রাজধানীতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আশপাশের সাত জেলায় আজ সকাল ৬টা থেকে আরোপ করা হয়েছে ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ ৯ দিন ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ চলমান থাকবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রাজধানীকে ঢাকা বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণায় আজ থেকে ঢাকার সঙ্গে দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। সাত জেলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। জরুরি সেবা ছাড়া সাত জেলায় সব অফিস বন্ধ থাকবে। রাজধানীর বাইরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, সাতক্ষীরা জেলা, রাজশাহী মহানগর, নওগাঁ পৌরসভা, নিয়ামতপুর উপজেলা, নাটোর সদর ও সিংড়া পৌরসভা, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন, নড়াইল সদর পৌরসভার তিনটি এলাকা, জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি পৌরসভা এবং যশোর সদর ও অভয়নগর পৌরসভাসহ কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে। অনেক এলাকায় কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে বিধিনিষেধ। তবু লাগামহীন করোনা পরিস্থিতি। সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৬৩৬ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭৮ জন।
গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জরুরি ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে জনসাধারণের চলাচলসহ সবকিছু সকাল ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময় শুধু আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা চলাচল করতে পারবে। পরবর্তীতে জারি করা উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘এ সময়ে শুধু আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস বন্দরসমূহের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে’। চারপাশের জেলায় বিধিনিষেধ আরোপ করায় কার্যত বিচ্ছিন্ন থাকবে ঢাকা। তবে এসব জেলায় তৈরি পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি জানান, আজ ‘কভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ’ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি নোটিস জারি করেছে। আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, তৈরি পোশাক খাত এর আওতাবহির্ভূত থাকবে।’ সীমান্ত ঘেঁষা ও আশপাশের জেলাগুলোতে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যু। গতকাল মোংলায় ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ সংক্রমণশীল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে দেশে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুহার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহে নমুনা সংগ্রহের হার বেড়েছে ২২ শতাংশ। শনাক্তের হার বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। এই সময়ে শনাক্ত রোগীর মৃত্যুহার বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। শনাক্ত ও মৃত্যুর হার এভাবে বাড়তে থাকলে দেশের করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে অবনতি ঘটতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে করোনা শনাক্তের ৬৮ শতাংশই এই ভ্যারিয়েন্টের শিকার। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র-আইসিডিডিআর,বি’র গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আইসিডিআির,বি’র সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ড. মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই সময়ের করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণের জন্য তারা ৬০টি নমুনার জিনোম সিকুয়েন্সিং করেন। যার মধ্যে ৬৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে কভিডে শনাক্ত ও মৃত্যুহার উদ্বেগজনক। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইলে শনাক্তের হার বেশি দেখা যাচ্ছে। রাজশাহীতে শনাক্তের হার ১৭ শতাংশের বেশি। খুলনার অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুন সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৮ জন, মারা গেছেন ৫৪ জন। সংক্রমণ হার ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত ১৯ জুন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭ জন, মারা গেছেন ৬৭ জন। সংক্রমণ হার ১৮ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। গত ২০ জুন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪১ জন, মারা গেছেন ৮২ জন। সংক্রমণ হার ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৩ জন, মারা গেছেন ৭৮ জন। সংক্রমণ হার ১৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। রাজশাহী থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী শাহেদ জানান, রাজশাহী বিভাগে করোনার ‘হটস্পট’ এখন রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ। এরই মধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী এ তিন জেলায় ‘বিশেষ বিধিনিষেধ ও লকডাউন’ চলছে। কিন্তু তারপরও থামছে না মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায়ও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনাকালে ৭৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর বিভাগের আট জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৫৬ জনে। স্বাস্ব্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক ডা. নাজমা আক্তার বলেন, ‘রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণ এখন ‘পিক টাইম’ বা সর্বোচ্চ অবস্থা চলছে বলে আমরা ধারণা করছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এটিকে আর বাড়তে না দেওয়া।’ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, বিশেষ লকডাউন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের দেরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২ জন। হাসপাতালে করোনা রোগীদের শয্যার সংখ্যা ৩০৯টি। হাসপাতালের শয্যা বাড়িয়েও রোগী সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই।’ ভারত সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে চলছে ‘বিশেষ লকডাউন’। খুলনা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক সামছুজ্জামান শাহীন জানান, এক দিনের ব্যবধানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় আবারও বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৯৪৫ জন। এ সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন। এর আগে ২০ জুন করোনা শনাক্ত হয়েছিলেন ৭৬৩ জন। জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলায় তিনজন, কুষ্টিয়ায় তিনজন, ঝিনাইদহে দুজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন, যশোরে একজন, বাগেরহাটে একজন এবং নড়াইলে একজন মারা গেছেন। গতকাল পর্যন্ত বিভাগে মোট শনাক্ত হয়েছে ৪৫ হাজার ৯৭৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৮৩৭ জন।
দিনাজপুর প্রতিনিধি মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে দিনাজপুর সদর উপজেলায় চলমান কঠোর লকডাউন আরও ৭ দিন বাড়িয়ে আগামী ২৮ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ জানান, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় এ লকডাউন আরও ৭ দিন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিনাজপুর সার্জন অফিসের তথ্যানুযায়ী, ১ জুন গত ২০ দিনে জেলায় ১ হাজার ৫৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৩ জন।
বগুড়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুর রহমান টুলু জানান, বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন করোনায় মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯ নমুনায় ৮৪ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি জানান, সাতক্ষীরায় করোনায় একজন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আরও ৫০ জন। জেলা প্রশাসনের দেওয়া ৫ জুন থেকে চলমান লকডাউন তৃতীয় দফায় বাড়িয়ে ২৪ জুন করা হয়। বাগেরহাট প্রতিনিধি শেখ আহসানুল করিম জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় ৬৬ জন মারা গেলেন। বাগেরহাটে গতকাল ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় সংক্রমণ হার এক দিনের ব্যবধানে ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭৮ শতাংশে। নাটোর প্রতিনিধি নাসিম উদ্দীন নাসিম জানান, নাটোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজন ও করোনা উপসর্গে চারজন মারা গেছেন। নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার রায় জানান, হাসপাতালে আনার পর আবদুর রহমান মারা যান। তার নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ আসে। অন্যদিকে মোশারফ উপসর্গ নিয়ে মারা যান। সংক্রমণ বাড়ায় নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকায় ৯ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো. রফিকুল আলম জানান, চাঁপাইবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট ১১৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ঢাকা থেকে বাস বন্ধ : আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে সব দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সরকার ঢাকা বিভাগের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে। এই সাত জেলার ওপর দিয়েই দূরপাল্লার বাস চলাচল করে। যেহেতু লকডাউন তাই গাড়ি যেতে পারবে না। এ জন্য দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকবে।
৭ জেলায় নৌযান বন্ধ : লকডাউন ঘোষিত সাত জেলার যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো এই জেলার অভ্যন্তরীণ কোনো লঞ্চঘাটে ভিড়তে পারবে না। গতকাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।