বুধবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজধানীর সব খাল দখলমুক্ত হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সব খাল দখলমুক্ত হবে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে অবৈধভাবে দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করা হবে। উদ্ধার করা খালগুলো সংস্কার করা হলে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি নগরবাসীকে একটি আধুনিক-দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য নগর উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি, নগর স্থপতি এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তারা স্বাভাবিকভাবেই এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর ফলে সব জায়গায় একটি মেসেজ চলে যাবে যে অবৈধভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই। শুধু এখানকার খাল উদ্ধার হবে আর অন্যগুলো হবে না এমনটা ভাবা উচিত হবে না। ঢাকা শহরের যত জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বা করার পাঁয়তারা করছেন তারা সতর্ক হবেন। কোনো দখলবাজকে বরদাশত করা হবে না।

তিনি বলেন, রাজধানীর সব খালের একটির সঙ্গে অন্যটির সংযোগ তৈরি করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে একাধিক সভা করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। ঢাকার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেই হবে। জনপ্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দিলে খাল উদ্ধার করা সহজ হবে। কারণ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণ থাকে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করলে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। সে উদ্দেশ্যেই রাজধানীর কিছু খাল ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনে হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দুই সিটি করপোরেশন জোরালো অভিযান চালিয়ে খাল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে যার ফল এখন দৃশ্যমান। তাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন মানুষের জন্য রাজধানীর ২ কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হতে পারে না। এটা করতে দেওয়া হবে না। যেখানে যে পরিমাণ রাস্তার দরকার তা নির্মাণ করতে হবে। আবাসনের জায়গায় আবাসন হবে। সবার জন্য কল্যাণকর ঢাকা গড়তে যা যা দরকার তার সবই করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। ঢাকা শহরে এখনো ৫৩টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে। এসব খাল উদ্ধার করে যদি নৌ চলাচল ও দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন করা যায় তাহলে মানুষ ভেনিস ঘুরতে না গিয়ে ঢাকা শহরে আসবে।

রাজধানীর অন্যান্য খাল সিটি করপোরেশনে হস্তান্তর করা হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ওয়াটার বোর্ডের অধীনে থাকা খালগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন থাকা খালগুলো হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন। পৃথিবীর অনেক সিটি করপোরেশন নিজেদের অর্থায়নে এয়ারপোর্ট, সাবওয়ে, টানেল ও মেট্রোরেল করেছে। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো আগের তুলনায় অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমি বিশ্বাস করি খুব অচিরেই দেশের সব সিটি করপোরেশন আত্মনির্ভরশীল হবে।

সর্বশেষ খবর