চলচ্চিত্র, রেডিও, টেলিভিশন, অ্যালবাম সবমিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজারেরও বেশি মৌলিক বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। এখনো দেশ ও দেশের বাইরে গান করছেন নিয়মিত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন
ঈদ কেমন কাটল?
ঈদ ভালোই কেটেছে। এখনকার আনন্দ একরকম আর ছোটবেলায় আনন্দ ছিল আরেক রকম। আগে ঈদি পেতাম এখন ঈদি দেই। ছেলেমেয়ে, আত্মীয়স্বজন সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করি। তবে ছোটবেলার ঈদের কোনো তুলনাই হয় না। সেটা অন্যরকম আনন্দ।
আপনাকে ভিজ্যুয়াল মিডিয়ায় খুব একটা দেখা যায় না বলে অনেক ভক্ত অভিযোগ করেন...
আমি আগেও টেলিভিশনে কম যেতাম। এখনো কম যাই। কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান হলে আমি যেতাম। আর চলচ্চিত্রের গানে আমি আছি। তবে এক্ষেত্রে আমার পছন্দ না হলে আমি গাই না। অনেকেই আমার কাছে এসে বলে ভয় পাই। ভয়ই যদি পায় তাহলে তো আর কিছু করার নেই। দেশের বাইরে নানা অনুষ্ঠানে ব্যস্ত আছি। আবারও চলে যাচ্ছি দুই মাসের জন্য। দেশে-বিদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যেই আছি। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজন না থাকলে আমি টেলিভিশনে যাই।
বর্তমানে শিল্পটা ভিউনির্ভর হয়ে পড়েছে, কীভাবে দেখছেন?
এখানে আসলে বলার কিছু নেই। এটা শ্রোতাদের ওপর নির্ভর করে। তাদের রুচির ওপর নির্ভর করে। ভিউ কখনো শিল্পের মানদন্ড নয়। এখন মিউজিক ভিডিওর যুগ, তাই ভিউটা ভালো লাগে বেশি সবার কাছে হয়তো। তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংগীতের কোনো ভাষা নেই, নেই কোনো সীমানা।
মিউজিক ইন্ডস্ট্রির সুদিন ফিরতে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
আমি যেহেতু সারা জীবন চলচ্চিত্রেই বেশি গান করেছি। তাই আমি এই দিকটা নিয়েই বলতে চাই। যখন ভালো ভালো চলচ্চিত্র হবে সামাজিক গল্পনির্ভর চলচ্চিত্র হবে তখন স্বাভাবিকভাবেই গানটাও ভালো হবে। আগের ভালো ভালো চলচ্চিত্রের গানগুলো এখনকার জেনারেশনের ছেলেমেয়েরাও পছন্দ করে। আমার এখন হলে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখা হয় না আর গানও শোনা হয় না। মনে দাগ কাটার মতো গান হলে অবশ্যই মানুষ মনে রাখবে, তাদের ভালো লাগবে।
এখন পর্যন্ত কত সংখ্যক গান করেছেন আপনি?
এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজারেরও বেশি গান করেছি। যার ৯০ শতাংশই হচ্ছে চলচ্চিত্রের। এ ছাড়া বাকিগুলো রেডিও টেলিভিশন অ্যালবামের গান। দেশের মানুষের ভালোবাসায় দোয়ায় এত সংখ্যক গান করতে পেরেছি। এটা রেকর্ড।