‘হ্যারি এবং মেগান’ কানাডায় জনপ্রিয়, কিন্তু কানাডিয়ানদের কাছে তারা সেলিব্রেটি নন। রাজপরিবারের বধু হবার আগে মেগান কানাডায় টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র তারকা ছিলেন, সেই হিসেবে তার ভক্তকূল আছে কানাডায়। কিন্তু রাজপরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের দুজনের কেউই কানাডিয়ানদের কাছে আলাদা কিছু নন, কানাডিয়ান মিডিয়ার কাছেও নয়।
তবু হ্যারি এবং মেগান কানাডায় বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- এই সংবাদ কানাডিয়ান মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, কানাডিয়ানরাও খানিকটা নড়েচড়ে বসেছেন।
‘রাজ পরিবারের প্রতিনিধিরা’ কানাডার বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন- সেই কারণে নয়, লন্ডনের ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার একটি খবর কানাডিয়ানদের তাদের ব্যাপারে কৌতূহলী করে তুলেছিল। সেই কৌতূহলেরও আপাতত অবসান হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়।
লন্ডনের ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা খবর দিয়েছিল হ্যারি এবং মেগান কানাডায় বসবাস করলে তাদের নিরাপত্তার জন্য যে ব্যয় হবে তার কিছুটা বহন করতে কানাডা সম্মত – এমন প্রতিশ্রুতি জাস্টিন ট্রুডো রানিকে দিয়েছেন। পত্রিকাটির তথ্যানুসারে, তাদের নিরাপত্তা বাবদ বছরে ১.৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।
কিন্তু অর্থমন্ত্রী বিল মরনো এই খবরকে একদমই উড়িয়ে দিয়েছেন। সোমবার টরন্টোয় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হ্যারি এবং মেগানের পেছনে কোনও অর্থ ব্যয় নিয়ে সরকার কোনও আলোচনাই করেনি। অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট করেই বলেন, এই ইস্যু নিয়ে আমরা একটি মুহূর্তও ব্যয় করিনি।
রাজকীয় এই দম্পতি তাহলে কানাডায় কিভাবে থাকবেন? তাদের স্ট্যাটাস কি হবে? ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন, রাজকীয় দম্পতি আপনা আপনি কানাডার নাগরিকত্ব পাবেন না। তবে কানাডার ইমিগ্রেশন আইনে রাজপরিবারের সদস্যরা ভিসা ছাড়াই কানাডায় ৬ মাস থাকতে পারবেন। ছয় মাস পর তাদের আবার ফিরে যেতে হবে। তার মানে হচ্ছে- তারা চাইলেই কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকতে পারবেন না।
কিন্তু থাকতে চাইলে কি করতে হবে? ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আর দশটা দেশের দশজন নাগরিক যেভাবে আবেদন করে, সেভাবেই আবেদন করে, পুরো নিয়ম কানুন অনুসরণ করে তাদের স্থায়ী বাসিন্দা এবং পরে কানাডার নাগরিকত্ব পেতে হবে।
একটা দেশের এগুলোই আসলে সৌন্দর্য, এগুলোই হচ্ছে বিউটি অব কানাডা।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/কালাম
