পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট পরিদর্শনে আসেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দল। গতকাল সকাল ৯টার দিকে প্রতিনিধি দলটি স্পিডবোটে এসে বাংলাবাজার ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করেন। প্রতিনিধি দলে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এসএসএফ, জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ একাধিক সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের অঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তির সেতু। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে। এর ফলে মোংলা বন্দর, পায়রা বন্দর এবং স্থলবন্দর বেনাপোলে অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। পদ্মা সেতুর যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে রেললাইনও যুক্ত হওয়ায় চিন্তাই করা যাবে না কি ধরনের অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়বে।

সমন্বয়কের দায়িত্বে মির্জা আজম  : আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সেতুর দক্ষিণপাড় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে (পুরনো ফেরিঘাট) বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এ জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ জন্য জনসভা সফল করতে টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমকে। তিনি ঢাকা বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ইতিহাসের স্মরণকালের জনসভা করতে চাই। সভাকে সফল করতে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। ওই টিমের সমন্বয়ক করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্র্জা আজমকে।