বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘হামলা, মামলা ও নেতাদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আন্দোলনের গতি রোধ করা যাবে না। দেশের মানুষের হাতে রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই এ আন্দোলন। এ আন্দোলনের মালিকানা বাংলাদেশের মানুষের হাতে। আমাদের প্রতিটি অনুষ্ঠান আগের অনুষ্ঠান থেকে বড় হয়। প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে সেভাবেই। ঢাকায় ১০ তারিখের জনসভায় যে পরিমাণ মানুষ হয়েছে, পরের ৩০ তারিখে এর চেয়ে বেশি মানুষ হয়েছে। দুটিতেই আমি ছিলাম। একটা ছিল ৫ কিলোমিটার জুড়ে মানুষ। মতিঝিল থেকে মগবাজার পর্যন্ত সব মানুষ হয়েছে। গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই।’ গতকাল নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের মাঠে ১১ জানুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত গণ-অবস্থান কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চেয়েছিল বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বিশৃঙ্খলা করে দমিয়ে রাখতে। বিএনপি তা পরাহত করেছে। রাজনৈতিকভাবে তাদের পরাজিত করেছি আমরা। ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান কর্মসূচি থেকে একইভাবে শক্ত বার্তা যাবে। চট্টগ্রাম থেকে বার্তা যাবে, এ সরকারের বিদায় নেওয়ার জন্য। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি সেই ধারায় চলতে থাকবে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চাই। তারা যদিও সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু কেউ জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। কোনো শক্তি দাঁড়াতে পারবে না, আমরা সেই শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমার দল কর্মীনির্ভর। আর দু-একটি মিটিংয়ের পর তাদের চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। তারা এলে চট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টি হবে, সেজন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব।
আমাদের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল।’ সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় দলনেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, উপজাতি সম্পাদক ম্যা মা চিং, কক্সবাজার জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, সহগ্রামসরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়া, মশিউর রহমান বিপ্লব, আবু তালেব, রাঙামাটি জেলা বিএনপি সভাপতি দিপন তালুকদার, বান্দরবন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা প্রমুখ।
