শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

পানিতে ভাসছে উপকূল

ডুবে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু, বাঁধ মেরামতে স্থানীয়রা, অনেক জায়গায় সড়ক বিচ্ছিন্ন, হরিণ ও ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পানিতে ভাসছে উপকূল

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। গবাদিপশু নিয়ে বেশি বিপাকে সাধারণ মানুষ। বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া থেকে গতকাল তোলা ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জোয়ারের পানিতে ভাসছে উপকূল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। লবণপানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি। জীবন-জীবিকা বাঁচাতে মাটি, জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। রাত জেগে মেরামতের পর পরবর্তী জোয়ারের পানিতে আবারও ভেঙে যাচ্ছে বাঁধ। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে নদীর পানিতে নিম্নাঞ্চলের রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মানুষ। সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকার।

এদিকে জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের হরিণসহ অনেক বন্যপ্রাণী পানির তোড়ে ভেসে গেছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত চারটি হরিণ ও একটি ইরাবতী ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সুন্দরবন বিভাগ। এ ছাড়া দুটি হরিণকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। এ ছাড়া পটুয়াখালীর দুমকিতে নারী ও কলাপাড়ায় শিশু এবং বরগুনার পাথরঘাটায় আরও এক শিশু মারা গেছেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনার উপকূলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ২০-২২টি পয়েন্ট দিয়ে গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লোকালয়ে পানি ঢুকছিল। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ২ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলীয় হাতিয়ার ৭ লাখ মানুষ। স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। পটুয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৯২টি কাঁচা ঘরবাড়ি। দফায় দফায় পানি ঢুকছে গ্রামে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ২৩২ গ্রামের অন্তত ৬ লাখ মানুষ। ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদী তীরের ১২টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট ও গ্রামের পর গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। আগামী ২৪ ঘণ্টা বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টি হবে। জোয়ারের পানি দুই থেকে চার ফুট বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন এলাকায় সরকারি পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন।

সারা দেশে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি, বাড়তে পারে জোয়ারের পানি : ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের উপকূল অতিক্রম শেষে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বইবে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টি হবে। জোয়ারের পানি দুই থেকে চার ফুট বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, আজও এই আবহাওয়াই বিরাজ করবে। প্রায় সারা দেশেই কম বেশি ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে নিম্নচাপটি এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে সরছে। ফলে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

ইয়াস গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তর ওড়িশা ও ঝাড়খ- এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের আধিক্য বিরাজ করছে। এ জন্য খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তার আশপাশের দ্বীপ ও চরগুলোতে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে এসব এলাকার ওপর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর আগের মতোই তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে মোংলায় ৪৫ মিলিমিটার। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৬, সিলেটে ১৫, রাজশাহীতে ৫, খুলনায় ৩৮ এবং বরিশালে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা ও রংপুরে সামান্য বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। উপকূল সম্পর্কে নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সুন্দরবনে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে বন্যপ্রাণী : বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের হরিণসহ অনেক বন্যপ্রাণী পানির তোড়ে ভেসে গেছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ভেসে যাওয়া এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে চারটি হরিণ ও বিশ্বের বিলুপ্ত প্রজাতির একটি ইরাবতী ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সুন্দরবন বিভাগ। সুন্দরবন সংলগ্ন মঠবাড়িয়া উপজেলার লোকালয় থেকে দুটি হরিণ জীবিত উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, পানির উচ্চতা ছয় ফুট বৃদ্ধি পায়। রামপালের বগুড়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ৩টি ইউনিয়নের ২০০ পরিবার এখনো পানিবন্দী রয়েছে। তলিয়ে গেছে মোংলার ১২টি গ্রামের ৮০০ পরিবার। গতকাল দুপুরের স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় মোংলা উপজেলার পশুর নদী-তীরবর্তী চিলা ইউনিয়নের জয়মনি, সুন্দরতলা, কলাতলা, কাটাখালকুল, চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারী, কানাইনগর ও বুড়িরডাঙ্গার মহিদাড়া, শেলাবুনিয়া, সানবান্ধা, বিদ্যারবাহনসহ ১২টি গ্রাাম। বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল জানান, বাগেরহাটে ভেসে গেছে ৫ হাজার চিংড়ি ঘেরের প্রায় ৫ কোটি টাকার মাছ। বুধবার ও বৃহস্পতিবার জোয়ারের পানিতে এসব মাছের ঘের ভেসে যায়।

পটুয়াখালীতে দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত : পটুয়াখালীর দুমকিতে উচ্চ জোয়ারে ভেসে গিয়ে হাসিনা বেগম (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত তিন দিনে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে দফায় দফায় পানি ঢুকে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার ২৩২টি গ্রামের অন্তত ৬ লাখ মানুষ। পানির তোড়ে ৫৫ কি. মি. বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভেসে গেছে ২ হাজার ৬৩২টি পুকুর ও ৫৯০টি মাছের ঘের। মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এতে মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রণজিত দেবনাথ জানান, পানিতে প্লাবিত হয়ে জেলার ৮ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলাপাড়ার ৭৬ গ্রাম। এছাড়া রাঙ্গাবালী ৩৮, বাউফল ২৯, মির্জাগঞ্জ ২৮, সদর উপজেলায় ২২, গলাচিপা ১৭, দশমিনা ১২ ও দুমকিতে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ৩৬৩ মানুষ। ৪ হাজার ৬৯২টি কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে জোয়ারের পানিতে খেলতে গিয়ে ডুবে সায়মা (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সায়মা নাচনাপাড়া গ্রামের মো. ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে।

কাইল খাইছি খিচুড়ি, আইজ খামু কী : বাবারে কাইল খাইছি খিচুড়ি। আইজ খামু কী? ঘর জোয়ারের পানিতে তলাইয়া রইছে। তিন দিন ধইর‌্যা রান্দার কাম বন্ধ। চুলা তলাইয়া রইছে। ঘরে স্বামী প্যারালাইসে বিছানা পইর‌্যা আছে। রাইত হইলে নাতিডারে কোলে লইয়া বইয়া থাহি। জোয়ারের পানি নামলে মোরা ঘুমাই। কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু কলোনির পানিবন্দী মরিয়ম বেগম এমন কথাগুলো বলেছেন। এ কলোনির ১৯৬টি পরিবারের একই অবস্থা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।

হাতিয়ায় বাঁধ ভেঙে আতঙ্কে হাতিয়াবাসী : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় ৫ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভেসে গেছে দোকানপাট, বাড়িঘর, গবাদিপশু, ফসলি জমি। আতঙ্কে উপকূলীয় হাতিয়ার ৭ লাখ মানুষ। স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ২০০ পরিবারে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে এ সহায়তা পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান।

বাঁধ মেরামতে নেমেছে মানুষ : খুলনার উপকূলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ২০-২২টি পয়েন্ট দিয়ে গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লোকালয়ে পানি ঢুকছিল। লবণপানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি। স্থানীয়রা জীবন-জীবিকা বাঁচাতে মাটি, জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছেন। কিন্তু রাত জেগে মেরামতের পর পরবর্তী জোয়ারের পানিতে আবারও বাঁধ ভেসে যাচ্ছে। এদিকে পাইকগাছা, দাকোপ কয়রায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। গতকাল পাইকগাছার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাড়ে পাঁচ টন ত্রাণসামগ্রী তিন হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। খাদ্যসহায়তার মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, শুকনা খাবার, চিড়া ইত্যাদি। কয়রায় ১০ টন ত্রাণসামগ্রী এবং প্রতি ইউনিয়নে নগদ আড়াই লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণে সহায়তা করেছে।

বরিশালে ১২ পয়েন্টে বেড়িবাঁধে ভাঙন : বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদী তীরের ১২টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। জোয়ারের পানিতে প্রায় ১ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় প্রশাসন। এদিকে ‘ইয়াস’-এর কারণে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার পুকুর ও ঘের ডুবে ৬৪ কোটি টাকার মাছ বেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

ভেসে এলো দুটি চিত্রা হরিণ : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার লোকালয় থেকে দুটি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের উলুবাড়িয়া গ্রাম থেকে হরিণ দুটি উদ্ধার করে এলাকাবাসী। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অতি জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে হরিণ দুটি ভেসে আসে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাথরঘাটায় পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু : বরগুনার পাথরঘাটায় আবু বক্কর নামে ১৮ মাসের শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে নটার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আবু বকর একই গ্রামের মাহাতাব হাওলাদারের ছেলে।

চট্টগ্রাম : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানির স্রোতে ভেঙে গেছে চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা আনোয়ারা, বাঁশখালী ও পতেঙ্গার বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ। গত বুধবার জোয়ারের পানির স্রোতে বেড়িবাঁধগুলো ভেঙে যায়।

মাদারীপুর : বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাটেও। উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা নদী। এতে পদ্মার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে স্বাভাবিক ছিল ফেরি চলাচল। বুধবার ভোর ৬টা থেকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিআইডব্লিটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে হঠাৎ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৯৪টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব পরিবারের মাঝে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর