মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

টাইগারদের স্বপ্নভঙ্গ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পেন্ডুলামের মতো দুলেছে নাগপুরের সিরিজ নির্ধারণী টি-২০ ম্যাচটি। মোহাম্মদ নাঈম শেখের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে কখনো জয়োৎসবের আগাম মঞ্চ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। কখনো আবার ভারত। তবে দিন শেষে টাইগার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ হাসি হেসেছে স্বাগতিকরা। স্বাগতিকদের সিরিজ জিততে বিধ্বংসী বোলিং করেন মিডিয়াম পেসার দীপক চাহার। অফ কাটার, লেগ কাটার ও দুরন্ত ইয়র্কারে বাংলাদেশের ব্যাটিং লেজ শুধু মুড়েই দেননি চাহার, ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে গড়েছেন নতুন এক রেকর্ড। ভেঙেছেন অজন্তা মেন্ডিসের ৮ রানে ৬ রানের রেকর্ডটি। চাহারের বিশ্বরেকর্ডের জন্য মাহামুদুল্লাহরা লিখতে পারেননি সোনালি ইতিহাস। টি-২০ সিরিজ শেষে বাংলাদেশ এখন ইন্দোরে। ১৪ নভেম্বর মাঠে গড়াচ্ছে টেস্ট সিরিজ। দিল্লির দম বন্ধ করা বায়ুদূষণে বাংলাদেশ সিরিজ প্রথম জিতেছিল ৭ উইকেটে। ম্যাচটি জিতিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। রাজকোটে ভারতে সিরিজে  ফেরান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টি-২০ ক্যারিয়ারের শততম ম্যাচটি তিনি জেতান ৮ উইকেটে। প্রথম দুই ম্যাচে দুই দলের জয়ে সমতা আসে সিরিজে। নাগপুরের ম্যাচটি দাঁড়ায় তখন অলিখিত ফাইনালে। লোকেশ রাহুলের ৩৫ বলে ৫২ ও আইয়ারস শ্রেয়ারের ৩৩ বলে ৬২ রানে ভর করে ভারত সংগ্রহ করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান। ১৭৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০.১ ওভারে ৯৮ রান যোগ করে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখান। দলীয় ১১০ রানে মোহাম্মদ মিথুন ব্যক্তিগত ২৭ রানে সাজঘরে ফিরলে ম্যাচে ফিরে ভারত। এরপর ইতিহাস। চাহার বিধ্বংসী বোলিং করে একে একে তুলে নেন নাঈম শেখ, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহসহ ৬ টাইগার ব্যাটসম্যানের উইকেট। চাহারের বিধ্বংসী বোলিংয়ের মুখে ৪৮ বলে ৮১ রানের আলো ঝলমলে ব্যাটিং করেন নাঈম। গোটা সিরিজে ২০ বছর বয়সী নাঈম ছিলেন দুরন্ত। দিল্লিতে ২৬, রাজকোটে ৩৬ রানের পর নাগপুরে খেলেন ৮১ রানের ঝকমকে ইনিংস।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর