মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ- বাংলাদেশের সবচেয়ে সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটার। মাশরাফি অনেকদিন খেলার বাইরে। বাকি চার ক্রিকেটার এখনো খেলছেন। তবে গত কয়েক বছরে এই প্রথম সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়া কোনো ফরম্যাটে নামছে বাংলাদেশ। নতুন টি-২০ অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে টাইগাররা টি-২০ সিরিজ খেলবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। হারারে স্পোর্টস মাঠে আজ বিকাল ৫টায় সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছেন সোহানরা। সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ রবিবার ও মঙ্গলবার। এরপর ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচ যথাক্রমে ৫, ৭ ও ১০ আগস্ট।
নুরুল হাসান সোহান নিয়মিত নন। ৭ টেস্ট, ৬ ওয়ানডে ও ৩৩ টি-২০ খেলা সোহানের হাতে হঠাৎ দায়িত্ব তুলে দেয় বিসিবি। তবে লড়াকু সোহান দলকে অনেক দূর নিয়ে যাবেন, এটা বিশ্বাস রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। সোহানও বিশ্বাস করেন, তরুণরা নিজেদের প্রমাণ দিতে শতভাগ উজার করে দেবে। ক্রিকেটারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন নতুন অধিনায়ক। নতুনদের নিয়ে হারারেতে আজ ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চান টাইগার অধিনায়ক, ‘ম্যাচের ফল যাই হোক না কেন, ক্রিকেটাররা যেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেন। এতে ম্যাচের ফল যাই হোক না কেন।’ হারারের উইকেটে স্পিনারদের তুলনায় পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ কথা মাথায় রেখে এ ম্যাচে তিন পেসার নিয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে টাইগার। মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামের সঙ্গে তাসকিন আহমেদকেও দেখা যেতে পারে। অবশ্য বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজকেও দেখা যেতে পারে একাদশে। ওপেনার হিসেবে লিটন দাসের সঙ্গে এনামুল হক বিজয়, ওয়ান ডাউনে নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান ব্যাটিং লাইনে থাকবেন। দুই দেশ এখন পর্যন্ত ১৬ টি-২০ খেলেছে। বাংলাদেশের ১১ জয়ের বিপরীতে জিম্বাবুয়ের জয় ৫টি। ২০২১ সালে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবারও জয়ের টার্গেটে খেলবে সোহান বাহিনী।