রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় নতুন দেড় কোটির বেশি দরিদ্র

সিপিডির গবেষণা তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারীর প্রভাবে দেশের ১ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। কাজ হারিয়েছেন মোট শ্রমশক্তির কমপক্ষে তিন শতাংশ মানুষ। আর মহামারীতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ এসএমই ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক কর্মহীন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গতকাল ‘করোনাকালে শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা : কতিপয় প্রস্তাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। সিপিডি ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউ অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) যৌথ উদ্যোগে এ ভার্চুয়াল সংলাপ হয়। সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কোষাধ্যক্ষ এবং এপেক্স গ্রুপের  চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সভাপতিত্বে সংলাপে সিপিডির ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বিলসের মহাসচিব ও নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম খান, বিলসের ভাইস চেয়ারপারসন সংসদ সদস্য শিরিন আখতারসহ অন্যরা এ সময় বক্তব্য রাখেন।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম সংলাপের মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনায় বলেন, করোনাকালে কাজ হারিয়ে গরিব মানুষের সংখ্যা ২০ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দরিদ্র হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ। দেশের ২০ শতাংশ পরিবারের আয় কমে গেছে। এ অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পথে থাকলেও নতুন সংক্রমণ তা বিলম্বিত করছে। নতুন করে আরও দরিদ্র হওয়া ও কর্মহীন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। করোনায় প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছে। বিভিন্ন স্তরের হিসাব করলে এ সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি ৫ লাখ হতে পারে। কর্মহীন হওয়াদের মধ্যে প্রচুর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক রয়েছে। করোনা সংক্রমণের প্রথম ধাপে সারা দেশে শ্রমজীবী মানুষের বেতন কমেছে ৩৭ শতাংশ, ঢাকায় ৪২ ও চট্টগ্রামে ৩৩ শতাংশ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। শহর এলাকায় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে এমন ১০০ জনের মধ্যে ৬৯ জন এখনো চাকরি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর