১৯৭৫ সালে ভারতে জরুরি অবস্থা চলাকালীন অবস্থা নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী নির্মাতা মধুর ভান্ডারকর। কিন্তু 'ইন্দু সরকার' নামের সেই সিনেমাটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। কারো মদদপুষ্ট হয়েই মধুর এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন বলে দাবি ভারতের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলটির। কিন্তু মধুর সেই দাবি মিথ্যে বলে মন্তব্য করেছেন।
১৯৭৫ সালে কংগ্রেস নেতা ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থা স্থায়ী হয়েছির ২১ মাস। কিন্তু এ নিয়ে তেমন কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি। গত ১৬ জুন 'ইন্দু সরকার' ছবির ট্রেইলার প্রকাশিত হয়েছে। ছবিটিতে ইন্দিরা গান্ধী ও তার ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর চরিত্রও রয়েছে। কংগ্রেসের এক নেতা মন্তব্য করেছেন, ভুলভাবে চরিত্রগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা জানি কে এবং কারা এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে।
ছবিটি নিষিদ্ধেরও দাবি তুলেছেন অনেকে। এর প্রেক্ষিতে মধুর ভান্ডারকর বলেছেন, যদি কেউ আমাকে দিয়ে ছবিটি করাতো তাহলে আমি আগামী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতাম। কিংবা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময় এটি মুক্তি দিতে পারতাম। সবার উচিত ছবিটি নিয়ে প্রশ্ন না তুলে এটিকে সমর্থন দেয়া। বিশেষ করে যারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন।
আগামী ২৮ জুলাই মুক্তির অপেক্ষা থাকা ছবিটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৃতি কুলহারি। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে সুপ্রিয়া বিনোদ ও তার ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে নীল নীতিন মুকেশকে। এছাড়াও আছেন অনুপম খের, টোটা রায় চৌধুরি, শিবা চাড্ডা প্রমুখ। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/২১ জুন, ২০১৭/ফারজানা