বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
সংকট নিয়ে যত কথা

দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে নেই : মুখ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ কিছুটা কমলেও দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।  প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, সাধারণত বলা হয় তিন মাসের আমদানি ব্যয় যদি থাকে তাহলে ওই অর্থনীতিটা মজবুত। আমাদের পাঁচ মাসের অধিক আমদানি ব্যয় আছে। এর আগে বলা হতো, তিন মাসের খাদ্য আমদানির ক্যাপাসিটি আছে কি না। এখন আমরা শুধু খাদ্য আমদানি হিসাব করি না, আমাদের মোট যে আমদানি হয় সেটা হিসাব করছি। তাতে দেখা যাচ্ছে, আমাদের পাঁচ মাসের বেশি আছে। অতএব আমাদের ঝুঁকি নেই। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ বলছে, বৈশ্বিক মন্দা হতে পারে। বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে, তাদের অর্থনীতি হোঁচট খাচ্ছে তাহলে আমরা কি কোনো প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব না? আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের অনুরোধ জানানো প্রসঙ্গে আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘আমাদের এখানে সম্প্রতি আইএমএফ একটি মিশনে এসেছে, আমাদের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে। এটা কিন্তু রুটিন, প্রতিবছরই হয়। জাইকা, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়। আইএমএফের সঙ্গেও কথা হয়। আমরা কী কী ফ্যাসিলিটি নিতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে অলস বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে সরকার। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সমালোচনা করছেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হলে দুঃখ হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, বলা হচ্ছে আদানি যেটা তৈরি হচ্ছে সেটা বসিয়ে বসিয়ে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিতে হবে। কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র সিওডি হওয়ার আগে একটা পয়সাও দেওয়া হয় না, সুযোগও নেই। মেঘনা ঘাট নিয়ে যেগুলো বলা হচ্ছে, এগুলোর প্রত্যেকটার সিওডি ডেট বদলে দেওয়া হয়েছে। এই সংকটে প্রত্যাশিত তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র যতক্ষণ পর্যন্ত সে আসবে না, ততক্ষণ আমি একটা পয়সা তাকে দেব না। তাহলে কেন হরর স্টোরি তৈরি করছে? টেল দ্য ট্রুথ। যদি ভুল হয়ে থাকে আমরা মাথা পেতে নেব। তিনি বলেন, যে কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বাভাবিক খরচ ৬৫ শতাংশ ব্যয় হয় জ্বালানি। ৩০-৩৫ শতাংশ হলো ক্যাপিটাল। ইনভেস্টমেন্ট কস্ট। বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত পথ হলো ৩৫ শতাংশ যেটা আমি বিনিয়োগ করেছি, সেই রি-পেমেন্ট হলো ক্যাপসিটি চার্জ। এখন আমি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রাখলাম, কারণ আমি এখন খরচ বাড়াতে চাচ্ছি না। তাহলে ৩০-৩৫ শতাংশ খরচ আমার হবে, ৬৫ শতাংশ আমি সাশ্রয় করছি।

সর্বশেষ খবর