বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
সমমানে ডলার-ইউরো

যুক্তরাষ্ট্রের রেমিট্যান্স কোম্পানিগুলো দিচ্ছে ডলারে ১০৩ টাকা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

প্রায় ২০ বছর পর ইউরো এবং ডলার সমমানে এসেছে। গত ১২ জুলাই আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে এটি দৃশ্যমান হয়েছে। করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি হিসেবে ইউরোর দরপতন ঘটছে। প্রায় অভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি দুই দশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে টাকার মানেও অবনতি ঘটে এক ডলারের বিপরীতে রেমিট্যান্স কোম্পানিগুলো ১০৩ টাকা করে দিচ্ছে।

নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে স্মৃতি মানি ট্র্যান্সফারের কর্ণধার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুব বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান টুকু জানান, ঈদের আগে থেকেই ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমছে। এখন তা চরমে উঠেছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে এমন অবস্থা ঘটেনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বলি হচ্ছি আমেরিকানরা সর্বক্ষেত্রে। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্যমূল্য দ্বিগুণ হয়েছে।

ইউরো-ডলারের এই পরিস্থিতির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক রাশিয়ার তেল ক্রয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপকেও অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে। ইউরোপের অনেক দেশই রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। তাই ইউরোর দরপতন ত্বরান্বিত হচ্ছে। খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ রবিন ব্রুকস এক টুইটে উল্লেখ করেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এই যুদ্ধ জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধস নামিয়েছে। কারণ জার্মানি রাশিয়া থেকে অনেক কম দামে জ্বালানি ক্রয় করত, এখন সেটি সম্ভব হচ্ছে না। ইউরো-ডলারের মধ্যকার এই অবস্থানের জের পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি বাজারে। ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে আমেরিকান পণ্য ক্রয়ের সময় অনেক বেশি ইউরো দিতে হবে, অথচ পণ্য পাবে আগের মতোই। এ অবস্থায় ইউরোপের ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি কমিয়ে দিতে বাধ্য হবেন।

সূত্র বলছে, ইউরো-ডলার সমমর্যাদায় আসায় ইউরোপ ভ্রমণকারী ট্যুরিস্টরা লাভবান হবেন। কারণ এক ডলারে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণের পণ্য ক্রয় করতে সক্ষম হবেন। তবে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের এক ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাজ্যে ০.৮৪ পাউন্ড পাওয়া যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর