দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যু এবার শতকের ঘর ছাড়াল। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ ১০১ জন মারা গেছেন। এক দিনে এত মৃত্যু এর আগে কখনো দেখেনি দেশের মানুষ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১০ হাজার ১৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৪১৭ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৭৭৯ জনে। গত ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছিল। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক মৃত্যু কমে দাঁড়িয়েছিল ৫-৭ জনে। দৈনিক রোগী শনাক্ত নেমেছিল তিনশ’র নিচে। ধারণা করা হচ্ছিল করোনার দাপট শেষের পথে। এতে মানুষের মধ্য থেকে বিদায় নেয় স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি থেকে ফের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে শুরু করে। এপ্রিলে এসে এক দিনে মৃত্যু কখনোই ৫০ জনের নিচে নামেনি। এর আগে ১৪ এপ্রিল ৯৬ জন ও ১৫ এপ্রিল ৯৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল প্রথমবারের মতো এক দিনে শতাধিক মৃত্যুর তথ্য সামনে আসল। এদিকে শুধু মৃত্যুই বাড়েনি, এক দিনের ব্যবধানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হারও বেড়েছে ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তবে নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল কম। গত এক দিনে ১৮ হাজার ৯০৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ হাজার ৪১৭ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আগের দিন সংক্রমণ হার ছিল ২১ শতাংশ। অথচ, গত ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণ হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। গত এক দিনে ৫ হাজার ৬৯৪ জন সুস্থ হয়ে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৬ লাখ ২ হাজার ৯০৮ জন করোনা রোগী। শুরু থেকেই করোনায় নারীর চেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে পুরুষের। এখন পর্যন্ত মোট মৃতের ৭৪ দশমিক ৩১ শতাংশই ছিলেন পুরুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০১ জনের মধ্যে ৬৭ জন ছিলেন পুরুষ ও ৩৪ জন নারী। হাসপাতালে ৯৪ জনের ও বাড়িতে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অর্ধেকের বেশি মৃত্যু হচ্ছে শুধু ষাটোর্ধ্ব মানুষের। গত এক দিনে মারা যাওয়া ১০১ জনের মধ্যে ৬৩ জনই ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। এ ছাড়া ২৩ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ৮ জন চল্লিশোর্ধ্ব ও ৭ জনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ৫৯ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এ ছাড়া ২০ জন চট্টগ্রাম, ৩ জন রাজশাহী, ৫ জন খুলনা, ৪ জন বরিশাল, ১ জন সিলেট, ৬ জন রংপুর ও ৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এদিকে আইসিইউ সংকটের কারণেও মৃত্যু বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে আইসিইউ শয্যা প্রায় ৩০০টি বাড়লেও সংকটাপন্ন রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ বেশি। এক জেলার রোগীকে আইসিইউর জন্য যেতে হচ্ছে অন্য জেলায়। শুধু আইসিইউ জোগাড় করতেই পেরিয়ে যাচ্ছে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণের দুই-তিনটা দিন। ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে সাধারণ শয্যার সঙ্গে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা যুক্ত করে আইসিইউ চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চলছে। তবুও সংকটাপন্ন রোগী নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে দৌড়াতে হচ্ছে স্বজনদের।
শিরোনাম
- ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার
- কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
- মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
- নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
- ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
- অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
- নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
- বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
- সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
- ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা ‘রোলার কোস্টার যাত্রা’: প্রিন্সেস কেট
- শ্রীলঙ্কার কাছে হারল বাংলাদেশ
- মার্কিন সিনেটে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
- ‘হলি আর্টিজান নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে’
- জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
- আগামী ৫ দিনে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস
- জাপানে দুই সপ্তাহে ৯১১ ভূমিকম্প
- জনতার ভয়ে ডোবায় কেশবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি
- বিশেষ অভিযানে আরও ১৩০৫ জন গ্রেফতার
- ইতিহাস গড়ে প্রথমবার এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ
- সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের জন্য সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন : আমীর খসরু
সর্বোচ্চ ১০১ জনের মৃত্যুর রেকর্ড
২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৪৪১৭, এক দিনে সংক্রমণহ হার বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর