সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে রিয়ার মাদকযোগ সামনে আসে। এরপরই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এই মামলায় পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করে। এই মামলার সূত্র ধরে বলিউডের বড়সড় ড্রাগচক্রের রহস্যভেদ করতে উঠেপড়ে গেলেছে এনসিবি। মঙ্গলবার চার মাদক পাচারকারীকে হেফাজতে নেয় এনসিবি। যার মধ্যে দুইজন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
জায়েদ ভিলাট্রা এবং আবদুল বাসিত পারিহার নামের দুই মাদক পাচারকারীকে বান্দ্রা থেকে গ্রেফতার করে এনসিবি। দুজনের সঙ্গেই সরাসরি যোগ রয়েছে রিয়া চক্রবর্তী ও শৌভিক চক্রবর্তীর। আবদুল বসিতের সঙ্গে ড্রাগের আদানপ্রদান নিয়ে স্যামুয়েল মিরান্ডার কথোপকথন ইতোমধ্যেই সিবিআই,এনসিবির হাতে রয়েছে। শৌভিক চক্রবর্তীর কল ডিলেটস রেকর্ডেও নাম রয়েছে জায়েদ ভিলাট্রার।
সূত্রের খবর, দুইজনের মধ্যে একজন মেনে নিয়েছে শৌভিক চক্রবর্তী ৫ গ্রাম ড্রাগ কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছিল।
রিয়া চক্রবর্তীর মাদক যোগের সূত্র ধরে এনসিবির নজরে রয়েছে চারজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব, যার মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের দুজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, একজন নামী অভিনেতা ও একজন পরিচালক। সূত্রের খবর, চিঙ্কু পাঠান নামের একজন মাদক ব্যবসায়ী নাকি মুম্বাইয়ের ফিল্ম সেটেও ড্রাগ বিক্রি করেন। এ ছাড়া ইম্মা নামের আরও এক মাদক ব্যবসায়ীর নাম সামনে এসেছে। বান্দ্রা এলাকাটি নাকি তার জিম্মায় রয়েছে।
সোমবার ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টালিজেন্সের যৌথ ডিরেক্টরের সমীর ওয়াংখেড়েকে আগামী ৬ মাসের জন্য এই মামলার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ