ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
হামলার মামলায় রিমান্ডে নেওয়া দুই আসামি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমারকে গতকাল বিকালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
হামলার নয় দিন পর ওসি আমিরুল ইসলামকে ঘোড়াঘাট থেকে প্রত্যাহার করে দিনাজপুর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন ওসি নিযুক্ত হলেন রংপুর সদর থানার পরিদর্শক আজিম উদ্দিন।
জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ব্যর্থতা এবং ইউএনওর ওপর হামলার রাতে পুলিশের টহল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ওসি আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কোর্ট ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন জানান, আসামি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমারকে ডিবি পুলিশ গতকাল বিকালে আদালতে হাজির করলে তাদের জেলহাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় তিনজনের মধ্যে দুই আসামি নবীরুল ও সান্টুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই দিন রাতেই তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ডিবি। মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল ইসলামকে ৬ সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। আজ তারও রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)-এর সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হয়। তিনি এখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।