রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

গুটি কয়েক ব্যক্তির হাতে বন্দী

----- খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ

গুটি কয়েক ব্যক্তির হাতে বন্দী

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এবং ২০১০ সালে পুঁজিবাজার বিপর্যয় ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেছেন, গুটি কয়েক ব্যক্তির হাতে বন্দী হয়ে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। তারাই নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে। এ চক্রটি যখন খুশি শেয়ারদর বাড়ায় যখন খুশি কমায়। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ইব্রাহীম খালেদ আরও বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইতে ২৫০ জন সদস্য। এই সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয় না। এটাকে বলা হয় কোটারি। ডিএসইর সদস্য হতে হলে এখন প্রায় ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। একটি নীতিমালা করে এটাকে কমিয়ে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো উচিত। ঢাকা ও চট্টগ্রাম এ দুই স্টক এক্সচেঞ্জে এখন কমপক্ষে ১ হাজার সদস্য থাকা উচিত। সদস্য ফি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করা উচিত। এতে নির্দিষ্ট ব্যক্তির দ্বারা সিন্ডিকেট করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে ডিএসইর সদস্যরা নতুন কাউকে ঢুকতে দিতে চান না। তারা বাজার মেনুপুলেশন করে থাকেন। তারা দর ওঠান প্রয়োজনমত নামান। এটা বন্ধ করতে হবে। কোটারি ভেঙে দিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি এই সিন্ডিকেটের সহযোগিতাই করছে। আইন ভঙ্গ করে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ ধরে রেখেছেন। বাজারে কীভাবে আস্থা ফিরবে। তারা আইন মানছে না। বাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা কেন আইন মানবে? শক্তি প্রয়োগ ছাড়া এই সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না।

সর্বশেষ খবর