বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সূচক

দুর্নীতির কারণে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ গত এক বছরে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে দুই ধাপ পিছিয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। গতকাল প্রকাশিত সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৪১টি দেশের মধ্যে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫তম। সূচকে এবার যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে শীর্ষে এসেছে এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। ডব্লিউইএফ বলেছে, চতুর্মুখী চ্যালেঞ্জে আটকে গেছে বাংলাদেশের ব্যবসার প্রতিযোগিতা সক্ষমতা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বে ১২৩তম অবস্থানে বাংলাদেশ। দুর্নীতিতে ১২৫তম। জনসংখ্যার তুলনায় অনিরাপদ পানি গ্রহণের সূচকে বাংলাদেশ ১৩৬তম। ইন্টারনেট  ব্যবহারকারী, ভূমি ব্যবস্থাপনার গুণগত মান, আর্থিক খাতের অবস্থানেও অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। গতকাল বিশ্বব্যাপী একযোগে ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক বা গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট-২০১৯’ প্রকাশ করে ডব্লিউইএফ। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ঢাকায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও ‘বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ সমীক্ষা ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদন করেছে সিপিডি। রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম- ইআরএফ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই দুটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বক্তব্য দেন সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ও জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান। ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে ৫২ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ আরও দুই ধাপ পিছিয়েছে। বিশ্বের ১৪১টি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে করা জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫তম। আগের বছর ১৪০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল ১০৩তম। তার আগের বছর ছিল ১০২তম। এবার নিয়ে টানা দুবার বৈশ্বিক সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবনমন হলো। ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫২ দশমিক ১। ডব্লিউইএফ বলছে- এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। ৬১ দমমিক ৪ স্কোর নিয়ে ভারত আছে সূচকের ৬৮ নম্বরে। তবে গতবারের চেয়ে ১০ ধাপ অবনমন ঘটেছে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ এই প্রতিবেশী দেশটির। দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কা ৫৭ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে সূচকের ৮৪তম, নেপাল ৫১ দশমিক ৬ স্কোর নিয়ে সূচকের ১০৮তম এবং ৫১ দশমিক ৪ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান সূচকের ১১০ নম্বরে রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডা, কেনিয়া, এশিয়ার স্থলবেষ্টিত দেশ মঙ্গোলিয়া, এমনকি হন্ডুরাস, গুয়াতেমালার মতো দেশেও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ বাংলাদেশের চেয়ে উন্নত। এক নম্বরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে এবার জায়গা করে নিয়েছে দুই নম্বরে থাকা সিঙ্গাপুর। তালিকায় দুইয়ে নেমে গেছে বিশ্ব অর্থনীতির নাম্বার ওয়ান পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

 

সর্বশেষ খবর