করোনার পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ কিছুটা কমলেও দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, সাধারণত বলা হয় তিন মাসের আমদানি ব্যয় যদি থাকে তাহলে ওই অর্থনীতিটা মজবুত। আমাদের পাঁচ মাসের অধিক আমদানি ব্যয় আছে। এর আগে বলা হতো, তিন মাসের খাদ্য আমদানির ক্যাপাসিটি আছে কি না। এখন আমরা শুধু খাদ্য আমদানি হিসাব করি না, আমাদের মোট যে আমদানি হয় সেটা হিসাব করছি। তাতে দেখা যাচ্ছে, আমাদের পাঁচ মাসের বেশি আছে। অতএব আমাদের ঝুঁকি নেই। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ বলছে, বৈশ্বিক মন্দা হতে পারে। বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে, তাদের অর্থনীতি হোঁচট খাচ্ছে তাহলে আমরা কি কোনো প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব না? আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের অনুরোধ জানানো প্রসঙ্গে আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘আমাদের এখানে সম্প্রতি আইএমএফ একটি মিশনে এসেছে, আমাদের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে। এটা কিন্তু রুটিন, প্রতিবছরই হয়। জাইকা, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়। আইএমএফের সঙ্গেও কথা হয়। আমরা কী কী ফ্যাসিলিটি নিতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে অলস বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে সরকার। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সমালোচনা করছেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হলে দুঃখ হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, বলা হচ্ছে আদানি যেটা তৈরি হচ্ছে সেটা বসিয়ে বসিয়ে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিতে হবে। কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র সিওডি হওয়ার আগে একটা পয়সাও দেওয়া হয় না, সুযোগও নেই। মেঘনা ঘাট নিয়ে যেগুলো বলা হচ্ছে, এগুলোর প্রত্যেকটার সিওডি ডেট বদলে দেওয়া হয়েছে। এই সংকটে প্রত্যাশিত তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র যতক্ষণ পর্যন্ত সে আসবে না, ততক্ষণ আমি একটা পয়সা তাকে দেব না। তাহলে কেন হরর স্টোরি তৈরি করছে? টেল দ্য ট্রুথ। যদি ভুল হয়ে থাকে আমরা মাথা পেতে নেব। তিনি বলেন, যে কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বাভাবিক খরচ ৬৫ শতাংশ ব্যয় হয় জ্বালানি। ৩০-৩৫ শতাংশ হলো ক্যাপিটাল। ইনভেস্টমেন্ট কস্ট। বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত পথ হলো ৩৫ শতাংশ যেটা আমি বিনিয়োগ করেছি, সেই রি-পেমেন্ট হলো ক্যাপসিটি চার্জ। এখন আমি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রাখলাম, কারণ আমি এখন খরচ বাড়াতে চাচ্ছি না। তাহলে ৩০-৩৫ শতাংশ খরচ আমার হবে, ৬৫ শতাংশ আমি সাশ্রয় করছি।
শিরোনাম
- ফিলিপাইনে বিক্ষোভের মুখে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ
- ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিকের ফিফটি
- রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭
- অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ
- রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১
- নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা
- একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
- গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : মির্জা ফখরুল
- দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
- নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
- মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের
- সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
- গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
- পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
- নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
- রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
- শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
- অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
- জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ
সংকট নিয়ে যত কথা
দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে নেই : মুখ্য সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর