শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

যারা অটিজমে কষ্ট পাচ্ছেন তাদের পাশে আছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অটিজম আক্রান্তরা কোনোভাবেই রাষ্ট্রের বোঝা নয়। বিশ্বমানের অনেক মনীষী আছেন যারা এ সমস্যায় আক্রান্ত। সঠিক পরিচর্যা, সমাজের সহানুভূতি ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশের অনেকেই নিজেদের উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। যারা অটিজমে কষ্ট পাচ্ছে তারা যেন সবাই সুস্থ জীবন পায় সে জন্য আমি পাশে আছি। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করব, যাতে সবাই স্বাভাবিক জীবন পায়। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আঞ্চলিক কমিটির সভায় অটিজম বিষয়ক পার্শ্ব ইভেন্টে ভাষণে তিন এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ। বিশ্ব অটিজম সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কুয়েত সেন্টার ফর অটিজমের প্রতিষ্ঠাতা সামিরা আল সাদ এবং আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন মাইকেল ক্ল্যাগও বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা মোট জনসংখ্যায় প্রতিনিধিত্ব সংখ্যক না হওয়ার অজুহাতে কোনো রাষ্ট্র তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও মূল্যকে অস্বীকার করতে পারে না। আমাদের সামর্থ্যরে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। সীমিত সম্পদ নিয়েই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, চলাফেরা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টিকে অবহেলা করলে হবে না। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে জনস হপকিনস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন ড. মাইকেল ক্লাগ জনস্বাস্থ্যের প্রেক্ষাপটে অটিজম বিষয়ে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া কুয়েত সেন্টার ফর অটিজমের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং বিশ্ব অটিজম অর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. সামিরা আল সাদ এ বিষয়ে মা-বাবা ও সাংগঠনিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনমে ক্ষেত্রাপলের সঞ্চালনে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
‘অটিজমের বিরুদ্ধে লড়াই’ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলের উপদেষ্টা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ পুতুল বলেছেন, অটিজমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ লড়াই শুরু হয়েছে। অটিস্টিক ব্যক্তি, তার পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে অটিজমের বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে কাজ করাই এ উদ্যোগের মূল ধারণা। গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ৩২তম সভা এবং এর আঞ্চলিক কমিটির ৬৭তম বার্ষিক সম্মেলন ও বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদকবিরোধী আন্দোলনে শামিল হতে দক্ষিণ এশীয় নেতাদের প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বান : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মাদক তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য দক্ষিণ এশীয় দেশসমূহকে আরও বেশি সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।
এশিয়ায় অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যালকোহলের ক্ষতিকর ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক কৌশল শক্তিশালীকরণ সংক্রান্ত এক প্ল্যানারি অধিবেশনে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

সর্বশেষ খবর