পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট স্টেশনে বসে গান গাইতেন রানু মণ্ডল। রানুর কণ্ঠে লতা মঙ্গেশকারের ‘ইয়ে প্যার কা নগমা হ্যায়’ গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
এরপর নেট দুনিয়ায় সুপরিচিত হয়ে উঠেন রানু। সম্প্রতি মুম্বাই নিয়ে গিয়ে ৩টি গান রেকর্ড করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় শিল্পী হিমেশ রেশমিয়া। লতাকণ্ঠী ট্রেন্ডিং রানু মণ্ডল প্রসঙ্গে লতা মঙ্গেশকারের মতামত জানতে চাওয়ায় সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী মন্তব্য করেন যে, অনুকরণ বা নকল করা কোনও শিল্পীকেই বেশি দূর নিয়ে যেতে পারবে না। এই মন্তব্য নিয়েই ক্ষুব্ধ হয়েছেন লতার গুণমুগ্ধদের একাংশ।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) লতার এই মন্তব্যটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটু একটু করে সরব হতে থাকেন ভক্তরা।
তাদের কারও বক্তব্য, সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী আর একটু সংবেদনশীল হতে পারতেন। কেউ লিখেছেন, স্টেশনে বসে একজন গরীব মানুষ গান গাইতেন, তিনি এখন ভালো আছেন, লতাজি রানুকে একটু প্রশংসা করতে পারতেন। নকলনবিশি নিয়ে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না।
আবার সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে অনেকে বলেছেন, এই প্রসঙ্গে সঙ্গীত সম্রাজ্ঞীর সঙ্গে একেবারেই একমত হতে পারছেন না।
তবে লতা মঙ্গেশকার রানু মণ্ডল সম্পর্কে দুটি কথা বলেন। প্রথমত তিনি বলেন, তার গান গেয়ে যদি কারও ভালো হয় তবে সেটা তার সৌভাগ্য। তার পরই তিনি সেই মন্তব্যটি করেন যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভক্তরা।
তিনি শুধু রানু মণ্ডলকে নয়, সাধারণভাবে সব গায়ক গায়িকাদের উদ্দেশে বলেন, নকল করে খুব বেশি দূর এগোনো যায় না। যদিও তিনি রানু মণ্ডলকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেননি, তবুও ভক্তদের বক্তব্য, এই উপদেশটি এই ক্ষেত্রে না দিলেই ভালো করতেন তিনি।
আসলে ভক্তদের আপত্তির মূল কারণ, বিখ্যাত হওয়ার আগে রানু মণ্ডলের দৈন্য এবং দুরাবস্থা। প্রায় ভিক্ষা করে দিন যেত যে নারীর, তিনি লতা মঙ্গেশকারকে নকল করে গান গেয়ে যদি একটু আর্থিক স্বচ্ছলতা পান, তবে সেটা নিয়ে সংবেদনশীলতাই আশা করেছিলেন গুণমুগ্ধরা, নকল করা নিয়ে সমালোচনা নয়, এমনটাই বোঝা গেছে তাদের সোশাল মিডিয়ার মন্তব্যে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম