সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ইকবাল মাহমুদ

ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের পাশাপাশি সব দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, আমাদের অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। দুর্নীতি যেই করুক না কেন, তাকে দুদকের বারান্দায় আসতে হবে। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র‌্যাক) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দুদকের অভিযোগপত্রে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর নাম না থাকা নিয়ে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সমালোচনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, তদন্ত পর্যায়ে থাকায় বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নাম না আসা নিয়ে ফজলে নূর তাপস কথা বলতে পারেন না। ফজলে নূর তাপসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি বাচ্চুর নাম কেমনে বলছেন, আপনি কে? আপনি কি ইনভেস্টিগেশন করছেন? কে কী বলছে দ্যাট ইজ নট আওয়ার কনসার্ন। এটা একটা পাবলিক ইনস্টিটিউশন। আপনি আমার পদত্যাগ চাইতে পারেন। অনেক কিছুই চাইতে পারেন, দ্যাট ইজ নট প্রবলেম। দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইনভেস্টিগেশন শেষ হলে যখন চার্জশিট যাবে তখন আপনি বলতে পারেন। এটাকে না-রাজি দেওয়া যায়, আরও প্রসেস আছে। আমরা যদি ভুল করি তখন সরকার ও ব্যাংক না-রাজি দিতে পারবে। কিন্তু আমার মনে হয় না, এ ক্ষেত্রে আমরা কোনো ভুল করব। এটা জনগণ বিশেষভাবে জানে, তাই আমরা বিশেষভাবে কেয়ারফুল। যখন আমরা রিপোর্ট দেব, এত সহজে এটা নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেব না। সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, অনেকেই বলছেন এ অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু দুদক কাজ করছে। এরই মধ্যে ১৮৭ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দুদক যাদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া তাদের বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং অভিযুক্তদের আনন্দে থাকার কোনো সুযোগ নেই। দুর্নীতি যেই করুক না কেন, তাকে দুদকের বারান্দায় আসতে হবে। কেউ বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি করে অবৈধ সম্পদের মালিক হলে তার বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি করার বিষয়টি দুদকের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দফতর কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে যদি তথ্য পাওয়া যায় যে, কেউ বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি করে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর