এ সময়ের শ্রোতাপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। রেডিও জকি হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও এখন দেশের অন্যতম একজন নাট্য অভিনেতা। কিছুদিন আগে গুরুতর অসুস্থ হন। তবে এখন সুস্থ। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
এখন পুরোপুরি সুস্থ তো?
পুরোপুরি নয়, কিছুটা। তবে স্বাভাবিকভাবেই আছি। রেস্টে আছি। এরই মধ্যে স্বল্প পরিসরে কাজও করছি। দোয়া করবেন সবাই।
এ অবস্থায় কাজও করছেন?
হুমম। একটা নাটকে কাজ করার পর পাঁচ দিনের বিরতি, এরপর ফের শুটিং। এটা চলমান থাকবে। এই তো শুক্রবার শুটিং করেছি একটি নাটকের। নাম ‘বাজি’। নির্মাতা তৌফিকুল ইসলাম। সামনে সেন্টমার্টিনে একটি নাটকের শুটিংয়ের কাজ রয়েছে।
ভালোবাসা দিবস আর ঈদের কাজ...
আগে পরিকল্পনা ছিল যে টানা শুটিং করব। এবার আর সেটা তেমন করা হচ্ছে না। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগে জীবন তারপর কাজ। প্রতিটি নাটকের পর একটা বিরতি নেব বলে প্ল্যান করেছি। তাই সেভাবেই শিডিউল দিচ্ছি। ভালোবাসা দিবসের জন্য এখনো কোনো প্রস্তুতি নেই।
দুই সপ্তাহে ‘সুইট ফ্যামিলি’ ১ কোটি ছাড়াল। কেমন লাগছে?
মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের এ নাটকটি বছরের প্রথম দিন মুক্তি পেয়েছিল। এখন সবার মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে, এটা খুবই আনন্দের। এটা সত্যি ভালোলাগার বিষয় আমার জন্য। সামনের কাজগুলো করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি দর্শকদের এ রেসপন্সের মাধ্যমে। আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সব সময়ই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসছি আমার ভক্তদের প্রতি। কারণ তাদের জন্যই আজ আমি আজকের ফারহান হতে পেরেছি। তাদের ভালো লাগার কথা মাথায় রেখেই কিন্তু প্রতিটি নাটকের গল্প নির্বাচন করি। এ নাটকটিও তেমন একটি কাজ আমার। আমি বেছে বেছে কাজ করার চেষ্টা করি। কিন্তু যা-ই করি ঠিকঠাক করতে চাই, যেন আমার কাজটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকের মধ্যে ভালোলাগায় রূপান্তর হয়।
তাহলে বলা যায়, ইন্ডাস্ট্রি ফের চাঙা হচ্ছে, তাই কী?
হুমম। গেল বছর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর দর্শক আবার নাটকে ফিরেছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে নাটক ইন্ডাস্ট্রির কাজের সংখ্যা কিছুটা কমে গিয়েছিল। তার কারণ আমার মনে হয়, দর্শক দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুটা চিন্তিত ছিলেন কমবেশি। সেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রিতে আবারও কাজের গতি ফিরে এসেছে। দর্শক আবারও নাটক দেখছেন। তাদের ভালোলাগা-খারাপলাগা শেয়ার করেছেন।
যে নাটকের শুটিং দুই-তিন দিনে করা যায় সেটি কেন ছয়-সাত দিন ধরে করেন?
এখন দর্শক ভালো গল্প, ভালো লোকেশন, ভালো আয়োজনে কাজটা দেখতে চায়। সে জায়গা থেকে আমাদের চাওয়া থাকে দর্শকদের কথা মাথায় রেখে কাজ করা। এমন না যে আমরা তিন দিনের কাজ ছয় দিন লাগাই, যেটা ছয় দিনের কাজ সেটা ছয় দিন ধরেই করি। দিনশেষে আমাদের পরিকল্পনা থাকে একটা ভালো কাজ দর্শকের সামনে উপহার দেওয়া। সেটা আমি শুরু থেকে চেষ্টা করে আসছি।
দেশের বাইরে কবে শুটিং করবেন?
অস্ট্রেলিয়া যাব চারটি নাটকের শুটিংয়ের কাজে। সেটা সম্ভবত ৮ ফেব্রুয়ারি। এগুলো সব ঈদ প্রজেক্ট।
সিনেমা করবেন কবে?
আপাতত নাটকই করতে চাই। তবে ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে ওটিটি করব। সিনেমা পরে ভেবে দেখা যাবে।