ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নতুন শীর্ষ নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। গত রাতে গণভবনে সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কমিটির অনুমোদন দেন। পরে গণভবনে ডেকে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের নতুন নেতৃত্বের নাম জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের ১৩ দিন পর গতকাল নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে প্রার্থিতার ফরম জমা দিয়েছিলেন ২৫৪ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন ৯৬ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন মাজহারুল কবির শয়ন এবং সম্পাদক হয়েছেন তানভীর হাসান সৈকত। ঢাকা মহানগরী উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছেন সাগর আহমেদ। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন রাজীবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সজল কুন্ডু।

এর আগে ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন হয়। কিন্তু সম্মেলনে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি তখন ঘোষণা করা হয়নি। সে সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ২৪ ডিসেম্বরের আগেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।

গত রাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার আগে ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরী উত্তর-দক্ষিণের যৌথ সম্মেলন হয়। ৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন হয়। তখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি তাদের কাউন্সিলে সংগঠনটির সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনার ওপর কমিটি গঠনের দায়িত্ব অর্পণ করে।

তিনি বলেন, সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আজ (গতকাল) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও অন্যান্য শাখার যাদের প্রার্থিতা রয়েছে তাদের জীবনবৃত্তান্ত বাছবিচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নাম অনুমোদন করেছেন।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ওই বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় সংসদের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রেজওয়ানুল ও রাব্বানী ছাত্রলীগের পদ হারান। তখন আল নাহিয়ানকে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের ভারমুক্ত করে দেওয়া হয়।