বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের আহ্‌বান

১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তদন্ত অবিলম্বে বন্ধ করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তদন্ত অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট বা সিপিজে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার নিউইয়র্কভিত্তিক এই সংগঠনটি গতকাল দেওয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়ার দাবিও জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে সিপিজের এশিয়াবিষয়ক প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর স্টিভেন বাটলার বলেছেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের একডজন বিশিষ্ট সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব নিয়ে তদন্ত করা যথেষ্ট সন্দেহজনক এবং দেখে মনে হচ্ছে স্বাধীন গণমাধ্যমকে ভয় দেখানোর জন্য এ ধরনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এ তদন্ত বন্ধ করা,  সাংবাদিকদের হয়রানি করা বন্ধ করা এবং গণমাধ্যমকে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের মুদ্রা পাচার ও জঙ্গিবাদী অর্থায়ন বিষয়ে তদন্ত সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গত ১৬ সেপ্টেম্বর ১১ জন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে ৬১টি তফসিলি ব্যাংকে নির্দেশ দেয়। এই ১১ সাংবাদিকের প্রত্যেকেই সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতা। তারা হলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, অপর অংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, অপর অংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। এর আগে গত ১১ আগস্ট একইভাবে প্রথমআলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ক্ষেত্রেও ওই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সিপিজের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই ১১ সাংবাদিককে নিয়ে তদন্তের বিষয়ে জানতে সিপিজের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নির্বাহী পরিচালক মাসুদ বিশ্বাস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসি শাহরিয়ারের কাছে ই-মেইল করা হয়। কিন্তু তারা কেউই এসব ই-মেইলের জবাব দেননি।

সর্বশেষ খবর