শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

নাছির-রেজাউলের বৈঠক, সামাজিক অনুষ্ঠানে শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নাছির-রেজাউলের বৈঠক, সামাজিক অনুষ্ঠানে শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম বৈঠক করেছেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পাশাপাশি বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনও অব্যাহত রেখেছেন সামাজিক সংযোগ। গতকাল তিনি বিভিন্ন সামাজি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মতবিনিময় করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে।

নাছির-রেজাউলের বৈঠক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে  বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর কে সি দে রোডে রেজাউল করিমের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মেয়রের নির্বাচনী কার্যালয়ে আসেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল। এরপর দুজনে একান্তে বৈঠক করেন। পরে তাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম। তাদের তিনজন একান্ত বৈঠক করেন দীর্ঘক্ষণ। অতঃপর তারা বের হয়ে আসেন।

গতকাল নগরবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম। সকালে নিজ বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর আসেন মেহেদীবাগে। এখানে তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন। এরপর ফিরোজ শাহ কলোনি এবং রামপুরা এলাকায় গিয়ে নেতা-কর্মী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

সামাজিক অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত : বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন গতকাল সকালে দিন শুরু করেন নিজ বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে। এরপর তিনি ছুটে যান পশ্চিম বাকলিয়া। এখানে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি অসুস্থ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে দেখতে যান। জুমার নামাজ আদায় করতে ছুটে আসেন জামেয়া আহমদী সুন্নিয়া মাদ্রাসায়। এখানে নামাজের পাশাপাশি মুসল্লি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর অংশগ্রহণ করেন কয়েকটি সামাজিক অনুষ্ঠানে। বিকাল থেকে কয়েকটি এলাকায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়।

বিদ্রোহীদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত আজ-কালই : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের দলীয় পরিচয় ও পদ হারাতে পারেন কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন প্রায় ১৯ জন সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী। বৃহস্পতিবারের দলীয় বৈঠকে কাউন্সিলর নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতা হয়নি। এসব বিদ্রোহী প্রার্থী শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহারের সমঝোতায় না এসে মনোনয়নপ্রাপ্ত বিতর্কিতদের নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। আজ শনিবার ও রবিবারের মধ্যেই বিদ্রোহীদের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত আসছে বলে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ বা দল থেকে যেমনই সিদ্ধান্ত আসুক, নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলেও মন্তব্য করেন অধিকাংশ বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চসিক নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতেই কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়েই সমঝোতা বৈঠক হয়েছিল গত ৫ মার্চ। বৈঠকে সমঝোতায় না এসে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহীরা দলের শীর্ষ নেতাদের উল্টো হুংকার দিয়েই সভার বাইরে ক্ষোভ, বিক্ষোভ, ওপেন ওপেন ওপেন, হুঁশিয়ার সাবধানসহ নানাবিধ স্লোগানেই উত্তপ্ত ছিল বৈঠকস্থল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচনী দায়িত্বশীল নেতা বলেন, এটি দলের একটা ভাবমূর্তির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এমন আচরণ এবং সুন্দর আলোচনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দলের এক শ্রেণির নেতারা বিতর্ক তৈরি করতে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কৌশলে ইন্ধন দিচ্ছেন। তবে দলের সাংগঠনিক নিয়মতান্ত্রিকভাবেই বিদ্রোহী অনেক প্রার্থী, দলের পরিচয় এবং পদ-পদবি হারাতে পারেন। এতে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত যেভাবেই  দেবেন, সেভাবেই দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে জানান তিনি।

দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, কি কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছি? মনোনয়নপ্রাপ্ত অনেকেই আছেন নানাভাবে বিতর্কিত। তারা কীভাবে মনোনয়ন পান?

১১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী নির্বাচন করার ব্যাপারে অটল বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর