বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বিনিয়োগের  অপার সম্ভাবনা চট্টগ্রামে

আর্ল আর মিলার

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এর ফলে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের চোখ এখন চট্টগ্রামের দিকে। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও চট্টগ্রামে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগে ও সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

গতকাল বিকালে চসিক মেয়রের কার্যালয়ে তার দফতরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা

শহীদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাউন্সিলর ফর পলিটিকেল অ্যান্ড ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স স্কট এ ব্র্যান্ডন, ইকোনমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট শাহীনুর সিকদার, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী প্রমুখ। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ সময় আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এখন যেভাবে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তাতে চট্টগ্রাম অচিরেই রিজিওনাল ও গ্লোবাল কানেকটিভিটির কার্যকর যোগসূত্র হিসেবে সংযোজিত হবে। এখানে যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে তাতে বিশ্বের বড় বড় অর্থনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে তার ইতিবাচক প্রভাব শুধু বাংলাদেশ বা অঞ্চলগত নয়, বৈশ্বিকভাবে প্রতিফলিত হবে। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত অকৃত্রিম আগ্রহে চট্টগ্রাম এখন বৈশ্বিক সম্পদে পরিণত হচ্ছে। কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত টানেল চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এ পরিণত করতে যাচ্ছে। রেলপথ কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত যোগাযোগ সংযোগের দ্বার খুলে যাবে। মিরসরাই ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো শিল্পায়নের ক্ষেত্রে চমক দেখাবে। সমগ্র চট্টগ্রামই পর্যটন শিল্পের দ্যুতি ছড়াবে। তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারাটাই আমাদের এখন বড় কাজ ও দায়বদ্ধতা। এ কাজটা সম্মিলিতভাবেই করতে হবে। এ জন্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শক্তির সহায়তা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন। একই সঙ্গে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ওপর জোর দিতে চাই।

মেয়র এ সময় উল্লেখ করেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর