শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
নেত্রকোনায় ট্রলারডুবি

ভেসে উঠেছে আরও দুই লাশ মৃত্যু বেড়ে ১২

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার গোমাই নদীতে গত বুধবার ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুজনের মৃতদেহ গতকাল ভেসে উঠেছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১২ জনে।

কলমাকান্দা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, গতকাল বেলা ১১টা ও পৌনে ১টার দিকে সুনামগঞ্জের হাওরে দুজনের লাশ মেলে। তারা হলেন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কামাউড়া গ্রামের রতন মিয়া (৩৫) ও মনিরা নামে সাত বছরের এক শিশু।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বরখাপন ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে ট্রলার ও বলগেটের সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। সে সময় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত  জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আর মাহমুদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ট্রলারডুবিতে নিহত লুৎফুন্নাহার নামে এক নারীর স্বামী আবদুল ওয়াহাব বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে কলমাকান্দা থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সে মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে দুর্ঘটনা সংগঠনের মাধ্যমে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলার মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী, কলমাকান্দা, বারহাট্টা, আটপাড়া, কেন্দুয়াসহ বেশিরভাগ উপজেলার বিস্তর এলাকা নিয়ে হাওর অঞ্চল। বর্ষা মৌসুমে হাওরাঞ্চলের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম নৌপথ। বছরের পর বছর ধরে নৌপথে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করলেও নেই কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা। সেই সঙ্গে বালু, পাথর, বহনকারী কয়েক হাজার বলগেট ট্রলার বছরজুড়েই বিভিন্ন স্থানে ঘাট ইজারার নামে চাঁদা দিয়ে অনিয়মতান্ত্রিকভাবেই দেশের বিভিন্ন জেলায় মালামাল পরিবহন করে আসছে। জেলায় ছোট বড় ৫৭টি নদীর মধ্যে সবসময়ের খরস্রোতা বড় বড় কংশ, ধনু, গোমাই, কুমারখালি, উব্ধাখালি, ধলাইসহ বিভিন্ন নদীতে তারা এসব মালামাল পরিবহন করে সারা বছর। এসবের নেই কোনো লাইসেন্স বা ফিটনেস। চালকরাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অদক্ষ। যার ফলে এমন দুর্ঘটনায় বছরজুড়েই দুর্ঘটনা ঘটছে।

সর্বশেষ খবর