শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোতে পারেননি অথচ এমবিবিএস ডাক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি কোনোরকমে পেরিয়েছেন। তিনি এমবিবিএস ডাক্তার এবং হাসপাতালের মালিক। প্রতিদিনই নিয়মিত রোগী দেখতেন এবং ব্যবস্থাপত্র দিতেন। এভাবেই দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। অবশেষে র‌্যাবের জালে ধরা পড়ে ওই প্রতারক। পরে তাকে ৩ মাসের কারাদ  ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে ওই চিকিৎসকের মালিকানাধীন সেবা হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর ধাপ এলাকায় র‌্যাব-১৩ এ অভিযান চালিয়ে  হাসপাতাল সিলগালা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়। সূত্র জানায়, সেবা হাসপাতালের মালিক রফিকুল ইসলাম পঞ্চম শ্রেণি পাস। প্রাতিষ্ঠানিক ডাক্তার না হয়েও হাসপাতালের মালিক হিসেবে নিয়মিত রোগী দেখেন এবং ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান রংপুর সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে হাসপাতালের সব সেবা কার্যক্রম নিরীক্ষাকালে দেখা যায় হাসপাতালের লাইসেন্স দীর্ঘ ৩ বছর ধরে নবায়ন করা হয়নি। ১০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও বর্তমানে ৩০টি শয্যায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোনো নিয়মিত ডাক্তার তো নেই-ই অধিকন্তু রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কোনো ডিউটি ডাক্তারও নেই। পাশাপাশি হাসপাতালের মালিক মো. রফিকুল ইসলামকে চিকিৎসা দেওয়ারত অবস্থায় হাতেনাতে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার ডাক্তারি সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র চাওয়া হলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে তিনি কোনো ডাক্তার নন। কিন্তু সরকারি দলিল, ব্যাংকের চেকবই ও কোর্টের কাগজপত্রে তার নামের আগে ‘ডাক্তার’ ব্যবহার করেছেন। র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, সেবা হাসপাতালটিতে রোগীদের হয়রানি, বেশি বিল আদায় করাসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরন্ব কুমার রায় বলেন, ওই ভুয়া ডাক্তারের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতাই নেই। তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর