ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন ড. মাহফুজা খানম বলেছেন, বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। আজকের তারুণ্য খুব হতাশ হয়ে পড়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, করোনা মহামারী শুরুর আগে তরুণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই ছোটখাটো কাজ বা টিউশনি করে নিজের হাতখরচসহ পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করত। কিন্তু মহামারী শুরুর পর কারও কাজ আর নেই। এ অবস্থায় তারা নিজেও চলতে পারছে না আবার পরিবারকেও সহায়তা করতে পারছে না। এসব ছেলেমেয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছে। শনিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। এ অধ্যাপক বলেন, মহামারীতে আত্মহত্যার পেছনে যেমন ‘সাইকোলজিক্যাল’ কারণ আছে তেমনি এর পেছনে বড় একটি কারণ অর্থনৈতিক। করোনা সংক্রমণের এই সময়ে অনেকেরই চাকরি ছিল না। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের কোনো কাজ ছিল না। মানুষজন লকডাউনে অনেক দিন ঘরে আটকা ছিল। এ কারণে তখন অনেকের মধ্যেই হতাশা তৈরি হয়। ‘সাইকোলজিক্যাল’ কারণের মধ্যে হতাশা একটি বড় কারণ। মাহফুজা খানম বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরুর আগে তরুণ শিক্ষার্থীদের অনেকের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার কথা থাকলেও মহামারী শুরুর পর এ সম্পর্কগুলোর কোনো কোনোটি ভেঙে যায়। এতে তরুণদের অনেকের মধ্যে হতাশা জন্ম নিয়েছে। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরুর পর সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। মানুষ জানত না ভবিষ্যতে কী হবে। তবে অনিশ্চয়তা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। এর পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ঘরে আটকে থাকা এবং কাজ না থাকা, অনেক কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এসব কিছুই মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। আর মানুষ কিন্তু বেশিক্ষণ চাপের মধ্যে থাকতে পারে না। মানুষ যে কোনোভাবেই হোক এই চাপ থেকে মুক্ত হতে চায়। তিনি আরও বলেন, চাপ থেকে দুভাবে মুক্তি পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আত্মহনন। যারা ঘটনার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখে যায় তারা বেঁচে যায় কিন্তু যারা এই মানসিক চাপ সহ্য করতে পারে না তারা চাপমুক্ত হতে আত্মহত্যাকে বেছে নেয়।
শিরোনাম
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
- ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
- বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
- পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
- আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার
- গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে রোটারী
- গণভোটের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে সরকারের চিঠি
- দেশের উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- কুমিল্লায় অভিযান চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা
- স্টার্কের ডেলিভারিতে দগ্ধ ইংল্যান্ড, হেডের ব্যাটে লেখা জয়গাথা
- বাজি ধরে না চিবিয়ে পুরো বার্গার গেলার চেষ্টা, যুবকের করুণ মৃত্যু
- অ্যাশেজে মাত্র দুই দিনেই ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া
- ‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
- ফেব্রুয়ারিতে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
- মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩
- বিশ্বে ভূ-রাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেবে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা