ভাটির দেশের মরমী কণ্ঠশিল্পী আবদুল আলীমের সুযোগ্য কন্যা নূরজাহান আলীম। বাবার দেখানো পথ ধরেই তিনি হাঁটছেন। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিতও করেছেন তিনি। পাশাপাশি গাইছেন মৌলিক গান। বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ এবং নানা প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন-পান্থ আফজাল
কেমন আছেন? ফোনের ওয়েলকাম টিউন মিষ্টি একটি বৈশাখী গান...
জি ভালো আছি। গানটি ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। ‘নাচে রে পাগলা বাবুল...’ গানটি গত বছর বৈশাখী গান হিসেবে করেছিলাম, লাইভ টেকনোলোজিসের ব্যানারে।
নতুন বছরে গান নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?
বাবার গান দিয়েই নতুন বছর শুরু করেছি। আবদুল লতিফের লেখা ও সুর করা ‘ভ্রমর গাইও না গান গুন গুন’ শিরোনামের গানটি দিয়ে ২০১৯ শুরু করেছি। গানটিতে নতুনভাবে সংগীতায়োজন করেছেন কামরুজ্জামান সুজন। গানটির রেকর্ডিংও শেষ হয়েছে। মিউজিক ভিডিও করব। এ ছাড়াও বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে দেশের বাইরে স্টেজ শো নিয়েই ব্যস্ত থাকব। কথা চলছে। দেশের বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠান ও শো তো থাকছেই।
বাবার গান দিয়েই কেন নতুন বছরের সূচনা? কোনো উদ্দেশ রয়েছে কি?
আসলে তেমন উদ্দেশ নেই। আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল বাবার একটি গান দিয়েই নতুন বছর শুরু করব। আর বাবার গানের সঙ্গে শ্রোতারা তো আগে থেকেই পরিচিত। তাই নতুন করে কিছু বলার নেই। শ্রোতারা এখন গান শোনার সঙ্গে সঙ্গে সেটি দেখতেও চান। সে কারণে গানটির ভিডিও তৈরি করছি। এটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করব। ভিডিওতে আমিও থাকব।
বাবার গান নিজের কণ্ঠে ধারণ করার পরিকল্পনা আছে কি?
এ বছর করতে চাই। একসঙ্গে তার ১০ বা ২০টি গান করব। ইতিমধ্যে একটি কোম্পানির মাধ্যমে এগুলো মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করার কথা চলছে। আর বাবার গান নিয়ে আমার অনেক পরিকল্পনা। এক দিনেই তো হবে না, সময় লাগবে। বাবার গান সবার আগে প্রমোট করার ইচ্ছা আছে।
মরমী কণ্ঠশিল্পী আবদুল আলীমের অবদানকে তুলে ধরতে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা রয়েছে?
বাবাকে নিয়ে আমার অনেক পরিকল্পনা আছে। গান গাওয়ার আগে থেকেই পরিকল্পনা। যেগুলো আরও ২০ বছর আগে করা দরকার ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য করা হয়নি। মেয়ে হিসেবে আমি সেই দায়িত্ব পালন করব। তবে এখনই সব বলতে চাইছি না। খুব খারাপ লাগে যখন দেখি দেশের এই সম্পদের স্মৃতিকে ধরে রাখার রাষ্ট্রীয় কোনো উদ্যোগ নেই। নেই তাকে নিয়ে কোনো ভাস্কর্য বা অডিটোরিয়াম। তার গান অনেকে বিকৃতি করে গাইছে। মিউজিক চেঞ্জ হতেই পারে, তাই বলে গানের কথা-সুর বিকৃতি করে কেন! সরকারিভাবে ও সম্মিলিতভাবে করতে চাই। একটি সংগঠন করে করতে চাই।
প্রতি বছর জানুয়ারির দিকে যশোরে মধুমেলা নামে বড় একটি অনুষ্ঠান হয়। শুনেছি এই অনুষ্ঠানে আপনি গান করবেন...
ঠিকই শুনেছেন। অনুষ্ঠানটি মাসের ২২ তারিখে হবে। বিশাল পরিসরে ফোকভিত্তিক অনুষ্ঠানটি হয়। বাবার গানসহ কিছু মৌলিক গান গাইব।
প্রতিটি শিল্পী ইউটিউবে গান প্রকাশ করছেন। এটি গানের জন্য অন্তরায় নাকি আশীর্বাদ?
ইউটিউব নিয়ে কোনো নেতিবাচক চিন্তা নেই। এখন তো প্রযুক্তির যুগ, অনেক কিছুই চলছে। একটি চ্যানেলে দর্শক-শ্রোতারা আর আবদ্ধ নেই। আর ইউটিউবে শিল্পীদের ভালোভাবে প্রচার হয়।