পোশাকশিল্পের জন্য সহজ-সহনীয় নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। এবং মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক পরিশোধের দায় এরই মধ্যে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের শিল্পোদ্যোক্তাদের ওপর। প্রচলিত শুল্কের অতিরিক্ত যে ১০ শতাংশ ট্যাক্স বহাল রয়েছে, সেখান থেকে কোনো কারখানাকে ৫, কাউকে ৩ বা ২ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দিচ্ছে। ক্রয়াদেশ ধরে রাখতে গার্মেন্টগুলো চাপিয়ে দেওয়া এ বাড়তি শুল্ক পরিশোধে বাধ্য হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ১০ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। বর্ধিত শুল্কারোপের পর দেশটির বাজারে রপ্তানির পরিমাণ কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে সংগত উদ্বেগ রয়েছে পোশাক শিল্পমালিকদের। যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। রাজনৈতিক পালাবদলের অস্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক ডামাডোল, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা কারণে এমনিতেই চাপে রয়েছে গার্মেন্ট শিল্প খাত। পশ্চিমা দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতির কারণেও অর্ডার কমছে। তিন মাসের স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ার পর নতুন ট্যারিফ কী দাঁড়াবে, তার ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করছে আমাদের শ্রমঘন পোশাকশিল্পের ভবিষ্যৎ। সব মিলে বলা যায়, একটা অশনিসংকেত ঝুলছে এ শিল্পের ওপর। দুই দেশের ঊর্ধ্বতন বাণিজ্য-ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের কার্যকর আলোচনা এবং একই সঙ্গে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিষয়টির সন্তোষজনক ও যৌক্তিক সুরাহা হওয়া জরুরি।
শিরোনাম
- ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ
- দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
- টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ
- চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
- ১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
- প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
- ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
- মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
- ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান
- রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেল পাকিস্তান
- কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর
- সিলেটে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভে গাড়ি ভাঙচুর
- টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
- পর্তুগাল-স্পেনে ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা, জনজীবনে অস্বস্তি
- জুলাই শহীদের তালিকায় আরও ১০ শহীদের নাম
- ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটুনি
- আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প
- গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৫১
বাড়তি শুল্কের বোঝা
সুরাহা হোক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক উদ্যোগে
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর