সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গিবাদ দমনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের তত্পরতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, উঠতি বয়সের যুবকদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গিবাদে দীক্ষিত করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমন করতে হলে এর মূল উৎস নিশ্চিহ্ন করা জরুরি। এদের অর্থ জোগানদাতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মূলত অর্থদাতারাই জঙ্গিবাদের মদদদাতা। এই পশ্চাত্পদ শক্তিকে সমূলে উত্খাত করতে হবে। শুধু হামলাকারীদের হত্যা বা আটক করে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় শেখ শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বে জঙ্গিবাদ এখন প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের কতগুলো রূপ রয়েছে। কখনো ধর্মীয় জঙ্গিবাদ, কখনো বর্ণবাদী জঙ্গিবাদ, কখনো বিভিন্ন দলের ও গোষ্ঠীর জঙ্গিবাদ। সব ধরনের জঙ্গিবাদই মানবতাবিরোধী কার্যক্রম এবং এর শিকার নিরস্ত্র নিরীহ সাধারণ মানুষ। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তাদের সামনে কতগুলো ইস্যু উপস্থাপন করা হয় এবং লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে কোমলমতি যুবকরা আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামের নামে বিধর্মী হত্যায় উৎসাহী করা হয়। তাদের বলা হয় এটি জিহাদ ও পরবর্তী জীবনে বেহেশতের লোভ দেখানো হয়। অথচ ইসলামে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করা জঘন্নতম অপরাধ। ইসলাম প্রচারের যুগে যেসব মুসলমান জিহাদে যেতেন মহানবী (সা.) তাদের প্রথমে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে বলতেন। এখন লোভ দেখিয়ে, অর্থ প্রদান করে গরিবদের এই জঘন্যতম অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ত করা হয়। তাদের বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডির কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসলামের নামে যে জঙ্গিবাদী তত্পরতা চলে এর মূলে কতগুলো শক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এর মধ্যে একটি তত্ত্ব কাজ করে, তা হলো পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন কায়েম করতে হবে। যাকে তারা হুকুমে ইলাহি বলে দাবি করে। তারা বলে, পৃথিবীতে তৈরি আইন, সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় আইনসমূহ ইসলামবিরোধী এবং সেজন্য ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে জিহাদে অংশ নিতে হবে। এ ধরনের প্রচারণা চালিয়ে জঙ্গি তৈরি করে। প্রচার-প্রচারণার জন্য এরা সংবাদপত্রেও তাদের আস্থাভাজন গোষ্ঠী তৈরি করে। ওরা তাদের কার্যক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল বেছে নেয়। এরা বিভিন্ন ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে অর্থায়নের ব্যবস্থা করে। তারা দেশের অভাবী এলাকায় জঙ্গিবাদের বিস্তার ও কার্যক্রম গড়ে তোলে। তিনি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর দেশের মানুষ নিন্দা জ্ঞাপন করেছে। সন্ত্রাস প্রতিরোধে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে। এখন প্রয়োজন স্ব স্ব অবস্থান থেকে জঙ্গি চিহ্নিত করা ও এটি দমনে প্রশাসনকে সাহায্য করা। অন্যদিকে জঙ্গি সৃষ্টি বন্ধে নজরদারি ও জনগণকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রাণিত করা। এ ছাড়াও যেসব সমস্যার কারণে জঙ্গিদের উত্পত্তি হয় সেগুলোর দিকে দৃষ্টি দেওয়া। আফ্রিকায় ও মধ্যপ্রাচ্যে তেল-খনিজ সম্পদ অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় জঙ্গিবাদের বিস্তার দেখা যায়। এসব এলাকায় তেল-খনিজ সম্পদ আহরণকারী সংস্থা ও দেশ তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তারে অনেক ক্ষেত্রে এই জঙ্গিদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ