বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিশ্ব শান্তিতে নেতৃত্ব দিতে চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব শান্তিতে নেতৃত্ব দিতে চায় বাংলাদেশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিতে চায়। শান্তি সম্মেলনের মাধ্যমে এই বার্তা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হবে। বৈশ্বিকভাবে যেসব মানুষ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছেন- বিশেষ করে কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিক, বিজ্ঞানীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্মেলনে সম্মানিত করা হবে। গতকাল বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লোজ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও মানবিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন’। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবারের সম্মেলন সশরীরে ও ভার্চুয়াল- দুই ধরনের অধিবেশনই থাকছে। সম্মেলনে ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ গৃহীত হবে। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর নামে সম্মাননা দেওয়া হবে। বৈশ্বিকভাবে যেসব মানুষ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছেন, বিশেষ করে কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিক, বিজ্ঞানীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্মেলনে সম্মানিত করা হবে। মন্ত্রি জানান, ৬০ থেকে ৬৫ জনের মতো অতিথি সশরীরে সম্মেলনে যোগ দেবেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন ৩৪ জনের মতো।

তাদের মধ্যে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোহ চক তং, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ভারতের কৈলাশ সত্যার্থীসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন। সশরীরে থাকবেন শ্রীলঙ্কান ইউনিভার্সিটি অব কলোর উপাচার্য অধ্যাপক চান্দ্রিকা এন ওয়াজেয়ারতে, ভারতের চলচ্চিত্রকার গৌতম ঘোষ, ভারতের সাবেক মন্ত্রী সুরেশ প্রভুসহ অনেকে।

সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তির সবচেয়ে বড় অগ্রদূত। উপমহাদেশসহ সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন কাজ করে গেছেন এবং সে জন্যই তিনি আমাদের বৈদেশিক নীতি করেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। মন্ত্রি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীতে সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ কমানোর জন্য একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেটি হচ্ছে শান্তির সংস্কৃতি। এই প্রস্তাবটি পৃথিবীর সব দেশ গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী যে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা দিয়েছেন, এটিও আমরা তুলে ধরব। সম্মেলন থেকে আমরা পৃথিবীতে শান্তির বার্তা দিতে চাই। আমরা চাই এই বার্তা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ুক। পৃথিবীতে টেকসই শান্তির জন্য প্রয়োজন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা, সহনশীলতা। এগুলো আমরা তুলে ধরব। এই সম্মেলন বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে সহযোগিতা করবে।

সর্বশেষ খবর