বলিউডে রণবীর সিং এখন নিঃসন্দেহে সেরা অভিনেতাদের একজন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছিলেন। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ 'পদ্মাবত'। এতে দিল্লির শাসক আলাউদ্দিন খিলজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। 'পদ্মবত' মুক্তি পেয়েছে গত ২৫ জানুয়ারি। স্বাভাবিকভাবেই বক্স অফিসের শীর্ষে আছে ছবিটি। কিন্তু রণবীর এরইমধ্যে পরবর্তী ছবি '৮৩' এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ছবি মুক্তির এক সপ্তাহ পার হলেও 'পদ্মাবত' ছবিতে রণবীরের চরিত্র নিয়ে আলোচনা যেন পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। 'দিল দাড়কানে দো' ছবিতে কবির মেহরা, 'লুটেরা' ছবিতে বরুন শ্রীবাস্তব, 'গোলিও কী রাসলীলা রামলীলা' ছবিতে রাম, 'ব্যান্ড বাজা বারাত'এ বিট্টু শর্মা, 'বাজিরাও মাস্তানি'তে পেশোয়া বাজিরাও। ছবি যেমনই হোক রণবীরের অভিনয় নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। 'পদ্মাবত' দিয়ে সে অবস্থান আরও পোক্ত করছেন রণবীর।
আলাউদ্দিন খিলজীকে অত্যাচারী ও নির্মম রূপে সিনেমায় উপস্থাপন করেছেন নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালি। এই চরিত্রটিকে ধারণ করতে গিয়ে সীমাহীন কষ্ট করতে হয়েছে রণবীরকে। এর আগেও তিনি শাসক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু নেতিবাচক চরিত্রে এই প্রথম। ঈগলের মতো তীক্ষ্ণ চাহনি, লম্বা চুল ছাড়াও শারিরীক অবয়বে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। এজন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। খাদ্যাভাসেও অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। অনেক দৌড়-ঝাঁপ করতে হয়েছে।
ছবিতে রণবীরের করা খিলজি চরিত্রটিকে তুলনা করা হচ্ছে 'অগ্নিপথ' সঞ্জয় দত্তের করা কাঞ্চা চীনা চরিত্রটির সঙ্গে। এ চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধারণ করা বিষয়ে রণবীর বলেন, 'আগ্রাসী এ চরিত্রে কাজ খুবই কঠিন ছিল। নানা দুর্ঘটনা ও শুটিং পিছিয়ে যাওয়াতে দ্রুত কাজগুলো করতে হয়েছিল। 'কালিবালি' গানে নাচতে গিয়ে মনে হয়েছে আমার হাঁটু জেলি নরম মতো হয়ে গেছে। নিজের পা দু'টোর সঙ্গে কোনো সংযোগ পাচ্ছিলাম না। অ্যাকশন দৃশ্য করার সময় প্রায়ই অজ্ঞান হেয় যেতাম, বমি আসতো, এরপরও শ্যুটিংয়ে ফিরতে হতো।' সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিডি প্রতিদিন/১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা