১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে ওয়াহিদ পলাশ নির্মাণ করেছেন একটি বিশেষ নাটক 'সাহস'। এতে অভিনয় করেছেন গুণী অভিনেতা তৌকীর আহমেদ। রাজশাহীর বীর মুক্তিযোদ্ধা বরজাহান ভাইয়ের মুখে শোনা সত্য ঘটনা অবলম্বনে কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গুঞ্জন রহমান।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নির এক ছাত্র জাহিদ যুদ্ধে যেতে পারেনি। তার সহপাঠীদের অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে যায় যুদ্ধের ট্রেনিং নিতে। জাহিদ থেকে যায়। একদিন সে হোস্টেল থেকে বাহিরে আসে। সেখানে দোকানদার মকবুলকে পায়। তার সাথে জাহিদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হতে থাকে। কোনদিন সিগিারেট না খেলেও এই সময় জাহিদ মকবুলের কাছে সিগারেট চায় এবং সিগারেট খাওয়া শুরু করে। জনশূন্য ক্যাম্পাসে একরাতে ক্যান্টিন বয় শাহাব আসে। আর কাউকে না পেয়ে জাহিদকে মিলিটারি ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়। মেইন হোস্টেলের সামনে এসে দাঁড়ায় আর্মি জিপ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জাহিদকে তুলে নেয়া হয় জিপে। আর বলা হয় জাহিদকে তাদের দরকার। তাদের বাহিনীর যে ডাক্তার ছিলেন, তিনি ফিরে গেছেন, রিপ্লেসমেন্ট এখনও এসে পৌঁছায়নি। আপতকালীন সময়ে জাহিদকে তাই পালন করতে হবে আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব। হঠাৎ কী থেকে কী হয়ে যায়, এক অতলস্পর্শী সাহসের বর্ম যেন চেপে বসে জাহিদের বুকে। সে নিচু গলায়, অথচ দৃঢ় ও স্পষ্ট স্বরে জবাব দেয়, না।
এরপর জাহিদের উপর শুরু হয় নির্যাতন। শেষ পর্যন্ত পাক মিলিটারির বুলেটের আঘাতে শহীদ হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নির ছাত্র জাহিদ।
ফেদারম্যান মিডিয়া প্রযোজিত এই নাটকে আরও অভিনয় করেছেন নরেশ ভূঁইয়া, শাহাদাৎ হোসেন, শশাঙ্ক সাহা ও চারু সাইফুল।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ মার্চ, ২০১৮/মাহবুব