বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বাইডেন প্রশাসনে ১৫০০ জনের ৫০০ অভিবাসী

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

বাইডেন প্রশাসনে ১৫০০ জনের ৫০০ অভিবাসী

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ১ হাজার ৫০০ জনের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছেন অভিবাসী অথবা অভিবাসীদের সন্তান। বাইডেন নিজেই এ দাবি করেছেন। উল্লেখ্য, চলতি জুন হচ্ছে ‘ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন হেরিটেজ মান্থ’। এ উপলক্ষে ১ জুন বাইডেন বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমলে অভিবাসীরা নিগৃহীত হয়েছেন। কথায় কথায় তিরস্কৃত হয়েছেন। তেমন একটি বাজে পরিস্থিতি থেকে গোটা সমাজ মুক্তির পথে হাঁটছে এবং সর্বত্র উন্নয়নের জোয়ার বাইছে।’ ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরই প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার নির্বাচনী অঙ্গীকারের পরিপূরক হিসেবে ১১ মিলিয়ন নথিপত্রহীন অভিবাসীকে শর্ত সাপেক্ষে সিটিজেনশিপ প্রদানের একটি প্রস্তাব কংগ্রেসে পাঠিয়েছেন। এর বড় একটি অংশ প্রতিনিধি পরিষদে পাস হলেও রিপাবলিকানদের অসহযোগিতার কারণে তা সিনেটে আটকে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই আমার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র যে অভিবাসীদের দেশ সেটি দৃশ্যমান করতে আন্তরিক অর্থেই কাজ করছে। এর প্রমাণ হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে এখন পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত ১ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে অন্তত ৫০০ জনই অভিবাসী অথবা তাদের সন্তান।’

ইমিগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫% হলেন অভিবাসী এবং তাদের সন্তান। তাদের অন্যতম হলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী আলেজান্দ্রো ম্যালোরকাস কিউবার অভিবাসী। বাইডেন উল্লেখ করেন, ‘করোনা মহামারীর সময় নিজেদের জীবন বাজি রেখে যারা জরুরি সেবা দিয়েছেন এর বড় একটি অংশ অভিবাসী সমাজের সদস্য। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যেও রয়েছেন অনেকে।’ বাইডেন প্রশাসনে রাজনৈতিক নিয়োগের অপেক্ষায় আরও আড়াই হাজার পদ শূন্য রয়েছে। নানা কারণে প্রশাসনে স্থিতি না আসায় এসব পদ পূরণে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ কারণে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মধ্য থেকে যে দু-একজনের তালিকা রয়েছে, সেগুলো ঝুলে আছে। এ তালিকায় রাষ্ট্রদূত ওসমান সিদ্দিক ও ড. নীনা আহমেদের নামও রয়েছে। প্রসঙ্গত, জুন মাসকে ‘অভিবাসী সমাজের ঐতিহ্যের মাস’ হিসেবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও পালন করেছেন। তবে ট্রাম্প আমলে কখনোই এটি উদ্্যাপিত হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর