প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য আরব আমিরাতের শাসক ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল দুপুরে রাজকীয় প্রাসাদে আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবি এক্সিবিশন সেন্টারে আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে বৈঠক করেন। আবুধাবি থেকে বিডিনিউজ জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাশাপাশি শ্রমবাজার নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহকেও গুরুত্বের সঙ্গে তারা বিবেচনা করছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমিরাত শাসকদের আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়ে গত রবিবার আবুধাবি সফরে আসেন শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশকে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিনিয়োগের একটা বড় নতুন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে- এ কথা দুবাইয়ের শাসক বার বার বলেছেন। একই সঙ্গে বলেছেন, জনশক্তির বিষয়টি তারা ওপেনলি কনসিডার করবেন। পররাষ্ট্র সচিব জানান, ক্রাউন প্রিন্স লেবার মার্কেট এবং বিনিয়োগের বিষয়টি নিজে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। ক্রাউন প্রিন্স বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) সব বিষয়েই গুরুত্ব পাবেন। ক্রাউন প্রিন্স বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পররাষ্ট্র সচিব জানান, শ্রমবাজার নিয়ে আজ সকালে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনা হবে। দুবাইয়ের শাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর আবুধাবির বাহার প্যালেসে ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্ত্রী শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারক আল কেতবির সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। রয়্যাল প্যালেসে ক্রাউন প্রিন্স নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর আবুধাবি সফরের সময় ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি প্রধানমন্ত্রী তাকে উপহার দেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে প্রিন্স নাহিয়ান মজলিশে নিয়ে যান। মজলিশ সপ্তাহে একদিন বসে। সচরাচর মজলিশে তারা পরিচয় করিয়ে দেন। অতিথি চলে গেলে তারা বৈঠক করতে থাকেন। কিন্তু তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, আপনি আমার পাশেই বসেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ সম্মান দিয়েছেন। বিনিয়োগ ও শ্রমবাজার ছাড়াও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স আলোচনা করেছেন বলে তিনি জানান। খুবই উষ্ণ একটা সংবর্ধনা ছিল। বিভিন্ন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
শিরোনাম
- অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে উডকে নিয়ে শঙ্কা নেই
- সিলেটে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে আগুন
- চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের
- ফুয়াদের সুরে কনার গান
- অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তারেক রহমানের
- ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
- কাতারের ক্লাব আল সাদে মানচিনি
- কাভিশ ব্যান্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে শিরোনামহীন-মেঘদল
- যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!
- চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার আহ্বান
- পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল
- হাসিনার প্লট দুর্নীতির এক মামলার শুনানি আজ
- জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল
- হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
- আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
- প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
- সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
- সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- অনিশ্চয়তার ছায়ায় টালমাটাল অর্থনীতি