গত মাসে পঞ্চাশতম জন্মদিন পালন করলেন বলিউডের জনপ্রিয় তারকা সালমান খান। আর জন্মদিনের পর থেকে অনেকদিনের আলোচিত বিষয়টি যেন তুমুলভাবেই কথার পর কথা ছড়িয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে জল্পনা-কল্পনা এবার কি বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন বজরঙ্গি ভাইজান? তবে সল্লু মিয়া কিন্তু এই আলোচনায় কখনোই পানি ঢেলে দেননি। হেসে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন বা এড়িয়ে গেছেন।
অন্যদিকে, সালমান খানের প্রেম কাহিনীতে রয়েছে নিত্যই চমক। সব গল্পই অসমাপ্ত, তবু কৌতুহলের শেষ নেই যেন। একের পর এক প্রেম করেই গেছেন এই দাবাং হিরো। এখনো তাকে ঘিরে রয়েছে রটনা। এক নজরে দেখে নেয়া যাক সালমানের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনীর নায়িকাদের।
'বিবি হো তো অ্যায়সি' ছবি দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। সেটা ১৯৮৮ সাল। পরের বছর মুক্তি পায় ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। এরপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কেরিয়ারের দ্রুত গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলেছে সম্পর্কের টানাপোড়েন। কোনো প্রেম শেষ হয়ে গেছে বন্ধুত্বের আবহে, আবার কখনও বা যবনিকা পতন ঘটেছে চরম তিক্ততার মধ্যে দিয়ে।
সঙ্গীতা বিজলানি: ১৯৮০ সালের মিস ইন্ডিয়া সঙ্গীতা বিজলানি পাঁচ বছরের বড় সালমানের থেকে। কিন্তু বয়স দমিয়ে রাখতে পারেনি রোমান্সকে। তবে খুব বেশিদিন টেকেনি সেই সম্পর্ক। কয়েক বছরের মধ্যেই তৎকালীন ক্রিকেট তারকা আজহারউদ্দিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সঙ্গীতা। ১৯৯৬ সালে ক্রিকটোরকে বিয়েও করেন। কিন্তু প্রেমের সম্পর্কটা না থাকলেও সালমানের সঙ্গে বন্ধুত্বটা রয়েই গেছে।
সোমি আলি: ১৯৯৩ সালে অভিনেত্রী সোমি আলির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সালমান। গভীরভাবে ভালোবাসতেন দুজন-দুজনকে। এমনটাই শোনা যেতো তখন। কিন্তু ক্রমে ক্রমে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। সালমানের অতিরিক্ত মদ্যপান এবং খারাপ ব্যবহারই নাকি তাদের প্রেম ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ। পরের বছরই বিদেশ চলে যান সোমি। বলিউডের রূপালি জগতকে বিদায় জানিয়ে আড়ালে চলে যান সোমি আলি, সেটা নাকি শুধুমাত্র সালমানের জন্যই। আর সেই গুঞ্জন এখনও সক্রিয়।
ঐশ্বরিয়া রায়: ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ মুভিতে কাজ করতে গিয়ে কাছাকাছি আসেন ঐশ্বরিয়া রায় আর সালমান খান। তাদের দুর্দান্ত রসায়ন ছাপ ফেলে ছবির পরতে পরতে। সুপারহিট হয় ছবিটি। কিন্তু পরিণতি পায়নি এই সম্পর্কটিও। দুজনের রিলেশনশিপ খবরের শিরোনামে চলে অঅসার পর সরে যান ঐশ্বরিয়া। তবে কি কারণে ব্রেকআপের সিদ্ধান্ত তা নিয়ে মুখ খোলেননি ঐশ্বরিয়া। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন সালমান। এমনকি তার বাবা সেলিম খান নিজে গিয়ে কথা বলেন ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে। কিন্তু টলাতে পারেননি অ্যাশের মনোভাব। ২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঐশ্বরিয়া।
ক্যাটরিনা কাইফ: ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও বিদেশেই বড় হয়েছেন ক্যাটরিনা। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যখন এলেন, তখন একেবারেই হিন্দি বলতে পারতেন না। তখন তার পাশে দাঁড়ান সালমান। শূন্য থেকে এক নম্বর নায়িকার আসনে এই অভিনেত্রী শুধুমাত্র সালমানের জন্য। সাফল্যে চূড়ায় পৌঁছে জীবন সঙ্গী হিসেবে রনবীর কাপুরকে বেছে নেন ক্যাট। ক্যাটরিনার সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও বন্ধুত্বটা রয়েই গেছে। নিজের বড় বাজেটের ছবিতে কাস্টও করেছেন এই অভিনেত্রীকে।
ক্লদিয়া সিয়েসলা: ক্যাটরিনার পর এক বিদেশি অভিনেত্রীর সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ পড়েছিলেন সালমান খান। পোল-জার্মান মডেল ক্লদিয়াকে নিয়ে তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই সাহসী ছিলেন সালমান। পরিবার থেকে শুরু করে মিডিয়া— কারোর তোয়াক্কা করেননি তিনি। একই সঙ্গে দেশে-বিদেশে সময় কাটিয়েছেন তারা। সালমানের পরিবারের সঙ্গে ক্লদিয়ার সখ্য বাড়তে থাকে। বিয়ের কথাও হাওয়ায় ভাসতে শুরু করে। কিন্তু বিচ্ছেদ শেষ পর্যন্ত টেকেনি প্রেম। তবে বিচ্ছেদটা রহস্যাবৃতই থেকে গেল। জার্মানি ফিরে যান ক্লদিয়া।
লুলিয়া ভানতুর: ৫০তম জন্মদিনের উৎসব উদযাপনে সালমান খানের পাশে ছিলেন রোমানিয়ান মডেল ও টিভি ব্যক্তিত্ব লুলিয়া ভানতুর। তাকে সালমানের প্রেমিকা বলেই ভাবেন অনেকে। সেদিন জন্মদিবসের প্রথম প্রহরে পরিবারের সদস্য ও অন্য তারকারা ছাড়াও সালমানের সঙ্গেই ছিলেন লুলিয়া। অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ সময় সালমানকে লুলিয়ার সঙ্গেই দেখা গেছে। লুলিয়ার সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক পরিণতি পাচ্ছে কি না, তা নিয়েও গুঞ্জন চলছে। তবে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো জানানো হয়নি কিছু। দেখা যাক শেষবেলায় এসে লুলিয়ার আঁচলেই বাঁধা পড়েন কিনা বলিউডের মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর সালমান খান। - ইন্টারনেট থেকে
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা